২২. সুখ
আমার গল্পের এখানেই শেষ। এই তো আমার দাদী। চোখে চশমা পরা। বয়স আশির ওপরে। তবু শীতের দিনেও একটানা হাঁটেন ছয় মাইল। তিনি এখন একটি আসল বেটসি ট্রটউডের, আমার মেয়ের, ধর্ম-মা। এতে তার মনে আর আনন্দ ধরে না।
এই যে আসছে পেগোটি, দাদীর সারাক্ষণের সঙ্গী। ওর ফোলা ফোলা গাল চুপসে গেছে, শরীর শুকিয়েছে, কিন্তু আমার বাচ্চাদের দুরন্তপনা সামলাতে সে সদা তৎপর। পেগোটির বগলে মোটা কি একটা আছে। সেই কুমিরের বইটি। এখন অবশ্য অত্যন্ত জীর্ণ দশা ওটার। আজকাল আমার বাচ্চারা ওকে ক্ররকিনডিল-এর গল্প পড়ে শোনায়।
এখন গরমের ছুটি। আমাদের বাচ্চাদের সঙ্গে এক বুড়োকে দেখছি। বড় বড় ঘুড়ি বানাচ্ছেন, আকাশে উড়িয়ে মহানন্দে দেখছেন। বাচ্চারা তাঁকে ঘিরে হাততালি দিচ্ছে, নাচছে। মি. ডিক আগের মতই আছেন।
ডক্টর স্ট্রং এখনও লিখে যাচ্ছেন তার অভিধান। তিনি আমাদের একজন প্রিয় বন্ধু।
আমার বাতি নিভে আসছে। অনেক রাত পর্যন্ত লিখেছি। আমার সুন্দরী বৌ বসে আছে পাশে। বাচ্চারা গভীর ঘুমে।
বহু বছর ধরে এ সুখই আমি চেয়েছিলাম।