রহস্যের দ্বীপ: ২৯. আস্তে আস্তে সেরে উঠতে লাগল হার্বার্ট

রহস্যের দ্বীপ: ২৯. আস্তে আস্তে সেরে উঠতে লাগল হার্বার্ট

২৯. আস্তে আস্তে সেরে উঠতে লাগল হার্বার্ট

আস্তে আস্তে সেরে উঠতে লাগল হার্বার্ট। আর থাকা যায় না খোঁয়াড়ে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওকে গ্রানাইট হাউসে স্থানান্তরিত করা উচিত। নেবেরও কোন খবর নেই। কি অবস্থায় আছে ও কে জানে!

কিন্তু দস্যুদের ব্যুহ ভেদ করে কিভাবে গ্রানাইট হাউসে পৌঁছানো সম্ভব ঠিক করতে পারছে না কেউ। সেদিন খেপে উঠল পেনক্র্যাফট, হারামজাদাদের ভয়ে এভাবে লুকিয়ে থাকলে কি করে হবে? আজ বেরোবই আমি।

পাঁচজনের বিরুদ্ধে একা কি করবে তুমি? বাধা দিয়ে বললেন ক্যাপ্টেন।

একা নয়। টপকে নিয়ে যাব সাথে।

পাগল! জেনেশুনে গুলির মুখে এগিয়ে যাওয়া ঠিক হবে না।

কিন্তু তাই বলে—।

দেখো, এমনিতেই হার্বার্টকে নিয়ে বহু ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে। তার ওপর তোমার যদি কিছু হয় তাহলে সবাই বিপদে পড়ব আমরা।

কথাটা ঠিক, করার কিছুই নেই। শুধু রুদ্ধ আক্রোশে ফুলতে থাকল পেনক্র্যাফট।

এ সময় আয়ারটন কাছে থাকলে বেশ ভাল হত। স্পিলেট কথাটা বলতেই পেনক্র্যাফটের মেজাজ আরও খিচড়ে গেল।

ভয়ের কিছু নেই, মরেনি আয়ারটন, বলল পেনক্র্যাফট।

মানে, আয়ারটনকে মেরে ফেলেনি দস্যুরা?

মারবে কি? মরতে চাইলেও তো বাঁচিয়ে রাখবে।

হঠাৎ পেনক্র্যাফটের কথার মানে বুঝতে পারলেন স্পিলেট, আয়ারটন বেঈমানি করেছে বলতে চাও? ভাবছ পুরানো দোস্তদের সাথে যোগ দিয়েছে আবার?

করতেও পারে।

এতটা নীচ ভেবো না একে, পেনক্র্যাফট! বললেন ক্যাপ্টেন, আর যাই করুক, অন্তত বেঈমানি করবে না আয়ারটন।

মাফ করবেন, ক্যাপ্টেন, এই জেলখানায় বন্দী থাকতে থাকতে মাথাটাই খারাপ হয়ে গেছে আমার।

আর কটা দিন, পেনক্র্যাফট। হার্বার্টকে আর একটু সুস্থ হয়ে উঠতে দাও। এখন ওকে বেশি নাড়াচাড়া করলে হিতে বিপরীত হতে পারে।

সাতাশে নভেম্বর। সেদিন আর থাকতে না পেরে বন্দুক হাতে টপসহ খোঁয়াড় থেকে বেরিয়ে পড়লেন স্পিলেট। আস্তে করে খোঁয়াড়ের গেট খুলে বেরিয়ে এলেন তিনি। কিন্তু বেরিয়ে আসার পরও গুলি করল না কেউ। সাহস বেড়ে গেল ওঁর। একছুটে ঢুকে গেলেন সামনের জঙ্গলে। গাছপালার আড়ালে আড়ালে মাইল দেড়েক এগোনোর পরই কিসের যেন গন্ধ পেয়ে ডেকে উঠল টপ। সামনে পেছনে ছুটাছুটি করে কোথাও যেন সে নিয়ে যেতে চাইছে স্পিলেটকে! বুঝতে পেরে টপের পিছন পিছন চললেন স্পিলেট। মিনিট পাঁচেক এগোবার পরই একটা ঝোপে ঢুকে একটুকরো রক্তমাখা ছেড়া কাপড় নিয়ে বেরিয়ে এল টপ। টুকরোটা পরীক্ষা করে বুঝলেন ওটা আয়ারটনের ওয়েস্টকোটের অংশ। ওটা নিয়ে খোয়াড়ে ফিরে এলেন তিনি।

পেনক্র্যাফট, কি বুঝলে? কাপড়ের টুকরোটা দেখে বললেন ক্যাপ্টেন, টেনে হিচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে আয়ারটনকে। আর সন্দেহ আছে তোমার?

কথাটা বলার জন্যে আমি দুঃখিত, ক্যাপ্টেন। তবে একটা জিনিস পরিষ্কার হয়ে গেছে।

কি? বেঁচে আছে এখনও আয়ারটন।

হতে পারে, চিন্তিতভাবে বললেন ক্যাপ্টেন। গ্রানাইট হাউসে ফেরার জন্যে অস্থির হয়ে পড়েছে হার্বার্ট। ওর জন্যে সবাই আটকা পড়ে আছে খোঁয়াড়ে, কথাটা ভেবে সারাক্ষণ অস্বস্তিতে ভুগছে ও। আরও দুদিন পেরিয়ে গেল।

সেদিন উনত্রিশে নভেম্বর। সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ চেঁচাতে শুরু করল টপ। কেউ আসছে নিশ্চয়ই খোঁয়াড়ের দিকে। বন্দুক নিয়ে গেটের দিকে ছুটলেন স্পিলেট, পেনক্র্যাফট আর ক্যাপ্টেন। কিন্তু গেটের কাছে পৌঁছার আগেই ওপাশের বেড়া টপকে খোঁয়াড়ের ভেতর লাফ দিয়ে নামল একটা ছায়ামূর্তি। আবার চেঁচিয়ে উঠল টপ। টপের খুশি খুশি ডাকের সাড়া দিল মাস্টার জাপ।

ক্যাপ্টেনের সামনে এসে দাঁড়াল জাপ। গলায় একটা থলি বাধা। একটা ছোট্ট কাগজ বেরোল থলিটা থেকে নেবের চিঠি।

শুক্রবার, ভোর ছটা। দস্যুরা গ্রানাইট হাউস আক্রমণ করার ফন্দি আঁটছে। নেব।

নেবের চিঠি পড়ে দারুণ চিন্তিত হয়ে পড়ল সবাই এখন কি করা যায়? হার্বার্ট অসুস্থ। ওদিকে গ্রানাইট হাউস আক্রমণ করতে যাচ্ছে দস্যুরা।

ক্যাপ্টেন, আমি আর কোন কথা শুনতে চাই না। জেদ ধরল হার্বার্ট, আজই গ্রানাইট হাউসে ফিরে যাব আমরা। আমার জন্য সবার সর্বনাশ হয়ে যাবে এ আমি ভাবতেও পারছি না।

অগত্যা রাজি হলেন ক্যাপ্টেন পরদিন খুব ভোরে ওনাগা দুটোকে গাড়িতে জোড়া হলো। হার্বার্টকে গাড়িতে শুইয়ে দিয়ে, বন্দুক হাতে দুপাশে বসে পাহারায় থাকলেন ক্যাপ্টেন আর স্পিলেট। লাগাম ধরে খুব সাবধানে খানা খন্দ বাঁচিয়ে গাড়ি চালাতে লাগল পেনক্র্যাফট। গাড়িতে বেশি ঝাঁকুনি লাগলে কষ্ট হবে হার্বার্টের।

চলতে চলতে একসময় গাছপালার ফাঁক দিয়ে দেখা গেল নীল সাগর। প্রসপেক্ট হাইটের কাছে পৌঁছে গেছে গাড়ি।

হঠাৎ চেঁচিয়ে উঠল পেনক্র্যাফট, হারামজাদা, শুয়োরের বাচ্চারা সব শেষ করে ফেলেছে!

কি হলো, পেনক্র্যাফট? উৎকণ্ঠিত ভাবে গাড়ি থেকে উঁকি মেরে জিজ্ঞেস করলেন ক্যাপ্টেন। উত্তরে আঙুল দিয়ে পোলট্রির দিকে দেখিয়ে দিল পেনক্র্যাফট।

উইন্ডমিল আর পোলট্রি হাউস থেকে একটানা কালো ধোঁয়া উঠে যাচ্ছে আকাশে। ধোঁয়ার ভেতর ছুটোছুটি করছে হতভম্ব নেব। গাড়িটা দেখতে পেয়েই থমকে দাঁড়াল সে। তারপর ছুটে এল গাড়ির কাছে।

কুত্তার বাচ্চাগুলো কোথায়, নেব? জিজ্ঞেস করল পেনক্র্যাফট।

চলে গেছে। কিন্তু শেষ করে দিয়ে গেছে সব। জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাই করেছে উইন্ডমিল আর পোলট্রি। পায়ে মাড়িয়ে দুমড়ে দিয়েছে খেতের ফসল। একটু থেমে উত্তষ্ঠিত ভাবে জিজ্ঞেস করল নেব, তা হার্বার্টের কথা বলছ না কেন? ভাল আছে তো ও?

আছে।

ততক্ষণে গাড়ি থেকে নেমে ধ্বংসপ্রাপ্ত পোলট্রির দিকে তাকিয়ে আছেন স্পিলেট আর ক্যাপ্টেন। ওদেরকে সালাম জানিয়ে গাড়ির ভেতর উঁকি দিল নেব। ডাকল, হার্বার্ট, শুনছ? হার্বার্ট?

উত্তর দিল না হার্বার্ট। বেশ কয়েকবার ডেকেও সাড়া না পেয়ে স্পিলেটকে ডাকল নেব, মি. স্পিলেট, কথা বলছে না কেন হার্বার্ট?

অ্যাঁ! দৌড়ে এলেন স্পিলেট। গাড়ির ভেতর ঢুকে দেখলেন চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছে হার্বার্ট। একটু পরীক্ষা করেই বুঝলেন জ্ঞান হারিয়েছে সে।

গ্রানাইট হাউসে তোলা হলো হার্বার্টকে। ওর অবস্থা আস্তে আস্তে খারাপের দিকে যেতে লাগল। প্রচন্ড জ্বরে প্রলাপ বকতে শুরু করল সে।

জ্বরের ওষুধ দরকার, বললেন স্পিলেট।

কিন্তু কোথায় পাব ওষুধ? বিষণ্ণ ভাবে বললেন ক্যাপ্টেন, পেরুভিয়ান গাছও নেই। কুইনিনও নেই।

কেন, উইলো গাছ তো আছে। ওর ছাল ছেচে রস খাওয়ালে কাজ হবে না?

কিছুটা?

দেখি। নিজে গিয়ে উইলোর ছাল কেটে আনলেন ক্যাপ্টেন। সন্ধ্যার দিকে ওষুধ বানিয়ে খাওয়ানো হলো হার্বার্টকে। কিন্তু কিছুই হলো না। পড়ে থেকে থেকে আগেই দোষ হয়ে গিয়েছিল লিভারে, এবার আক্রান্ত হয়েছে মগজ। বেশ ভাবনায় পড়লেন স্পিলেট। জ্বরের ধরন দেখে কিছুটা আঁচ করতে পারছেন তিনি। ক্যাপ্টেনকে বললেন, ব্যাপার সুবিধের মনে হচ্ছে না আমার। যদ্দর মনে হচ্ছে এটা ম্যালিগন্যান্ট ফিভার। জ্বর না কমলে বাঁচানো যাবে না হার্বার্টকে।

ম্যালিগন্যান্ট ফিভার! ভয় পেয়ে গেলেন ক্যাপ্টেন।

হ্যাঁ। জলা থেকে জুরের জীবাণু নিয়ে এসেছে ও। প্রথম ধাক্কা কাটিয়ে উঠেছে কিন্তু দ্বিতীয় ধাক্কায় ঠিকমত ওষুধ দিতে না পারলে তৃতীয়বারে ঠিক মারা যাবে ও।

উইলোর ছালের রস তো খাওয়ানো হলো দেখা যাক কি হয়। কিছু হবে না কুইনিন দরকার। এ জ্বরের একমাত্র প্রতিষেধক কুইনিন।

কিন্তু কোথায় পাওয়া যাবে কুইনিন? শেষ পর্যন্ত সাধারণ একটা ওষুধের জন্যে মারা যাবে হার্বার্ট? খবরটা পেনক্র্যাফট আর নেবের কাছ থেকে গোপন রাখা হলো।

রাতে আরও বাড়ল জ্বর। মরার মত বিছানায় পড়ে রইল হার্বার্ট। পরদিন নয়ই ডিসেম্বর অবস্থা আরও খারাপের দিকে মোড় নিল। বার বার জ্ঞান হারাতে লাগল হার্বার্ট। সত্যিই কি তাহলে মারা যাচ্ছে সে? এভাবেই দিনটা কেটে গেল। রাত তিনটায় হঠাৎ চেঁচিয়ে উঠল হার্বার্ট। হাত-পা খিচতে শুরু করেছে। পাশে বসে ছিল নেব। ছুটে গিয়ে পাশের ঘরে আর সবাইকে খবর দিল সে।

ঠিক সেই সময় ডেকে উঠল টপ। অদ্ভুত কিছু যেন দেখতে পেয়েছে সে। কিন্তু তা উপেক্ষা করে সবাই ছুটে গেল হার্বার্টের ঘরে। হার্বার্টের নাড়ি দেখলেন ক্যাপ্টেন। সাংঘাতিক রকম বেড়ে গেছে হৃৎপিন্ডের গতি। বড়জোর আর একটা দিন বাঁচবে হার্বার্ট। ফুপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে পেনক্র্যাফট।

রাতটা ভোর হলো এক সময়। জানালা দিয়ে ঘরে এসে পড়ল সকালের সোনালি রোদ। তখনই হঠাৎ জিনিসটা চোখে পড়ল পেনক্র্যাফটের। আঙুল তুলে সবাইকে দেখাল সে, ওটা এল কোথেকে? কি এটা?

ঘুরে চাইল সবাই। টেবিলের উপরে রোদ পড়েছে রোদে ঝক ঝক করছে টেবিলে রাখা অয়েল পেপারে মোড়ানো প্যাকেটটা। উঠে গিয়ে প্যাকেটটা তুলে নিলেন ক্যাপ্টেন। প্যাকেটটার গায়ে পরিষ্কার ইংরেজি অক্ষরে লেখা-সালফেট অব কুইনিন।

দ্রুত প্যাকেটটা খুলে ফেললেন ক্যাপ্টেন। ভেতরে প্রায় দুশ গ্রেন সাদা উড়ো। আঙুলের ডগায় কয়েকটা গুড়ো তুলে জিভে ছোঁয়ালেন তিনি। পরক্ষণেই থু থু করে ফেলে দিলেন। দারুণ তেতো কুইনিন।

বিন্দুমাত্র দেরি না করে কফি বানিয়ে আনল নেব। তাতে আঠারো গ্রেনের মত কুইনিন মিশিয়ে একটু একটু করে খাওয়ানো হলো হার্বার্টকে। ঘণ্টা কয়েকের মধ্যেই অনেকটা শান্ত হয়ে এল হার্বার্ট।

অদ্ভুত এই ব্যাপার নিয়ে জোর আলোচনা শুরু করল অভিযাত্রীরা। ওদের চরম বিপদের মুহুর্তে আবার উদয় হলেন রহস্যময় ত্রাণকর্তা। কিন্তু এই দুর্ভেদ্য গ্রানাইটের দুর্গে কি করে এলেন? সত্যিই কি তাহলে অশরীরী তিনি? তিন ঘণ্টা পর পর হার্বার্টকে কুইনিন খাওয়াতে থাকলেন স্পিলেট। কেটে গেল আরও দশ দিন। জ্বর ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু হার্বার্টের শরার অত্যন্ত দুর্বল। হার্বার্ট বেঁচে গেছে দেখে খুশিতে লাফাচ্ছে পেনক্র্যাফট। স্পিলেটের নামের আগে নতুন খেতাব জুড়ে দিয়েছে সে, ডাক্তার স্পিলেট!

জানুয়ারির শেষ দিকে একেবারে সেরে উঠল হার্বার্ট। সাগরের তাজা হাওয়া আর নেবের রাঁধা মুরগীর সুপ খেয়ে খেয়ে তাজা হয়ে উঠল শরীর।

হার্বার্ট ভাল হয়ে ওঠার পর দুটো প্রতিজ্ঞা করল অভিযাত্রীরাঃ এক, পাঁচ দস্যুকে খতম করা, আর দুই, রহস্যময় ত্রাণকর্তার গোপন আবাসস্থল খুঁজে বের করা। এই দুটো কাজ শেষ না করে আর গ্রানাইট হাউসে ফিরবে না বলে ঠিক করল তারা।

তৈরি হয়ে দল বেঁধে গ্রানাইট হাউস থেকে বেরিয়ে পড়ল অভিযাত্রীরা। জাপ আর টপও রইল সঙ্গে। ওদের অনুপস্থিতির সুযোগে যেন কেউ গ্রানাইট হাউসে উঠতে না পারে সে ব্যবস্থা পাকা করেই বেরিয়েছে ওরা। সেদিন চোদ্দই ফেব্রুয়ারি।

পাহাড় জঙ্গলে ঘোরার মত শক্তি হার্বার্টের শরীরে এখনও হয়নি। কাজেই ওনাগায় টানা গাড়িতে চেপে বসল সে। কাঠের সেতু পেরিয়ে আস্তে আস্তে ঘন জঙ্গলে প্রবেশ করল অভিযাত্রীরা! বুনো জানোয়ারলোর সন্ত্রস্ত ভাব দেখে বললেন ক্যাপ্টেন, আমাদের দেখে সাঙ্ঘাতিক রকম চমকে উঠেছে জানোয়ারগুলো। মানে এ পথেই গেছে ডাকাতেরা, যাবার সময় ভয় পাইয়ে দিয়ে গেছে জানোয়ারগুলোকে।

সামনে ডাকাতদের যাত্রাপথের আরও নমুনা পাওয়া গেল—জুতোর ছাপ, গাছের ভাঙা ডাল, আগুন জ্বালানোর চিহ্ন।

সেদিন রাতটা ঝর্নার ধারে কাটাল অভিযাত্রীরা। পরদিন রওনা হয়ে পথে আবার পাওয়া গেল ডাকাতদের জুতোর ছাপ। বিভিন্ন আকারের জুতোর ছাপ। গুনে নিশ্চিত হলেন ক্যাপ্টেন— পাঁচজোড়া পায়ের ছাপ। অর্থাৎ আয়ারটন নেই ওদের সাথে। খুব সম্ভব ওরা খুন করেছে আয়ারটনকে।

চলতে চলতে পরদিন দ্বীপের শেষ প্রান্তে এসে হাজির হলো অভিযাত্রীরা। কিন্তু ডাকাতদের বা ত্রাণকর্তার গোপন আবাসস্থলের চিহ্ন পাওয়া গেল না কোথাও।

আগের পর্ব :
০১. ওপরে কি উঠছি আমরা
০২. গৃহযুদ্ধের তান্ডবলীলা চলছে
০৩. কোথায় গেলেন ক্যাপ্টেন
০৪. বিকেল নাগাদ নদীর জল কমে গিয়ে
০৫. চেঁচিয়ে বললেন স্পিলেট
০৬. বেলুন থেকে নামার পর
০৭. সকাল থেকে কোথাও পাওয়া গেল না নেবকে
০৮. ওরা ঢুকলেও ফিরে চাইল না নেব
০৯. হতবুদ্ধি হয়ে দাঁড়িয়ে রইল পেনক্র্যাফট
১০. ধোঁয়া, মানে আগুন
১১. ভোর হলো
১২. পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই
১৩. পরদিন সকালে খাওয়া-দাওয়ার পর
১৪. মাপজোকের কাজ শুরু করলেন ক্যাপ্টেন
১৫. গহ্বরের মুখ
১৬. জুনের শুরুতেই শীত নামল
১৭. যেন ভূত দেখছে এমন ভাবে
১৮. জাহাজডুবি হয়ে সত্যিই কেউ দ্বীপে উঠেছে কিনা
১৯. দ্বীপের দক্ষিণ তীর ঘেঁষে চলা শুরু হলো
২০. একটু দূরে জঙ্গলের ধারে
২১. মার্চের আরম্ভেই শুরু হলো ঝড় বৃষ্টি
২২. আবার এল শীত
২৩. এখনও কি বাধা দেবেন
২৪. মার্সি নদীর মুখে এসে
২৫. জঙ্গলে আর ফিরে গেল না আগন্তুক
২৬. ভোর হতেই খোঁয়াড়ের দিকে রওনা দিল
২৭. এখনও প্রায় বিশ মাইল দূরে জাহাজটা
২৮. চোখের সামনে ভোজবাজীর মত
পরের পর্ব :
৩০. ফ্রাঙ্কলিন হিলের কোন গুহায়
৩১. জাহাজের খোল তৈরির কাজ
৩২. ধীরে ধীরে চোখ মেলে তাকালেন ক্যাপ্টেন নিমো
৩৩. সুড়ঙ্গ মুখে পৌঁছতে পৌঁছতে

গল্পের বিষয়:
অনুবাদ
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত