রহস্যের দ্বীপ: ২৮. চোখের সামনে ভোজবাজীর মত

রহস্যের দ্বীপ: ২৮. চোখের সামনে ভোজবাজীর মত

২৮. চোখের সামনে ভোজবাজীর মত

চোখের সামনে ভোজবাজীর মত ঘটে গেল ঘটনাটা গ্রানাইট হাউসের জানালার সামনে বিমূঢ় হয়ে দাঁড়িয়ে রইল অভিযাত্রীরা।

আশ্চর্য! ক্যাপ্টেনের কথায় চমকে ফিরে তাকাল সবাই।

এতে আশ্চর্যের কিছু নেই, পেনক্র্যাফট বলল, জলদস্যুরা ট্রেইনড যোদ্ধা না উত্তেজনার সময় হয়তো এক আধটা জ্যান্ত বুলেট ঢুকিয়ে দিয়েছে বারুদ ঘরে।

জোয়ারের পানি সরে যাবার পর আবার দেখা গেল স্পীডিকে। কাত হয়ে পড়ে আছে জাহাজটা। প্রায় বিশ ফুট ব্যাসের বিশাল এক গর্ত হয়ে গেছে জাহাজের তলায়। কিন্তু গর্তটা হয়েছে জাহাজের সামনের দিকে। তাহলে পেনক্র্যাফটের অনুমান তো ধোপে টিকছে না। বারুদঘরটা জাহাজের পেছন দিকে। বারুদ বিস্ফোরিত হলে পেছন দিকে হত গর্তটা।

জাহাজের ডেকে এসে উঠল অভিযাত্রীরা। তৈজষপত্র, যন্ত্রপাতি, সিন্দুক, বাক্স, পিপা যা কিছু অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেল সব দড়ি আর কপিকলের সাহায্যে নৌকোয় নামিয়ে ডাঙায় তুলতে লাগল অভিযাত্রীরা। সবচেয়ে আশ্চর্য ব্যাপার, একবারে অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেল বারুদঘর।

দেখে শুনে বোকা বনে গেল পেনক্র্যাফট। কি করে ধ্বংস হলো অতবড় জাহাজটা? রহস্যের কিনারা করতে না পারলেও খুশি হলো সবাই। স্পীডির সমস্ত মালপত্র উদ্ধার করতে তিন দিন লেগে গেল। এত মালপত্র পাওয়া গেল যে সব রাখার পর পা ফেলার জায়গা থাকল না আর গ্রানাইট হাউসের স্টোর রূমে। বন্দুক, পিস্তল আর গোলা বারুদের তো কথাই নেই। কামান চারটেও জাহাজ থেকে নামিয়ে আনা হলো। এবার যদি কখনও অন্য জলদস্যুরা আক্রমণ করেও তার সমুচিত জবাব দিতে পারবে অভিযাত্রীরা।

স্পীডির ধ্বংসের আসল কারণ জানা গেল তিরিশে নভেম্বর। জোয়ার আর ভাটার টানে ভেঙেচুরে সাগরে গিয়ে পড়েছে জাহাজটা। ওটার কোন চিহ্নই আর দেখা যাচ্ছে না। সেদিন খাড়ির ধার দিয়ে আসছে নেব, হঠাৎ জিনিসটা চোখে পড়ল ওর। ভাটার টানে খাড়ির পানি নেমে গেছে। স্পীডি যেখানে ডুবেছিল তার থেকে একটু দূরে একটা লোহার চোঙা পড়ে আছে। কৌতূহল হওয়ায় চোঙাটা তুলে আনল নেব। চিনতে না পেরে ক্যাপ্টেনকে দেখাল সে জিনিসটা। একবার দেখেই গভীর হয়ে গেলেন তিনি। বললেন, হু, এবার বুঝলাম কারণটা।

কিসের কারণ, ক্যাপ্টেন? জিজ্ঞেস করল পেনক্র্যাফট।

কেন ডুবেছে স্পীডি। চোঙাটাকে দেখিয়ে বললেন, এটা একটা টর্পেডোর অংশ।

টর্পেডো! বিস্ময়ে চেঁচিয়ে উঠল সবাই।

হ্যাঁ, টর্পেডো। স্পীডির তলায় কেউ আঘাত হেনেছিল ওটা দিয়ে। আর একবার আমাদের সবার প্রাণ বাঁচালেন রহস্যময় সেই অশরীরী শক্তি।

স্পীডি ধ্বংস হলেও কিন্তু একটা সমস্যা থেকে গেল। নৌকো থেকে নেমে ফ্লোটসাম পয়েন্টের দিকে পালিয়েছিল ছজন দস্যু। ওদেরকে খুঁজে বের করতে হবে। আরও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হলো অভিযাত্রীরা, খুঁজে বের করতে হবে রহস্যময় সেই ত্রাণকর্তাকেও। তার আগে দিন দুয়েকের জন্যে খোঁয়াড়ে যেতে হবে আয়ারটনকে। জানোয়ারগুলোর খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়ে গ্র্যানাইট হাউসে ফিরে আসবে। নয়ই নভেম্বর খোঁয়াড়ে চলে গেল আয়ারটন। এর মধ্যে খবরাখবরের দরকার হলে টেলিগ্রাফ তো রয়েছেই।

আয়ারটনের ফেরার কথা সেদিন, হঠাৎ দুপুর বেলা পিলেট বললেন, বন-অ্যাডভেঞ্চারের অবস্থাটা একবার দেখা উচিত না? যদি জলদস্যুদের চোখে পড়ে যায়?

কথাটার গুরুত্ব আছে। সাথে সাথেই বন্দুক হাতে রওনা হয়ে গেলেন স্পিলেট, পেনক্র্যাফট আর নেব। পোর্ট বেলুনে পৌঁছে দেখা গেল আগের মতই পানিতে ভাসছে বন-অ্যাডভেঞ্চার কিন্তু নোঙর বাঁধা দড়িটার দিকে নজর পড়তেই চমকে উঠে বলল পেন্যাফট, অবাক কান্ড!

কি হলো? জিজ্ঞেস করলেন স্পিলেট।

নতুন গিট দিয়েছে কেউ দড়িতে!

গিট আবার দিতে যাবে কে? তুমিই দিয়েছ, খেয়াল নেই হয়তো।

অসম্ভব। এ ধরনের গিট ভুলেও দিই না আমি। সোজা কথা, বন-অ্যাডভেঞ্চারকে নিয়ে বেরিয়েছিল কেউ। ফিরে এসে আবার আগের জায়গায় বেঁধে রেখেছে।

ফিরে গিয়ে কথাটা জানাতে ক্যাপ্টেন বললেন, গ্র্যানাইট হাউসের কাছাকাছিই আরেকটা বন্দর তৈরি করতে হচ্ছে। না হলে কোনদিন হয়তো খোয়াই যাবে নৌকোটা।

সময় হয়ে যাবার পরও আসছে না দেখে খোঁয়াড়ে টেলিগ্রাফ করা হলো আয়ারটনকে। দুটো ছাগল সাথে করে আনার নির্দেশও দেয়া হলো ওকে। কিন্তু। ওদিক থেকে জবাব এল না। আশ্চর্য তো!

রাতেও যখন ফিরল না আয়ারটন, ভোরে উঠে টেলিগ্রাফের পর টেলিগ্রাফ করা হলো। কিন্তু সাড়া নেই ওপাশ থেকে। তবে কি কোন বিপদে পড়েছে আয়ারটন, নাকি বিগড়ে গেছে টেলিগ্রাফ?

আর তো দেরি করা যায় না। গ্রানাইট হাউসে শুধু নেবকে রেখে বন্দুক হাতে খোঁয়াড়ের দিকে রওনা হলো সবাই। টেলিগ্রাফের লাইন ধরে ধরে এগোল ওরা। কারণটা জানা গেল তখনই। মাইল দুয়েক দূরের চুয়াত্তর নম্বর খুঁটিটা উপড়ে মাটিতে ফেলে দিয়েছে কেউ। ছিড়ে গেছে ওখানকার টেলিগ্রাফের তার। তার যারা ছিড়েছে, আয়ারটনকে জখম করাও তাদের পক্ষে অসম্ভব নয়। খোঁয়াড়ের দিকে ছুটল সবাই।

খোঁয়াড়ের কাছে পৌঁছে দেখল ওরা, গেটটা অক্ষতই আছে। বেড়াও ভাঙেনি কোথাও। কিন্তু খটকা লাগল ক্যাপ্টেনের মনে। এত চুপচাপ কেন খোয়াড়টা! জন্তু-জানোয়ার বা মানুষ কারোই কোন সাড়াশব্দ নেই।

সতর্ক করলেন তিনি আর সবাইকে। বন্দুক বাগিয়ে ধরে পা টিপে টিপে গেটের দিকে এগোল ওরা। আস্তে করে গেটের হড়কো খুলে ভেতরে পা দিলেন ক্যাপ্টেন। ঠিক সেই সময় বন্দুকের আওয়াজের পরপরই শোনা গেল হার্বার্টের আর্তচিৎকার ।

কি হলো, হার্বার্ট, কি হলো? হাত থেকে বন্দুকটা ফেলে দিয়ে হার্বার্টের দিকে ছুটে গেল পেনক্র্যাফট। উপুড় হয়ে মাটিতে পড়ে আছে হার্বার্ট। স্পিলেট আর হার্ডিংও ওর দিকে ছুটে গেলেন কাছে গিয়ে উবু হয়ে বসে হার্বার্টের নাড়ি দেখলেন স্পিলেট। বললেন, এখনও বেঁচে আছে হার্বার্ট।

জলদি খোঁয়াড়ে নিয়ে চলো ওকে, তাড়া লাগালেন ক্যাপ্টেন।

পেনক্র্যাফট আর স্পিলেট ধরাধরি করে মাটি থেকে তুলে নিল হার্বার্টকে। আগে আগে চললেন ক্যাপ্টেন। গেটের ভেতর ঢুকতেই আবার গর্জে উঠল বন্দুক। গুলির আঘাতে ক্যাপ্টেনের মাথা থেকে হ্যাটটা উড়ে গেল চমকে উঠে বাঁ পাশে চাইলেন ক্যাপ্টেন! মাত্র ছয় ফুট দূরে দাঁড়িয়ে আছে একজন জলদস্যু। ক্যাপ্টেনের মাথা সই করেই গুলি করেছিল সে, কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে মাথার এক ইঞ্চি ওপর দিয়ে চলে যায় গুলিটা বন্দুকে আবার গুলি ভরতে শুরু করেছে দস্যুটা, কিন্তু ওকে আর সুযোগ দিলেন না ক্যাপ্টেন। কোমর থেকে ছোরাটা খুলে নিয়ে ছুঁড়ে মারলেন দস্যুর বুক লক্ষ্য করে। নির্ভুল নিশানা, ছুরিটা আমূল বিঁধে গেল দস্যুর বুকে। আর্তনাদ করে মাটিতে লুটিয়ে পড়ল সে।

শূন্য খোঁয়াড়ের ভেতরে আয়ারটনের ঘরে ঢুকে বিছানায় শুইয়ে দেয়া হলো হার্বার্টকে। এখন ডাক্তার পাওয়া যাবে কোথায়? অভিযাত্রীদের কেউই তো ডাক্তারী জানেন না। তবে ফার্স্ট এইড দিতে পারেন ক্যাপ্টেন আর স্পিলেট দুজনেই।

জ্ঞান নেই হার্বার্টের। ক্ষীণ নাড়ির গতি, ফ্যাকাসে মুখ। অবস্থা বিশেষ সুবিধের মনে হচ্ছে না। আস্তে আস্তে হার্বার্টের গায়ের জামাটা খুলে নিল পেনক্র্যাফট। ক্ষতস্থানটা পরীক্ষা করতে শুরু করলেন ক্যাপ্টেন। পাজরার তৃতীয় আর চতুর্থ হাড়ের মাঝখান দিয়ে ঢুকে অন্য পাশ দিয়ে বেরিয়ে গেছে গুলিটা আর একটু হলেই হৃৎপিন্ডে লাগত। পরিষ্কার পানি দিয়ে ক্ষতস্থানটা ভাল করে ধুয়ে নিয়ে শার্ট ছিড়ে ভাল করে একটা ব্যান্ডেজ বাঁধলেন ক্যাপ্টেন। কয়েকঘণ্টা পরই জ্বর আসবে, তার আগেই জ্বরনাশক গাছের ছাল দিয়ে রস তৈরি হলো। হার্বার্টের ঠোঁট দুটো ফাঁক করে ধরলেন স্পিলেট। চামচে করে সেই রস একটু একটু করে হার্বার্টের মুখে ঢেলে দিল পেনক্র্যাফট। তা সত্ত্বেও জ্বর এল, প্রচন্ড জ্বরে সে দিনটা গেল, রাত গেল। কিন্তু জ্ঞান ফিরল না হার্বার্টের। পরদিন এবং রাতটাও অজ্ঞান হয়ে থাকল সে। চিন্তিত ভাবে এ ওর মুখের দিকে চাইতে লাগলেন স্পিলেট আর ক্যাপ্টেন!

এর পরদিন। বারোই নভেম্বর সকালে চোখ মেলল হার্বার্ট। জ্বরও কম একটু। একনাগাড়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে ক্ষতস্থান ধুয়ে দিচ্ছে পেনক্র্যাফট। কাজেই পচতে পারল না জায়গাটা। তবে ক্ষতের মুখ দিয়ে পুঁজ বেরোতে শুরু করেছে : একটু পরই আবার চোখ বন্ধ করল হার্বার্ট। স্বাভাবিক ঘুম।

আয়ারটনের কথা মনে হলো এবার ওদের। খোয়াড়ের বাইরে ভেতরে কোথাও ধস্তাধস্তির চিহ্ন নেই। গেল কোথায় আয়ারটন?

যদ্দূর মনে হয় আয়ারটনকে বন্দী করে নিয়ে গেছে দস্যুরা, বললেন স্পিলেট।

আয়ারটনের ঘর তল্লাশী করে দেখা গেল ওর বন্দুক আর কার্তুজগুলোও অদৃশ্য হয়েছে। খোঁয়াড়ের বাইরেই হয়তো ওত পেতে বসে আছে দস্যুরা। কাউকে বেরোতে দেখলেই গুলি করবে।

আরেকটা সমস্যার কথা মনে পড়ল স্পিলেটের। ক্যাপ্টেনকে বললেন তিনি, আমাদের দেরি দেখে যদি খুঁজতে বেরোয় নেব? নির্ঘাত গুলি খেয়ে মারা পড়বে ও।

হ্যাঁ। চিন্তিত ভাবে বললেন ক্যাপ্টেন, তারচেয়ে আমিই বরং গ্রানাইট হাউসে চলে যাই।

পাগল? বাধা দিলেন স্পিলেট, আপনার মৃত্যু কেউ ঠেকাতে পারবে না তাহলে। খোঁয়াড়ের ওপরই নজর রাখছে এখন দস্যুরা।

গভীর ভাবে চিন্তিত হয়ে পড়লেন ক্যাপ্টেন। হঠাৎ টপের ওপর তার নজর পড়তেই উজ্জ্বল হয়ে উঠল মুখ। বললেন, পেয়েছি। খবর নিয়ে যাবে টপ। ঘন্টা দেড়েকের ভেতরই ফিরে আসতে পারবে ও।

সাথে সাথেই কাজে লেগে গেলেন ক্যাপ্টেন। পকেট থেকে কাগজ আর কলম বের করে লিখলেন, হার্বার্ট জখম হয়েছে। আমরা খোয়াড়ে বন্দী। খবরদার, গ্রানাইট হাউসের বাইরে যাবার চেষ্টা কোরো না। আশেপাশে দস্যুদের দেখে থাকলে টপের মাধ্যমে খবর পাঠাও।

টপের গলায় কাগজটা বেঁধে ওকে গেটের কাছে নিয়ে গেলেন ক্যাপ্টেন। আঙুল তুলে গ্রানাইট হাউসের দিকে নির্দেশ করে ইঙ্গিত করলেন কুকুরটাকে। মুহূর্তে বুঝে নিল ট্রেনিং পাওয়া প্রখর বুদ্ধিমান কুকুর। এক লাফে গেট পার হয়ে জঙ্গলে ঢুকল টপ। হারিয়ে গেল গাছপালার আড়ালে।

ঘণ্টাখানেক পেরিয়ে যাবার পর হঠাৎ বন্দুক গর্জে উঠল খোঁয়াড়ের বাইরের জঙ্গলে। ছুটে গিয়ে গেটটা একটু ফাঁক করলেন ক্যাপ্টেন। শখানেক গজ দূরের গাছের আড়ালে চকিতে সরে গেল একটা মুখ। ঠিক সেই মুহূর্তে তীরের মত ছিটকে এসে ভেতরে ঢুকল টপ। সাথে সাথে গেট বন্ধ করে দিলেন ক্যাপ্টেন।

চিঠি পাঠিয়েছে নেব। টপের গলা থেকে ওটা খুলে নিয়ে পড়লেন ক্যাপ্টেন নেব লিখেছে, গ্রানাইট হাউসের আশেপাশে এখনও দস্যুদের দেখা যায়নি। কোন অবস্থায় বাইরে বেরোব না আমি। হার্বার্টের দুর্ঘটনাটা শুনে আন্তরিক দুঃখিত। আশা করছি শীঘ্রিই সেরে উঠবে ও।

বাধ্য হয়ে খোঁয়াড়েই থাকতে হলো ওদের। দৃঢ় গলায় ঘোষণা করলেন ক্যাপ্টেন, হার্বার্টকে সেরে উঠতে দাও আগে। তারপর দেখা যাবে কিভাবে বাঁচে ওরা।

আরও কয়েকটা দিন গেল। আস্তে আস্তে ঘা শুকিয়ে গেল হার্বার্টের, জ্বরও কমে গেল! আরও দশদিন পর, বাইশে নভেম্বর, নিজের হাতে খেতে পারল হার্বার্ট। কিন্তু গ্রানাইট হাউসে এখনও ওকে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না। কাজেই আরও কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে।

আগের পর্ব :
০১. ওপরে কি উঠছি আমরা
০২. গৃহযুদ্ধের তান্ডবলীলা চলছে
০৩. কোথায় গেলেন ক্যাপ্টেন
০৪. বিকেল নাগাদ নদীর জল কমে গিয়ে
০৫. চেঁচিয়ে বললেন স্পিলেট
০৬. বেলুন থেকে নামার পর
০৭. সকাল থেকে কোথাও পাওয়া গেল না নেবকে
০৮. ওরা ঢুকলেও ফিরে চাইল না নেব
০৯. হতবুদ্ধি হয়ে দাঁড়িয়ে রইল পেনক্র্যাফট
১০. ধোঁয়া, মানে আগুন
১১. ভোর হলো
১২. পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই
১৩. পরদিন সকালে খাওয়া-দাওয়ার পর
১৪. মাপজোকের কাজ শুরু করলেন ক্যাপ্টেন
১৫. গহ্বরের মুখ
১৬. জুনের শুরুতেই শীত নামল
১৭. যেন ভূত দেখছে এমন ভাবে
১৮. জাহাজডুবি হয়ে সত্যিই কেউ দ্বীপে উঠেছে কিনা
১৯. দ্বীপের দক্ষিণ তীর ঘেঁষে চলা শুরু হলো
২০. একটু দূরে জঙ্গলের ধারে
২১. মার্চের আরম্ভেই শুরু হলো ঝড় বৃষ্টি
২২. আবার এল শীত
২৩. এখনও কি বাধা দেবেন
২৪. মার্সি নদীর মুখে এসে
২৫. জঙ্গলে আর ফিরে গেল না আগন্তুক
২৬. ভোর হতেই খোঁয়াড়ের দিকে রওনা দিল
২৭. এখনও প্রায় বিশ মাইল দূরে জাহাজটা
পরের পর্ব :
২৯. আস্তে আস্তে সেরে উঠতে লাগল হার্বার্ট
৩০. ফ্রাঙ্কলিন হিলের কোন গুহায়
৩১. জাহাজের খোল তৈরির কাজ
৩২. ধীরে ধীরে চোখ মেলে তাকালেন ক্যাপ্টেন নিমো
৩৩. সুড়ঙ্গ মুখে পৌঁছতে পৌঁছতে

গল্পের বিষয়:
অনুবাদ
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত