রহস্যের দ্বীপ: ২৬. ভোর হতেই খোঁয়াড়ের দিকে রওনা দিল

রহস্যের দ্বীপ: ২৬. ভোর হতেই খোঁয়াড়ের দিকে রওনা দিল

২৬. ভোর হতেই খোঁয়াড়ের দিকে রওনা দিল

ভোর হতেই খোঁয়াড়ের দিকে রওনা দিল অভিযাত্রীরা। রাতটা খোঁয়াড়ে কি ভাবে কাটাল আয়ারটন দেখা দরকার। খোঁয়াড়ে এসে দেখল ওরা বহাল তবিয়তেই আছে আয়ারটন। গতরাতে ঠিক মতই পৌঁছে গেছে সে এখানে।

ফেরার পথে বোতলের ব্যাপারে নিজের সন্দেহের কথাটা স্পিলেটকে খুলে বললেন ক্যাপ্টেন। সব শুনে স্পিলেট বললেন, ব্যাপারটা সত্যিই অদ্ভুত। আপনার। কি মনে হয়, ক্যাপ্টেন?

এটাও এ দ্বীপের অনেক রহস্যের একটা। তবে শেষ পর্যন্ত এসব রহস্যের সমাধান আমি করবই। তার জন্যে যদি আমাকে লিঙ্কন দ্বীপের পাতালেও যেতে হয়, তাই যাব।

দেখতে দেখতে এসে গেল আর একটা নতুন বছর। জানুয়ারির প্রথমেই একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ সারলেন ক্যাপ্টেন।

খোঁয়াড় থেকে গ্রানাইট হাউসে যাতে মুহূর্তে খবর পাঠানো যায় সে ব্যবস্থা করলেন, অর্থাৎ টেলিগ্রাফ বসালেন। প্রথমে কথাটা শুনে তো সবাই অবাক। হার্বার্ট তো জিজ্ঞেসই করে বলল, ব্যাটারি পাবেন কোথায়?

অন্যান্য জিনিসপত্র যেভাবে পেয়েছি, নির্লিপ্ত জবাব ক্যাপ্টেনের। বানিয়ে নেব। ব্যাটারির কেমিক্যালস সবই আছে দ্বীপে। শুধু তারটা বানিয়ে নিলেই হলো।

ঠিক বলেছেন। আর কদিন পর তাহলে এঞ্জিনটা বানিয়ে নিলেই হলো। রেলগাড়িও চড়া যাবে। আচ্ছা, আপনার অভিধানে কি অসম্ভব বলে কোন কথা নেই, ক্যাপ্টেন? প্রশ্ন করল পেনক্র্যাফট।

উত্তরে মুচকি হাসলেন ক্যাপ্টেন।

প্রথমেই তৈরি হলো তার। লোহার অভাব নেই দ্বীপে। ওই লোহা দিয়ে কতগুলো কাঠি বানানো হলো। একটা কঠিন ইস্পাতের পাত বানিয়ে তাতে তিন পরিধির তিনটে ছিদ্র করা হলো। স্যাকরারা যেভাবে সোনা রূপার তার লম্বা করে, সেভাবে প্রথমে বড়, তারপর মাঝের ও সবশেষে ছোট ছিদ্রটা দিয়ে লোহার কাঠিগুলো টেনে হিচড়ে বের করার পর লম্বা হয়ে গেল কাঠিগুলো। এক একটা কাঠি থেকে চল্লিশ পঞ্চাশ ফুট লম্বা তার পাওয়া গেল। তারগুলো পর পর জুড়ে নিয়ে গ্রানাইট হাউস থেকে খোঁয়াড় পর্যন্ত পাঁচ মাইল লম্বা টেলিগ্রাফের তার তৈরি হয়ে গেল। তামা দিয়ে এই পদ্ধতিতে কিছু সরু তারও বানানো হলো!

এবার ব্যাটারি। দুই মুখো কাঁচের বোতলে নাইট্রিক অ্যাসিড ঢেলে কাচের নল ডুবিয়ে দেয়া হলো ওতে। নলের একমুখ ছিদ্র করা মাটির ছিপি দিয়ে বন্ধ করে ছিদ্র দিয়ে ঢালা হলো পটাশ সলিউশন। কিছু বিশেষ গাছপালা পুড়িয়ে ছাই করে তা থেকে আগেই পটাশ বানিয়ে নিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন। পটাশ আর নাইট্রিক অ্যাসিডের যোগাযোগ হলো মাটির ছিপির মধ্য দিয়ে। এরপর দুটো দস্তার পাত নিয়ে একটা অ্যাসিডে, অন্যটা পটাশে ডুবিয়ে দেয়া হলো। অ্যাসিডের পাতটা নেগেটিভ আর পটাশের পাতটা পজিটিভ। তার দিয়ে দুটো পাতকে যুক্ত করে দিতেই চালু হয়ে গেল বিদ্যুৎ প্রবাহ ।

খোঁয়াড় থেকে গ্রানাইট হাউস পর্যন্ত খুঁটি বসিয়ে তার টাঙানো হলো খুঁটির মাথায়। সেকেন্ডে বিশ হাজার মাইল বেগে কারেন্ট চলবে এই তারের মধ্য দিয়ে। নরম লোহায় তামার তার জড়িয়ে বৈদ্যুতিক চুম্বক বানানো হলো। কারেন্ট চালু করলেই কাজ শুরু করবে বৈদ্যুতিক চুম্বক। খটা খট আওয়াজ করে চলতে থাকবে টেলিগ্রাফ। কথাবার্তা চলবে টরে টক্কা পদ্ধতির মোর্স কোডে।

মহাসমারোহে টেলিগ্রাফ উদ্বোধনের ব্যবস্থা করা হলো বারোই ফেব্রুয়ারি। গ্রানাইট হাউস থেকে খোয়াড়ে টেলিগ্রাফের মাধ্যমে প্রশ্ন করলেন ক্যাপ্টেন, ঠিক আছে সব?

সাথে সাথেই খোঁয়াড় থেকে উত্তর দিল আয়ারটন, সব ঠিক, ক্যাপ্টেন।

ব্যাপার দেখে খুশিতে ধেই ধেই করে নাচতে লাগল পেনক্র্যাফট তারপর থেকে টেলিগ্রাফের মাধ্যমে রোজ আয়ারটনের খবরাখবর নিতে লাগল পেনক্র্যাফট। ফলে নিঃসঙ্গ থাকতে চাইলেও তা আর থাকতে পারল না আয়ারটন।

সিন্দুকের ক্যামেরাটার কথা এতদিন ভুলেই গিয়েছিল অভিযাত্রীরা। হঠাৎ স্পিলেটের মনে হলো কথাটা। সাথে সাথেই সেটা বের করে এটা ওটার ফটো তুলতে শুরু করলেন তিনি। সবচেয়ে সুন্দর উঠল জাপের ফটোটা।

একটা মজার ব্যাপার ঘটল একুশে মার্চ। সেদিন ভোরে গ্রানাইট হাউসের জানালা দিয়ে মুখ বাড়িয়েই চমকে উঠল হার্বার্ট। বিস্ময়ে চেঁচিয়ে উঠল সে, কি শুরু হলো এই হতচ্ছাড়া দ্বীপটায়, অ্যাঁ! এই মার্চের শেষে কিনা বরফ পড়ছে।

মার্সি নদীর ধার থেকে সাগর তীর পর্যন্ত বরফে সাদা হয়ে গেছে। তাড়াতাড়ি থার্মোমিটার দেখল সে। কিন্তু টেম্পারেচার তো ঠিকই আছে, নাকি নিজেই পাগল হয়ে গেল সে? কি দেখতে কি দেখছে? পেনক্র্যাফটকে ডেকে দৃশ্যটা দেখাল সে।

ব্যাপার দেখে নিচে নামতে গেল পেনক্র্যাফট। কিন্তু এর আগেই নিচে নেমে গিয়ে মার্সি নদীর দিকে ছুটতে শুরু করল জাপ। জাপকে দেখেই মাটিতে ছড়িয়ে থাকা তুষার একটা বিশাল সাদা চাঁদর হয়ে আকাশে উঠে গেল। আস্তে আস্তে চাঁদরটা ভেঙে ছড়িয়ে পড়ল সারা আকাশে।

শা-আ-লা! ফোঁস করে রুদ্ধ নিঃশ্বাসটা ছাড়ল হার্বার্ট, এ যে দেখছি পাখির ঝাক! আসলে তুষার-সাদা একজাতের সামুদ্রিক পাখি ওগুলো।

ছাব্বিশে মার্চ। লিঙ্কন দ্বীপে অভিযাত্রীদের আসার পর পুরো দুটো বছর পার হয়ে গেছে। দুবছরে কত ঘটনাই ঘটে গেছে পৃথিবীতে। পরিবর্তন হয়েছে লিঙ্কন দ্বীপবাসীদেরও। কিন্তু এই দুবছরে একটা জাহাজেরও দেখা পায়নি ওরা।

একদিন না একদিন টাবর আইল্যান্ডে নির্বাসিত আয়ারটনকে তুলে নেবার জন্যে আসবেই ডানকান। সে রকম আভাসই দিয়ে গেছেন লর্ড গ্লেনারভন। আয়ারটন লিঙ্কন আইল্যান্ডে এসেছে প্রায় পাঁচ মাস। কে জানে এই পাঁচ মাসের ভেতরই এসে ফিরে গেছে কিনা ডানকান। তবুও একটা নোটিশ লিখে ট্যাবর আইল্যান্ডে গিয়ে আয়ারটনের লিঙ্কন দ্বীপে অবস্থানের খবরটা কুঁড়ের ভেতর সুবিধেমত জায়গায় লটকে দিয়ে আসতে হবে। যদি গত পাঁচ মাসে না এসে থাকেন লর্ড গ্লেনারভন তাহলে কাজে লাগবে নোটিশটা।

কাজে কর্মে কেটে গেল আরও কয়েকটা দিন! সেদিন পঁচিশে এপ্রিল। প্রসপেক্ট হাইটের বারান্দায় বসে আড্ডা মারছে অভিযাত্রীরা! গম্ভীর হয়ে বসে আছেন ক্যাপ্টেন! কি যেন গভীর ভাবে ভাবছেন তিনি। হঠাৎ নড়েচড়ে বসে কথা বললেন তিনি, সবাই এদিকে এসে বসতো, কথা আছে।

কি বলবেন ক্যাপ্টেন? একটু অবাক হলো সবাই, কিন্তু ক্যাপ্টেনের কাছে বসল।

এ দ্বীপে আসা ইস্তক বেশ কিছু রহস্যময় ঘটনা ঘটে গেছে। সে সম্পর্কে আলোচনা করে তোমাদের মতামত জানতে চাই। তারপর একটু থেমে আবার বললেন, গোড়া থেকেই শুরু করি। বেলুন থেকে সাগরে ছিটকে পড়ে ডুবতে বসেছিলাম। কি করে তীরে এলাম জানি না। তীরে এসেই জ্ঞান হারালাম। তাহলে আমাকে গুহাটায় বয়ে নিয়েছিল কে? ওই গুহাটা থেকে তোমরা ছিলে তখন পাঁচ মাইল দূরে। অচেনা জায়গায় এতটা পথ পাড়ি দিয়ে সোজা চিমনিতে পৌঁছল কি করে টপ? আর তাও না হয় পৌঁছল, কিন্তু সাংঘাতিক ঝড় তুফানের ভেতর দিয়ে গিয়েও ওর শরীর ঝরঝরে শুকনো থাকল, আর বিন্দুমাত্র ক্লান্তও হয়নি সে।

তারপর আসে ডুগংটার রহস্যজনক মৃত্যু। গলা কেটে কে হত্যা করেছিল ওটাকে? কে পানির নিচ থেকে ওপরে ছুঁড়ে দিয়েছিল টপকে? কে গুলি করেছিল পেকারির বাচ্চাটাকে?

পিপে বাঁধা সিন্দুকটা এল কোত্থেকে? জাহাজডুবি হবার আগে নিজেদের কাজে লাগবে বলে নাবিকদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ঢুকিয়ে এভাবে সিন্দুক ভাসিয়ে দিতে শোনা গেছে। কিন্তু একটা জিনিসের গায়েও প্রস্তুতকারকের নাম নেই কেন?

কাগজ ভরা বোতলটা কে ভাসিয়েছিল পানিতে? আর ভাসিয়েছিলই যদি একেবারে বন-অ্যাডভেঞ্চারের গায়ে এসে ঠেকল কি করে এটা?

মাঝে মাঝে কোন কিছুর অস্তিত্ব টের পেয়ে কুয়োর পাড়ে গিয়ে চেঁচায় টপ। এমন কি জাপও ব্যতিক্রম না। কি আসে কুয়োর তলায়?

গ্রানাইট হাউসে কার আগমনে ভড়কে গিয়েছিল শিম্পাঞ্জীর দল? সিঁড়িটাকে ওপর থেকে নিচে ফেলেছিল কে? উল্টানো কচ্ছপটা গায়েব হলো কি করে? গাছের গুঁড়িতে বাঁধা ছোট্ট নৌকোটা ছাড়া পেল কি করে? আর ধরলাম, শক্ত করে বাঁধেনি পেনক্র্যাফট, যেভাবেই হোক বাঁধন খুলে পানিতে ভেসে যায় নৌকোটা। তাহলে অন্য কোথাও না গিয়ে একেবারে আমাদের যাত্রাপথেই এসে হাজির হলো কি করে এটা?

আর সবচেয়ে আশ্চর্য ব্যাপার হলো, কে আলোর সঙ্কেত দিয়ে বন-অ্যাডভেঞ্চারকে পথ চিনতে সাহায্য করেছিল? আর সে আলোও যে সে আলো নয়, শক্তিশালী বৈদ্যুতিক আলো। একটানা এতগুলো কথা বলে হাঁপিয়ে উঠলেন ক্যাপ্টেন।

স্তব্ধ হয়ে বসে রইল শ্রোতারা। একটা কথারও উত্তর দিতে পারল না! কে সেই রহস্যময় বন্ধু? যে প্রত্যেকটা বিপদের সময় হাত বাড়িয়ে সাহায্য করছে ওদের, অথচ নিজে থেকে যাচ্ছে সম্পূর্ণ অদৃশ্য? সত্যিই কি কোন শুভাকাঙ্ক্ষী, অশরীরী দেবতা বাস করছে লিঙ্কন আইল্যান্ডে? কিন্তু এই উনবিংশ শতাব্দীর শেষ লগ্নে এ যে ভাবাও অসম্ভব!

রহস্য রহস্যই থেকে গেল। এদিকে আবার শীত নামল লিঙ্কন আইল্যান্ডে। এবারের শীতকে আর পাত্তাই দিল না অভিযাত্রীরা। খাবার, গরম জামাকাপড় এক কথায় শীতের সময় যা যা দরকার কোনটারই অভাব নেই ওদের, কাজেই ভাবনা কি?

একে একে কেটে গেল শীতের চারটে মাস। এল অক্টোবর। বসন্তকাল। নতুন সাজে সাজল বনভূমি। কোথেকে উড়ে এল হাজার হাজার পাখি তাদের কলকাকলিতে মুখরিত সবুজ বন। এই দৃশ্যকে ক্যামেরায় ধরে রাখার ইচ্ছে হলো হার্বার্টের।

গ্রানাইট হাউসের জানালায় দাঁড়িয়েই প্রাকৃতিক দৃশ্যের পর পর বেশ কয়েকটা ছবি তুলল হার্বার্ট। অন্ধকার ঘরে কেমিক্যাল সলিউশনে ফটো প্লেট ধুয়ে নিয়ে এগুলো হাতে আবার এসে দাঁড়াল জানালায়। চমৎকার উঠেছে ছবিগুলো কিন্তু একটা ছবিতে একটু গন্ডগোল আছে। ছবিটা সাগরের দূর দিগন্তে আকাশ নেমে এসেছে সাগরের ওপর। ওই আকাশ-সাগরের মিলন রেখায় একটা ছোট্ট কালো দাগ। ছবির সৌন্দর্য নষ্ট করে দিয়েছে এই দাগটা। পানিতে ধুয়ে, হাত দিয়ে উলে নানাভাবে দাগ তোলার চেষ্টা করল হার্বার্ট। কিন্তু উঠল না দাগটা। হঠাৎ কি সন্দেহ হতেই টেলিস্কোপ থেকে লেন্স খুলে নিয়ে দাগটাকে খুঁটিয়ে দেখতে লাগল সে। একটু দেখেই চমকে উঠল। ছুটে গেল ক্যাপ্টেনের কাছে। ফটোর নেগেটিভ আর লেন্সটা ওঁর হাতে গুজে দিয়ে বলল, নেগেটিভটা একবার দেখবেন, ক্যাপ্টেন?

দেখি।

হাত বাড়িয়ে জিনিসগুলো নিয়ে কয়েক সেকেন্ড ভালমত দেখলেন ক্যাপ্টেন। তারপর টেলিস্কোপ হাতে ছুটলেন খোলা জায়গাটায়। টেলিস্কোপ দিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে লাগলেন ওই দিকের আকাশ আর সাগরের সঙ্গমস্থলকে। শেষ পর্যন্ত ছোট্ট কালো বিন্দুটা চোখে পড়ল তাঁর। অস্ফুটে একটি শব্দই উচ্চারণ করলেন তিনি, জাহাজ।

আগের পর্ব :
০১. ওপরে কি উঠছি আমরা
০২. গৃহযুদ্ধের তান্ডবলীলা চলছে
০৩. কোথায় গেলেন ক্যাপ্টেন
০৪. বিকেল নাগাদ নদীর জল কমে গিয়ে
০৫. চেঁচিয়ে বললেন স্পিলেট
০৬. বেলুন থেকে নামার পর
০৭. সকাল থেকে কোথাও পাওয়া গেল না নেবকে
০৮. ওরা ঢুকলেও ফিরে চাইল না নেব
০৯. হতবুদ্ধি হয়ে দাঁড়িয়ে রইল পেনক্র্যাফট
১০. ধোঁয়া, মানে আগুন
১১. ভোর হলো
১২. পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই
১৩. পরদিন সকালে খাওয়া-দাওয়ার পর
১৪. মাপজোকের কাজ শুরু করলেন ক্যাপ্টেন
১৫. গহ্বরের মুখ
১৬. জুনের শুরুতেই শীত নামল
১৭. যেন ভূত দেখছে এমন ভাবে
১৮. জাহাজডুবি হয়ে সত্যিই কেউ দ্বীপে উঠেছে কিনা
১৯. দ্বীপের দক্ষিণ তীর ঘেঁষে চলা শুরু হলো
২০. একটু দূরে জঙ্গলের ধারে
২১. মার্চের আরম্ভেই শুরু হলো ঝড় বৃষ্টি
২২. আবার এল শীত
২৩. এখনও কি বাধা দেবেন
২৪. মার্সি নদীর মুখে এসে
২৫. জঙ্গলে আর ফিরে গেল না আগন্তুক
পরের পর্ব :
২৭. এখনও প্রায় বিশ মাইল দূরে জাহাজটা
২৮. চোখের সামনে ভোজবাজীর মত
২৯. আস্তে আস্তে সেরে উঠতে লাগল হার্বার্ট
৩০. ফ্রাঙ্কলিন হিলের কোন গুহায়
৩১. জাহাজের খোল তৈরির কাজ
৩২. ধীরে ধীরে চোখ মেলে তাকালেন ক্যাপ্টেন নিমো
৩৩. সুড়ঙ্গ মুখে পৌঁছতে পৌঁছতে

গল্পের বিষয়:
অনুবাদ
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত