২৫. জঙ্গলে আর ফিরে গেল না আগন্তুক
এই ঘটনার পর জঙ্গলে আর ফিরে গেল না আগন্তুক, গ্রানাইট হাউসেও ঢুকল না। তবে গ্রানাইট হাউসের আশেপাশেই থাকল। আগের মতই ফলমূল খায় পাহাড়ের গুহায় রাত কাটায়। আসলে অভিযাত্রীদের এড়িয়ে চলতে চায় সে।
ঠিক এক সপ্তাহ পরে। সেদিন দশই ডিসেম্বর। হঠাৎ ক্যাপ্টেনের সামনে এসে দাঁড়াল আগন্তুক। মাথা হেঁট করে বলল, একটা কথা বলব, স্যার?
নিশ্চয়ই। বলে ফেল কি বলবে?
খোঁয়াড়টা দেখাশোনার কেউ নেই। আমি ওখানে থাকতে চাই।
ওখানে তো শুধু জানোয়ারদের থাকার ব্যবস্থা আছে। তুমি থাকবে কি করে?
পারব। এটাই আমার জন্যে উপযুক্ত জায়গা।
ঠিক আছে, তোমার ইচ্ছায় বাধা দেব না। এখন খোঁয়াড়ের কাছে একটা ঘর বানাতে হয়।
ও সব কিছু করতে হবে না।
তাই কি হয়? ঘর ছাড়া থাকবে কোথায়?
দিন সাতেকের ভেতরই খোঁয়াড়ের পাশে একটা সুন্দর ছোট্ট ঘর তৈরি হয়ে গেল। আরামদায়ক আসবাবপত্র থেকে শুরু করে বন্দুক পর্যন্ত সবই দেয়া হলো ওই ঘরে। এসবের কিছুই জানানো হলো না আগন্তুককে।
সব আয়োজন শেষ হলো বিশে ডিসেম্বর। ঠিক হলো সেদিন থেকেই এই ঘরে থাকতে যাবে আগন্তুক। সন্ধ্যা আটটার দিকে গ্রানাইট হাউসে গল্প করছে অভিযাত্রীরা, সাড়া দিয়ে ঘরে ঢুকল আগন্তুক। একটু ইতস্তত করে বলল, জীবনের সমস্ত পাপকাহিনী আজ আপনাদের শোনাব বলে ঠিক করেছি আমি।
নাই বা বললে সে কথা, বাধা দিলেন ক্যাপ্টেন।
না, আজ আমাকে সব কথা বলতেই হবে।
ঠিক আছে, বসো তাহলে।
না, এভাবে দাঁড়িয়েই বলতে পারব।
বাইরে তখন ঝড়ের তান্ডব। ফায়ার প্লেসের আগুনটা আর একটু উস্কে দিল পেনক্র্যাফট। দরজা জানালার ফাঁক দিয়ে চুরি করে আসা হাওয়ায় মাঝে মাঝেই কেঁপে উঠছে টেবিলে রাখা মোমবাতির আলো। এক আবছা আলো আঁধারি সৃষ্টি হয়েছে সারাটা ঘর জুড়ে। ঘরের এক কোণে দুহাত বুকের ওপর ভাঁজ করে দাঁড়াল রহস্যময় আগন্তুক। ওর কাহিনী শোনার জন্যে রুদ্ধশ্বাসে অপেক্ষা করছে অভিযাত্রীরা। একবার কেশে নিয়ে গলাটা পরিষ্কার করে কথা শুরু করল আগন্তুক, আঠারোশো চুয়ান্ন সালের বিশে ডিসেম্বর। অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিম উপকূলে বারমূলি অন্তরীপে এসে নোঙর ফেলল ছোট্ট একটা জাহাজ। জাহাজেই আছেন জাহাজের মালিক ধনী স্কটল্যান্ডার লর্ড গ্লেনারভন। সঙ্গে লেডী গ্লেনারভন, একজন ব্রিটিশ আর্মি মেজর, একজন ফরাসী জিওলজিস্ট, আর জনৈক ক্যাপ্টেন গ্রান্টের অল্প বয়স্ক দুটি ছেলে-মেয়ে। বছর খানেক আগে সাগরে নিখোঁজ হয়েছে ক্যাপ্টেন গ্রান্টের জাহাজ ব্রিটানিয়া।
লর্ড গ্লেনারভনের ছোট্ট জাহাজ ডানকানের ক্যাপ্টেন জন ম্যাঙ্গল। খালাসীকর্মচারীর সংখ্যা সব মিলিয়ে জনা পনেরো। মাস ছয়েক আগে আইরিশ সাগর থেকে একটা বোতল উদ্ধার করেন জন ম্যাঙ্গলস। ইংরেজি, ফরাসী আর জার্মান ভাষায় লেখা কতগুলো কাগজ ছিল বোতলে।
কাগজগুলো পড়ে জানা গেল, ব্রিটানিয়ার ক্যাপ্টেন গ্র্যান্ট আর দুজন নাবিক বেঁচে আছেন। এক দ্বীপে আটকা পড়েছেন ওঁরা। দ্বীপের অক্ষাংশ ৩৭.১° কিন্তু দ্রাঘিমা পড়া গেল না। পানি লেগে অস্পষ্ট হয়ে গেছে শুধু অক্ষাংশের ওপর নির্ভর করেই তাদেরকে উদ্ধারের ব্যবস্থা করা হলো।
ব্যবস্থাটা করলেন লর্ড গ্রেনারভন। ইংল্যান্ডের নৌ-বিভাগ এ ব্যাপারে বেশি আগ্রহ না দেখানোয় খেপে গিয়ে লর্ড গ্লেনারভন ঠিক করলেন নিজেই বেরোবেন তিনি। চিঠি লিখে ক্যাপ্টেন গ্রান্টের ছেলে-মেয়েকে আনিয়ে নিলেন নিজের জাহাজে।
দূর সাগর পাড়ি দিতে তৈরি হলো ডানকান। গ্লাসগো থেকে আটলান্টিকের দিকে এগিয়ে চলল জাহাজ। ম্যাগেলান প্রণালী পেরিয়ে এগিয়ে গেল প্যাটাগোনিয়া পর্যন্ত। বোতলের লেখা অনুসারে এই প্যাটাগোনিয়ার কাছেই কোথাও আটকে আছেন ক্যাপ্টেন গ্র্যান্ট। প্যাটাগোনিয়ার পশ্চিম উপকূলে আরোহীদের নামিয়ে দিয়ে চলে গেল ডানকান। এখান থেকে পায়ে হেঁটে এগোবে আরোহীরা। পূর্ব উপকূলের কোরিয়েন্টিজ অন্তরীপে আবার ওদের তুলে নেবে ডানকান।
সাইত্রিশ অক্ষাংশ ধরে প্যাটাগোনিয়া ঘুরে পূর্ব উপকূলে পৌঁছল ডানকান, কিন্তু ক্যাপ্টেন গ্রান্টের কোন খোঁজ পাওয়া গেল না। জায়গামত পৌঁছে আরোহীদের তুলে নিয়ে আবার এগোল ডানকান। যাওয়ার পথে কোন দ্বীপেই ক্যাপ্টেন গ্রান্টের খোঁজ না পেয়ে শেষকালে এই বারমূলি অন্তরাপে নোঙর ফেল ডানকান।
অস্ট্রেলিয়ার সমস্ত দ্বীপগুলোও তন্ন তন্ন করে খুঁজতে চান লর্ড গ্লেনারভন। সহযাত্রীদের নিয়ে নেমে পড়লেন তিনি। এখানে এক আইরিশ ভদ্রলোকের বাড়ির এক চাকরের মুখে শুনলেন, থাকলে অস্ট্রেলিয়ার উপকূলেই কোথাও আছেন ক্যাপ্টেন গ্র্যান্ট। জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেল চাকরের নাম আয়ারটন, ব্রিটানিয়ার কর্মচারী। ব্রিটানিয়া জলে ডোবা পর্যন্ত সে ওই জাহাজেই ছিল। ওর কাগজপত্রেও প্রমাণ পাওয়া গেল সত্যিই সে ব্রিটানিয়ার কর্মচারী ছিল।
লোকটা আরও বলল, ওর বিশ্বাস জাহাজডুবির পর ও একাই বেঁচেছে, অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব উপকূলে ডুবেছে ব্রিটানিয়া, কাজেই ওখানেই খুঁজতে হবে ক্যাপ্টেন গ্র্যান্টকে।
আয়ারটনের কথা বিশ্বাস করলেন লর্ড গ্লেনারভন। ঠিক হলো আরোহীদের পথ দেখিয়ে নিয়ে যাবে আয়ারটন। স্থলপথেই রওনা দিল ওরা ডানকানকে নিয়ে মেলবোর্নের দিকে চলে গেল জাহাজের সেকেন্ড অফিসার টম অস্টিন, সেখানেই আবার জাহাজে উঠবে আরোহীরা। সেদিন আঠারোশো পঞ্চান্ন সালের তেইশে ডিসেম্বর।
আসলে আয়ারটন লোকটা ছিল ভয়ঙ্কর এক শয়তান। ব্রিটানিয়ায় সত্যিই কাজ করত, কিন্তু একবার গভীর সমুদ্রে নাবিকদের নিয়ে বিদ্রোহ করে জাহাজ দখলের চেষ্টা করে সে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সে-প্রচেষ্টা কেটে যায়, শাস্তিস্বরূপ অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিম উপকূলে তাকে নামিয়ে দিয়ে যান ক্যাপ্টেন গ্র্যান্ট। তারপরই হয়তো ডুবে যায় ব্রিটানিয়া। খবরটা প্রথম শুনল সে লর্ড গ্রেনারভানের মুখে।
ব্রিটানিয়া থেকে বিতাড়িত হয়ে নাম পালটে বেন জয়েস হলো আয়ারটন। কিছু জেল পালানো কয়েদি নিয়ে এক দুর্ধর্ষ দস্যুদল গড়ে তুলল সে। নিজে হলো তাদের সর্দার। কিন্তু খোঁজ খবর রাখার জন্যে আয়ারটন নামেই চাকরের কাজ নিল আইরিশ ভদ্রলোকের বাড়িতে। গভীর জঙ্গলে গা ঢাকা দিয়ে থাকে তার দলবল।
লর্ড গ্লেনারভনকে দেখে এক ফন্দী আঁটল আয়ারটন। দলবল সহ লর্ড গ্লেনারভনকে গভীর জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে তার কাছ থেকে একটা চিঠি আদায় করে নিতে হবে। ডানকানের প্রতি পত্র পাওয়া মাত্র অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব উপকূলে চলে যাবার নির্দেশ থাকবে চিঠিতে। কারণ সেখানেই দস্যুদল নিয়ে ডানকানকে দখল করার সুবিধে পাবে আয়ারটন।
গভীর জঙ্গলের খাদ্য আর পানিশূন্য এক জায়গায় পৌঁছে গ্লেনারভানের কাছ থেকে সত্যিই একটা চিঠি আদায় করল আয়ারটন। চিঠিতে টম অস্টিনকে হুকুম দিয়েছেন লর্ড গ্লেনারভন-চিঠি পাওয়া মাত্রই যেন টুফোল্ড উপসাগরের দিকে চলে যায় ডানকান। গভীর জঙ্গলের ওই জায়গা থেকে মাত্র কয়েকদিনের পথ টুফোল্ড উপসাগর
দুদিনেই লর্ড গ্লেনারভনের চিঠি নিয়ে মেলবোর্ন পৌঁছে গেল আয়ারটন।
চিঠি পেয়ে সাথে সাথেই জাহাজ ছেড়ে দিল টম অস্টিন। কিন্তু টুফোল্ড উপসাগরের দিকে না গিয়ে সে রওনা দিল নিউজিল্যান্ডের পূর্ব উপকূলের দিকে! রেগে গেল আয়ারটন। তার সমস্ত পরিকল্পনা নষ্ট হতে বসেছে ওদিকে যাচ্ছে কেন জিজ্ঞেস করলে চিঠি খুলে দেখাল টম। স্তব্ধ হয়ে গেল আয়ারটন। নিউজিল্যান্ডের দিকেই জাহাজ চালাবার নির্দেশ আছে চিঠিতে। ভুল করে টুফোন্ডের জায়গায় নিউজিল্যান্ড লিখে ফেলেছেন তিনি।
দেখেশুনে মাথা খারাপ হয়ে গেল আয়ারটনের। টমকে যাচ্ছে তাই গালিগালাজ শুরু করল সে, এমন কি মারতে পর্যন্ত গেল। বাধ্য হয়ে আয়ারটনকে লোহার চেন দিয়ে বেঁধে রাখল টম।
তেসরা মার্চ জায়গামত পৌঁছে গেল ডানকান। কামানের আওয়াজ করে সঙ্কেত জানাল টম। অল্প পরেই দলবল সহ এসে জাহাজে উঠলেন লর্ড গ্লেনারভন। কিন্তু ওঁর যদি টুফোন্ডের দিকে যাবার কথা, এখানে এলেন কি করে?
গভীর জঙ্গলে প্লেনারভনকে ফেলে চলে আসে পথ প্রদর্শক আয়ারটন। বহু কষ্টে শেষ পর্যন্ত টুফোন্ডে পৌঁছান গ্লেনারভন কিন্তু ডানকান নেই, আসেইনি সেখানে। মেলবোর্নে টেলিগ্রাম করে জানলেন, আঠারোই মার্চ মেলবোর্ন ছেড়ে গেছে ডানকান। কোথায় গেছে বলে যায়নি। সন্দেহ দেখা দিল গ্লেনারভনের মনে কোন উপায়ে ডানকানকে দখল করে কি পালাল আয়ারটন? কিন্তু ছাড়বার পাত্র নন গ্লেনারভন। একটা সদাগরী জাহাজ ভাড়া করে এগিয়ে চললেন সাইত্রিশ অক্ষাংশ বরাবর, পৌঁছলেন নিউজিল্যান্ডের পশ্চিম উপকূলে। সেখান থেকে পায়ে হেঁটে পূর্ব উপকূলে এসে সাক্ষাত পেলেন ডানকানের।
বন্দী আয়ারটনকে গ্লেনারভনের সামনে আনা হলো। অনেক রকম চেষ্টা করেও কথা বের করা গেল না আয়ারটনের পেট থেকে শেষ পর্যন্ত পুলিসের হাতে দেবার ভয় দেখানোয় মুখ খুলল আয়ারটন। তবে এক শর্তে। প্রশান্ত মহাসাগরের কোন নির্জন দ্বীপে নামিয়ে দিতে হবে তাকে।
লর্ড গ্লেনারভন রাজি হতেই এক এক করে সব বলে দিল আয়ারটন। ব্রিটানিয়ার বিদ্রোহ, ওর দস্যুদল গঠন, সব। তবে ক্যাপ্টেন গ্র্যান্ট কোথায় আছেন সত্যিই জানে না সে। কথা রাখলেন লর্ড গ্লেনারভন। সাইত্রিশ অক্ষাংশ বরাবর চলতে চলতে তিনি হাজির হলেন প্রশান্ত মহাসাগরের এক ছোট্ট দ্বীপে। ভাগ্যক্রমে ওই দ্বীপেই পাওয়া গেল ক্যাপ্টেন গ্র্যান্ট আর তার দুই সঙ্গীকে ওঁদেরকে ডানকানে তুলে নিয়ে ওই দ্বীপেই নামিয়ে দেয়া হলো আয়ারটনকে। ওটাই ট্যাবর আইল্যান্ড।
যাবার সময় বলে গেলেন গ্লেনারভন—লোকালয় থেকে দূরে থাকবে তুমি, আয়ারটন। যদিও তোমার মত লোককে মনে রাখা উচিত নয়, তবু তুমি কোথায় থাকছ ভুলব না আমি।” আঠারোশো পঞ্চান্ন সালের আঠারোই মার্চ আয়ারটনের চোখের সামনে দিগন্তে মিলিয়ে গেল ডানকান।
ট্যাবর আইল্যান্ডে একা পড়ে থাকল আয়ারটন। দ্বীপে ফসল, বন্দুক, গুলিবারুদ, যন্ত্রপাতি সবই আছে। আছে ক্যাপ্টেন গ্রান্টের তৈরি কুঁড়েঘরটাও। প্রায়শ্চিত্ত শুরু হলো আয়ারটনের। তীব্র অনুশোচনায় পাগলের মত বনে-জঙ্গলে ঘুরে বেড়িয়েছে আয়ারটন, সারাক্ষণ প্রার্থনা করেছে খোদার কাছে। কিন্তু নির্জনতার অভিশাপ মুক্তি দিল না ওকে। টের পেল আয়ারটন, আস্তে আস্তে বুনো হিংস্র পশু হয়ে যাচ্ছে সে। কয়েক বছর পরে সত্যিই মনুষ্যত্ব হারাল আয়ারটন। সেই মনুষ্যত্ব হারানো পশুটাকেই টাবর দ্বীপ থেকে আপনারা তুলে এনেছেন, ক্যাপ্টেন।
আয়ারটনের কথা শেষ হবার পরও কেউ কোন কথা বলতে পারল না। মোমের আলোয় ঘরের দেয়ালে পড়া অভিযাত্রীদের ছায়াগুলো লাগছে অশরীরি প্রেতের মত। বাইরে তখনও শান্ত হয়নি ঝড়।
বহুক্ষণ পর মন্ত্রমুগ্ধের মত উঠে দাঁড়াল অভিযাত্রীরা। নীরবতা ভাঙলেন ক্যাপ্টেন, আয়ারটন, তুমি পাপ করেছিলে, শান্তি পেয়েছ। পাপের প্রায়শ্চিত্তও হয়ে গেছে। এখন থেকে নিজেকে আমাদের একজন বলেই ভাববে।
ঘরের কোণ থেকে ছুটে এসে ক্যাপ্টেনের হাত চেপে ধরল আয়ারটন। কথা বলতে গিয়েও পারল না। আবেগে কেঁপে উঠল ঠোঁট দুটো ।
আমাদের সাথে গ্রানাইট হাউসেই থাকো তুমি, আবার বললেন ক্যাপ্টেন।
কিছুদিন অন্তত আমাকে খোঁয়াড়ে থাকতে দিন, ক্যাপ্টেন।
ঠিক আছে। কিন্তু একটা কথা বলো তো, নির্জনেই যদি থাকতে চাও বোতলে ভরে কাগজের টুকরোটা পাঠিয়েছিলে কেন?
কাগজ পাঠিয়েছিলাম? বিস্মিত হলো আয়ারটন।
সেই কাগজটা পেয়েই তো টাবর আইল্যান্ডে যায় বন অ্যাডভেঞ্চার। ট্যাবর আইল্যান্ডের অক্ষাংশ-দ্রাঘিমা আর তোমার কথা লেখা ছিল এতে।
কিন্তু এরকম কোন কাগজই সাগরে ভাসাইনি আমি।
শিওর?
শিওর।
আর কিছু বলার নেই আমার। খোঁয়াড়ের দিকে রওনা হতে পারো এখন।
আগের পর্ব :
০১. ওপরে কি উঠছি আমরা
০২. গৃহযুদ্ধের তান্ডবলীলা চলছে
০৩. কোথায় গেলেন ক্যাপ্টেন
০৪. বিকেল নাগাদ নদীর জল কমে গিয়ে
০৫. চেঁচিয়ে বললেন স্পিলেট
০৬. বেলুন থেকে নামার পর
০৭. সকাল থেকে কোথাও পাওয়া গেল না নেবকে
০৮. ওরা ঢুকলেও ফিরে চাইল না নেব
০৯. হতবুদ্ধি হয়ে দাঁড়িয়ে রইল পেনক্র্যাফট
১০. ধোঁয়া, মানে আগুন
১১. ভোর হলো
১২. পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই
১৩. পরদিন সকালে খাওয়া-দাওয়ার পর
১৪. মাপজোকের কাজ শুরু করলেন ক্যাপ্টেন
১৫. গহ্বরের মুখ
১৬. জুনের শুরুতেই শীত নামল
১৭. যেন ভূত দেখছে এমন ভাবে
১৮. জাহাজডুবি হয়ে সত্যিই কেউ দ্বীপে উঠেছে কিনা
১৯. দ্বীপের দক্ষিণ তীর ঘেঁষে চলা শুরু হলো
২০. একটু দূরে জঙ্গলের ধারে
২১. মার্চের আরম্ভেই শুরু হলো ঝড় বৃষ্টি
২২. আবার এল শীত
২৩. এখনও কি বাধা দেবেন
২৪. মার্সি নদীর মুখে এসে
পরের পর্ব :
২৬. ভোর হতেই খোঁয়াড়ের দিকে রওনা দিল
২৭. এখনও প্রায় বিশ মাইল দূরে জাহাজটা
২৮. চোখের সামনে ভোজবাজীর মত
২৯. আস্তে আস্তে সেরে উঠতে লাগল হার্বার্ট
৩০. ফ্রাঙ্কলিন হিলের কোন গুহায়
৩১. জাহাজের খোল তৈরির কাজ
৩২. ধীরে ধীরে চোখ মেলে তাকালেন ক্যাপ্টেন নিমো
৩৩. সুড়ঙ্গ মুখে পৌঁছতে পৌঁছতে