রহস্যের দ্বীপ: ২২. আবার এল শীত

রহস্যের দ্বীপ: ২২. আবার এল শীত

২২. আবার এল শীত

আবার এল শীত। কিন্তু এবার আর শীতকে মোটেই তোয়াক্কা করল না অভিযাত্রীরা। মুশমনের লোম কেটে উল তৈরি হয়ে গেছে। প্রথমে কাঠের গামলায় অল্প গরম পানিতে ভাল করে ধোয়া হয়েছে লোমগুলো। তারপর ওই পানিতেই লোমগুলো চব্বিশ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে দূর করা হয়েছে তৈলাক্ত ভাবটা। সোডার পানিতে ধুয়ে নেবার পর একেবারে ঝরঝরে হয়ে গেছে উল। কাঠের বড় বড় গামলায় ছড়িয়ে রাখা হয়েছে সাবান মাখা লোম। গ্রানাইট হাউসের কৃত্রিম জলপ্রপাতের শক্তি দিয়ে চালানো হয়েছে ক্যাপ্টেনের তৈরি চরকা আর প্রেশার মেশিন। চরকায় লোমের সুতো কেটে প্রেশার মেশিনে চাপ দিয়ে তৈরি হয়েছে ফেটের মত গরম কাপড়। একবারে বাজে হয়নি। এই কাপড় থেকে আনাড়ি হাতে তৈরি করা কোট, প্যান্ট, হ্যাট, কম্বল। এসব গরম কাপড়চোপড় থাকলে আর শীতকে ভয় পাবার কি আছে?

বিশে জুন থেকেই পড়ল কনকনে শীত। তার ওপর মাঝে মাঝেই ঝাপটা মারছে হিমেল হাওয়া। এত ঠান্ডায় নৌকোর কাজ চালিয়ে যেতে না পেরে গ্রানাইট হাউসে বসে প্যান প্যান করতে থাকল পেনক্র্যাফট।

জুনের শেষে বরফ পড়া শুরু হলো। তাই সপ্তাহে একবার খোঁয়াড়ে গিয়ে জন্তু-জানোয়ারের তদারক করে আসে অভিযাত্রীরা। এই সময়ে একটা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটল। একটা অ্যালবেট্রলকে গুলি করেছিল হার্বার্ট। পাখিটা পড়ে যাবার পর পরীক্ষা করে দেখা গেল আঘাত গুরুতর নয়। কয়েকদিন চিকিৎসা করতেই সেরে উঠল পাখিটা। একটা মতলব এল স্পিলেটের মাথায় লিঙ্কন দ্বীপে ওদের নির্বাসনের কথাটা কাগজে লিখে একটা থলিতে ভরলেন তিনি। সেই সাথে একটা ছোট্ট কাগজে থলিটা পেলে দয়া করে নিউ ইয়র্ক হেরাল্ডের অফিসে পৌঁছে দেবেন এই কথাটা লিখে থলিতে ভরলেন। থলিটা অ্যালট্রেসের গলায় বেঁধে উড়িয়ে দিলেন পাখিটাকে। ভাগ্যক্রমে পাখিটা কারও হাতে ধরা পড়লে অভিযাত্রীদের উদ্ধার পাবার একটা ব্যবস্থা হয়েও যেতে পারে।

জুলাইয়ে এত শীত পড়ল যে আর একটা ফায়ার প্লেসের ব্যবস্থা করতে হলো। প্রায়ই আগুনের পাশে বসে গল্প করে ওরা, সেদিনও করছে। একটু পর পরই চা আসছে। তামাকও আছে প্রচুর।

হঠাৎ কান খাড়া করে কি যেন শুনল টপ, পরক্ষণেই ঘেউ ঘেউ করে ছুটে গেল কুয়োর পাড়ে। জাপও অনুসরণ করল ওকে।

কুয়োর তলায় আবার এল নাকি জানোয়ারটা! বিস্মিত কণ্ঠে বললেন পিলেট।

সবাই উঠে গিয়ে মশালের আলোয় দেখার চেষ্টা করল কুয়োর তলাটা। কিন্তু দেখা গেল না। জোর করে টপ আর জাপকে কুয়োর ধার থেকে ফিরিয়ে আনল পেনক্র্যাফট। কিন্তু গম্ভীর হয়ে গেলেন ক্যাপ্টেন।

পর পর কয়েকদিন তুষারপাত আর ঝড়ে প্রসপেক্ট হাইটের ওপরকার পাখির বাসার বেশ ক্ষতি হলো। কিন্তু পাহাড়ের আড়ালে থাকায় বেঁচে গেল খোয়াড়টা।

আগস্টের দিকে শান্ত হয়ে এল আবহাওয়া। তেসরা আগস্ট শিকারে বেরোল অভিযাত্রীরা! কিন্তু কাজের ছুতোয় গ্রানাইট হাউসেই থেকে গেলেন ক্যাপ্টেন। সবার অজান্তে কুয়োর ভেতরটা দেখার ইচ্ছা তার। কুয়োর ভেতর কোন জানোয়ার এসে বসে থাকে দেখতে হবে তাঁকে। হয়তো পর পর ঘটে যাওয়া রহস্যগুলোর সমাধানও পাওয়া যাবে ওই কুয়োয় ।

লিফট চালু হওয়ার পর থেকেই তুলে রাখা হয়েছিল সিঁড়িটা কুয়োর পাড়ে শক্ত করে দুটো খুঁটি গাড়লেন ক্যাপ্টেন। সিঁড়ির ওপরের একটা খাঁজে দড়ি বাঁধলেন। তারপর সিঁড়িটা কুয়োর ভেতর নামিয়ে দিয়ে খাঁজে বাঁধা দড়িটা শক্ত করে বাঁধলেন খুঁটির গায়ে। কোমরের বেল্টে গুঁজে নিলেন পিস্তল আর ছুরি। হাতে একটা লণ্ঠন নিয়ে তর তর করে সিঁড়ি বেয়ে নামতে শুরু করলেন নিচে। ওই অন্ধকার রহস্যময় কুয়োয় নামতে বিন্দুমাত্র ভয় পেলেন না তিনি।

খোঁচা খোঁচা পাথর বেরিয়ে আছে কুয়োর দেয়ালে। ইচ্ছে করলেই মানুষ বা বানর ওই বেরিয়ে থাকা পাথরের খাঁজ বেয়ে ওঠা-নামা করতে পারে। কুয়োর একেবারে নিচে নেমেও কিছু দেখতে পেলেন না তিনি। নিরেট দেয়ালের সবদিকেই ঠুকে ঠুকে দেখলেন, কিন্তু ফাঁপা বলে মনে হলো না। শান্ত টলটলে পানির নিচে কোন সুড়ঙ্গ আছে কিনা বোঝা গেল না ।

অনেকক্ষণ দেখে উঠে এলেন ক্যাপ্টেন। কিন্তু সন্তুষ্ট হতে পারলেন না তিনি। কোন না কোন রহস্য নিশ্চয়ই লুকিয়ে আছে—কথাটা জোর করেও মন থেকে তাড়াতে পারলেন না ক্যাপ্টেন।

সন্ধ্যায় পাখির বোঝা নিয়ে গ্রানাইট হাউসে ফিরে এল অভিযাত্রীরা। জাপের সারা গায়ে স্নাইপের বান্ডিল, টপের গলায় ঢিলের মালা। বেশ কিছু টাটকা খাওয়ার পরও প্রচুর পাখি নুন দিয়ে শুকিয়ে রাখা হলো ভবিষ্যতের জন্যে।

কুয়োতে নামার কথা সবার আড়ালে স্পিলেটকে জানালেন ক্যাপ্টেন স্পিলেটও সায় দিলেন—কিছু একটা রহস্য আছেই ওই কুয়োয়।

আবার নৌকোর কাজে মন দিল পেনক্র্যাফট। সারাদিন ওকে সাহায্য করে হার্বার্ট। আস্তে আস্তে এগিয়ে চলল কাজ।

স্পিলেটের সামান্য একটা ভুলের জন্যে সাঘাতিক দুর্ঘটনাটা ঘটল এগারোই আগস্ট। সেদিন রাতে গভীর ঘুমে অচেতন সবাই। ভোর চারটের দিকে টপের বিকট চিৎকারে ঘুম ভেঙে ধড়মড় করে উঠে বসল ওরা।

না, কুয়োর কাছে চেঁচাচ্ছে না টপ, বাইরে থেকে আসছে আওয়াজটা। জানালার কাছে ছুটে গেল সবাই। গভীর অন্ধকারে কিছুই দেখা গেল না, কিন্তু পোলট্রির দিক থেকে ভেসে এল ক্রুদ্ধ বুনো জানোয়ারের চিৎকার। নেকড়ে ঢুকল নাকি!

সেরেছে, উত্তেজিত ভাবে বলল পেনক্র্যাফট, পাখিগুলোর বারোটা বাজাবে শয়তানের দল কিন্তু নদী পেরোল কি করে ওগুলো?

আমার ভুল, লজ্জিত ভাবে বললেন স্পিলেট, ব্রিজের মাঝের অংশটা খুলে রাখিনি কাল।”

কিন্তু ও নিয়ে ভেবে আর সময় নষ্ট করল না কেউ, তাড়াতাড়ি বন্দুক হাতে বেরিয়ে পড়ল সবাই। পোলট্রি হাউসটাকে আগে বাঁচানো দরকার। মোটা একটা মুগুর হাতে আগে আগে ছুটল জাপ। অভিযাত্রীদের দেখেও পালিয়ে গেল না জানোয়ারের দল। অন্ধকারে ঝক ঝক করছে অসংখ্য সবুজাভ চোখ—মেরু শেয়াল। একশোর কম হবে না।

একমুহুর্ত দ্বিধা করে শেয়ালগুলোর ওপর ঝাপিয়ে পড়ল জাপ। বিশাল মুগুর দিয়ে ওগুলোকে দমাদম পিটিয়ে চলল সে। লাফ মেরে গিয়ে একটা শেয়ালের টুটি কামড়ে ধরল টপ—এপাশ ওপাশ মাথা ঝাকাতেই কাঠি ভাঙার মত মট করে একটা তীক্ষ্ণ শব্দ হলো। ভারটেব্রা ভেঙে গেছে শেয়ালটার। ওটাকে ছেড়ে দিয়ে আরেকটা শেয়ালের দিকে ছুটে গেল টপ। ওদিকে অভিযাত্রীদের বন্দুকের গুলির আওয়াজে কেঁপে উঠল লিঙ্কন দ্বীপ। ভোরের আলো দেখা দিতেই শেষ হলো প্রচন্ড লড়াই। রণে ভঙ্গ দিয়ে পালাল শেয়ালের দল, এদিক ওদিক মরে পড়ে আছে শেয়ালের লাশ।

নিজেদের দিকে নজর দেবার সুযোগ পেল এবার সবাই। কিন্তু আশপাশে কোথাও জাপকে দেখা গেল না। কোথায় গেল জাপ? বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পরও ফিরল না জাপ। বাধ্য হয়ে ওকে খুঁজতে শুরু করল অভিযাত্রীরা।

এক জায়গায় কতগুলো শেয়াল মরে স্তুপ হয়ে আছে। স্তুপগুলোর ভেতর থেকে বেরিয়ে আছে একটা লোমশ কালো, হাত। সাথে সাথে ওদিকে ছুটল সবাই। দ্রুত মরা শেয়ালের স্তুপ সরাতেই পাওয়া গেল জাপকে। মড়ার মত পড়ে আছে জাপ। বুকে মুখে অসংখ্য কামড়ের দাগ। মুগুরের গোড়াটা ধরে রেখেছে হাতের মুঠোয়।

বেপরোয়া হয়ে শেয়ালগুলোর সাথে লড়েছে সে। মুগুরটা ভেঙে যেতেই শেয়ালরা কাবু করে ফেলে ওকে। কিন্তু বেঁচে আছে তো জাপ? ওর বুকে কান পেতে শুনল নেব। মৃদু ধুকপুক করছে হৃৎপিন্ডটা। এখনও বেঁচেই আছে জাপ!

ধরাধরি করে গ্রানাইট হাউসে নিয়ে আসা হলো জাপকে। প্রাণপণে ওর সেবায় মগ্ন হলো সবাই। পরীক্ষা করে দেখা গেল আঘাতগুলো তেমন গুরুতর নয়। আসলে রক্তক্ষরণেই কাহিল হয়ে পড়েছে জাপ।

প্রচুর পরিমাণে প্রোটিনযুক্ত খাবার খেয়ে আর অভিযাত্রীদের আন্তরিক সেবা যত্নে দিন দশেকের মধ্যেই খাড়া হয়ে উঠল জাপ। এ সময় রোজ রাতে জাপের বিছানার কাছে শুয়ে থাকত ওর বন্ধু টপ। মাঝে মাঝে উঠে গিয়ে ঘুমন্ত জাপের হাত চেটে আদর করত কুকুরটা।

পঁচিশে আগস্ট। রাতের খাবার পর রান্নাঘরে থালাবাসন গোছাচ্ছে নেব। আগুনের পাশে বসে গল্প করছে আর সবাই। হঠাৎ নেবের চিৎকারে ছুটে এল সবাই।

কি হলো, নেব? জিজ্ঞেস করলেন ক্যাপ্টেন।

উত্তরে আঙুল দিয়ে ঘরের কোণে দেখিয়ে দিল নেব। সেদিকে তাকিয়েই সবার চক্ষু চড়কগাছ। একটা চেয়ারে পায়ের ওপর পা তুলে বসে গভীর মনোযোগের সাথে পাইপ টানছে জাপ। হো হো অট্টহাসিতে ফেটে পড়ল সবাই। মুখ থেকে পাইপটা সরিয়ে ওদের দিকে অবাক হয়ে তাকাল জাপ। অত হাসির কি হলো বুঝতে পারল না সে। তারপর আবার পাইপটা মুখে লাগাতেই হাসতে হাসতে বলল পেনক্র্যাফট, দারুণ দেখালে, জাপ! ওই পাইপটা আজ থেকে তোমাকেই দান করে দিলাম।

অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহেই নৌকোর কাজ শেষ হয়ে গেল। নৌকোটার নাম রাখা হলো বন-অ্যাডভেঞ্চার। বেলুনের অবশিষ্ট কাপড় দিয়ে তৈরি হলো পাল। লিঙ্কন দ্বীপের একটা পতাকাও তৈরি করে ফেলল হার্বার্ট। অবিকল আমেরিকার জাতীয় পতাকার মত করা হলো পতাকাটা, শুধু একটা নক্ষত্র বাড়িয়ে দেয়া হলো ওতে। পতাকাটা নৌকোর মাস্তুলে উড়িয়ে দিতেই পতাকার সম্মানে তিনবার বন্দুকের আওয়াজ করে স্যালুট করল অভিযাত্রীরা।

দশই অক্টোবর বন-অ্যাডভেঞ্চারকে পানিতে ভাসানো হলো সকাল সাড়ে দশটায়। সাথে খাবার আর পানি নিয়ে সাগর অভিযানে বেরোল অভিযাত্রীরা। মাইল চারেক এগিয়ে যাবার পর লিঙ্কন দ্বীপের দিকে ফিরে চাইল সবাই। দূর থেকে অপূর্ব সুন্দর লাগছে দ্বীপটাকে। মুগ্ধ বিস্ময়ে সেদিকে চেয়ে আছে সবাই, নীরবতা ভাঙল পেনক্র্যাফট, কেমন হয়েছে নৌকোটা, ক্যাপ্টেন?

খুব ভাল, জবাব দিলেন ক্যাপ্টেন।

দূর সাগরে যাবার মত হয়েছে?

দূর বলতে কতদূর বোঝাচ্ছ তুমি?

টাবর দ্বীপ?

খামোকা ওখানে গিয়ে লাভ কি, পেনক্র্যাফট? তাছাড়া একা তো তুমি যেতে পারছ না, সঙ্গী একজন লাগবেই।

তা লাগবে।

শুধু শুধু কেন দুজনের জীবন বিপন্ন করবে? দরকার থাকলে তোমার সাথে আরও দূরে যেতে রাজি আমি কিন্তু অযথা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লাভ কি!

একটু পরই তীরের দিকে ফিরে চলল বন-অ্যাডভেঞ্চার, লক্ষ্য পোর্ট বেলুন। পোর্ট বেলুনের কাছের চ্যানেলেই নৌকোটা রাখতে হবে। কাজেই চ্যানেলটা একটু ভাল করে দেখা দরকার। তীর থেকে মাত্র আধ মাইল দূরে নৌকো, হঠাৎ চেঁচিয়ে উঠল হার্বার্ট, পেনক্র্যাফট, পানিতে একটা বোতল ভাসছে, বলেই উত্তরের অপেক্ষা না করে পানি থেকে বোতলটা তুলে আনল সে। শক্ত ভাবে ছিপি আঁটা বোতলটা। হার্বার্টের হাত থেকে বোতলটা নিয়ে ছিপিটা খুলে ফেললেন ক্যাপ্টেন। উপুড় করে নাড়তেই এক টুকরো কাগজ বেরোল বোতলের ভেতর থেকে। কাগজটায় লেখা, ট্যাবর আইল্যান্ডে নির্বাসিত রয়েছে দুর্ভাগা লোকটা, ১৫৩° পশ্চিম দ্রাঘিমা, ৩৭°১১ দক্ষিণ অক্ষাংশ।

আগের পর্ব :
০১. ওপরে কি উঠছি আমরা
০২. গৃহযুদ্ধের তান্ডবলীলা চলছে
০৩. কোথায় গেলেন ক্যাপ্টেন
০৪. বিকেল নাগাদ নদীর জল কমে গিয়ে
০৫. চেঁচিয়ে বললেন স্পিলেট
০৬. বেলুন থেকে নামার পর
০৭. সকাল থেকে কোথাও পাওয়া গেল না নেবকে
০৮. ওরা ঢুকলেও ফিরে চাইল না নেব
০৯. হতবুদ্ধি হয়ে দাঁড়িয়ে রইল পেনক্র্যাফট
১০. ধোঁয়া, মানে আগুন
১১. ভোর হলো
১২. পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই
১৩. পরদিন সকালে খাওয়া-দাওয়ার পর
১৪. মাপজোকের কাজ শুরু করলেন ক্যাপ্টেন
১৫. গহ্বরের মুখ
১৬. জুনের শুরুতেই শীত নামল
১৭. যেন ভূত দেখছে এমন ভাবে
১৮. জাহাজডুবি হয়ে সত্যিই কেউ দ্বীপে উঠেছে কিনা
১৯. দ্বীপের দক্ষিণ তীর ঘেঁষে চলা শুরু হলো
২০. একটু দূরে জঙ্গলের ধারে
২১. মার্চের আরম্ভেই শুরু হলো ঝড় বৃষ্টি
পরের পর্ব :
২৩. এখনও কি বাধা দেবেন
২৪. মার্সি নদীর মুখে এসে
২৫. জঙ্গলে আর ফিরে গেল না আগন্তুক
২৬. ভোর হতেই খোঁয়াড়ের দিকে রওনা দিল
২৭. এখনও প্রায় বিশ মাইল দূরে জাহাজটা
২৮. চোখের সামনে ভোজবাজীর মত
২৯. আস্তে আস্তে সেরে উঠতে লাগল হার্বার্ট
৩০. ফ্রাঙ্কলিন হিলের কোন গুহায়
৩১. জাহাজের খোল তৈরির কাজ
৩২. ধীরে ধীরে চোখ মেলে তাকালেন ক্যাপ্টেন নিমো
৩৩. সুড়ঙ্গ মুখে পৌঁছতে পৌঁছতে

গল্পের বিষয়:
অনুবাদ
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত