০৫. চেঁচিয়ে বললেন স্পিলেট
ওদের দেখেই চেঁচিয়ে বললেন স্পিলেট, ক্যাপ্টেনকে পাওয়া গেল না। অনেক খুঁজলাম, কিন্তু ক্যাপ্টেনের পায়ের ছাপ পর্যন্ত চোখে পড়ল না। একটু থেমে আবার বললেন, খাবার-খাবারের জোগাড় করেছ?
তা করেছি, জবাব দিল পেনক্র্যাফট, কিন্তু পানি? পানির কি হবে?
তার জন্যে ভাবনা নেই। একটা মিষ্টি পানির হ্রদ পেয়ে গেছি আমরা, আমি আর নেব প্রাণ ভরে পানি খেয়ে এসেছি, দুটো রুমাল ভিজিয়ে এনেছি তোমাদের জন্যে এগুলো নিংড়েই আপাতত সেরে নাও কাজটা।
শুকনো কাঠ জোগাড় করে গুহায় এসে ঢুকল ওরা। খেতে পাবে সেই আশায় উৎফুল্ল অভিযাত্রীরা। চিন্তিত কেবল পেনক্র্যাফট। ওর দেশলাইয়ের বাক্সটি হারিয়ে গেছে। ওর কথা শুনে মুচকি হাসলেন স্পিলেট। পকেটে হাত দিয়ে শেষ সম্বল একটা মাত্র কাঠি বের করে দিলেন নাবিকের হাতে। এটা পেয়ে দুশ্চিন্তা আরও বেড়ে গেল পেনক্র্যাফটের। যদি অন্য কিছুতে আগুন ধরাবার আগেই কাঠিটা নিভে যায়?
স্পিলেটের নোট বইয়ের একটা পাতা ছিড়ে পাকিয়ে নিল পেনক্র্যাফট তারপর একটা শুকনো পাথর কুড়িয়ে নিয়ে ওতে ঘষল দেশলাইয়ের কাঠিটা। জ্বলল।
ভয়ে ভয়ে হার্বার্টকে ডাকল সে। ভয় পেয়েছে হার্বার্টও, তবে ঘষে ঘষে শেষ পর্যন্ত হার্বার্টই কাঠিটা জ্বালল। প্রথমে পাকানো কাগজটায় আগুন ধরিয়ে দিল। শুকনো ঘাস-পাতা এক জায়গায় জড়ো করে ওতে আস্তে করে রাখল জলন্ত কাগজ। দাউ দাউ করে আগুন ধরে গেল ঘাস-পাতায়। এবার একটা একটা করে শুকনো কাঠে আগুন ধরিয়ে বড়সড় আগুনের কুন্ড বানিয়ে ফেলা হলো। চুকল খাওয়া-দাওয়ার পাট।
ধীরে ধীরে রাত নামল অজানা জায়গায়। সেই সাথে কনকনে শীত আগুনের কুন্ড ঘিরে বসে একথা ওকথা আলোচনা করতে লাগল সবাই। কথা বলল না শুধু নেব। গভীর চিন্তায় মগ্ন হয়ে আছে সে। ভাবছে মনিবের কথা।
আগের পর্ব :
০১. ওপরে কি উঠছি আমরা
০২. গৃহযুদ্ধের তান্ডবলীলা চলছে
০৩. কোথায় গেলেন ক্যাপ্টেন
০৪. বিকেল নাগাদ নদীর জল কমে গিয়ে
পরের পর্ব :
০৬. বেলুন থেকে নামার পর
০৭. সকাল থেকে কোথাও পাওয়া গেল না নেবকে
০৮. ওরা ঢুকলেও ফিরে চাইল না নেব
০৯. হতবুদ্ধি হয়ে দাঁড়িয়ে রইল পেনক্র্যাফট
১০. ধোঁয়া, মানে আগুন
১১. ভোর হলো
১২. পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই
১৩. পরদিন সকালে খাওয়া-দাওয়ার পর
১৪. মাপজোকের কাজ শুরু করলেন ক্যাপ্টেন
১৫. গহ্বরের মুখ
১৬. জুনের শুরুতেই শীত নামল
১৭. যেন ভূত দেখছে এমন ভাবে
১৮. জাহাজডুবি হয়ে সত্যিই কেউ দ্বীপে উঠেছে কিনা
১৯. দ্বীপের দক্ষিণ তীর ঘেঁষে চলা শুরু হলো
২০. একটু দূরে জঙ্গলের ধারে
২১. মার্চের আরম্ভেই শুরু হলো ঝড় বৃষ্টি
২২. আবার এল শীত
২৩. এখনও কি বাধা দেবেন
২৪. মার্সি নদীর মুখে এসে
২৫. জঙ্গলে আর ফিরে গেল না আগন্তুক
২৬. ভোর হতেই খোঁয়াড়ের দিকে রওনা দিল
২৭. এখনও প্রায় বিশ মাইল দূরে জাহাজটা
২৮. চোখের সামনে ভোজবাজীর মত
২৯. আস্তে আস্তে সেরে উঠতে লাগল হার্বার্ট
৩০. ফ্রাঙ্কলিন হিলের কোন গুহায়
৩১. জাহাজের খোল তৈরির কাজ
৩২. ধীরে ধীরে চোখ মেলে তাকালেন ক্যাপ্টেন নিমো
৩৩. সুড়ঙ্গ মুখে পৌঁছতে পৌঁছতে