মরুশহর: ১৪. পরিষ্কার বুঝল জেন

মরুশহর: ১৪. পরিষ্কার বুঝল জেন

১৪. পরিষ্কার বুঝল জেন

পরিষ্কার বুঝল জেন, এভাবে আর বড়জোর কয়েক ঘণ্টা টিকতে পারবে ফ্যাক্টরিবাসীরা। শেষ পর্যন্ত মরতেই চলেছে তারা।

এদিকে আরও একটা দরজা ভেঙে ফেলেছে উইলিয়াম ফার্নির লোকেরা। ক্রমেই এগিয়ে আসছে ওরাও।

বিস্ফোরণের শব্দ আরও এগিয়ে আসছে। সমানে চলছে গোলাগুলির আওয়াজ।

আবার আগের ঘরে ফিরে এল জেন। জানালা দিয়ে উঁকি মেরে দেখল ক্রমেই পিছিয়ে যাচ্ছে ফ্যাক্টরিবাসী। নতুন উদ্যমে এগোচ্ছে মেরি ফেলোরা। ওদিকে আওয়াজ শুনে বুঝতে পারল, আরেকটা দরজা ভেঙে ফেলেছে ফার্নির লোকেরা। দিশেহারা হয়ে পড়ল জেন।

ঠিক এই সময় শোনা গেল বিউগলের আওয়াজ। যুদ্ধের বাজনা। ফরাসী। দুরু দুরু করে কেঁপে উঠল জেনের বুক। ভয়ে নয়, আনন্দে। যেভাবেই হোক, ফরাসী সৈন্যের একটা দল এসে চড়াও হয়েছে ব্ল্যাকল্যান্ডের ওপর।

মিনিটখানেক পরেই একসঙ্গে গর্জে উঠল কয়েকশো রাইফেল। জানালা দিয়ে উঁকি মেরে দেখল জেন, কাতারে কাতারে লুটিয়ে পড়ছে মেরি ফেলোর দল। এভাবেই গতরাতে মেরেছিল নিগ্রোদের ওরা। রেড রিভারের অন্য পাড়ে এসে দাঁড়িয়েছে ফরাসী সৈন্যের এক বিশাল দল।

প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে কাসল ব্রিজের দিকে ছুটে গেল মেরি ফেলোরা। প্রচন্ড এক বিস্ফোরণে এই সময় উড়ে গেল ব্রিজ। হঠাৎই বুঝতে পারল জেন ব্যাপারটা। দেখেশুনে পরিকল্পনা মাফিক বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে কেউ। শুধু ব্ল্যাকল্যান্ডের লোকদের ক্ষতি করার জন্যেই। মারসেল ক্যামারেট বলেছিলেন, শহরের প্রতিটি বাড়ি, রাস্তার তলায় পুঁতে রাখা হয়েছে শক্তিশালী মাইন। ওগুলোই পালা করে একে একে ফাটাচ্ছেন তিনি। নিজের হাতে গড়া অত্যাশ্চর্য শহরকে নিজের হাতেই ধ্বংস করে দিচ্ছেন প্রতিভাবান লোকটা।

নদীতে ঝাপিয়ে পড়ে সাঁতরে পালাতে চেষ্টা করল মেরি ফেলোরা। কিন্তু পারল না। ওপার থেকে ঝাকে ঝাকে গুলি এসে বিদ্ধ করতে লাগল তাদের। কুকুরবেড়ালের মত মরতে লাগল ওরা। একদিন এভাবেই মানুষ মেরেছে ওরাও।

খালি হয়ে গেছে এসপ্ল্যানেড। আর দেরি করল না জেন। ভাইকে নিয়ে সদর দরজা খুলে বেরিয়ে এল বাইরে। ছুটে গিয়ে মিশল ফ্যাক্টরিবাসীদের দলে। গুলি বন্ধ করার আদেশ দিল ক্যাপ্টেন মারসিনে। তাড়াতাড়ি দড়ির সেতু বানিয়ে সৈন্যদের রেড় রিভার পেরোনোর আদেশ দিল।

স্তব্ধ হয়ে শহরের শোচনীয় দৃশ্য দেখছে মারসিনে। পাক খেয়ে খেয়ে কালো ধোঁয়া উঠে যাচ্ছে আকাশে। রেড রিভারের পাড় থেকেই দেখা যাচ্ছে মাটিতে পড়ে থাকা অগুণতি মানুষের লাশ। সারা শহরের মধ্যে মাত্র দুটো বিশাল অট্টালিকা দাঁড়িয়ে আছে। এখনও ক্যাপ্টেন মারসিনের জানার কথা নয়, একটা অত্যাশ্চর্য শহরের অত্যাশ্চর্য ফ্যাক্টরি, অন্যটা এই শহরেরই মহা পরাক্রমশালী নিষ্ঠুর দুর্ধর্ষ সম্রাটের প্রাসাদ।

দড়ির সেতু বানাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে সৈনিকেরা। ভাবছে মারসিনে, যাকে দেখার জন্যে এই দীর্ঘ পথ ছুটে এসেছে সে, তার দেখা কি পাবে এখানে? এখান থেকেই ডাক পাঠানো হয়েছিল টিম্বাকটুতে? অনেক কষ্টে কর্নেল অবানকে রাজি করিয়ে, সৈন্য নিয়ে দুর্গম পথ পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত ঠিকানা মোতাবেক এসেছে ক্যাপ্টেন মারসিনে। সঙ্গে তার এঞ্জিনীয়ার বন্ধুও এসেছে।

বিচিত্র রেডিও নিয়ে বার বার রহস্যজনক সংবাদ প্রেরকের সাথে যোগাযোগ করতে চেয়েছে ক্যাপ্টেন পেরিগনি। পারেনি। তাহলে আরও আগেই এসে পৌঁছতে পারত এখানে।

জেনের জন্যে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে ক্যাপ্টেন মারসিনে। আরও দ্রুত সেতু তৈরির জন্যে তাড়া লাগাল সে সিপাইদের।

একে একে শহরের সমস্ত বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, ব্রিজ উড়িয়ে দিলেন মারসেল ক্যামারেট। প্রতিটি বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে যেন শেল বিধছে তার নিজেরই বুকে। তার অত সাধের সৃষ্টি ধ্বংস করে দিতে হচ্ছে নিজের হাতেই। তবু যদি নিপীড়িত লোকগুলোকে বাঁচানো যায়। ওদের দুর্ভাগ্যের জন্যে পুরোপুরি নিজেকে দায়ী করছেন তিনি। ফ্যাক্টরিটা ধ্বংস করার ইচ্ছে তার নেই। এটা খাড়া থাকলে আবার এই শহর নির্মাণ করতে পারবেন তিনি। তবে এবারে আর হ্যারি কিলারের মত কোন লোককে রাজত্ব করতে দেবেন না।

টাওয়ার থেকে বাইরে বেরিয়ে এলেন তিনি। এসপ্ল্যানেডে মেরি ফেলোদের কাউকে দেখা যাচ্ছে না। শুধু ফ্যাক্টরিবাসীরা বন্দুক নিয়ে টহল দিচ্ছে।

হঠাৎই এই সময় প্যালেসের ছাদে একটা লোককে দেখা গেল। স্বয়ং হ্যারি কিলার। রাইফেল তুলে ধরেছে এদিকেই। গুলির শব্দ হলো, মাত্র একটা। দুহাতে বুক চেপে ধরলেন মারসেল ক্যামারেট। পড়ে গেলেন টাওয়ারের ছাদেই।

তিনটে দরজা ভাঙা হতেই কি মনে করে সিড়ি ঘরে উঠে এল উইলিয়াম ফার্নি। উঁকি মেরে দেখল, এসপ্ল্যানেডে তার একজন লোকও নেই। সবাই ছুটছে কাসল ব্রিজের দিকে। ব্রিজটা ধ্বংস হতেও দেখল সে। বুঝল, সব মারসেল ক্যামারেটের কাজ। দাঁতে দাঁত ঘষল কিলার।

রেড রিভারের দিকে চেয়ে দেখল গিজ গিজ করছে ফরাসী সৈনিকে। এসপ্ল্যানেডে ফ্যাক্টরিবাসী সশস্ত্র।

উইলিয়াম বুঝল, দিন তার শেষ হয়ে এসেছে। এই সময়ই একজন লোককে ফ্যাক্টরি টাওয়ারে বেরিয়ে আসতে দেখল সে। স্বয়ং মারসেল ক্যামারেট!

আর থাকতে পারল না উইলিয়াম। ছাদে বেরিয়ে এল। বিন্দুমাত্র দ্বিধা না করে রাইফেল তুলে গুলি করল বিজ্ঞানীকে। দেখল, বুক চেপে ধরে লুটিয়ে পড়লেন ক্যামারেট বিকৃত হাসি ফুটে উঠল উইলিয়াম ফার্নির ঠোঁটে।

সাঁতরে ওপারে চলে গেল কয়েকজন সৈনিক। সঙ্গে শক্ত খুঁটি নিয়ে গেল। পুঁতে দিল মাটিতে। এপারেও খুঁটি গাড়া হলো। এই খুঁটিতে দড়ির সেতুর প্রান্তগুলো আটকে দেয়া হলো। তৈরি হয়ে গেল নদী পারাপারের ব্যবস্থা।

প্রথমেই পেরোল ক্যাপ্টেন মারসিনে। তারপর তার বন্ধু পেরিগনি। এরপর একে একে পেরিয়ে আসতে লাগল সৈনিকেরা।

সৈনিকদের নদী পেরোনো দেখছে ফ্যাক্টরিবাসীরা। জেন এবং তার সঙ্গী সাথীরাও দেখছে।

প্রথমে নদী পেরিয়ে আসা দীর্ঘ, লোকটাকে দেখেই চিনতে পারল জেন। ক্যাপ্টেন মারসিনে।

স্তব্ধ হয়ে গেল জেন। নিজের চোখকেও বিশ্বাস করতে পারল না। তবে কি… তবে কি মারসেল ক্যামারেটের পাঠানো খবর পেয়েছে মারসিনে?

দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে নদীর দিকে ছুটে গেল জেন।

অনেক কষ্টে বুকে হেঁটে পাওয়ারের ভেতর চলে এলেন শেষ পর্যন্ত মারসেল ক্যামারেট। ঈশ্বর, একটু, আর একটু শক্তি দাও আমাকে। শুধু একটু। বিড় বিড় করে প্রার্থনা করে জানালেন তিনি। মুখ দিয়ে দমকে দমকে রক্ত উঠে এল। বুঝতে পারলেন, ফুসফুসে লেগেছে গুলি।

রেডিও রিসিভার রাখা টেবিলটার গোঁড়ায় চলে এলেন তিনি। হামাগুড়ি দিতে দিতে। উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ে হাঁপাতে লাগলেন। শ্বাস নিতে সাংঘাতিক কষ্ট হচ্ছে।

টেবিলের পায়া খামচে ধরে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন ক্যামারেট। কিন্তু পারছেন না। শরীরের শক্তি একবারে শেষ।

দুহাত বাড়িয়ে পায়াটা দুই হাতে চেপে ধরে এক ইঞ্চি এক ইঞ্চি করে উঠে দাঁড়াতে লাগলেন ক্যামারেট। টেবিলের কোনার কাছে পৌঁছে গেল ডান হাতটা। ধরলেন। বাঁ হাতটাও বাড়িয়ে দিলেন। ছুটে যাচ্ছিল, কিন্তু প্রাণপণ শক্তিতে চেপে ধরলেন দুই হাতে। আর একবার প্রার্থনা জানালেন ঈশ্বরের কাছে, যেন কাজটা শেষ করে যেতে পারেন।

দড়াম করে টেবিলের উপরই পড়ে গেলেন ক্যামারেট। শরীরের ওপরের দিকটা টেবিলের ওপর, কোমর থেকে নিচের দিকে ঝুলছে মেঝে থেকে আধইঞ্চি ওপরে। পিছলে পড়ে যাচ্ছিলেন, কিন্তু দুহাতে আঁকড়ে ধরে রেখেছেন টেবিলে পাকাপোক্তভাবে বসানো রেডিওর মেটাল কাভার।

কয়েক সেকেন্ড বিশ্রাম নিলেন ক্যামারেট। তারপর ডান হাতটা আস্তে বাড়ালেন সুইচের দিকে। অসংখ্য সুইচের মাঝে অপেক্ষাকৃত বড় সাইজের দুটো সুইচ। একটা লাল, অন্যটা নীল। নীল সুইচটাই তার প্রথম লক্ষ্য। তর্জনীর সংস্পর্শে আসতেই টিপে দিলেন তিনি সুইচটা। পরমুহুর্তেই লালটা।

প্রায় এক সঙ্গেই দুটো প্রলয়ংকরী বিস্ফোরণ ঘটল। মাটিতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে গেল এসপ্ল্যানেড়ে দাঁড়ানো লোকগুলো। চোখের সামনেই দেখতে পেল, প্যালেস আর ফ্যাক্টরি বিল্ডিং-এর ঠিক মাঝখানটা ভেঙেচুরে শূন্যে উঠে গেল। নেমে এল অপেক্ষাকৃত ধীরে। চাপা একটা গুম গুম শব্দ উঠল মাটির তল থেকে। একে একে আরও অনেকগুলো বিস্ফোরণের শব্দ হলো। বিশাল দুটো অট্টালিকা নষ্ট হয়ে যেতে বড়জোর পনেরো সেকেন্ড লাগল।

একেবারে ধূলিসাৎ হয়ে গেল মারসেল ক্যামারেটের অতি সাধের ফ্যাক্টরি আর উইলিয়াম ফার্নি ওরফে হ্যারি কিলারের প্যালেস।

মৃত্যুর নীরবতা নেমে এল ধু ধু মরুর বুকে। মরুই। একে আর ব্ল্যাকল্যান্ড শহর বলা চলে না। একেবারে ধ্বংসস্তুপ। চারদিকে ছড়িয়ে আছে শুধু পোড়া ইটকাঠ, আকাশে কুন্ডলী পাকানো কালো ধোঁয়া। শোনার কিছু নেই, দেখার নেই কিছু।

অভিযাত্রীদের চোখের সামনে দুঃস্বপ্নের মতই মিলিয়ে গেল দুঃস্বপ্নের নগরী, ব্ল্যাকল্যান্ড।

যার যার দেশে ফিরে এসেছে বারজাক মিশনের সবাই। ফ্যাক্টরির শ্রমিক কর্মচারীরাও ফিরেছে। পেছনে ব্ল্যাকল্যান্ডের ধ্বংসস্তুপের তলায় রেখে এসেছে। বিশজন সহকর্মীকে।

নিগ্রোদের ভোট দেবার অধিকার নিয়ে আর মাথা ঘামান না মঁসিয়ে বারজাক। তবে গুজব শোনা যাচ্ছে, শিগগিরই মন্ত্রী হতে চলেছেন তিনি।

আবার রোগ আর রোগী নিয়ে পড়েছেন ডাক্তার চাতোন্নে।

অঙ্কের জগতে ফিরে গেছেন মঁসিয়ে পঁসি। মানুষের চুল নখ ইত্যাদি প্রতি সেকেন্ডে কতটা করে বাড়ে হিসেব করে বার করে ফেলেছেন তিনি। আরও অত্যাশ্চর্য সব হিসাব নিকাশ করছেন। প্রতিটি মানুষের মাথায় কত চুল এবং প্রতিটি কালো ভালুকের গায়ে কত লোম বার করার তালে আছেন। দুটোর মধ্যে কোন যোগসূত্র আছে কিনা, এও তার চিন্তার বিষয়।

সেনাবাহিনী থেকে ছুটি নিল ক্যাপ্টেন মারসিনে। জেন আর লুইয়ের সঙ্গে ইংল্যান্ডে এল। তাদের সঙ্গেই এল মালিক আর টোনগানে। কিছুতেই জেনকে ছেড়ে থাকতে রাজি নয় ওরা। বলে কয়ে ওদের সঙ্গে নিতে জেনকে রাজি করিয়েছে সেন্ট বেরেনই। তবে বলার সময় দুহাতে দুই গাল চেপে ধরে রেখেছে, আবার না কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চুমু খেয়ে বসে মালিক।

মেয়ের মুখে সবকথা শুনলেন লর্ড ব্লেজন। অনেকদিন পর নিজের কামরা থেকে বাইরে বাগানে বেড়াতে বেরোলেন তিনি। হাসি ফুটেছে মুখে। এরপর আর বেশিদিন বাঁচেননি তিনি, তবে যে কদিন বেঁচেছেন, শান্তিতেই কাটিয়েছেন।

না, কথা এখনও শেষ হয়নি।

দিনক্ষণ দেখে ক্যাপ্টেন মারসিনের সঙ্গে বিয়ে হয়ে গেল জেন ব্লেজনের।

মালিক আর টোনগানের বিয়ের পাকা ব্যবস্থা করে দিল স্বয়ং সেন্ট বেরেন। অবশ্যই টোগানের কাছ থেকে কথা আদায় করে নিল, যখনি প্রয়োজন মাছ ধরায় সাহায্য করতে হবে বেরেনকে।

সেন্ট্রাল ব্যাংকের পুরো দায়িত্ব দেয়া হলো লুই ব্লেজনকে।

আরও একজনের কথা কিন্তু বলা হয়নি। আমিদী ফ্লোরেন্স। সে মিশনের সঙ্গে না গেলে, আর ডায়েরীতে সব কথা লিখে না রাখলে কিন্তু এই কাহিনীর কিছুই আপনারা জানতেন না। কাজেই একটা সত্যি ঘটনাকে গল্পের ঢঙে শোনানোর জন্যে অবশ্যই ধন্যবাদ দেবেন তাকে।

আগের পর্ব :
০১. ভূপৃষ্ঠের তিনলক্ষ বর্গমাইল জায়গা জুড়ে
০২. বন্দী হওয়ার পর চব্বিশ ঘণ্টা কেটে গেছে
০৩. কয়েদখানায় বসে লিখছি
০৪. হ্যারি কিলারের নৃশংসতায়
০৫. সত্যিই বেঁচে আছে টোনগানে
০৬. অতি তুচ্ছ সৌজন্য
০৭. চওড়ায় আড়াইশো গজ কারখানা এলাকা
০৮. বারজাক মিশন ছেড়ে আসার পর
০৯. বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়ে
১০. নিঃসীম হতাশায় ভেঙে পড়ল অভিযাত্রীরা
১১. ভেতর থেকে সদর দরজা খোলার পদ্ধতি
১২. হঠাৎ শ্ৰীমতীর আগমন
১৩. কিসের এত শব্দ

গল্পের বিষয়:
অনুবাদ
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত