মরুশহর: ০৫. সত্যিই বেঁচে আছে টোনগানে

মরুশহর: ০৫. সত্যিই বেঁচে আছে টোনগানে

০৫. সত্যিই বেঁচে আছে টোনগানে

সত্যিই বেঁচে আছে টোনগানে। এমন কি বহাল তবিয়তেই আছে। টোনানের মুখেই শুনল অভিযাত্রীরা।

অন্ধকারে সেদিন জঙ্গলের মধ্যে অভিযাত্রীদের ঘিরে ধরেছিল হ্যারি কিলারের সৈন্যরা। কিন্তু তার আগেই বিপদের গন্ধ পেয়ে পালিয়েছে টোনগানে। গভীর জঙ্গলে লুকিয়ে থেকেছে।

সকাল হলে আড়ালে লুকিয়ে থেকে দেখেছে কিম্ভুতকিমাকার কয়েকটা আকাশযানে তোলা হচ্ছে অভিযাত্রীদের। কিন্তু সৈন্যরা উঠছে না।

হেলিপ্লেনগুলো চলে যাবার পর ঘোড়সওয়ারদের পেছনে ছায়ার মত লেগে থেকেছে টোনগানে। মাঝে মাঝে উধ্বশ্বাসে ছুটেছে ছুটন্ত ঘোড়ার পেছন পেছন।

এই ভাবেই সৈন্যদের অনুসরণ করে একদিন সাঁঝের বেলা এসে পৌঁছেছে ব্ল্যাকল্যান্ডে। সারাটা রাত লুকিয়ে থেকেছে খেতখামারের কাছেই একটা ছোট ঝোপে। ভোর হলে নিগ্রো চাষীদের সঙ্গে মিশে কাজ করেছে। বেদম মার খেয়েছে নিগ্রো সান্ত্রীদের হাতে। কিন্তু টু শব্দ করেনি। আবার সাঁঝ এলে এসে ঢুকেছে শহরে। চাষীদের একজন হয়ে গিয়ে ঢুকতে কোন অসুবিধে হয়নি। হাজার হাজার চাষীর মধ্যে তাকে আলাদা করে চিনে নিতে পারেনি ব্লাকগার্ডেরা।

দাসেদের কোয়ার্টারে গত কয়েকটা দিন কাটিয়েছে টোনগানে। সঙ্গে বেশ কিছু সোনার মোহর ছিল। তারই কয়েকটা খরচ করে ভাব জমিয়েছে একজন গার্ডের সঙ্গে। কথায় কথায় জেনে নিয়েছে বন্দীরা, মানে অভিযাত্রীরা কোথায় আছে।

বিরাট সার্ভেন্টস কোয়ার্টার থেকে দড়ি জোগাড় করতে কোন অসুবিধে হয়নি টোনগানের; বুরুজের ছাদে প্রায়ই টহল দিতে দেখেছে সে অভিযাত্রীদের। দৃষ্টি আকর্ষণ করতেও চেয়েছে। কিন্তু সফল হয়নি। তাই আজ মেঘে ঢাকা অন্ধকার আকাশের সুযোগটা নিয়েছে। সাঁতরে পেরিয়েছে রেড রিভার। তারপর দড়ি বেয়ে উঠে আসায় তো সাহায্যই করল ফ্লোরেন্স আর চাতোন্নে।

টোনগানে বলল, পালানোর এইই সুযোগ। দড়ি বেয়ে নেমে যেতে হবে। রেড রিভারের এপারে একটা নৌকা নোঙর করা আছে, দেখে এসেছে টোনগানে। এই মেঘলা রাতে ওই নৌকা আর কাজে লাগাবে না কোন গার্ড। ওটায় করেই নদী পাড়ি দেয়া যাবে।

বেশ ভাল নৌকা। চারজনে একসঙ্গে দাঁড় টানলে ঘণ্টায় ছমাইল অনায়াসে যাওয়া যাবে। এগারোটা নাগাদ রওনা হওয়া গেলে রাত ভোর হতে হতে পঁয়তাল্লিশ মাইল পেরিয়ে যাওয়া কঠিন হবে না। তারপর দিনের বেলা রেড রিভারের পাড়ে কোন ঘন ঝোপঝাড় দেখে লুকিয়ে পড়লে আর নৌকাটাও লুকিয়ে রাখলে হেলিপ্লেনে করে সার্চ পার্টি বেরিয়ে খুঁজে পাবে না অভিযাত্রীদের। আবার রাত নামলে শুরু হবে চলা। এমনি কোনমতে সায়ে পৌঁছুতে পারলেই পায় কে? মোটমাট দুশো আশি মাইল। ব্যাপারটা খুব একটা নিরাশাব্যঞ্জক নয়। তাই পালাতে রাজি হয়ে গেল অভিযাত্রীরা।

প্রথমেই বিশ্বাসঘাতক চৌমৌকির একটা ব্যবস্থা করা প্রয়োজন মনে করল তারা। নিচের তলায় এখনও কাজ করছে সে। জেন আর পঁসিকে ছাদে রেখে সেঘরে গিয়ে ঢুকল সবাই। কোনরকম সন্দেহ করার কথা নয় তাদেরকে দেখে চৌমৌকির। করল না। প্রথমেই আক্রমণ করল সেন্ট বেরেন। পেছন থেকে গিয়ে আলগোছে তুলে নিল সে চৌমৌকিকে। হালকা পাতলা লোকটার গায়ে অত শক্তি দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। সোজা মাথার ওপর তুলে চৌমৌকিকে আছাড় মারল বেরেন। গাঁক করে একটা বিচ্ছিরি শব্দ বের হলো শুধু চৌমৌকির মুখ দিয়ে। জ্ঞান হারাল প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই। দ্রুত হাত-পা বেঁধে ফেলা হলো তার। মুখে ন্যাকড়া ঠেসে দেয়া হলো। তার কোমর থেকে চাবি নিয়ে ঘরের দরজা আটকে ভেতর থেকে তালা দিয়ে দিল ফ্লোরেন্স। বাইরে থেকে দরজা ভাঙা ছাড়া সিঁড়ি বেয়ে ছাদে উঠতে পারবে না এখন আর বাইরের কেউ।

দ্রুত ছাদে উঠে এল পাঁচজনে। ঝমঝম করে বৃষ্টি নেমেছে ইতোমধ্যে। বিশ গজ দূরের জিনিসও দেখা যাচ্ছে না। অত্যন্ত ঝাপসা দেখাচ্ছে নদীর ওপারের মেরি ফেলোদের কোয়ার্টারের আলো।

একটা সেকেন্ডও নষ্ট করল না কেউ। কাজে লেগে গেল। প্রথমেই দড়ি বেয়ে নামতে শুরু করল ফ্লোরেন্স। নেমেই নিচের দিকের বাঁধন খুলে ছাড়তে শুরু করল। টোনগানেও ওপরের বাঁধন খুলে বাঁকানো শিকের খাঁজে এক প্যাচ দিয়ে অন্য মাথাটা নিচের দিকে ছাড়তে লাগল। শেষ পর্যন্ত দড়ির দুটো মাথাই এসে গেল ফ্লোরেন্সের হাতে। দুটো মাথাই শক্ত করে খুঁটির সঙ্গে বাঁধল সে। উপরে দড়ির মাঝামাঝি অংশ আটকানো আছে ছাদের বাঁকানো শিকের খাঁজে।

এরপর দড়ি বেয়ে একে একে নেমে এল সবাই নিচে। জেনকে কোমরে দড়ি বেঁধে নামানোর প্রস্তাব দেয়া হয়েছে কিন্তু রাজি হয়নি সে। পুরুষদের মতই দক্ষভাবে দড়ি ধরে ঝুলতে ঝুলতে নেমে এল নিচে। সবার শেষে নামল টোনগানে। খুঁটিতে বাঁধা দড়ির প্রান্ত খুলে নেয়া হলো। তারপর একমাথা ধরে টানতেই সড় সড় করে শিকের খাঁজ থেকে খুলে নেমে এল দড়িটা। কি করে পালাল তারা, কোন চিহ্নই থাকল না আর।

টোনগানের কথামত ঠিক জায়গায়ই পাওয়া গেল নৌকাটা। দখল করতেও কোন অসুবিধে হলো না। এই তুমুল ঝড়বাদলার রাতে নদীতে সামান্য একটা নৌকা পাহারা দেবার প্রয়োজন মনে করেনি কেউ।

এক এক করে নৌকায় উঠে গেল সাতজনই। নোঙর খুলে দিতেই স্রোতের টানে ভাটির দিকে ছুটল নৌকা। দাঁড় বাওয়ারও কোন প্রয়োজন হলো না।

নৌকা শহরের বাইরে চলে আসতেই দাঁড় বাওয়া শুরু হলো। একে স্রোতের টান, তার ওপর চারটে দাঁড়, উড়ে চলল যেন ছোট্ট নৌকাটা।

বৃষ্টির তোড় আরও বেড়েছে। এই দুর্যোগে কেউ তাদের দেখতে পাবে না। নিশ্চিন্তে দাঁড় বেয়ে চলল অভিযাত্রীরা। কিন্তু তারা জানে না, অতটা নিশ্চিন্ত হওয়া তাদের উচিত হয়নি।

আরও আধমাইলটাক যেতেই ঘটল বিপত্তি। হঠাৎ কিসে ধাক্কা খেয়ে দাঁড়িয়ে পড়ল নৌকা। ব্যাপার কি? ভাল করে চাইতেই বোঝা গেল ব্যাপারটা। এরপরেও হাত বাড়িয়ে ছুঁয়ে নিশ্চিন্ত হয়ে নিল সকলে। নাহ, বাড়িয়ে বলেনি হ্যারি কিলার। ব্ল্যাকল্যান্ড থেকে পালানোর রাস্তা রাখেনি সে।

শহরের বাইরে নদীর দুই তীরে উঁচু খুঁটিতে লোহার মোটা তারের জালের আচ্ছাদন দেয়া হয়েছে। আচ্ছাদন শেষ হয়েছে শহরের বাইরে পৌনে একমাইল মত দূরে। এখানটায় এসে মোটা লোহার জাল দিয়েই বেড় দেয়া হয়েছে নদী। কাজেই নৌকা করে কিংবা সাঁতার কেটে পালানোর আশা বৃথা।

এতবড় বাঁধার পরও সাহস হারাল না অভিযাত্রীরা। তাহলে নিশ্চিত মৃত্যু, জানা আছে ওদের। কিন্তু কি করা যায়? উঁচু মসৃণ এই জাল টপকানো একেবারেই অসম্ভব। আর ছেঁড়ার তো প্রশ্নই ওঠে না। তাহলে কি প্রাসাদে ফিরে যাবে? হাঁটু মুড়ে বসে ক্ষমা চাইবে হ্যারি কিলারের কাছে?

না, মোটেই না। তাহলে?

প্রস্তাবটা প্রথম পেশ করল ফ্লোরেন্স, এক কাজ করলে কেমন হয়? ফ্যাক্টরির ভেতর গিয়ে ঢুকি না কেন?

কিন্তু তাতে কি হবে? ফ্যাক্টরির লোকেরাও তো হ্যারি কিলারেরই অনুচর। বারজাকের গলায় সন্দেহ।

কে জানে, বিজ্ঞানীরা তার কথার বাধ্য নাও হতে পারে। হয়তো জোর করে আটকে রেখে কাজ করতে বাধ্য করা হয়েছে ওদের! দেখেননি, কেমন উঁচু দেয়াল দিয়ে ঘিরে দেয়া হয়েছে ফ্যাক্টরির তিন দিক, নদীর দিক ছাড়া? কেন? চলুন না, কপাল ঠুকে দেখিই না কি হয়? এমনিতেও তো মরণই লেখা আছে কপালে।

শেষ পর্যন্ত ফ্লোরেন্সে কথাই রইল। দাঁড় টেনে আবার ফিরে চলল ওরা। স্রোত ঠেলে ঠেলে এগিয়ে এল, কারখানাটাকে পাক মেরে নদীর তীরে এসে শেষ হওয়া পঞ্চাশ গজ চওড়া রাস্তাটার ধারে। অঝোর বর্ষণ। ঘুটঘুটে অন্ধকার। দুহাত দূরের জিনিসও দেখা যায় না ভালমত।

নৌকা থেকে নেমে এল অভিযাত্রীরা। রাস্তায় উঠল।

কয়েক গজ পরপরই উঁচু খুঁটির মাথায় বৈদ্যুতিক আলো জ্বলছে। বিশ গজ দূরে ফ্যাক্টরির পশ্চিম কোণে গার্ডরূম দেখা যাচ্ছে। উত্তর কোনায়ও আছে। ভেতরে পাহারাদার আছে নিশ্চয়ই। কিন্তু দেখা যাচ্ছে না। কে যাবে এই বৃষ্টিতে বাইরে বেরোতে? হয়তো বসে বসেই ঢুলছে।

বিশাল চওড়া রাস্তা যেখানে নদীর ধারে এসে শেষ হয়েছে, তার গজ বিশেক দূরে জেটি। কারখানার জন্যে ব্যবহৃত মালামাল আনা হয় নিশ্চয়ই এ পথে।

পাহারাদারের ভয়ে সারারাত এই বৃষ্টির মধ্যে এখানে দাঁড়িয়ে থাকার কোন মানে হয় না। পা টিপে এগিয়ে চলল ওরা পশ্চিমের গার্ডরূমের দিকে। বেকায়দা অবস্থায় পাহারাদারকে কাবু করে ফেলার ইচ্ছে।

অসুবিধে হলো না। দরজা ভিড়িয়ে রেখে টুলে বসে ঢুলছিল লোকটা। সেন্ট বেরেন, টোনগানে আর ফ্লোরেন্সের মিলিত আক্রমণে নিমেষে ধরাশায়ী হলো। তার হাত-পা বেঁধে ফেলা হলো। ছাদ থেকে নেমে দড়িটা খুলে সঙ্গেই রেখেছিল ফ্লোরেন্স। কাজে লাগল এখন। পাহারাদারের পরনের কাপড় ছিড়েই তার মুখে ঠেসে দেয়া হলো।

কারখানার পাঁচিল ধরে সার বেঁধে এগোল ওরা। ওয়ার্কশপের দরজাটা খুঁজে বের করতে হবে। কিন্তু কোথায় দরজা?

হতাশ হলো না অভিযাত্রীরা। দরজা থাকতে বাধ্য। পেল ওরা। ওয়ার্কশপের দেয়ালের সঙ্গে এক সমতলে বসানো হয়েছে পুরু ইস্পাতের দরজা। দেয়ালের সঙ্গে মিলিয়ে রঙ করা হয়েছে, তাই প্রথমে খুঁজে পায়নি ওরা।

কিন্তু দরজা পেলেই কি? ঢোকা যাবে না। বন্ধ। ভাঙার তো প্রশ্নই ওঠে না। কামান দেগেও ভাঙা যাবে কিনা সন্দেহ।

খুঁজতে খুঁজতে বড় দরজাটার পাশেই আরেকটা ছোট দরজা পেয়ে গেল। অভিযাত্রীরা। কিন্তু এটাও বন্ধ। কোথাও একটা ছোট্ট ফাঁক-ফোকর পর্যন্ত নেই। কি করা যায়?

সেন্ট বেরেন বুদ্ধি দিল, একসঙ্গে কিল-ঘুসি-লাথি মারা হোক দরজায়। কেউ না কেউ খুলবেই।

অগত্যা তাই করতে তৈরি হলো ওরা। এমনি সময় দেখল ছায়ামূর্তিটাকে। ভিজতে ভিজতে এসপ্ল্যানেডের দিক থেকে এদিকেই এগিয়ে আসছে। প্রহরী নয়তো?

বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না করে পাঁচিল ঘেঁষে সার বেঁধে সেঁটে দাঁড়িয়ে পড়ল ওরা।

ওদের পাশ দিয়েই হেঁটে গেল মূর্তিটা। কিন্তু চোখ তুলে চাইল না পর্যন্ত। বৃষ্টিতে যে ভিজছে, সে খেয়ালও নেই যেন! বড় অদ্ভুত তো! পাগল-টাগল নাকি?

এগিয়ে গিয়ে ছোট দরজাটার সামনে দাঁড়াল লোকটা। পকেট থেকে কি বের করল। বোধহয় চাবি। আন্দাজে হাতড়ে হাতড়ে তালায় চাবি ঢোকাবার ফুটোটা বের করল।

ঠেলতে হলো না। তালাটা খুলে যেতেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে খুলে গেল পাল্লা। অদ্ভুত লোকটা ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে প্রায় এক সাথেই ঠেলাঠেলি করে ঢুকে পড়ল অভিযাত্রীরা সবকজন।

অবাক হয়ে চোখ তুলে চাইল লোকটা। মৃদু গলায় শুধু বলল,একি!

মাথার ওপরে একটা হালকা মৃদু আলো জ্বলছে। সুইচ টিপে অস্বাভাবিক উজ্জ্বল একটা আলো জ্বেলে দিল লোকটা। তারপর ভাল করে চাইল অভিযাত্রীদের মুখের দিকে।

টোনগানের দিকে চোখ পড়তেই চমকে উঠল লোকটা, সার্জেন্ট!

লোকটাকে ভাল করে দেখে অবাক হয়ে গেল টোনগানেও, আরে! আপনি মারসেল ক্যামারেট না!

নিজের অজান্তেই শিউরে উঠল জেন। তার বড় ভাইয়ের সঙ্গে ছিল, এই ক্যামারেটই নয়তো!

এক পা এগিয়ে গেল ফ্লোরেন্স, আপনার সঙ্গে কথা আছে, মঁসিয়ে ক্যামরেট।

ফিরে চাইলেন ক্যামারেট, বেশ।

বলেই সুইচবোর্ডের আরেকটা বোতাম টিপে ধরলেন। নিঃশব্দে খুলে গেল সামনে পাঁচ গজ দূরে দেয়ালের গায়ে একটা দরজা। সার সার সিঁড়ি উঠে গেছে উপর দিকে আলোয় ঝলমলে!

আসুন। সিড়ির দিকে ইঙ্গিত করে বললেন, ক্যামরেট, পরে কথা হবে।

তার কথা শুনে মনে হলো এর চেয়ে সহজ কাজ যেন আর দুনিয়ায় নেই।

আগের পর্ব :
০১. ভূপৃষ্ঠের তিনলক্ষ বর্গমাইল জায়গা জুড়ে
০২. বন্দী হওয়ার পর চব্বিশ ঘণ্টা কেটে গেছে
০৩. কয়েদখানায় বসে লিখছি
০৪. হ্যারি কিলারের নৃশংসতায়
পরের পর্ব :
০৬. অতি তুচ্ছ সৌজন্য
০৭. চওড়ায় আড়াইশো গজ কারখানা এলাকা
০৮. বারজাক মিশন ছেড়ে আসার পর
০৯. বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়ে
১০. নিঃসীম হতাশায় ভেঙে পড়ল অভিযাত্রীরা
১১. ভেতর থেকে সদর দরজা খোলার পদ্ধতি
১২. হঠাৎ শ্ৰীমতীর আগমন
১৩. কিসের এত শব্দ
১৪. পরিষ্কার বুঝল জেন

গল্পের বিষয়:
অনুবাদ
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত