নাইজারের বাঁকে: ০৩. দেহমন দুইই ভেঙে পড়েছে বৃদ্ধ লর্ডব্লেজনের

নাইজারের বাঁকে: ০৩. দেহমন দুইই ভেঙে পড়েছে বৃদ্ধ লর্ডব্লেজনের

০৩. দেহমন দুইই ভেঙে পড়েছে বৃদ্ধ লর্ডব্লেজনের

দেহমন দুইই ভেঙে পড়েছে বৃদ্ধ লর্ডব্লেজনের। প্লেনর কাসলের অধিবাসী তিনি। কিন্তু এখানে আর থাকতে মন চাইছে না। মুখ দেখাতে পারছেন না লজ্জায় ! আকাশচুম্বী সুনাম ধূলিসাৎ হয়ে গেছে তার। চব্বিশ ঘণ্টাই দরজা বন্ধ করে নিজের ঘরে বসে থাকেন। কারও সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ নেই।

অথচ পূর্বপুরুষদের নাম-যশ, শৌর্য বীর্য, অটুট রেখে এই লর্ড ব্লেজনই নৌবাহিনীর অতি উচু পদে আরোহণ করেছিলেন ষাট বছর আগে। দেশের জন্যে যার পূর্বপুরুষরা, তাদের উপযুক্ত বংশধরই হতে পেরেছিলেন এডোয়ার্ড অ্যালান ব্লেজন। ইংল্যান্ডের দেশপ্রেমের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে ব্লেজন পরিবারের নাম। অথচ এহেন পরিবারের মুখেই চুনকালি দিল হতভাগারা, বলেন আর দীর্ঘশ্বাস ছাড়েন তিনি।

বাইশ বছর বয়েসে বিয়ে করেছিলেন লর্ডব্লেজন। বছর খানেক পরেই একটি কন্যাসন্তান জন্মগ্রহণ করে তার। এর বিশ বছর পরে হয় একটি ছেলে। আরও পাঁচ বছর পরে আরেকটি ছেলে এবং প্রসবকালে মারা যান লেডী ব্লেজন।

শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়েন ব্লেজন। শেষে আত্মীয়-স্বজনের অনুরোধে আর ঘর রক্ষার কারণে নৌবাহিনীরই এক সহকর্মীর বিধবা স্ত্রীকে বিয়ে করেন তিনি। কপর্দকশূন্য স্ত্রীটি কিন্তু একেবারে খালি হাতে আসেননি; সঙ্গে নিয়ে আসেন তার ষোলো বছরের ছেলেকে। নাম উইলিয়াম।

কয়েক বছর পরেই দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরে আর একটি মেয়ে হয় ব্লেজনের। নাম রাখেন জেন। এরপরেই আবার বিপত্নীক হন তিনি। বয়েস তখন ষাটের কাছাকাছি। এই বয়েসে আর বিয়ে করার কোন মানে হয় না। তাই ছেলেমেয়েদের মানুষ করার কাজে মন দেন তিনি।

অনেক আগেই বিয়ে হয়ে গেছে বড় মেয়ের। দুই ছেলে আর ছোট মেয়েকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলায় মন দিলেন ব্লেজন। সৎ ছেলে উইলিয়ামকেও এই নজরে দেখলেন। কিন্তু আঘাত দিল তাকে সৎ ছেলে।

কিছুতেই ব্লেজন পরিবারের সঙ্গে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পারল না উইলিয়াম। ওকে মানুষ করার যথেষ্ট চেষ্টা করেছেন ব্লেজন। নিজের ঔরসজাত ছেলেমেয়ের সঙ্গে উইলিয়ামেরও যত্নের কোন তফাৎ রাখেননি, কিন্তু তবু হলো না। ভেতরে ভেতরে একটা চাপা বিদ্বেষ, বৈরীভাব পুষে রাখল সে মনে।

অসৎ সঙ্গ জোটাল উইলিয়াম। জুয়া খেলা শিখল। কিন্তু টাকা পায় কোথায়? রহস্যটা ফাঁস হলো একদিন। বিপুল অঙ্কের একটা ব্যাংক ড্রাফট এসে পৌঁছল ব্লেজনের কাছে। তারই সই নিখুঁত ভাবে জাল করা রয়েছে ড্রাফটে।

সবই বুঝলেন ব্লেজন। একটি কথা না বলে ব্যাংকের পুরো পাওনা মিটিয়ে দিলেন। কিন্তু এবারে আর ক্ষমা করলেন না, বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিলেন উইলিয়ামকে। ব্লেজন পরিবারের উপর আক্রোশ আরও বেড়ে গেল উইলিয়ামের। বের করে দেবার সময় তাকে কিছু টাকা দিতে চাইলেন ব্লেজন। কিন্তু নিল না উইলিয়াম, সৎ বাপের মুখের ওপর টাকাগুলো ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে গট গট করে বেরিয়ে গেল বাড়ি থেকে। উধাও হয়ে গেল কোথায়।

দিন যায়। বাপের নাম রাখল বড় ছেলে জর্জ ব্লেজন। সেনাবাহিনীতে যোগ দিল। অনেক উপরে উঠে গেল নিজের দক্ষতায়। চারদিকে দ্রুত সুনাম ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে, ঠিক এই সময় একদিন খবর পাওয়া গেল, বিদ্রোহী হয়ে উঠেছে জর্জ। দলবল নিয়ে ডাকাতি লুটতরাজে মন দিয়েছে। শেষ পর্যন্ত বিদ্রোহ দমন করতে সৈন্য পাঠানো হলো। মারা গেল জর্জ কামানের গোলায়। তাকে মারতে পাঠানো অফিসারেরও মৃত্যু হলো সেই সাথে।

যথাসময়ে খবর এসে পৌঁছল ইংল্যান্ডে। ছি ছি পড়ে গেল। গরম ভাষায় সম্পাদকীয় লিখে চলল খবরের কাগজগুলো। কাটতি বেড়ে গেল রাতারাতি দুইগুণ, তিনগুণ। কান দুটো যেন খসে পড়ে গেল লর্ড ব্লেজনের। ঘরে বন্দী করে রাখলেন তিনি নিজেকে। ছেলের এই অপকীর্তির পর আর সমাজে মুখ দেখানো যায় না।

বাবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আফ্রিায়য় পাড়ি জমাল ছোট মেয়ে জেন ব্লেজন। কেন, কোন্ অঞ্চলে যাচ্ছে সে, শুনলে নিশ্চয়ই চমকে উঠতেন ব্লেজন। কিছুতেই যেতে দিতেন না। তাই তাকে সত্যি কথা কিছুই বলল না জেন।

ব্লেজনের বড় মেয়ের ছেলে এজনর দ্য সেন্ট বেরেন। তার ছোট খালা জেনের চাইতে পনেরো বছরের বড়। মাছ ধরার সাংঘাতিক নেশা। দারুণ অন্যমনস্ক আর নারীজাতির প্রতি তীব্র বিতৃষ্ণা। কিন্তু নানার মন জয় করতে পেরেছিলেন কুৎসিত দর্শন এই নাতিটা। নানা বিয়ের কথা বললেই প্রতিবাদ করেন, বিয়ে করে কি হবে শুনি? বৌয়ের কাদুনী আমি একদম সইতে পারব না। ওগুলোকে বিশ্বাস আছে নাকি?

পরিবারের সবাই ভালবাসে এজনরকে। তার মিষ্টি স্বভাবের জন্যে। আর

জেনের সঙ্গে তো তার ভীষণ ভাব। জেনকে ধরতে গেলে মানুষই করেছেন তিনি। তাকে হাত ধরে হাঁটতে শিখিয়েছেন। বড় হলে সঙ্গে করে নিয়ে বেড়াতে বেরিয়েছেন। এদিকে এজনরকে ছাড়া জেনেরও চলে না। যেহেতু বয়েসে বড় তাই সম্পর্কটা উল্টে তাকেই মামা বলে ডাকে।

তাই বলে সব সময় নয়। দাবড়ানি দেয়ার দরকার হলেই মামা পরিণত হয়ে যান বোনপোতে, আর ভাগ্নী খালায়। খেপে গেলে খালাকে রীতিমত ভয় পান এজনর।

এইতো সেদিন এজনরকে ডেকে বলল জেন, মামা, ভাইয়ার ব্যাপারটা কি বলো তো?

কে? জর্জের কথা বলছিস?

হ্যা।

খবরদার জেন। সাবধানে এদিক ওদিক চাইলেন এজনর, এ বাড়িতে ও নাম উচ্চারণ করিসনে। নানা শুনলে আস্ত রাখবেন না।

কেন শুনি? কি তার অপরাধ?

আমি বলতে পারব না সেকথা।

বলেই ঘর থেকে বেরিয়ে যাবার জন্যে উঠে দাঁড়ালেন এজনর। খেপে গেল জেন। চেঁচিয়ে পেছন থেকে ডাকল, এজনর!

খালা? ঘুরে দাঁড়ালেন এজনর।

যাবে না বলছি! তাহলে তোমার সাথে আর কোন সম্পর্ক নেই আমার। জলদি বলো, কি জানো?

খালাকে চটানো উচিত মনে করলেন না এজনর। ফিরে এসে জর্জের সমস্ত কাহিনী শোনালেন জেনকে।

নরম হয়ে এল জেন, বলল, মামা?

বলো।

সত্যিই অন্যায় করেছে ভাইয়া, কি করে নিশ্চিত হলে?

দেশসুদ্ধ লোক জানে…

কি করে জানল?

কেন, তাকে বন্দী করে আনতে অফিসার পাঠানো হলো না? সেও মরল, জর্জও মরল।

কিন্তু এতে কি প্রমাণ হয়? আমি বলছি কি জানো, মামা, আসলে ভাইয়া ছিল একেবারে নির্দোষ। তার মত লোক অমন কাজ করতেই পারে না। সবই লোকের মিথ্যে রটনা। এমন কি বাবাও তার নিজের ছেলেকে চিনতে পারেননি।

কিন্তু… কোন উত্তর দিতে না পেরে আমতা আমতা করতে লাগলেন এজনর।

কোন কিন্তু নেই, মামা, ভাইয়া নির্দোষ।

হয়তো নির্দোষ, কিন্তু প্রমাণ করবি কি করে?

গেলেই পাওয়া যাবে।

গেলে! কোথায়?

আর কোথায়? যেখানে কবর দেয়া হয়েছে ভাইয়াকে।

আফ্রিকায়!

হ্যা, আফ্রিকায়। কবর খুঁজলেই পাওয়া যাবে সব প্রমাণ, আমি নিশ্চিত। তাছাড়া ভাইয়ার সঙ্গের দুএকজন লোক নিশ্চয়ই বেঁচে আছে। তারা সত্যি ঘটনা বলবে।

তা না হয় বলবে, কিন্তু যাবে কে?

তুমি যাবে।

আমি! হাজার মাইল পেরিয়ে আফ্রিকায়…

হাজার মাইলেরও বেশি।

অসম্ভব!

তাহলে আমিই যাব।

তুই!

হ্যাঁ, আমি, উঠে চলে গেল জেন।

এরপর থেকে এজনরের সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিল জেন। সবই বুঝলেন। এজনর। যেচে এসে জেনের সঙ্গে আফ্রিকায় যাবার কথা উত্থাপন করলেন কিন্তু চুপ করে রইল জেন, উঠে চলে গেল সেখান থেকে। ছোট খালা রেগে গেছে দেখে আফ্রিকা অভিযানের কষ্টকে আর গ্রাহ্য করলেন না এজনর। ঠিক করলেন, যাবেন। রাগ ভাঙলে জেন জানিয়ে দিল, সেও যাবে সঙ্গে। না, এজনরের কোন আপত্তি শুনবে না সে।

ভূগোলের ছাত্রী জেন। পৃথিবীর দুর্গম অঞ্চলগুলো সম্পর্কে এমনিতেই ভাল জ্ঞান আছে। তাইয়ের নিরুদ্দেশ হবার পর থেকে আফ্রিকা, বিশেষ করে জর্জকে যেখানে মারা হয়েছে বলে অনুমান করা হয় সেই অঞ্চল সম্বন্ধে আরও গভীর ভাবে পড়াশোনা করছে। এমন কি ওখানকার বামবারা ভাষা পর্যন্ত শিখেছে। এজনর যেতে রাজি হতেই তাকেও জোর করে শিখিয়েছে ভাষাটা। লোভও দেখিয়েছে অবশ্য। বলেছে, নাইজার নদীতে প্রচুর মাছ পাওয়া যায়, ওখানে বড়শি ফেলার আশায় দিন রাত হাঁ করে থাকে মাছেরা। টোপ লাগেই না, খালি বড়শি লুফে নেয় এবং ওই মাছ কোথায় পাওয়া যায়, জানে শুধু জঙলীরা। ওদের সঙ্গে কথা বলতে হলে বামবারা ভাষাটা শিখতেই হবে। ভূগোলের কিছুই জানেন না এজনর। খালার কথা বিশ্বাস করলেন, কষ্ট করে শিখেই ফেললেন শেষ পর্যন্ত ভাষাটা।

এবার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র জোগাড়ের পালা। জঙলীদের বশ করার নতুন ফন্দী বের করেছে জেন। অস্ত্রশস্ত্রের ওপর খুব একটা ভরসা নেই তার। জঙলীদের উপহার দিয়ে বশ মানানোর জন্যে সঙ্গে নিল রঙিন পুতির মালা, রুমাল, ফিতে, বোতাম, পেন্সিল, পুরানো বাজে বন্দুক ইত্যাদি। অভিযানের প্রয়োজনে নিল ওষুধপত্র, অস্ত্রশস্ত্র, টেলিস্কোপ, কম্পাস, তাঁবু, ম্যাপ, রান্নার জিনিসপত্র, প্রচুর পরিমাণে খাবার ইত্যাদি। এজনর সারাদিন বাজারে বাজারে ঘুরে কিনে আনলেন ডজনখানেক বিভিন্ন সাইজের ছিপ, প্রচুর পরিমাণে সুতো, বড়শি আর মাছ ধরার অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্ৰী।

মুচকে হাসল জেন। বলল, কিনলে তো, মামা, গেলে মাছও মিলবে, কিন্তু তাঁবুতে আনতে পারবে তো?

কেন, কেন? কেন পারব না? জঙলীরা-ছিনিয়ে নেবে? প্ৰায় আঁতকে উঠলেন।

আরে না না, সেজন্যে নয়। যা ভুলো মন তোমার। হয়তো ছিপ ফেলে ওপারের হরিণের দিকে হাঁ করে তাকিয়ে রইলে। এদিকে টোপ খেয়ে ছিপ সুদ্ধই নিয়ে চলে গেল মাছে, তোমার খেয়াল নেই। কিংবা মাঝে মাঝেই যেমন হয়, হয়তো দয়া উথলে উঠল তোমার। মাছ ধরে আবার ছেড়ে দিয়ে চলে এলে। তাহলেই তো মাছ খাওয়া হলো। ওই বিদেশ বিভুঁয়ে জলে-জঙ্গলে তো আর তোমার সঙ্গে নদীর পাড়ে বসে থাকতে পারব না আমি।

আরে না না। ভয় নেই। মাছ ধরে ছেড়ে দেয়ার অভ্যেস নেই আর আমার এখন, অভয় দিলেন এজনর।

সে হলেই ভাল। মুচকে হেসে উঠে কাজ করতে চলে গেল জেন।

সমস্ত জিনিসপত্র কিনে তৈরি হয়ে নিয়ে বাবার কাছে বিদায় নিতে গেল জেন। জানালার ধারে বসে দূরে দিগন্তের দিকে তাকিয়ে আছেন লর্ড ব্লেজন। মেয়ের আফ্রিকা যাবার কথা শুনলেন চুপচাপ। কোন ভাবান্তর দেখা গেল না তাঁর মধ্যে। প্রায়ই দেশে বিদেশে ঘুরে বেড়ায় মেয়ে, ভূগোল শিক্ষার প্রয়োজনে। সঙ্গে অবশ্যই এজনর থাকেন। বাধা দেন না ব্লেজন, আজও দিলেন না। হয়তো দিতেন, যদি জানতেন কি ভয়ঙ্কর বিপদের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে মেয়ে।

তুই তো যাচ্ছিস, এজনর, নাকি? পাশে বসা নাতিকে জিজ্ঞেস করলেন ব্লেজন।

আমি না গেলে চলে কি করে? সেটা আবার জিজ্ঞেস করছ!

ঠিক আছে, ঠিক আছে যা; তুই সঙ্গে গেলে আমার কোন চিন্তা নেই, বলেই আবার দিগন্তে চোখ ফেরালেন।

বাবাকে আর বিরক্ত না করে বেরিয়ে এল জেন। সঙ্গে সঙ্গে এজনরও।

স্টেশনে গাড়ি ছাড়বে, হঠাৎ হাঁ হাঁ করে উঠলেন এজনর খালা, এ ট্রেনে কিছুতেই যাওয়া চলে না।

কেন, কি হলো আবার, এজনর? অবাক হলো জেন।

না, কিছু না, আমতা আমতা করতে লাগলেন এজনর। মানে, মানে আমার ছিপগুলো ফেলে এসেছি কিনা ভুলে…

হো হো করে হেসে উঠল জেন। বলল, শুরুতেই এই অবস্থা! এবারে আর মাছের মুখ দেখব না, বোঝাই যাচ্ছে। চলো, নামি।

বড় ভাইয়ের বদনাম ঘোচাতে, বাড়ি থেকে দুর্গম যাত্রায় রওনা হলো জেন। কিন্তু তখন কি সে ঘূণাক্ষরেও কল্পনা করতে পেরেছিল, যে কদিন পরেই ডাকাতদলের সঙ্গে ছোট ছেলের যোগসাজসের কথা শুনে পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হবেন তার বাবা লর্ড ব্লেজন?

আগের পর্ব:
০১. শহরের সবকটা দৈনিকের প্রথম পৃষ্ঠায়
০২. ফেঞ্চগিনির রাজধানী মানে কোনাক্রি অঞ্চলে
পরের পর্ব :
০৪. অদ্ভুত প্রবন্ধটা
০৫. বারজাক মিশন
০৬. লা এক্সপ্যানসন ফ্রাঁসে পত্রিকায়
০৭. আমিদী ফ্লোরেন্সের নোট বই থেকে
০৮. সিকাসো থেকে রওনা দেবার পর
০৯. পাহারাদারদের জিজ্ঞেস করে
১০. পরিষ্কার বুঝতে পারছি বিপদে পড়েছি
১১. স্তব্ধ হয়ে বসে রইল বারজাক মিশনের সদস্যরা
১২. কাদৌ গ্রামের মোড়লের সাহায্যে

গল্পের বিষয়:
অনুবাদ
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত