১৬. ডক্টর ক্লবোনির বুদ্ধির জোরে
ডক্টর ক্লবোনির বুদ্ধির জোরে অভিযাত্রীরা এযাত্রা রক্ষা পেল। ভালুকের মাংস খেয়ে সবাই হারানো শক্তি ফিরে পেতে লাগল। আলটামন্ট কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তিনি বললেন, পরপয়েজে পৌঁছতে আর মাত্র দুদিনের পথ। এবার নতুন উদ্যমে যাত্রা শুরু হল।
ডক্টর কিন্তু একটা ব্যাপার লক্ষ্য করে শঙ্কিত হয়ে পড়লেন। তিনি যেন দিব্যদৃষ্টিতে স্পষ্ট দেখতে পাঁচ্ছেন ক্যাপ্টেন ও আলটামন্টের সংঘাত। কথাটা তিনি জনসনকে না বলে পারলেন না। ডক্টর জনসনকে প্রশ্ন করলেন, বল তো, আলট্যমন্ট মেরুর অত কাছে কি উদ্দেশ্যে গিয়েছিল?
জনসন অত প্যাঁচঘোচ বোঝে না। সে বলল, কেন, আলটামন্ট তো বললেন হিমশিলা জাহাজকে টেনে নিয়ে গেছে ওখানে।
ডাহা মিথ্যা কথা বলেছে আলটামন্ট! দেখনি, কথাটা বলার সময় ওর ঠোঁটে কেমন বাঁকা বিদ্রুপের হাসি লেগেছিল! আসলে আলটামন্টও মেরু অভিযানে বের হয়েছে। অর্থাৎ, আলটামন্ট এখন ক্যাপ্টেন হ্যাটেরাসের প্রতিদ্বন্দী।
যাই হোক, পথে সেদিন আর তেমন কিছু ঘটল না। ডক্টর নানান মজার কথা বলে পথ চলার ক্লান্তি অনেকটা কমিয়ে দিলেন। পরদিন শনিবার। অভিযাত্রীরা আশেপাশের পরিবেশে কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ্য করতে লাগল। বরফের টুকরোগুলো মিষ্টি জলের। বোঝা যাচ্ছে ধারেকাছেই স্থলভাগের দেখা মিলবে।
ওরা যতই পথ পার হচ্ছে ডক্টর ততই উত্তেজিত হয়ে পড়ছেন। নতুন ভূখন্ডের মানচিত্র একে ফেলার এক প্রচন্ড নেশা চেপে ধরেছে তাকে। তিনি একের পর এক এঁকে চলেছেন নতুন দেশ, নতুন সমুদ্র, নতুন নদী। এভাবেই কেটে গেল আরও একটা দিন। পরদিন ডক্টরের রান্না করা সুস্বাদু খাবার খেয়ে শুরু হল ওদের যাত্রা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্লেজে শুয়ে থাকা আলামন্টের উত্তেজনাও বেড়ে চলেছে। অন্যেরাও চরম উত্তেজনায় পথ চলছে আর সামনের দিকে কি যেন খুঁজে বেড়াচ্ছে। অবশেষে ওদের খোঁজাখুজির অবসান হল। বেলা দুটোর দিকে আলটামন্ট স্লেজ থেকে উঠে দাঁড়িয়ে দূরে একটা বিরাটাকার বরফ স্তুপের দিকে আঙুল উঁচিয়ে বললেন, ওই যে পরপয়েজ!
আলটামন্ট না দেখিয়ে দিলে ওরা পরপয়েজের হদিস পেত কিনা সন্দেহ! বরফে জাহাজটা পুরোপুরি ঢেকে রয়েছে। দেখলে মনে হয় প্রকান্ড এক হিমশিলা! সামনে এসে সবাই দেখল, জাহাজটা কাৎ হয়ে পড়ে আছে। মাস্তুল-গলুই সব বরফে ঢাকা। তলাটা ফেসে গেছে। প্রায় পনেরো ফুট বরফ কেটে তারপর ওরা জাহাজের ভাড়ার ঘরে পৌঁছল। ভাড়ার ঘরের মজুদ দেখে ওরা আনন্দে আটখানা হয়ে পড়ল। খাবার দাবার, রসদপত্র যা আছে তা দিয়ে অনায়াসে বছর দুই কাটানো যাবে। সাঁঝের আঁধার নেমে আসছে দেখে জাহাজের বাইরে চলে এল ওরা। তলা-ফাসা পরপয়েজে রাত কাটানো নিরাপদ নয়। তাই যথারীতি বাইরেই ইগলু বানিয়ে থাকতে হবে ওদের। সেদিনের মত ভালুকের মাংসের শেষটুকু দিয়ে রাতের খাবার খেয়ে নিলেন ডক্টর ও অন্যান্যরা।
পরদিন সকালে উঠে আর একবার জাহাজের ভেতরে ভাল করে সবকিছু দেখে নিয়ে ওরা বেরিয়ে পড়ল আশপাশটা ভাল করে দেখবার জন্যে। আলটামন্ট সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠেননি বলে তাকে জাহাজে শুইয়ে রাখা হল।
ডক্টরের মাথায় নিত্য নতুন খেয়াল চাপে। এবার ইগলু নয়, বসবাসের জন্যে বরফের প্রাসাদ বানাবেন তিনি। অনেক কষ্ট হয়েছে এবার একটু আয়েশ করা যাক। অনেক খোঁজাখুঁজির পর প্রাসাদ বানাবার উপযোগী সুন্দর একটা জায়গা পাওয়া গেল। দূরে প্রায় পাঁচশো ফুট উঁচু এক পাহাড়ের পাদদেশ ঘেঁষে প্রায় দুশো ফুট সমতল অঞ্চল। ডক্টর তার বরফ প্রাসাদ বানাবার জন্যে এ জায়গাটাই বেছে নিলেন। শুরু করে দিলেন কাজ। সবাই মিলে তিনদিনের মধ্যেই অক্লান্ত পরিশ্রম করে ওই জায়গার বাড়তি বরফ পরিষ্কার করে ফেলল। প্রাসাদের নকশাও ইতিমধ্যে তৈরি করে ফেলেছেন ডক্টর। প্রাসাদটি হবে লম্বায় চল্লিশ ফুট, চওড়ায় কুড়ি আর উচ্চতায় দশ ফুট। তিনটে ঘর হবে। প্রথমটা রান্নার, মাঝেরটা আড্ডা মারার আর শেষেরটা শোবার। ডক্টরের উৎসাহে সবার ভেতরেই নতুন উদ্দীপনার সৃষ্টি হল। মাত্র পাঁচ দিনেই তৈরি হয়ে গেল বরফ প্রাসাদ। প্রাসাদের দরজা জানালা সবই বরফের তৈরি। ঘরে আলো আসার জন্যে জানালার মত করে দেয়ালে স্বচ্ছ বরফের পাত লাগানো হল। এস্কিমোরা এভাবেই ইগলুতে আলোর মুখ দেখতে পায়। কিন্তু এতে ঠান্ডা বাতাস চলাচলের কোন ঝামেলা থাকে না। পরপয়েজ থেকে আসবাবপত্র এনে সাজানো হল ঘরগুলো। এরই ফাকে বরফ প্রাসাদ নির্মাণ সম্পর্কে ডক্টর একটা গল্প বললেন। তিনি বইতে পড়েছেন, ১৭৪০ সালে সেন্ট পিটার্সবার্গে সম্রাজ্ঞী অ্যানের জন্যে তৈরি করা হয়েছিল একটা বরফ প্রাসাদ। রাজা-রাজড়াদের খেয়াল-প্রাসাদের সবকিছুই বরফের তৈরি হতে হবে। আর হলও তাই। প্রাসাদে ছিল ছয়টা কামান। সেই কামানগুলো, এমনকি তার গোলাও ছিল বরফের তৈরি। শুধু কি তাই, প্রাসাদের খাট-পালঙ্ক, চেয়ার-টেবিল, বিছানা, ড্রেসিং-টেবিল এমনকি ঘড়িটি পর্যন্ত বরফের!
ডক্টরের গল্প কৌতুকের মধ্যে দিয়েই আর একটা দিন পার হয়ে গেল। প্রাসাদের কাজও সব শেষ। এল ৩১ মার্চ। ইস্টার সানডে। ঘরে বসে গল্পগুজবে কেটে গেল পুরো দিনটা। পরদিন সকালে আবার কাজ শুরু হল। ভাড়ার ঘর এবং বারুদ ঘর তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল সবাই। প্রাসাদের বাইরে বেশ খানিকটা দূরে ফাঁক ফাঁক করে দুটো ঘর তৈরি করা হল। উত্তরেরটা ভাঁড়ারের ঘর আর দক্ষিণেরটা বারুদ ঘর। পরপয়েজ থেকে সমস্ত মালপত্র এনে দুই ঘরে ভরা হল। তারপর কুকুরদের জন্যে তৈরি হল আর একটা ঘর। তবে ডাক কিন্তু অন্য কুকুরদের সঙ্গে থাকতে চাইল না। ওর স্থান হল প্রধান প্রাসাদেই।
ঘরদোর তৈরির কাজ শেষ হতেই ডক্টর এবার পুরো প্রাসাদের চারদিক জুড়ে পাঁচিল দিতে লেগে গেলেন। বরফের প্রাকার দিয়ে তিনি এমনভাবে চারদিক ঘিরে দিলেন-যেন পুরো এলাকাটাই একটা দুর্ভেদ্য দুর্গ! এই এলাকায় যদিও কোন মানুষ বাস করে না কিংবা এস্কিমোদের উৎপাতও নেই। তবুও ডক্টর এত কষ্ট করে। পাঁচিল দিলেন এই ভেবে যে, যদি কোন হিংস্র জন্তুর দল আক্রমণ করে তবুও সাত ফুট পুরু বরফের দেয়াল ভাঙতে পারবে না। মন থেকে অহেতুক ভয় দূর হল সবার কাজে সাফল্য দেখে ডক্টর নিজেই নিজেকে বাহবা দিলেন, চমৎকার হয়েছে। ঠিক এমনটিই হওয়া প্রয়োজন ছিল।
প্রাসাদ বানানো এবং সেটাকে সুরক্ষিত করার কাজে ডক্টর সফল হলেও দুই ক্যাপ্টেনের মধ্যেকার ঠান্ডা লড়াই মিটিয়ে ফেলার ব্যাপারে কিছুই করতে পারছেন না তিনি। ডক্টর যেন দিব্যচোখে দেখতেই পাঁচ্ছেন, ক্যাপ্টেন ও আলামন্টের মধ্যে বড় ধরনের কোন সংঘাত। এর কারণ অবশ্য এক ঘর মে দো পীর গোছের। এরা দুজনেই ক্যাপ্টেন, দুজনেরই অহমবোধ পুরো টনটনে। একজন ব্রিটিস, অন্যজন আমেরিকান। এই দুই জাতির জাতিগত শ্রেষ্ঠত্বের রেষারেষি আজকের নয়। সুতরাং কেউ কারও তোয়াক্কা করেন না। ক্যাপ্টেন বা আলটামন্ট কেউ কারও সঙ্গে ভদ্রতার খাতিরেও কোন কথা বলেন না। ডক্টর পড়েছেন মহা ঝামেলায়। কেননা, কিছু হলে সামলাতে হবে যে তাকেই!
ডক্টর মোটামুটি আনুষ্ঠানিকভাবেই বরফ প্রাসাদে গৃহ প্রবেশ অনুষ্ঠান করলেন ১৪ এপ্রিল। এ উপলক্ষে বিশেষ খানাপিনার ব্যবস্থা করা হল। মজাদার খাবারের পর ডক্টর প্রস্তাব দিলেন তারা এখন যে জায়গায় আছেন সেই জায়গা এবং তার আশেপাশের সবকিছুর নামকরণ করা যাক।
ডক্টরের প্রস্তাব সবারই মনে ধরল। প্রথমেই ক্যাপ্টেন তাদের বাড়িটার নাম দিলেন-ডক্টর হাউস। এ নামে কারও আপত্তি থাকার কথা নয়। সবাই একবাক্যে ক্যাপ্টেনের নামকরণে সম্মতি জানাল। আলটামন্টও এই নামকরণ খুশি মনে মেনে নিলেন। মেনে না নেয়ার কোন কারণই নেই। কেননা বরফ প্রাসাদের স্রষ্টা ডক্টর ক্লবোনি। তাছাড়া ডক্টরের বিচক্ষণ বুদ্ধির জন্যেই আজও সবাই বেঁচে আছে। ডক্টর হাউস নামকরণের পরই শুরু হল বিপত্তি। ক্যাপ্টেন এবার বললেন, এই দৈশ বা ভূখন্ড যাই বলুন না কেন এটার একটা নাম দেয়া যায়। আমাদের আগে আর কোন মানুষ এখানে আসেনি…।
ক্যাপ্টেনের কথা শেষ না হতেই আলটামন্ট রুখে দাঁড়ালেন। জোর গলায় তিনি বলে উঠলেন, „আপনার কথা ঠিক নয়, ক্যাপ্টেন। আপনার আগে কোন মানুষ না এসে থাকলে পরপয়েজ জাহাজ এল কি করে?
মিছে তর্কে মেতে উঠলেন দুই প্রতিদ্বন্দ্বী। ডক্টর এঁদেরকে ছেলেমানুষি ঝগড়া থেকে বিরত করার চেষ্টা করলেন। বললেন, আমরা কথা বলছি এ জায়গার নামকরণ নিয়ে, অন্য কোন প্রসঙ্গে নয়।
তা ঠিক! এ জায়গার নামকরণ আগেই করা হয়েছে, আলটামন্ট বললেন।
সঙ্গে সঙ্গেই হ্যাটেরাস বিদ্রুপের সুরে বলে উঠলেন, কে করেছে নামকরণ, আপনি?
অবশ্যই। আমিই তো আগে এসেছি এই ভুখন্ডে।
তা তো এসেছেন ঠিকই। কিন্তু, আমরা আপনাকে উদ্ধার না করলে বিশ ফুট বরফের নিচেই মরে পড়ে থাকতে হত, সে কথা কি এরই মধ্যে ভুলে গেলেন?
মানলাম, কিন্তু আমি না থাকলে সবাইকে যে না খেয়ে শীতে জমে মরতে হত, সে কথাও কি নতুন করে বলতে হবে?
ডক্টর দেখলেন, এখনই যদি এই বিতর্ক না থামানো যায় তাহলে কখন যে বিশ্রী কিছু একটা ঘটে যাবে কে জানে! তিনি বললেন, এ কি শুরু করেছেন আপনারা, ক্যাপ্টেন? আলটামন্ট যে এ ভূখন্ডে আগে এসেছেন সেটা সবাই জানে। আর উনি যদি কোন নাম দিয়েই থাকেন তাহলে সেটা মেনে নিতে হবে বৈকি! কি নাম দিয়েছেন আপনি, আলটামন্ট?
নিউ আমেরিকা।
নাম শুনেই ক্যাপ্টেনের রক্ত টগবগ করে উঠল। কিন্তু ডক্টরের ভয়ে আলটামন্টকে কিছু বলতে সাহস পেলেন না। তবে তাড়াতাড়ি বলে উঠলেন, ঠিক আছে, আলটামন্ট তো শুধু দেশটার নাম দিয়েছে। আমি ওই উপসাগরের নাম দিচ্ছি ভিক্টোরিয়া বে।
ক্যাপ্টেনকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে তক্ষুণি আলটামন্ট বলে উঠল, তাহলে ওই অন্তরীপটার নাম হোক কেপ ওয়াশিংটন।
ডক্টর কাউকে কোন সুযোগ দিতে চান না। সুযোগ পেলেই ক্যাপ্টেন ও আলটামন্ট গন্ডগোল বাধাবে। তাই একনাগাড়ে নাম দিয়ে চললেন, দূরের ওই দ্বীপের নাম হোক, জনসন আইল্যান্ড। জনসন কিছুটা আপত্তি করতে চাচ্ছিল। কিন্তু ডক্টর সেদিকে ভ্রূক্ষেপ না করে বলে চলেছেন, পশ্চিমের পাহাড়টা হোক বেল মাউন্ট। আর এই দুর্গের নাম হোক দৈব দুর্গ। দৈব যদি আমাদের সহায় না হত তাহলে ওয়াশিংটন কিংবা ভিক্টোরিয়া কারও কি সাধ্য ছিল আমাদের এখানে আনে?
অকাট্য যুক্তি ডক্টরের। সবাই মেনে নিল তার দেয়া নাম। এমনকি আলটামন্টও উল্লাসে সমর্থন জানালেন ডক্টর ক্লবোনির প্রতি। সমাপ্তি ঘটল দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর সাময়িক তর্ক-বিতর্কের।
নির্মিত হয়েছে সুরক্ষিত দৈব দুর্গ। নামকরণ হয়েছে নতুন ভূখন্ডের, উপসাগর এবং অন্যান্য জিনিসের। অভিযাত্রীদের দিন কেটে যাচ্ছে নিত্য নতুন অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে।
আগের পর্ব:
০১. লিভারপুল হেরাল্ডের ছোট্ট এক খবর
০২. সমুদ্রে যাত্রার সব আয়োজনই প্রায় শেষ
০৩. জাহাজ সমুদ্রে ভাসতেই সবকিছু স্বাভাবিক
০৪. নানান ঝড় ঝাপটার মধ্যে দিয়ে
০৫. ডক্টর ক্লবোনি অনিশ্চিত অবস্থায়
০৬. ক্যাপ্টেনকে তার কেবিন থেকে বেরুতে দেখে
০৭. ফরওয়ার্ডের ক্যাপ্টেনকে পেয়ে সবারই খুশি
০৮. জাহাজ যতই এগিয়ে চলছে
০৯. জাহাজের পরিস্থিতি থমথমে
১০. প্রতিদিন শীতের প্রকোপ ক্রমেই বাড়ছে
১১. প্রথমদিনেই বিশ মাইল পথ
১২. অশান্তি, অসন্তোষ চারদিক থেকে ঘিরে ধরেছে
১৩. বিশাল বরফ প্রান্তর
১৪. আবার নতুন করে যাত্রা শুরু হল
১৫. ডক্টর আর জনসন ভালুকটার মাংস কেটে
পরের পর্ব :
১৭. ডক্টর ক্লবোনির মাথায় নিত্য নতুন খেয়াল
১৮. সময় আর কাটতে চায় না
১৯. হঠাৎ করেই যেন প্রকৃতি বদলে গেল
২০. হরিণ ও খরগোসের নির্ভয় ছুটাছুটি দেখে
২১. মেরু অভিযাত্রীদের নৌকা
২২. এই সেই উত্তর মেরু-ক্যাপ্টেন হ্যাটেরাস
২৩. এত বড় বিজয়ের গৌরবে
২৪. ডক্টরের সেবা শুশ্রুষা