ক্যাপ্টেন হ্যাটেরাস: ০১. লিভারপুল হেরাল্ডের ছোট্ট এক খবর

ক্যাপ্টেন হ্যাটেরাস: ০১. লিভারপুল হেরাল্ডের ছোট্ট এক খবর

০১. লিভারপুল হেরাল্ডের ছোট্ট এক খবর

লিভারপুল। ৫ এপ্রিল। ১৮৬০ সাল।

লিভারপুল হেরাল্ডের ছোট্ট এক খবর সবার মনোযোগ কেড়ে নিল। পরদিন অর্থাৎ ৬ এপ্রিল ফরওয়ার্ড জাহাজ নিউ প্রিন্স ডক থেকে অজ্ঞাত যাত্রায় নোঙর তুলছে।

প্রতিদিন এমন কত জাহাজ আসে যায় কে তার খোঁজ রাখে? যে যার কাজে ব্যস্ত। কোন জাহাজ ছাড়ল আর কোন জাহাজ বন্দরে ঢুকল তা নিয়ে কেউ তেমন মাথা ঘামায় না। অথচ ৬ এপ্রিল নিউ প্রিন্স ডক লোকে লোকারণ্য। চার মাইল লম্বা ডকে সারি সারি জাহাজ। ওগুলোর দিকে খেয়াল নেই, লোকে এসে ভিড় করেছে ফরওয়ার্ড জাহাজের সামনে। লোকজন আসছে তো আসছেই। দূর-দূরান্ত থেকে বাসে, ট্রাকে, সাইকেলে এমনকি হেঁটেও এসেছে লোকে, আসছে এখনও। কি যেন এক রহস্য ঘিরে আছে জাহাজটিকে।

ফরওয়ার্ডে তোলা হয়েছে পাঁচ-ছয় বছর চলার মত প্রয়োজনীয় খাবার দাবার, কয়লা, সীলের চামড়া দিয়ে তৈরি পোশাক, ওষুধপথ্য ইত্যাদি যা যা প্রয়োজন সব। জাহাজটি এঞ্জিনেও চলে আবার পালে চলারও ব্যবস্থা আছে। বিশাল পাল। তাই দেখে পাশের জাহাজের নাবিকেরা ধারণা করে নিল এটা সম্ভবত উত্তর মেরুর দিকে রওনা হবে। অথচ আশ্চর্য ব্যাপার ফরওয়ার্ড জাহাজের নাবিকেরাই জানে না তারা কোথায় যাচ্ছে। পাঁচ গুণ মাইনে অগ্রিম পেয়ে কেউই টু শব্দটিও করছে না! সবাই ক্যাপ্টেনের আদেশে নোঙর তোলার অপেক্ষা করছে।

কিন্তু আশ্চর্য, ফরওয়ার্ডের ক্যাপ্টেনের কোন পাত্তাই নেই! জাহাজের মেট হিসেবে কাজ করছে রিচার্ড শ্যানডন। ক্যাপ্টেন হবার সব যোগ্যতা আর বিচক্ষণতা তার আছে। অত্যন্ত আকর্ষণীয় বেতনের লোভে শ্যানডন এসেছে মেট হিসেবে।

প্রচুর টাকা ব্যয় করে মজবুতভাবে ফরওয়ার্ডকে তৈরি করিয়েছে শ্যানডন। নিউ ক্যাসল-এর কারখানা থেকে বিশেষভাবে তৈরি হয়েছে ১২০ অশ্ব শক্তির এঞ্জিন। ডেকে বসানো হয়েছে ষোলো পাউন্ড গোলা নিক্ষেপের কামান। এছাড়াও জাহাজে তোলা হয়েছে হাজার হাজার রকেট, সিগন্যাল বাতি, বিরাট বিরাট করাত, প্রচুর বারুদ, অদ্ভুত সব যন্ত্রপাতি এবং আরও কত কি! এ যেন এক রণযাত্রা। এ সমস্ত আলামত দেখেই ফরওয়ার্ডকে নিয়ে লোকজনের জল্পনা-কল্পনার অন্ত নেই। সবচাইতে আলোচনা জাহাজের একটি কুকুরকে নিয়ে। সবাই বলছে ক্যাপ্টেন নাকি আসলে ওই কুকুরটিই, এ জন্যেই ফরওয়ার্ডের সমুদ্র যাত্রার কথা শুনে এত হাজার হাজার লোক ছুটে এসেছে ডকে।

কিন্তু কথা হল, জাহাজটা যাচ্ছে কোথায়?

রহস্যের সূত্রপাত আটমাস আগে। হঠাৎ একদিন অদ্ভুত একটা চিঠি পেল রিচার্ড শ্যানডন। চিঠিটা এরকম:

রিচার্ড শ্যানডন,

অ্যাবারডিন,

লিভারপুল।

২ আগস্ট, ১৮৫৯

ফ্রেন্ড,

আপনার জন্যে মাকুয়ার্ট কোম্পানির ব্যাংকে ষোলো হাজার পাউন্ড জমা দেয়া হয়েছে। এ চিঠির সঙ্গে আমার সই করা অনেকগুলো চেকের পাতা পাঠাচ্ছি। আপনার প্রয়োজন মত যে-কোন সময়ে যে-কোন অঙ্কের টাকা তুলতে দ্বিধা করবেন না। আমি আপনার অপরিচিত হলেও আপনি আমার পরিচিত। আপনার অভিজ্ঞতা এবং অন্যান্য সবকিছু সম্পর্কেই আমি অবগত আছি। আর সেজন্যেই আপনাকে ফরওয়ার্ড জাহাজের চীফ অফিসার হবার জন্যে অনুরোধ জানাচ্ছি। আপনার সম্মতি থাকলে বেতন হিসেবে পাবেন পাঁচশো পাউন্ড। প্রতি বছর পঞ্চাশ পাউন্ড করে বাড়বে আপনার মাইনে।

তবে একটি কথা। ফরওয়ার্ড জাহাজ এখনও তৈরিই হয়নি। চিঠির সঙ্গে দেয়া প্ল্যান অনুযায়ী জাহাজ আপনাকেই বানিয়ে নিতে হবে। আমাদের অভিযানটা হবে বিপদসঙ্কুল এবং অনেক বছরের। সুতরাং সবদিক বিবেচনা করে বেছে বেছে পনেরো জন কর্মচারী নিয়োগ করবেন। আপনি এবং আমি মিলে হব ১৭ জন। আর একজন আসবেন আমাদের সহযাত্রী ডক্টর ক্লবোনি। তিনি সময় মত জাহাজে পৌঁছে যাবেন। সব মিলিয়ে আমরা হব ১৮ জন অভিযাত্রী।

নাবিকদের সবাইকে অবশ্যই অবিবাহিত এবং ইংরেজ হতে হবে। মদ টদ খাওয়া একেবারেই চলবে না। শক্ত-সমর্থ ভাল স্বাস্থ্য হতে হবে সবারই। নাবিকদের প্রচলিত মাইনের চেয়ে অনেক বেশি টাকা দেবার প্রস্তাব রাখবেন। বছরে বছরে ওদের মাইনে বাড়বে শতকরা দশ ভাগ। অভিযান শেষে সবাই পাঁচশো, পাউন্ড করে বোনাস পাবে আর আপনি পাবেন দুহাজার পাউন্ড।

আমার প্রস্তাবে সম্মত হলে-কে. জেড., পোস্ট-রেস্তানডে, গ্যেটবার্গ, সুইডেন এই ঠিকানায় আপনার সম্মতি-পত্র দেরি না করে পাঠিয়ে দিন।

আপনি এই অভিযান পরিচালনার প্রাথমিক গুরু দায়িত্ব পালনে রাজি থাকলে, ১৫ ফেব্রুয়ারি একটি বিরাটাকার ডেনিশ কুকুর ফরওয়ার্ডে উঠবে। কুকুরটির খাওয়া-থাকা, পরিচর্যা তদারকের কাজটিও আপনাকে করতে হবে। কুকুরটির প্রাপ্তি ইটালির পোস্টমাস্টারের ঠিকানায় জানাতে হবে। আর যে কথাটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ-প্রয়োজন দেখা দিলেই কেবল আমাকে আপনার পাশে পাবেন। জাহাজ চলবে আপনার নির্দেশে এবং আপনি চালাবেন আমার লিখিত নির্দেশে।

শুভ কামনায়,

(স্বাক্ষর) কে, ফরওয়ার্ডের ক্যাপ্টেন।

অত্যন্ত অভিজ্ঞ নাবিক এই রিচার্ড শ্যানডন। তার বৈচিত্র্যময় নির্ঝঞ্চাট জীবনে অসংখ্যবার নানান অস্বাভাবিক পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে সে। বিয়ে করেনি বলে সংসারেও কোন ঝামেলা নেই। সেজন্যেই কে. জেডের চিঠি পেয়ে সে মোটেও অবাক হল না। হল না উত্তেজিত। বরং খুশিই হল অজানার পথে পা বাড়াবার হাতছানি পেয়ে।

চিঠিটা কোন দুষ্ট লোক খামোকা হয়রানি করবার জন্যে লিখল অথবা কোন বন্ধু-বান্ধবের কারসাজি কিনা পরখ করে দেখার জন্যে আর সময় নষ্ট না করে শ্যানডন সোজা গিয়ে হাজির হল মাকুয়ার্ট ব্যাংকে। অভিজ্ঞ মন যদিও বলছিল এ প্রস্তাব সত্যি, মিথ্যা নয়। ব্যাংকে গিয়ে দেখল সত্যি সত্যিই তার নামে ১৬ হাজার পাউন্ড জমা রয়েছে। তাহলে আর দেরি কিসের? তক্ষুণি ব্যাংকে বসেই চিঠি লিখে কে. জেডকে জানিয়ে দিল তার সম্মতির কথা।

কাজের লোক শ্যানডন। একটি মুহূর্তও নষ্ট করতে চায় না সে। সোজা চলে গেল পরিচিত এক জাহাজ নির্মাণের কারখানায়। পরের দিন থেকেই শুরু হয়ে গেল ফরওয়ার্ড জাহাজ তৈরির কাজ।

শ্যানডনের বয়স চল্লিশ হলেও কাজের উদ্যম দেখে কিছুতেই মনে হবে না তার বয়স কুড়ি-পঁচিশের বেশি। যেমন নিজে খাটে তেমনি অন্যকেও খাটাতে জানে। তার তদারকিতে পুরোদমে কাজ এগিয়ে চলল।

জাহাজ নির্মাণ শুরু হল। এবার লোক বাছাইয়ের পালা। প্রথমেই সেকেন্ড মেট হিসেবে শ্যানডন নিয়ে এল জেমস ওয়ালকে। জেমসের বয়স মাত্র তিরিশ। কিন্তু বহুবার উত্তরের অভিযানে গিয়ে সে এখন একজন ঝানু নাবিক। কাজ ছাড়া কিছুই বোঝ না। ভ্রমণের নেশাও রক্তে মিশে আছে। তাই এক কথায় রাজি হয়ে গেল সে। জিজ্ঞেসও করল না কোথায় যেতে হবে।

ডেক অফিসার হিসেবে বাছাই করা হল জনসনকে। তারপর তিনজন মিলে খুঁজে বের করল অন্যান্যদের। কয়েকগুণ বেশি মাইনের লোভ আছে ঠিকই, কিন্তু কোথায় যেতে হবে জানতে না পারায় রাজি হতে চায় না নাবিকরা। তবুও শেষ পর্যন্ত প্রয়োজন মত শক্ত সমর্থ নাবিক খুঁজে পাওয়া গেল। একটা ব্যাপারে শ্যানডন বেশি লক্ষ্য রেখেছিল। নাবিকেরা সবাই যেন প্রোটেস্ট্যান্ট অর্থাৎ একই ধর্মমতের হয়। কারণ সমুদ্র যাত্রায় বিপদের সময় সমবেত প্রার্থনা অনেক সাহসের সঞ্চার করে এবং বিপদ এড়াতেও সাহায্য করে। সে কারণে এসব ক্ষেত্রে সবাই এক ধর্মমতের হওয়া ভাল। লোকজন বাছাই শেষ হতেই রিচার্ড শ্যানডন কেনাকাটা শুরু করে দিল। রাজ্যের জিনিসপত্র কিনতে হবে। খাবার-দাবার, জামা-কাপড়, যন্ত্রপাতি, গোলাবারুদ এবং আরও অনেক কিছু। এরই ফাঁকে ফাঁকে জাহাজ কারখানায় গিয়ে জাহাজ নির্মাণের তদারকি করে আসে। উল্টানো তিমি মাছের মত পাঁজরা বার করা আকৃতিতে তৈরি হচ্ছে জাহাজটা।

২৩ জানুয়ারির সকাল। অন্যান্য দিনের মত ফেরিতে চড়ে জাহাজ কারখানার দিকে যাচ্ছে শ্যানডন। সাংঘাতিক কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না। কম্পাসের উপর নির্ভর করে নৌকা চালাতে হচ্ছে। মাত্র দশ মিনিটের পথ হলেও প্রচুর সময় নিচ্ছে। খুব ধীর গতিতে এগোচ্ছে ফেরি। হঠাৎ শ্যানডন লক্ষ্য করল এই ঘন কুয়াশার মাঝেও এক ভদ্রলোক তার দিকে এগিয়ে আসছে। ভদ্রলোক যদিও একটু বেঁটে এবং মোটা তবুও বুদ্ধিদীপ্ত চেহারা, রসিক চোখ এবং আচরণের মাধুর্য দেখলেই পরিচিত হতে ইচ্ছে করে।

ভদ্রলোক কোন ভূমিকা না করেই, সোজা এসে শ্যানডনের হাত নিজের হাতের মুঠোয় তুলে নিলেন। একনাগাড়ে দ্রুত কথা বলছেন ভদ্রলোক। অনর্গল কি যে বলে গেলেন প্রথমে কিছুই বুঝল না শ্যানডন। নীরবে পর্যবেক্ষণ করে চলল ভদ্রলোককে। ধীমান ব্যক্তিদের মত ছোট ছোট চোখ। চেহারাই বলে দেয় দৃঢ় আত্মশক্তি তার। কিন্তু কে হতে পারেন এই ভদ্রলোক? হঠাৎ একটা নাম মনে এল শ্যানডনের। ঝড়ের বেগে কথা বলার ফাঁকে যেইমাত্র শ্বাস নেবার জন্যে থেমেছেন ভদ্রলোক, অমনি সুযোগ পেয়ে শ্যানডন প্রশ্ন করল, আপনি কি ডক্টর ক্লবোনি?

অবশ্যই! বলে আবার কথার তুবড়ি ছোটালেন ডক্টর ক্লবোনি, আমি তো ভেবেছিলাম কমান্ডার রিচার্ড শ্যানডন বলে আদৌ কেউ নেই। সবই মিছে হয়রানি। পনেরো মিনিট ধরে আপনাকেই খুঁজছি, কমান্ডার। আর পাঁচ মিনিট খোঁজার পর ধরে নিতাম আমার পরিশ্রমই বৃথা হল। যাক, আপনাকে দেখে কি যে আনন্দ হচ্ছে। তা বলে বোঝাতে পারব না।

একটা কথা, ডক্টর, শ্যানডন কিছু বলতে চেষ্টা করল। কিন্তু কে কার কথা শোনে।

ক্লবোনি বলেই চলেছেন, আমাদের যাত্রা তাহলে শুরু হচ্ছে?

তবে, ডক্টর–

কোন কথা নয়! মাঝপথ থেকে ফিরে আসা চলবে না। যেতে আমাদের হবেই।

ডক্টর–

আপনাকে দেখে আমি আশ্বস্ত হয়েছি। সাহসী নাবিক আপনি।

আমার একটা প্রশ্ন–

এ ধরনের অভিযানে আপনি যোগ্য ব্যক্তি। ক্যাপ্টেন নিঃসন্দেহে উপযুক্ত লোক। খুঁজে পেয়েছেন।

ক্যাপ্টেন হয়ত ঠিকই করেছেন। কিন্তু আমার একটি প্রশ্ন ছিল।

একটি কেন? একশোটা প্রশ্ন করুন না!

আপনি কিভাবে জড়ালেন এই অভিযানে?

ওহ, এই কথা! একটি কাগজ পকেট থেকে বের করে এগিয়ে দিলেন ডক্টর ক্লবোনি। অতি সংক্ষিপ্ত চিঠি:

ডক্টর ক্লবোনি,

ইনভারনেস, লিভারপুল।

২২ জানুয়ারি, ১৮৬০।

ফ্রেন্ড,

ফরওয়ার্ড জাহাজে করে যদি অজানা পথে সমুদ্র যাত্রায় আগ্রহী হন, তাহলে, কমান্ডার রিচার্ড শ্যানডনের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

(স্বাক্ষর) কে. জেড.

ফরওয়ার্ডের ক্যাপ্টেন।

ক্লবোনি জানালেন মাত্র কিছুক্ষণ আগে তিনি পেয়েছেন চিঠিটা। কিন্তু কোথায় যেতে হবে তা জানেন না।

ক্লবোনি বলে চলেছেন, কোথায় যেতে হবে জেনেই কি লাভ? জানার আগ্রহ আছে, দেখার ইচ্ছে আছে তাই বেরিয়ে পড়তে চাই। লোকে ভাবে আমি কত বড় জ্ঞানী। কত কিছু জানি! আসলে কিছুই জানা হয়নি, শেখা হয়নি, দেখা হয়নি। আর তাই যখনই সুযোগ পাই, বেরিয়ে পড়ি সমুদ্রে। ঝালিয়ে নেই ইতিহাস, ভূগোল, ভূতত্ত্ব, রসায়ন, খনিজ, উদ্ভিদ, পদার্থ, যন্ত্র, ডাক্তারী, সার্জারি ইত্যাদি বিদ্যা।

শ্যানডন বুঝে ফেলেছে এই লোক একটি আস্ত জ্ঞানের ভান্ডার। তাই জানতে চাইল, কিন্তু ডক্টর, আমরা কোনদিকে, কোথায় যাচ্ছি?

যেদিকে গেলে দেখা হবে অনেক নতুন দেশ, বিভিন্ন জাতির মানুষ, তাদের বিস্ময়কর রীতিনীতি, আচার আচরণ। আর তাই যেতে হবে উত্তর দিকে।

কথা বলতে বলতে ফেরি নৌকা এসে থামল জাহাজ কারখানার কাছে। নেমে পড়ল দুজনে। ফরওয়ার্ড জাহাজের পাজরা বার করা গড়ন দেখে দারুণ খুশি হলেন ক্লবোনি। এ জাহাজের ডাক্তার হিসেবে নিয়োগের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে তাকে।

মাত্র পঁচিশ বছর বয়সেই ডাক্তার হয়েছিলেন ক্লবোনি। চল্লিশ পার হতে না হতেই নানা বিষয়ে অগাধ পান্ডিত্য লাভ করলেন। রহস্যময় ফরওয়ার্ড জাহাজে চাকরি নিয়ে অজ্ঞাত যাত্রায় রওনা হচ্ছেন শুনে বন্ধু-বান্ধবেরা অনেকে বাধা দিয়েছিল। তাতে ক্লবোনির জেদ আরও চেপে যায়! পারেন তো এক্ষুণি জাহাজ জলে ভাসান।

৫ ফেব্রুয়ারি জাহাজ নামানো হল পানিতে। ১৫ ফেব্রুয়ারি এডিনবারা থেকে সেই বিরাটাকার ডেনিশ কুকুর জাহাজে এসে পৌঁছুল। অদ্ভুত এই কুকুরটির আচরণ। চোখ দুটো দেখলেই শরীর কেমন যেন করে ওঠে। জাহাজের নাবিকেরা কিন্তু প্রথম দর্শনেই কুকুরটিকে অপছন্দ করে বসল।

পরের পর্ব :
০২. সমুদ্রে যাত্রার সব আয়োজনই প্রায় শেষ
০৩. জাহাজ সমুদ্রে ভাসতেই সবকিছু স্বাভাবিক
০৪. নানান ঝড় ঝাপটার মধ্যে দিয়ে
০৫. ডক্টর ক্লবোনি অনিশ্চিত অবস্থায়
০৬. ক্যাপ্টেনকে তার কেবিন থেকে বেরুতে দেখে
০৭. ফরওয়ার্ডের ক্যাপ্টেনকে পেয়ে সবারই খুশি
০৮. জাহাজ যতই এগিয়ে চলছে
০৯. জাহাজের পরিস্থিতি থমথমে
১০. প্রতিদিন শীতের প্রকোপ ক্রমেই বাড়ছে
১১. প্রথমদিনেই বিশ মাইল পথ
১২. অশান্তি, অসন্তোষ চারদিক থেকে ঘিরে ধরেছে
১৩. বিশাল বরফ প্রান্তর
১৪. আবার নতুন করে যাত্রা শুরু হল
১৫. ডক্টর আর জনসন ভালুকটার মাংস কেটে
১৬. ডক্টর ক্লবোনির বুদ্ধির জোরে
১৭. ডক্টর ক্লবোনির মাথায় নিত্য নতুন খেয়াল
১৮. সময় আর কাটতে চায় না
১৯. হঠাৎ করেই যেন প্রকৃতি বদলে গেল
২০. হরিণ ও খরগোসের নির্ভয় ছুটাছুটি দেখে
২১. মেরু অভিযাত্রীদের নৌকা
২২. এই সেই উত্তর মেরু-ক্যাপ্টেন হ্যাটেরাস
২৩. এত বড় বিজয়ের গৌরবে
২৪. ডক্টরের সেবা শুশ্রুষা

গল্পের বিষয়:
অনুবাদ
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত