স্ত্রী যখন বান্ধবী: ১৫. স্বামীর কাজে বিরক্ত না হওয়ার উপায়

স্ত্রী যখন বান্ধবী: ১৫. স্বামীর কাজে বিরক্ত না হওয়ার উপায়

১৫. স্বামীর কাজে বিরক্ত না হওয়ার উপায়

স্বামীর কাজের সঙ্গে যে কোনো স্ত্রীরই বিশেষ একটা মনোভাব জড়িত থাকা খুবই স্বাভাবিক। বিশেষত, স্বামীর কাজের সময় নিয়ে অসুবিধার যেটা সৃষ্টি হয় সেটা হল স্বামীর কাজের নির্দিষ্ট থাকে না তার স্ত্রীর কাছে। হয়তো এমন পুরুষকে আপনি বিয়ে করেছেন যার কাজের বেশির ভাগ সময় কাটে বাড়িতে। এসব ক্ষেত্রে আপনার দিক থেকে বিরোধিতা যেমন থাকবে, তেমন একটা আপসের মনোভাব নিয়েও আপনাকে চলতে হবে।

স্বামীর প্রতি যথেষ্ট অনুরাগ থাকলে সুন্দরভাবেই পরিস্থিতির মোকাবিলা করা যায়। এ বাপারে একটা উদাহরণ দিচ্ছি।

ক্যাথারিন গিল্লিস হলেন ডন গিল্লিসের স্ত্রী। ডন গিল্লিস হলেন একজন বিখ্যাত সিম্ফনি কনসার্টের রচয়িতা। তিনি এন. বি. মি. সিম্ফনির জনক। সঙ্গীতের প্রবাদ পুরুষ সঙ্গীত বিশারদ আর্থার ফিডলার আর অন্যান্য কনসার্ট ও ডন গিল্লিসের সঙ্গীত কাজে লাগানো হয়। এই ডন গিল্লিস কিন্তু তার বেশির ভাগ সঙ্গীতই রচনা আর সম্পাদনা করেন নিজের বাড়িতে বসেই। নিজের আলাদা পাঠাগার থাকা সত্ত্বেও গিল্লিস কিন্তু খাওয়ার টেবিলে বসে কাজ করতে পছন্দ করেন।

স্ত্রী ক্যাথারিন খুব শান্ত চরিত্রের মহিলা বলে স্বামীর কোনো কাজেই আপত্তি করেন না।

ক্যারিন গিল্লিস নিজেদের বাড়িতে কাজ আর বিশ্রাম এই দুইয়ের সংমিশ্রণে গড়ে তুলেছেন নিজেকে। স্বামীর কাজকর্ম, খাওয়া-দাওয়ার দিকে তিনি তীক্ষ্ণ নজর রাখেন, বাড়ির সব খরচের হিসাব নিকাশের ব্যাপারেও তিনি লক্ষ্য রাখেন। সাংসারিক সমস্ত কাজটাই মিসেস গিল্লিসের পূর্ণ এক্তিয়ারভুক্ত। এ কাজে তিনি প্রচুর আনন্দ পান। তিনি বলেন, কোনোভাবে যদি এ কাজে একবার আত্মনিয়োগ করা যায়, তাহলে কাজটা শুধু যে সহজ হয় তা নয় প্রচুর আনন্দও পাওয়া যায়। আমি ডনকে বোধ হয় হারিয়ে ফেলতাম সে যদি সারাদিন কোনো স্টুডিওতে কাজে ব্যস্ত থাকতো। সারাদিন তাকে কাছে পাওয়ায় আমি অবস্থার সঙ্গে চমৎকার ভাবেই নিজেকে খাপ খাইয়ে নিয়েছি। আমি লক্ষ্য করে দেখেছি, কতগুলো সাধারণ নিয়ম যদি মানা যায় তাহলে স্বামীর কাজে সাফল্যজনক ভাবে সাহায্য করা কোনো শক্ত কাজ নয়।

মিসেস ক্যাথারিন গিল্লিস নিম্নে কয়েকটি নিয়মের উল্লেখ করেন :

১। স্বামীকে যতদূর সম্ভব সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের মধ্যে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে, আপনার সহায়তায় আপনার স্বামী কতখানি সন্তুষ্ট, নিজের কাজে আপনার স্বামী কতটা আত্মনিয়োগ করতে পারছেন।

২। খেয়াল রাখতে হবে, পাওনাদারদের ডাকাডাকিতে স্বামীর কাজে যেন বাধা সৃষ্টি না হয়। এদের সামলানো আপনারই কর্তব্যের অঙ্গ হওয়া উচিত। মনে করতে হবে, স্বামী কাজের তাগিদে যেন বাড়িতে নেই।

৩। কোনো কারণে সহজে বিপর্যন্ত হওয়া মনোভাব বদলানোর চেষ্টা ঠিক নয়। স্বামীর কাজ যদি সুচারুভাবে সম্পন্ন না হয় তাহলে তিনি বিরক্ত হতে পারেন। এই অবস্থায় শান্ত হয়ে স্বামীর মনোভাব পরিবর্তনের চেষ্টা করা উচিত।

৪। কোনো সময় যদি বাড়িতে কোনো সামাজিক উৎসব করার প্রয়োজন হয়, সেটা এমন ভাবে করতে হবে যাতে স্বামীর কাজকর্মের ব্যাঘাত না জন্মায়।

৫। ছেলেমেয়েদের খেলাধুলার ব্যাপারেও আপনাকে নজর রাখতে হবে। স্বামীর সঙ্গে পরামর্শ করে কাজের সময় ঠিক করতে পারেন। মনে রাখতে হবে, আপনাদের দুজনেরই কর্তব্য সন্তানদের সঠিক পদ্ধতিতে পালন করা।

উপরের এই পাঁচটি নিয়ম সম্পর্কে এইটুকু বলা যায় যে, কার্যক্ষেত্রে এগুলো ফলপ্রসূ হবেই।

গল্পের বিষয়:
অনুবাদ
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত