ক্যাসিনো রয়্যাল: ১৫. চিঠিটা জাল

ক্যাসিনো রয়্যাল: ১৫. চিঠিটা জাল

১৫. চিঠিটা জাল

বন্ডের কোনো সন্দেহ নেই যে, চিঠিটা জাল।

আর দেরি না করে একলাফে নিজের গাড়িতে উঠে স্টার্ট দিল বন্ড। গেটের বাইরে এসে বা দিকে যেতেই লাফিয়ে উঠল গাড়ি। হ্যাঁ, আন্দাজেই শত্রুর পিছু নিতে হবে। সি বিচের দিকে রাস্তাটা ধরা যাক। হেডলাইট জ্বেলে যেন এক বিরাট গুহার মধ্যে আধমাইল লম্বা আলো ফেলে গাড়ি ছুটে চলেছে।

বন্ডের ধারণা, সিত্রোটা ওই পথ দিয়েই গেছে। কারণ, ধোঁয়া আর ধুলো উড়ছে। সমুদ্রের কুয়াশার মধ্য থেকেই যেন ফগ হর্নের আওয়াজ আসছে। গাড়ির স্পিড বাড়াতে বাড়াতে বন্ড ভাবছিল, ভেসপার মেয়েটা একেবারে বোকা। পাঠাবার আর লোক পেল না এম! তাছাড়া মেয়ে সহকারী নিয়ে কাজ করতে গেলে এরকম উটকো ঝামেলায় পড়তেই হয়।

শত্রুপক্ষ ভেসপারকে কেন কিডন্যাপ করেছে, সেটাও বোঝা সহজ–চার কোটি টাকার চেকটা দাও, নয়তো মেয়েটার জান যাবে। অবশ্য বন্ড এসব ভাওতায় ভুলছে না। আগে ওদের গাড়িটাকে ধরতেই হবে, গুলির উত্তরে গুলি ছুড়তে হবে। তাতে মেয়েটার ভাগ্যে যা আছে হবে। বন্ডের গাড়ির স্পিড এখন ঘন্টায় একশো দশ-কুড়ির মধ্যে।

ড্যাশ বোর্ডের নীচ থেকে ৪৫ লং ব্যারেল কোল্ট আর্মি স্পেশালটা বের কবল বন্ড। অন্তত একশো গজ দূর থেকে শত্রুপক্ষের গাড়ির টায়ার বা পেট্রোল ট্যাঙ্ক ফুটো করতে পারবে।

এবার সামনে সিত্রো গাড়িটা চোখে পড়ল হেডলাইটের আলোয় গাড়ির ভেতরটা দেখা যাচ্ছে। তিনজন পুরুষ এবং একটি মেয়ে দেখা যাচ্ছে। ল্য শিফ নিজে ড্রাইভ করছে। এইবার সেই ছড়ি হাতে লোকটাকেও দেখা গেল। পিছনের সিটে রিভলবার হাতে একটি রোগা লোক, তার পাশেই ভেসপার। ওর স্কার্টটা ওপরে টেনে দুই উরু বস্তার মতো বেঁধে রাখা হয়েছে। মাথাও কাপড় দিয়ে মোড়া, খালি পা।

সামনে কাঁচা রাস্তা। গাড়ির স্পিড কমাল বন্ড।

সামনের গাড়ির ভিতর সাসপেন্স! ল্য শিফ অর্ডার দিল–জাস্ট নাউ।

তৎক্ষণাৎ ঝনঝন শব্দ! ল্য শিফ বলল–হিট হিম।

গাড়ি থেমে গেল। রিভলবার হাতে তিনজন একটা ঝোপের কাছে এগিয়ে গেল। একজনের হাতে একটা বিশাল কালো গোলা। সেটা ছুটে আসছে।

আগের পর্ব :

০১. সারারাত ধরে জুয়া খেলা চলেছে
০২. দুসপ্তাহ কেটে গেল
০৩. রুশ বিরোধী বিষয়
০৪. হোটেল বিছানায় শুয়ে
০৫. বন্ড হোটেল থেকে বেরোল
০৬. ফুটপাত ধবে হাঁটছিল বন্ড
০৭. জুয়া শেষ হতে ভোর
০৮. আবার সাবধানী পর্যবেক্ষণ
০৯. কথাবার্তা জমে উঠেছে
১০. খেলা শুরু
১১. ল্য শিফের চোখের দৃষ্টি সাদা
১২. এখন কী করণীয়
১৩. ঘোষণা হল
১৪. ছোটো নাইট ক্লাব

পরের পর্ব :

১৬. বন্ড গাড়ি থামায়নি
১৭. এই ঘরটা বিরাট
১৮. চেতনাহীন হয়ে পড়েছিল প্রায় বন্ড
১৯. ঘুমের মধ্যে স্বপ্নের প্রকৃতি
২০. ক্রমশ সুস্থ হচ্ছে বন্ড
২১. ভেসপার রোজই নার্সিংহোমে আসত
২২. বন্ড এখন প্রায় পুরো সুস্থ
২৩. বন্ড ও ভেসপারের ঘরের মাঝখানে বাথরুম
২৪. সমুদ্রে স্নান
২৫. এখন হোটেল অন্ধকার
২৬. আরও তিনটে দিন
২৭. পরদিন সকালে যা ঘটল

গল্পের বিষয়:
অনুবাদ
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত