১১. ল্য শিফের চোখের দৃষ্টি সাদা
বন্ড তাকে সর্বক্ষণ লক্ষ করছিল। খোঁচা খোঁচা লালচে চুল। চওড়া ডিনার জ্যাকেট। এবার খেলায় বেশ রেষারেষি। সংখ্যাটা একটি, উত্তেজক ফিগার। কেউ আপশোশ করছে কেউ উল্লসিত, নানা কথাবার্তা চলছে। ড়ুপন্ট দম্পতি উৎসাহী। ল্য শিফের ডানপাশে লম্বা চেহারার লোকটার কাঠের মতো চেহারা, জ্বলজ্বলে চোখ। রেলিং-এর ওর হাতের মুভমেন্ট দেখে বন্ড বুঝল লোকটা গলাটিপে খুন করতে অভ্যস্ত। মাদক খায়। অন্য লোকটির চেহারা লোমশ জন্তুর মতো, হাতে লাঠি–আসলে গুপ্তি-জাতীয় কিছু আছে।
খেলা চলছে। ব্যাংকার হারছে।
ল্য শিফও সারাদিন হেরেছে। বাত একটার সময় বন্ড জিতেছে চল্লিশ লক্ষ। ফলে তার মোট মূলধন দুকোটি আশি লক্ষ। অতি সতর্ক হয়ে খেলছে সে। টেবিল ঘিরে সবাই চুপচাপ। ক্রুপিয়ের থেকে তার সংখ্যা ঘোষণা করে যাচ্ছে।
–এখন জমা হয়েছে চল্লিশ লক্ষ।
–আছি–বন্ড বলল।
এরপর আশি লক্ষ। বন্ড বলল— লেট আস গো অন্।
এবার ল্য শিফ জিতছে। বন্ডের হাতের তালু ঘর্মাক্ত।ল্য শিফের চোখে কৌতুক— আরও দম আছে? বন্ড বলছে–চলুক।
শেষবাজি! ক্লাইমেক্স!
সাবধানে দান দিল ল্য শিফ। শেষ তাস চার তুলে সে পৌঁছলো নয়ে।
বন্ড পরাস্ত! সর্বস্বান্ত। ফতুর!!
আগের পর্ব :
০১. সারারাত ধরে জুয়া খেলা চলেছে
০২. দুসপ্তাহ কেটে গেল
০৩. রুশ বিরোধী বিষয়
০৪. হোটেল বিছানায় শুয়ে
০৫. বন্ড হোটেল থেকে বেরোল
০৬. ফুটপাত ধবে হাঁটছিল বন্ড
০৭. জুয়া শেষ হতে ভোর
০৮. আবার সাবধানী পর্যবেক্ষণ
০৯. কথাবার্তা জমে উঠেছে
১০. খেলা শুরু
পরের পর্ব :
১২. এখন কী করণীয়
১৩. ঘোষণা হল
১৪. ছোটো নাইট ক্লাব
১৫. চিঠিটা জাল
১৬. বন্ড গাড়ি থামায়নি
১৭. এই ঘরটা বিরাট
১৮. চেতনাহীন হয়ে পড়েছিল প্রায় বন্ড
১৯. ঘুমের মধ্যে স্বপ্নের প্রকৃতি
২০. ক্রমশ সুস্থ হচ্ছে বন্ড
২১. ভেসপার রোজই নার্সিংহোমে আসত
২২. বন্ড এখন প্রায় পুরো সুস্থ
২৩. বন্ড ও ভেসপারের ঘরের মাঝখানে বাথরুম
২৪. সমুদ্রে স্নান
২৫. এখন হোটেল অন্ধকার
২৬. আরও তিনটে দিন
২৭. পরদিন সকালে যা ঘটল