মেয়েটি জানালার পাশে বসে এভিন্যুতে সন্ধ্যা নামা দেখছিল। তার মাথাটা জানালার পর্দার সঙ্গে ঠেস দেওয়া। তার নাসারন্ধে ধূলিধূসর ছাপার সুতি কাপড়ের গন্ধ লাগছে। সে ক্লান্ত।
কয়েকজন লোক রাস্তা দিয়ে গেল। শেষ বাড়িটার লোকটি এ পথ ধরে বাড়ি ফিরছিল। নতুন লালরঙের বাড়িগুলোর আগের কনক্রিটের পেভমেন্টের রাস্তা থেকে মেয়েটি তার পায়ের আওয়াজ শুনতে পেল। এক সময় সেখানে একটা মাঠ ছিল। সেখানে অন্যান্য ছেলেমেয়েদের সঙ্গে সন্ধ্যায় সে খেলাধুলো করত। তারপর বেলফাস্ট থেকে আসা একটি লোক মাঠটা কিনে নিয়ে সেখানে বাড়িগুলো তৈরি করে। বাড়িগুলো ধূসর রঙের মতো না। বাড়িগুলো রঙিন ইটের ঝকঝকে ছাদওয়ালা।
এভিন্যুটির মাঠে ছেলেমেয়েরা একত্রে খেলা করত। ডেভাইনস, ওয়াটারস, ডুনসদের বাড়ির ছেলে মেয়েরা আসতো। ছোট্ট কেওঘ নামের বাচ্চাটাও এসে দৌড়াদৌড়ি করত। তাদের সঙ্গে সে, তার ভাই ও বোনেরা ওই মাঠটাতে খেলাধুলো করত। সচারাচর কেওঘ তার সঙ্গীদের সতর্ক করার জন্য শব্দ করত। ইমেস্ট কিন্তু কখনোই তাদের সঙ্গে খেলতে আসত না, কারণ সে ছিল তাদের চেয়ে বয়সে বড়। মেয়েটির বাবা প্রায়ই তার কালো রঙের কাটাওয়ালা ছড়িটা হাতে নিয়ে মাঠটিতে আসত তাদেরকে বাড়ি নিয়ে যেতে। ছোট্ট কেওঘ তাকে আসতে দেখেই সাবধান করার জন্য শব্দ করত। বাবাকে দেখতে পেয়ে তারা বরং খুশিই হত। সে সময় তাদের বাবা ততটা খারাপ ছিল না।
তখন তাদের মা বেঁচে ছিল। সে অনেক দিন আগের কথা; মেয়েটি ও তার বোনেরা বড় হয়ে উঠলে তাদের মা মারা যায়। টিজি ডুনও মারা যায়। ওয়াটারদের পবিবার ইংল্যান্ডে চলে যায়। সব কিছুতেই পরিবর্তন আসে। তখন থেকে অন্যদের মত মেয়েটিও বাড়ির বাইরে যেত।
বাড়ি! মেয়েটি রুমের চারদিকে তাকিয়ে দেখল। সে পরিচিত জিনিসে চোখ বুলিয়ে ভাবল, অনেক বছর ধরে সে সপ্তাহে একবার করে তার প্রিয় জিনিসগুলোর উপর থেকে ধুলো ঝাড়ত। সে সময় সে ভেবে অবাক হত রাজ্যের ধুলো কেন যেন ওইগুলোর উপর জমতো।
সম্ভবত মেয়েটি আর কখনো তার ওই সমস্ত প্রিয় জিনিসগুলো নিয়ে স্বপ্ন দেখবে না। ওই বছরগুলোতে সে কখনো ধর্মযাজকের নামটি করত না। তার হলুদ রঙের ছবিটা ভাঙা হারমোনিয়ামের উপরে দেওয়ালে টানানো । তার পাশে মাগারেট মেরি আলকোইউ এর রঙিন কাগজে ছাপানো আর্শীবাদ বাণীও শোভা পাচ্ছিল। ধর্মযাজক তার বাবার স্কুল বন্ধু ছিল। তাদের বাড়িতে কোন নতুন কেউ এলে তার বাবা ছবিটা দেখিয়ে বলত, “তিনি এখন মেলবোর্নে বাসবাস করেন।”
মেয়েটি এক সময় বাড়িটি ছেড়ে চলে যেতে সিদ্ধান্ত নেয়। এ সিদ্ধান্ত কি সঠিক ছিল? মেয়েটি সব কিছু খতিয়ে দেখার চেষ্ট করেছিল। তার নিজের বাড়িতে আশ্রয় ও খাবার সবই ছিল। সে তার বাড়িতে ও দোকানে কঠিন পরিশ্রম করত। তার সম্বন্ধে তারা কী বলেছি, সে কি তার কোন সঙ্গীর সঙ্গে চলে গিয়েছিল? বলতে হয় মেয়েটি ছিল বোকা। সম্ভবত সে বিজ্ঞাপনের মোহে পড়েছিল। মিস গাভান খুশি হয়েছিল তাকে পেয়ে? তার প্রতি সে সব সময়ই উদার ছিল । বাড়ি ছেড়ে আসায় তার নিজের মধ্যে কোন প্রকার খেদ ছিল না। দূরের একটি অপরিচিত দেশের নতুন একটি বাড়িতে এসে সে কিন্তু কষ্টে ছিল না।
তারপর ইভেলিন নামের সেই মেয়েটির বিয়ের বয়স হয়েছিল। লোকজন তার সঙ্গে সম্মানজনক ব্যবহার করত। তার নিজের মাও তার সঙ্গে তেমন খারাপ ব্যবহার করত না। তার বয়স উনিশ বছর পেরোলে সে কিন্তু তার বাবার ভয়ে ভীত তাকত। তার বাবা মাঝেমধ্যে হাঙ্গামা করতো। বাবা হাঙ্গামা করলে ভয়ে হৃৎকম্পনের মতো অবস্থা মেয়েটির হত।
তারা বড় হয়ে উঠলে মেয়েটির বাবা কখনোই তাকে হ্যারি ও ইমেস্ট সঙ্গে মিশতে দিতে পছন্দ করতো না, কারণ সে হচ্ছে একজন মেয়ে, তার বাবা কিন্তু তাকে নিয়ে ভীত ছিল। সে মৃত মায়ের দোহাই দিয়ে মেয়েকে সাবধান করত। মেয়েটির সুরক্ষা দেওয়ার কেউ ছিল না। ইমেস্ট মারা গিয়েছিল। আর হ্যারি গীর্জা সুসজ্জিত করণের কাজ করে বেড়াত। সে কাজ করতে দেশের সব জায়গায়ই যেত।
শনিবারের রাতগুলোতে টাকার জন্য তার বাবা তুমুল ঝগড়াছাটি শুরু করত। এতে মেয়েটি বিরক্ত হত। মেয়েটি সব সময়ই তার পুরো বেতন সাত শিলিং বাবাকে দিত। আর হ্যারি যা পারত তাই পঠাতো। টাকা পাওয়ার পর তার বাবার কাছ থেকে আরো সমস্যার উদ্ভব হত। তার বাবা বলত মেয়েটি অপব্যয় করে টাকা উড়িয়ে দিচ্ছে। মেয়েটির মাথায় বুদ্ধিসুদ্ধি নেই।
সচরাচর শনিবার রাতে তার বাবা খারাপ আচরণ করত। তার বাবা টাকা পেয়ে সে তাকে জিজ্ঞাসা করত রবিবারের ডিনার কেনার ইচ্ছে তার আছে কিনা। বাবা তাগাদা দেওয়ায় মেয়েটি বাজারঘাট করার জন তাড়াতাড়িই বাইরে যেত। সে তার হাতে শক্ত করে চামড়ার কালো পার্সটা ধরে রাখতা। পথে চলার সময় জটলার মাঝ দিয়ে যেতে সে তার কঁনুই এগিয়ে ধরত। তারপর একসময় জিনিসপত্র কিনে বাড়ি ফিরত। মেয়েটিকে কঠিন পরিশ্রম করতে হত বাড়িটাকে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখা ছাড়াও তার জিম্মায় রাখা দুটো বাচ্চা সন্তানকে খাইয়ে দায়িয়ে নিয়মিত স্কুলে পাঠানোর কাজ ছিল। তার কষ্টের জীবনে এটা ছিল আর একটা কষ্টের কাজ। কিন্তু এখন সে তা ছেড়ে যাচ্ছিল। তাকে অনাকাঙ্ক্ষিত জীবন যাপন আর করতে হবে না।
ফ্রাঙ্কের সঙ্গে মেয়েটির নতুন ভাবে জীবনযাপন করার কথা। ফ্রাঙ্ক খুবই দয়ালু , দিলখোলা পুরুষ মানুষ। মেয়েটিকে তার স্ত্রী হিসাবে নাইট বোটে তার সঙ্গে বুয়েনোস আয়ার্স যাওয়ার কথা। সেখানে তার বাড়িটি মেয়েটির জন্য যেন অপেক্ষা আছে।
মেয়েটির বেশ মনে আছে ফ্রাঙ্কের সঙ্গে প্রথম দেখা হওয়ার কথা। ফ্রাঙ্ক মেইন রোডের ধারের একটা বাড়িতে লজিং থাকাকালে সে সেখানে যেত। সেটা তো কয়েক সপ্তাহ আগের কথা। ফ্রাঙ্ক গেটের কাছে দাঁড়িয়েছিল। মাথার পিকড ক্যাপটা তার মাথায় উল্টে করে পরা ছিল। তার মাথার চুলগুলো ক্যাপের পাশ দিয়ে বেরিয়ে ব্রোঞ্জের একটা মুখের উপর পড়েছিল। তারপর তাদের মধ্যে জনাশোনা হল। ফ্রাঙ্ক প্রত্যেক সন্ধ্যায় দোকানের বাইরে মেয়েটির সঙ্গে দেখা করার পর সে তার বাড়ি যেত। ফ্রাঙ্ক মেয়েটিকে দ্য বোহেমিয়ান গার্ল বইটি দেখাতে নিয়ে গিয়েছিল। মেয়েটি অনুভব করেছিল, সে থিয়েটার হলে অনভ্যস্থ ভঙ্গিমায় বসে আছে। গান বাজনা ফ্রাঙ্কের খুবই প্রিয় ছিল। লোকজন জানতো যে তাদের মধ্যে প্রণয় চলছে।
ফ্রাঙ্ক এক নাবিকের সঙ্গে যুবতী মেয়ের ভালবাসার গান গাইতো। ফ্রাঙ্কের আমেজ ভরা গান শুনে মেয়েটি বিভ্রান্ত হত। ফ্রাঙ্ক ঠাট্টা করে মেয়েটিকে পোপ্পেনস বলে ডাকত। প্রথম দিকে এই ডাক শুনে তার মধ্যে আমেজ দেখা দিত এই ভেবে সে একজন অন্তরঙ্গ সাথী পেয়েছে। তারপর থেকেই সে ফ্রাঙ্ককে পছন্দ করতে শুরু করে। ফ্রাঙ্ক দূরবর্তী দেশের গল্প বলত। সে কানাডার অ্যাল্লান জাহাজের মাসে এক পাউন্ড পারিশ্রমিকে ডেক বয় হিসাবে কাজ শুরু করেছিল। সে তাকে বিভিন্ন নামের জাহাজের বিভিন্ন কাজের গল্প বলত। সে ম্যাগেলিয়ান প্রণালী দিয়ে চলা জাহাজে এক সময় কাজ করতো। সে ভয়ঙ্কর পাটাগোনিয়ানদের গল্প বলত। এক সময় সে বুয়েনোস আয়ার্স এ পা রাখে, সে বলল।
অবশ্য মেয়েটির বাবা ফ্রাঙ্কের সঙ্গে মেলামেশার খবর জানত। সে তার মেয়েকে তার সঙ্গে কথা বলতে নিষেধ করেছিল। সে বলেছিল, “এই সব নাবিকদের আমি চিনি।” একদিন সে ফ্রাঙ্কের সঙ্গে ঝগড়াঝাটি করল। মেয়েটি গোপনে তার প্রেমিকের সঙ্গে মিলিত হল। একদিন এভিন্যুতে সন্ধ্যা গাঢ় হলে দুটো চিঠি তার কোলের উপর এসে পড়ল। একটা চিঠি হ্যারির আর একটা তার বাবার। এমেস্ট মেয়েটির প্রিয় ছিল। হ্যারিকেও সে পছন্দ করত। তার বাবা বৃদ্ধ হয়ে পড়লেন শেষমেশ। মেয়েটি লক্ষ্য করল, তার বাবা তাকে হারাবে। মাঝেমধ্যে সে ভাল ব্যবহার করত। বেশি দিনের কথা নয়, যখন মেয়েটি একদিন শুয়ে ছিল সেদিন তার বাবা তাকে ভূতের গল্প পড়ে শুনিয়েছিল আর তার জন্য টোস্ট আগুনে গরম করে এনে দিয়েছিল। আর একদিন যখন তার মা বেঁচে ছিল তখন একদিন হাওথ পর্বতে পিকনিক করতে গিয়েছিল। তার স্পষ্ট মনে আছে সে তার মা ও তাদেরকে নিয়ে আনন্দ করেছিল।
মেয়েটির সময় কেটে যেতে থাকলেও সে কিন্তু মাখাটা জানালার পর্দায় ঠেস দিয়ে জানালার পাশে বসত । তার নাকে ধুলোর গন্ধ সে পেত। এভিন্যুও নিচে বেশ দূরের রাস্তায় একটা অর্গানের বাজনা শুনতে পেত। সে জানতো প্রত্যেক গভীর রাতে বাতাস অদ্ভুত ভাবে বয়ে যেয়ে তাকে জানান দেয় তার মায়ের কাছে তার প্রতিজ্ঞার কথা। সে তার মায়ের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিল সে যতদিন পারে বাড়িটাকে একত্রিত রাখবে। তার মনে পড়ে তার মায়ের অসুস্থতার শেষ রাতের কথা। সে আবার হলরুমের অন্য পাশের বন্ধ অন্ধকার রুমের গেলে পারে সে ইতালির ম্যালানকোলি এয়ার। অর্গান বাদককে অন্যত্র যাওয়ার জন্য আদেশ করা হল। মেয়েটির মনে পড়ল তার বাবা সিকরুম থেকে বলছে: “ইতালিয়ান দানব! এখানে এসে হাজির হয়েছে!” সে প্রগাঢ় ভাবে ভাবল তার মায়ের দয়ালু মূর্তি। মেয়েটি কেঁপে উঠল এটা ভেবে সে যেন শুনতে পেল তার মায়ের সাদাসিদে কণ্ঠস্বর। মেয়েটি হঠাৎ করে আতঙ্কিত হয়ে উঠে দাঁড়াল। পালাও! সে অবশ্যই পালাবে! ফ্রাঙ্ক তাকে রক্ষা করবে। সে তার জীবন দান করবে। সম্ভবত তাকে ভালও বাসবে। মেয়েটি কিন্তু বেঁচে থাকতে চাইল। কেন সে অসুখী? সুখ লাভ করার অধিকার তার আছে। ফ্রাঙ্ক তার বাহু দুটোর মধ্যে টেনে নিয়ে বাহু বদ্ধ করে রাখবে। সে তাকে বাঁচাবে।
মেয়েটি নর্থ ওয়াল স্টেশনে অপেক্ষামান জনতার মাঝে মেয়েটি দাঁড়াল। ফ্রাঙ্ক তার হাত ধরলো। আর এতেই সে বুঝতে পারল ফ্রাঙ্ক যাওয়ার বিষয়ে তার সঙ্গে কথা বলছে। স্টেশন ঘাটটি সৈন্যতে পরিপূর্ণ। তাদের সঙ্গে ধূসর রঙের তল্পিতল্পা। শেডগুলোর চওড়া চওড়া দরজার ভেতর দিয়ে সে বোটের কালো বস্তু নজরে এল। তার মুখে কোন কথা নেই। সে এক সময় অনুভব করলো তার চিবুক ফ্যাকাশে ও ঠান্ডা হয়ে গেছে। সে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করলো তাকে সঠিক পথ দেখাতে। বোট থেকে হুইসেল বেজে উঠলো। সে ঈশ্বরের কাছে নীরবে প্রার্থনা জানাতে থাকলো।
এক সময় তার মনের অবস্থার পরিবর্তন হল যখন সে অনুভব করলো ফ্রাঙ্ক হাত ধরে বলল: “এস!” পৃথিবীর সমস্ত সাগরগুলো যেন তার অন্তরে কাঁপন ধরালো। ফ্রাঙ্ক তাকে টেনে তুললে সে দুহাত দিয়ে লোহার রেলিং আঁকড়ে ধরল।
“এস!”
না! না! এটা সম্ভব না। তার হাত দু’খানা লোহার রেলিং এর সঙ্গে এটে আছে। তার মনের ভেতর থেকে উদ্বেগের কান্নাসমুদ্রে ছড়িয়ে দিল।
“ইভেলিন ! ইভি!”
ফ্রাঙ্ক তার হাত রেলিং থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে তাকে অনুসরণ করতে বলল। সে তার সঙ্গে যাওয়ার জন্য চিৎকার করলেও তার সঙ্গে তাকে যাওয়ার জন্য ডাকতেই থাকল। মেয়েটির ফ্যাকাশে মুখটাকে একটা অসহায় জন্তুর মত মনে হল। মেয়েটির চোখে তার প্রতি ভালবাসা কিংবা বিদায় কিংবা স্বীকৃতির আভাস দেখা গেল না।
[লেখক পরিচিতি: জেমস জয়েস ( ১৮৮২- ১৯৪১) এর জন্ম ডাবলিনে। পড়াশোনা আয়ারল্যান্ডে। পড়াশোনাকালে উন্মেষ ঘটে তাঁর সাহিত্য সাধনার। ডাবলিন তাঁর জন্ম স্থান হলেও তাঁর জীবনের দীর্ঘতম সময় কাটে বিদেশবিভূঁয়ে। বিদেশী ভাষার শিক্ষক হিসাবে তিনি প্যারিস, জুরিখসহ নানা শহরে বসবাস করেন। তাঁর কবিতা সংকলন The chamber Music ১৯০৭ সালে প্রকাশিত হয়। তার স্বদেশভূমি ডাবলিনের পটভূমিকায় লেখা A Portrait Of the Artist as a Young Man নির্বাচিত গল্প সংকলন হিসাবে ১৯১৪ সালে আত্মপ্রকাশ করে। জেমস জয়েসের অমর সৃষ্টি Ulysses উপন্যাস ১৯২২ সালে প্রকাশিত হয়। তাঁর আগে ১৯১৮ সালে তার লেখা নাটক Exile প্রকাশ পায়।। ১৯৩৯ সালে প্রকাশিত হয় Finnergan’s wake উপন্যাস। তিনি ইংরেজি সাহিত্যেও আধুনিক ধারার স্রষ্টা। জেমস জয়েস তাঁর উপন্যাসে জীবনের অভিজ্ঞতালব্ধ সৃজনশীল নবধারার উন্মেষ ঘটাতে সক্ষম হন। ইংরেজি ভাষায় তাঁর লেখা Eveline গল্পকে বঙ্গানুবাদ করা হল।]