বহুদিন আগে শাওয়াকিস রাজ্যে এক রাজকুমার বাস করতেন। নারী-পুরুষ-শিশু নির্বিশেষে সবাই তাকে ভালবাসত।
এমনকি বনের পশুপাখিরাও রাজকুমারের প্রতি নিজেদের ভালবাসা জানাতে মাঝে মাঝে তার দরবারে এসে উপস্থিত হত।
কিন্তু সবাই বলত, তার স্ত্রী, রাজ্যের রানী তাকে একদম ভালবাসত না। বরং রানী তাকে ঘৃণা করত।
একদিন পাশের রাজ্যের রানী এলেন শাওয়াকিসের রানীর প্রাসাদে বেড়াতে।
দুই রানী একসাথে খাওয়াদাওয়ার আমি তুমি আমরা পর গল্পগুজবে মেতে উঠলেন।
স্বাভাবিকভাবেই একসময় আলোচনা মোড় নিল নিজেদের স্বামীর মধ্যে তুলনায়।
শাওয়াকিসের রানী বললেন, তোমাদের সুখ দেখে আমার ঈর্ষা হয়। বিয়ের এত বছর পরও তোমাদের মাঝে কি ভালবাসা!
আর আমাকে দেখ। কি কপাল আমার! নিজের আপন মানুষটাকেও আপন করে পেলাম না।
তাকে ভাগ করে নিতে হচ্ছে রাজ্যের সবার সাথে। আমি লোকটাকে ঘৃণা করি।
নীরবে তার কথাগুলো শুনলেন পাশের রাজ্যের রানী। মুচকি হেসে জবাব দিলেন, বন্ধু, সত্যি বলতে স্বামীকে তুমি প্রচণ্ড ভালবাস।
যদি নিজে এখনো সেটা বুঝতে পারনি। আর তাইতো স্বামীকে আর কারো সাথে ভাগ করে নিতে চাও না। একান্তই নিজের করে পেতে চাও।
আর আমাকে দেখ। আমাকে তো তোমার করুণা করা উচিত।
আমি আর আমার স্বামী- পরস্পরকে আমরা শুধু নীরবে সহ্য করি।
আর তাকেই তোমরা সবাই ভালবাসা ভেবে ভুল কর।