যাদ’এর রাস্তায় এক পরিব্রাজকের এক লোকের সাথে দেখা হল।পাশের গ্রামেই ছিল লোকটার বাড়ি।
সামনের বিশাল ময়দানের দিকে আংগুল তুলে পরিব্রাজক জানতে চাইলেন লোকটার কাছে, আচ্ছা,
এটাই কি সেই যুদ্ধক্ষেত্র যেখানে রাজা আহলাম তার শত্রুদের পরাজিত করেছিলেন?
লোকটা সাথে সাথে জবাব দিল, এখানে কখনোই কোন যুদ্ধক্ষেত্র ছিল না।
একদা এই প্রান্তরেই ছিল পরাক্রমশালী যাদ শহর, যাকে পুড়িয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া হয়েছিল।
এখন এটা একটা চমতকার মাঠ, তাই না?
লোকটার উত্তর শুনে পরিব্রাজক এগিয়ে যেতে শুরু করল। মাত্র আধ গিয়েছে কি যায়নি, এর মধ্যে তার সাথে আরেকটা লোকের দেখা হয়ে গেল।
প্রথমবারের মতই সুবিশাল প্রান্তরের দিকে আংগুল তুলে সে প্রশ্ন করল, এই প্রান্তরের ওপরইতো যাদ শহর ছিল।
এটাকে কারা ধ্বংস করেছিল?
লোকয়া বিরক্ত হয়ে জবাব দিল,না না, এখানে কোনকালেই কোন শহর ছিল না।অনেককাল আগে আগে এখানে সন্যাসীদের একটা মঠ ছিল।
দক্ষিনের লোকেরা খুব নৃশংসতার সাথে সেটাকে ধ্বংস করেছিল।
অল্প কিছুক্ষনের মধ্যেই, সেই রাস্তায়, পরিব্রাজকের তৃতীয় একজন লোকের সাথে দেখা হল।
পাশের বিস্তৃত মাঠের দিকে আংগুল উচিয়ে তৃতীয় লোকটার কাছে এবার তিনি প্রশ্ন করলেন, এখানে নাকি একসময় একটা বিখ্যাত মঠ ছিল। সত্য নাকি?
লোকটা জবাব দিল, নারে ভাই, অতীতে শুধু এখানে কেন, আশেপাশের কোন এলাকাতেই কোন মঠ ছিল না।
তবে আমার বাপ-দাদার কাছে শুনেছি অনেক দিন আগে এই মাথে একবার উল্কা পড়েছিল।
পরিব্রাজক অবাক হয়ে এবার এগিয়ে যেতে লাগলেন সামনে। পথেই তার দেখা হয়ে গেল এক বৃদ্ধের সাথে।
কুশল বিনিময় করে তিনি জানতে চাইলেন, এখানে আসার পথে আমার তিনজন লোকের সাথে দেখা হয়েছে যারা সবাই আশেপাশেই থাকে।
তাদেরকে আমি পাশের বিস্তীর্ন মাঠের কথা জিজ্ঞেস করতেই, প্রত্যেকেই আগের জনের কথা অস্বীকার করে আমাকে নতুন গল্প শুনিয়েছে। কেন?
বৃদ্ধ হেসে জবাব দিলেন, বাবা, এরা প্রত্যেকেই তোমাকে সত্যটাই বলেছে, তবে সেগুলো খন্ডিত সত্য।
আমাদের মাঝে খুব অল্প লোকই আছে যারা এই খন্ডিত সত্য
গুলোকে জোড়া লাগাতে আর পূর্ন চিত্রটা দেখতে পায়।