রক্তিম সূর্যের লাল আভাগুলো হারিয়ে গেছে সময়ের স্রোতে।গোধূলী নীল আকাশটাও কালো ধসূর বর্ণ ধারন করেছে রাতের গভীর আধারে।এমনি এক নির্জন রাতে ব্রীজের উপরের টিম টিম রোড লাইটের আলোয় ছোট্ট একটি ডায়রি হাতে করে হেটে চলেছে দিগন্ত গন্তব্য জীবনের শেষ প্রান্ত ।নির্জন পরিবেশ নিস্তব্ধ রাতে অানমনে হয়ে হেটেই চলেছে দিগন্ত,হয়তো পুরুনো ক্ষতগুলো আবার জেগে ওঠেছে হৃদয়ে অশান্ত ঝড় তুলেছে ।কিছুক্ষণ পর অনেকটা উদাস মনে ডাইরিটা খুলতে লাগে দিগন্ত ডাইরির প্রথম পৃষ্ঠায় লিখা”অহনা” চোখ পড়তেই দিগন্তর চোখ থেকে কয়েকফোটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ে,মনে পড়তে থাকে অহনাকে ঘিরে তার সাজানো সপ্নগুলো ,মনে পড়তে থাকে ভালোবাসার প্রতিদানে পাওয়া হাজারো অবহেলা কষ্ট, ভেসে ওঠে পুরোনো সেই স্মৃতিগুলো……..
.
.
আজ থেকে ১ বছর আগে দিগন্তর সহজ সরল সাধারন জীবনে হঠাৎ করেই আগমন হয় অহনা নামের মেয়েটি।স্কুল লাইফ, কলেজ লাইফ থেকেই কোন এক অজানা কারণে রিলেশনশিপ থেকে সবসময় দূরে থাকতো দিগন্ত,এমনকি ভার্সিটি ওঠার পর তার বন্ধুরা যখন প্রেম রিলেশন নিয়ে ব্যস্ত তখন সে ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের গল্প, কবিতা লিখে সময় কাটাতো আর এ গল্প লিখার সূচনা থেকেই দিগন্ত ও অহনার পরিচয় ঘটে।একদিন দিগন্তর লিখা একটি গল্পে অহনা নামের মেয়েটি একটি কমেন্ট করে সেও মেয়েটির কমেন্ট এর রিপ্লাই করে, তার ঠিক একদিন পর মেয়েটা তাকে রিকুয়েস্ট পাঠাই এবং দিগন্ত তা একসেপ্ট করে নেই,,এর পরে থেকে মেয়েটা প্রায়ই তাকে মেসেজ করে জানতে চাইতো কেমন আছে ইত্যদি,তবে দিগন্ত ফেসবুকে সবার সাথে খুব কম কথা বলায় মেয়েটার মেসেজ এর রিপ্লাই করতো না এভাবেই চলে যায় কিছুদিন। তার বেশকিছুদিন পর একদিন দিগন্তর মা হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়ে তাই অনেকটা মন খারাপ নিয়েই ফেসবুকে এসে আম্মুর জন্য দোআ চেয়ে একটি পোষ্ট করে দিগন্ত ঠিক সেই দিন….
—হ্যালো মিষ্টার দিগন্ত ( অহনা নামের মেয়েটি)
কিছুটা সময় নিরব থাকার পর….
—-জ্বি, বলেন ( দিগন্ত রিপ্লাই দিলো)।
—বাব্বাহ !!আজ সূর্য্যটা কোন দিকে ওঠেছে বলতে পারেন?( অহনা)
—সূর্যটা বরাবরই যেইদিকে ওঠে আজও তার ব্যতিক্রম হয় নি,হঠাৎ এইরকম প্রশ্ন করার কারণ?( এমনিতেই মনটা খারাপ ছিলো দিগন্তর এইসব প্রশ্নে অনেকটা বিরক্তি নিয়ে উত্তর দেয় সে)।
–না মানে…এতদিন রিপ্লাই করেন নি আজ করলেন তো তাই আর কি বললাম( অহনা)।
—ওকে তাহলে আর রিপ্লাই না দেয় ( দিগন্ত)।
—আরে নাহ নাহ!!আপনি এমন কেন হ্যা?আমি আপনার গল্পের অনেক বড় ফ্যান হুম,,( অহনা)।
—হুম বুঝলাম,,,ধন্যবাদ আপনাকে,আর কিছু বলবেন? (দিগন্ত)
—না মানে….আচ্ছা আপনার আম্মুর অসুস্থতার কথা পোষ্টে দেখলাম তিনি কেমন আছে?( অহনা)
—খুব একটা ভালো নেই,অনেক বেশিই অসুস্থ আম্মু ( দিগন্ত)।
—-সো স্যাড কি হয়েছে আন্টির??(অহনা)
…এভাবেই দিগন্ত ও অহনার কথা বলা শুরু হয়, দিগন্তর আম্মুর অসুস্থতা নিয়ে খুব কথা হয় সেইদিন তাদের এবং বন্ধুর মত সম্পর্ক গড়ে ওঠে,এরপর প্রতিদিন ফেসবুকে কথা হতো তাদের এভাবেই কেটে যায় বেশ কয়েক দিন । কিছুদিন পর কথা বলার মাঝে তারা নিজের নাম্বারটাও আদান-প্রদান করে নেই এরপর থেকে রোজ ফোনেও প্রচুর কথা হতে থাকে তাদের ,,এভাবে কথা কথা বলতে বলতে কখন যে দিগন্ত মেয়েটার প্রেমে পড়ে যায় সে নিজেও জানে না,তবে দিগন্ত বুঝতে পারতো সে মেয়েটাকে ভালোবেসে ফেলেছে হয়তো অহনা ও তাকে পছন্দ করে কিন্তুু তবুও সে তার মনের কথা বলতো না বন্ধুত্বের সম্পর্কে যেন ফাটল না ধরে এইটা ভেবে। যাইহোক এভাবে বেশ কয়েক মাস যাওয়ার পরে হঠাৎ একদিন অহনা দিগন্তকে ফোন দিয়ে বলে…
—আচ্ছা দিগন্ত তুমি তো বলো আগে কখনোই এত বেশি ফোনে কারও সাথে কথা বলতে না তুমি, তাহলে আমার সাথে এত কথা বলো কেন??( অহনা)।
—জানি না ( দিগন্তর উত্তর)।
—না প্রতিদিন তোমার এই কথাটা আর শুনবো না আমার কসম করে বলো আমার সাথে কেনো এত বেশি কথা বলো…( মেয়েটা হয়তো বুঝতে পারে দিগন্ত তাকে ভালোবাসে তাই এভাবে বলে)।
অহনা তার কসম দিয়ে দেয় তাই দিগন্ত আর মিথ্যা বলতে পারে না সে বলে দেই তার মনের কথা……..
— আই লাভ ইউ অহনা…নিজের অজান্তেই তোমাকে অনেক ভালোবেসে ফেলেছি আমি ( অনেকটা তুতলিয়ে তুতলিয়ে কথাগুলো বলে দিগন্ত)।
অহনা কিছুক্ষন নিশ্চুপ থাকে…..অহনার নিশ্চুপ থাকার কারণে দিগন্ত অনেকটা ঘাবড়ে যায় আর মনে মনে ভাবতে থাকে বন্ধুত্বর সম্পর্কটা সে নষ্ট করলো না তো,,তার ভাবনা শেষ না হতেই ওপাশ থেকে আওয়াজ আসে………..
—আমিও তোমাকে নিজের অজান্তেই অনেকটা ভালোবেসে ফেলেছি দিগন্ত, তোমার গল্প পড়ার শুরু থেকেই তোমাকে ভালোলাগতো কিন্তু কখন যে সেই ভালোলাগাটা ভালোবাসাই পরিণিত হয়ে যাবে তা বুঝতে পারি নাই,তোমার সাথে কথা বলতে বলতে কখন যে তোমাকে নিজের করে নিয়েছি বুঝতেই পারি নি, আই লাভ ইউ টু দিগন্ত( এক নাগাড়ে কথাগুলো বলে যায় অহনা)।
অহনার কথাগুলো শুনার পর দিগন্তর মনে অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করতে থাকে হয়তো ওই মুহূর্তটাই ছিলো দিগন্তর জীবনের সবচেয়ে খুশির মুহূর্ত আপন মানুষকে আপন করে পাওয়ার আনন্দ। যাইহোক দিগন্ত মনে প্রানে অহনার কথাগুলো বিশ্বাস করে নেই,,,এভাবেই শুরু হয়ে যায় তাদের প্রথম ভালোবাসাময় জীবন। একে অপরের থেকে কিছুটা দূরে থাকায় অন্যদের মত তাদের দেখা হতো না একসাথে ঘুড়াঘুড়ি করা হতো না, হাত ধরে পথচলা হতো না,তবুও যেন রাত জেগে কথা বলা,অনুভবে একে অপরকে খাইয়ে দেওয়া, সপ্ন হয়ে এসে একসাথে হাত ধরে পথচলা এভাবে হাজারো কল্পনায় ও ভালোবাসায় দিনগুলো ভালো ভাবেই কাটতে থাকে তাদের । অহনা দিগন্তর কাছে একরাশ সপ্ন নিয়ে এসে দিতো দিগন্ত তা হাজারো কল্পনায় হৃদয়ে একে রাখতো ,এভাবেই চলতে থাকে তাদের খুনসুটি ও ভালোবাসা ।কিন্তু ঠিক কয়েকমাস পর হঠাৎ করেই যেন অহনা মেয়েটা পাল্টে যায়, পাল্টে যায় তার ভালোবাসার ধরন পাল্টে যায় তার কথাবলার ধরন,মেয়েটা আর আগের মত দিগন্তর সাথে কথা বলে না তার কেয়ার করে না, দিগন্ত অনুভব করে অহনা তাকে অবহেলা করতে শুরু করেছে , যে মেয়েটা একদিন কথা না বলে থাকতো পারতো না সেই মেয়াটা এখন কথা না বলেই পার করে দেয় দিনের পর দিন। অহনার হঠাৎ পরির্বতন দিগন্ত মেনে নিতে পারে না,,অনেক কষ্ট হতে থাকে তার, তবুও কষ্টগুলো বুকে চেপে অহনাকে সেই আগের মতই ভালোবাসতে থাকে। বেশকিছুদিন পর যখন অবহেলার মাত্রাটা আরও বেড়ে যায়, তখন দিগন্ত অহনার কাছে প্রশ্ন করে কেনো সে তার সাথে এমন ব্যবহার করছে? কেন তার ভালোবাসাকে অবহেলা করছে ? তার অপরাধটা কি?কিন্তু সেইদিন অহনা তাকে কিছু না বলেই তার সাথে কনটাক্ট বন্ধ করে দেই।দিগন্ত অনেক চেষ্টা করেও অহনার সাথে যোগাযোগ করতে পারে না।হঠাৎ করে অহনার এমন পরিবর্তনে অনেক কষ্ট হতে থাকে দিগন্তর, অহনাকে হারিয়ে দিগন্ত যেন নিজেকে হারিয়ে ফেলে,,ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া করতে পারে না ঠিকমতো ঘুমাই না, আগের মত গল্প লিখতে পারে না, অনেক অবহেলায় আর কষ্টে ধীরে ধীরে শেষের পথে চলতে থাকে সুন্দর একটি জীবন, এভাবেই অনাহারে অনিন্দ্রায় অবহেলায়, জীবন ধংস্বের বিভিন্ন নেশা আপন করে কেটে যেতে থাকে দিগন্তর কয়েকটা মাস, তবুও সে প্রতিটা রাতেই অহনা নামের মেয়েটিকে ফোন দিতো যদি ফোনটা খোলা থাকে এইটা ভেবে। হঠাৎ করে একদিন দিগন্ত অহনার ফোনটা অন দেখতে পাই সে অনেকবার ফোন দেয় কিন্তু অহনা রিসিভ করে না অবশেষে কিছুক্ষন পর অহনা দিগন্তকে একটি মেসেজ দেয়”””তুমি কেন এখনো আমার পিছু পড়ে আছো,আমাদের মধ্য যেইটা ছিলো সেইটা আবেগ মনে করে ভুলে যাও,আমার বাবা একটি ছেলের সাথে আমার বিয়ে ঠিক করেছে ছেলেটা অনেক বড় জব করে, সে আমাকে অনেক ভালো রাখতে পারবে,আমি আমার বাবা – মা এর কথা অমান্য করতে পারবো না, আর আমারও ছেলেটাকে পছন্দ হয়েছে,,খুব শ্রীঘই আগামী বছর আমাদের বিয়ে হবে।আর তোমার কি যোগ্যতা আছে আমাকে ভালোবাসার? তোমার মত মধ্যবৃত্ত ছেলেদের ভালোবাসে কি পাবো আমি , তোমার মত মধ্যবৃত্তদের সাথে কিছুদিন কথা বলে সময় কাটানো যায় কিন্তু ভালোবেসে জীবনসঙ্গী করা যায় না, তোমার এক মাসের ইনকাম দিয়ে তো আমার একদিনের রেস্টুরেন্ট খরচই হবে না,কি দেখে আমার বাবা মা তোমাকে আমার যোগ্য মনে করবে!!কেনই বা আমি তোমাকে ভালোবেসে নিজের ভবিষৎটা নষ্ট করবো। এতদিনের সব কথা ভুলে গিয়ে তুমি তোমার কয়েলেটির মেয়েকে খুজে নিয়ে ভালো থাকো আমাদের মধ্য কখনো ভালোবাসা ছিলো না,নেক্সট টাইম ফোন করে বিরক্ত করবে না “”মেসেজটা দিয়ে ফোনটা বন্ধ করে দেই অহনা। মেসেজটা দেখে দিগন্ত যেন কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলে ,হৃদয়টা যেন পাথরে পরিণিত হয়ে পড়ে।একসময় যে অহনা সারাজীবন পাশে থাকার সপ্ন দেখাতো,একসাথে বাচা মারার কথা বলতো, অহনা নামের যে মেয়েটি ছিলো দিগন্তর বেচে থাকার কারণ,যে ছিলো তার সপ্ন দেখার কারণ, যাকে সে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসতো বিশ্বাস করতো সেই মেয়েটা যে তার ভালোবাসা নিয়ে তার সাথে প্রতারণা করবে, ছলনা করবে অভিনয় করবে তা কখনো কল্পনা করতে পারে নি, তবে অহনা নামের মেয়েটার ছলনার কাছে দিগন্ত হেরে যায়, হেরে যায় তার সুন্দর একটি জীবন, তিল তিল করে নিভে যেতে থাকে তার জীবনের আলো,দিগন্ত বুঝতে পারে অহনাকে ঘৃনা করে সে বেচে থাকতে পারবে না, ভালোবেসে বেচে থাকাটা যতটা সহজ ঘৃনা করে বেচে থাকাটা ততটাই কঠিন ।তাই সে তারপর থেকে নিজের জীবনটাই শেষ করে দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে সেইদিনের জন্য যেইদিন তাদের প্রথম পরিচয় হয়েছিলো , যেইদিন তারা পরস্পর একসাথে বাচামরার ওয়াদা করেছিলো,যেইদিন অহনা অন্য কাউকে বিয়ে করার তারিখটা বলেছিলো শেষ মেসেজে ঠিক সেই দিনগুলোর জন্যই কয়েকটা মাস অপেক্ষা ধরে অপেক্ষার প্রহর গুনছিলো দিগন্ত…..
.
.
ডায়রি হাতে পুরুনো স্মৃতিগুলো মনে করে কষ্ট ভেতরটা আগুনের মত জ্বলতে থাকে দিগন্তর ,দিগন্ত বুঝতে পারে তার সময় ফুরিয়ে এসেছে ।আর ঠিক এদিনের জন্যই তো সে এই কয়েকটা মাস অপেক্ষা করেছিলো, হুম ঠিক ১ বছর আগে এ দিনেই দিগন্তর সাথে অহনার পরিচয় হয়েছিলো,একসাথে বাচা মরার ওয়াদা করেছিলো,অহনা ওয়াদাটা ভুলে গেলেও দিগন্ত ঠিকই মনে রেখেছে তাই তো সে নিজের অবশিষ্ট দেহটুকু শেষ করতে আজ বেরিয়ে এসেছে নির্জন রাতে, হয়তো অহনা এখন কণ্যা সেজে অন্য কারও জন্য অপেক্ষা করছে কেননা শেষ মেসেজে তার বিবাহর জন্য এ দিনটার কথাই যে বলেছিলো অহনা ।শেষ বারের মত ১ বছর আগের কথাগুলো ভেবে কিছুক্ষন নিরব থাকলো দিগন্ত, উদাস মনে একবার আকাশ পানে তাকালো সে,হয়তো রাতের তারার মাঝে শেষ বারের মত অহনার অস্তিত্বকে খুজে পাওয়ার ব্যার্থ চেষ্টা করলো।আকাশপানে নির্বাক হয়ে তাকিয়ে থাকার কিছুক্ষণ পর দিগন্ত ডাইরির শেষ প্রান্তে ছোট্ট করে “ভালোবাসার প্রতিদান মৃত্যু, অহনা”কথাটা লিখে ব্রীজের সিড়ির উপর দাড়িয়ে মুক্ত পাখির মত হাত দুটি আকাশে মেলিয়ে দিয়ে শেষ বারের মত চিৎকির দিয়ে বলতে থাকে “আই লাভ ইউ অহনা তোমাকে অনেক ভালোবেসেছিলাম,কখনো ভাবি নাই তোমাকে ভালোবাসার প্রতিদান হবে আমার মৃত্যু, কখনো ভাবি নাই এভাবে অপমৃত্যু হবে আমার নিষ্পাপ ভালোবাসার…. কথাগুলোর প্রতিধ্বনি শেষ না হতেই দিগন্তর দেহটা হারিয়ে যায় নিচের গভীর সমুদ্রের জলে, হয়ে যায় আরও একটি নিষ্পাপ ভালোবাসার অপমৃত্যু।কিছু অবহেলা, কিছু ছলনা-প্রতরনার কাছে নিষ্পাপ ভালোবাসার অপমৃত্যু ঘটে। স্মৃতি হিসেবে ব্রীজের উপরে পড়ে থাকে ছোট্ট সেই ডায়রি, হয়তো এ ডায়রির লিখাগুলো কখনো অহনার কাছে পৌছাবে না, হয়তো কোন এক পথিকের কাছে ডায়রিটি ভালোবাসার অপমৃত্যু গল্প হয়ে থেকে যাবে চিরদিন।
………………………………………………. সমাপ্ত ………………………………………….