এন্টি প্লানচেট

এন্টি প্লানচেট

“আজ রাহুলের পড়ালেখার সমাপ্তি হলো। অনেক বছর হলো প্রিয় বাংলাদেশকে ছেড়ে আমেরিকায় আছে। পরিবার আত্মীয়স্বজনের কথা মনে হলেই খুব খারাপ লাগতো রাহুলের। তাই আর সময় নষ্ট না করে তড়িঘড়ি করে ফ্লাইট কনফার্ম করলো।

বাংলাদেশ এয়ারপোর্টে দাঁড়িয়ে আছে রাহুল, বাসায় আগে থেকে জানানো হয়নি। বাসায় গিয়ে সারপ্রাইজ দিবে সবাইকে। এখন একটা গাড়ি দরকার, কুমিল্লা যেতে হলে ভাড়া করতে হবে। রাত হয়ে গেছে, তাই তাড়াতাড়ি করা উচিৎ।

রাহুল বাহিরে আসার ১০মিনিট পরই একটা গাড়ি দেখলো, ব্লাক ক্লার। রাহুল গাড়ির পাশে গিয়ে ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করলো এখন গাড়ি কোথায় পাবে? কুমিল্লা যাওয়ার জন্য।

ড্রাইভার রসিকতা করে উত্তর দিলো, স্যার কি প্রথম এয়ারপোর্টে আসছেন? রাহুল একটু বিব্রত বোধ করে।

এমন সময় গাড়ির পেছন থেকে স্যুট টাই পরা এক ভদ্রলোক রাহুলকে জিজ্ঞেস করলো কোথায় যাবে?
রাহুল জানালো সে কুমিল্লা তিতাসে যাবে। ভদ্রলোক রাহুলকে গাড়িতে উঠতে বলে, উনি গৌরিপুর যাবে। রাহুলকে গৌরিপুর থেকে আবার তিতাসে যেতে হবে।।অবশ্য মাত্র ২০/২৫মিনিট লাগবে এতে।

রাহুল গাড়িতে বসে নিশ্চিন্ত হলো, আর চিন্তা নেই। জ্যাম না থাকলে তিন/চার ঘন্টা লাগবে। ফেবুতে ঢুকলে ৩/৪ঘন্টা কাটিয়ে দেয়া কোনো ব্যাপার না, কিন্তু সিম নেই রাহুলের কাছে। বাধ্য হয়েই ড্রাইভারের নিকট একটা সিম চাইলো কিছু সময়ের জন্য, ড্রাইভার নিজের ফোন থেকে একটা সিম খুলে রাহুলকে দিলো।

গাড়ি থামিয়ে রিচার্জ করে নিলো, এরপর ফেবুতে গিয়ে চ্যাটে মজে গেলো রাহুল। ভদ্রলোক ফোনে কথা বলতেছে, উনার কথা শুনে মনে হচ্ছে আত্মা নিয়ে কিছু বলছে। রাহুল চুপচাপ থেকে মন দিয়ে শুনতে লাগলো উনার কথা।

ভদ্রলোক প্লানচেট নিয়ে মনে হয় অনেক অভিজ্ঞ, কথা শুনে বুঝা যাচ্ছে। রাহুল আমেরিকায় থাকতে ফ্রেন্ডদের সাথে প্লানচেটে বসেছিলো, কিন্তু শুরু করার আগেই ভয় পেয়ে যায় রাহুল। এরপর চলে আসে প্লানচেট না করেই।

ভদ্রলোক ঘুমিয়ে পরেছে, রাহুল ফেবুতে আবার ব্যস্ত হয়ে গেলো। কখন যে গৌরিপুর চলে আসছে টেরই পায়নি। গাড়ি থেকে নেমে ভদ্রলোককে ধন্যবাদ জানায় রাহুল, ভদ্রলোক ও হাসিমুখে জবাব দেয়।
ধীরেধীরে গাড়ি টি চোখের আড়াল হয়ে যায় রাহুলের।

অনেক দিন পর বাড়িতে এসেছে রাহুল, ভীষণ খুশি সে। কলিংবেল চাপার ১৫মিনিট পর দরজা খুলে দেয় তার বাবা, বাবাকে দেখেই জড়িয়ে ধরে রাহুল। বাড়ির সবাই অবাক, রাহুলকে পেয়ে রাহুলের মা খুশি হলেন খুব।

কিন্তু সবার মুখ কেমন ভার ভার, রাহুল কিছু বুঝতে না পারাতে সবাইকে জিজ্ঞেস করলো কি হয়েছে? সবাই এত আপসেট কেন?

কেউ জবাব দিচ্ছেনা দেখে রাহুল আবারো জিজ্ঞেস করলো। রাহুলের বাবা খুব কষ্টে উত্তর দিলেন, “রাই পাগল হয়ে গেছে, বাচ্চারা ওর কাছেও ঘেষতে চায়না। কয়েকটা বাচ্চাকে কোথায় যেনো নিয়ে গিয়ে গায়েব করে ফেলছে”

রাহুল অবাক হয়ে যায়, রাই’এর এমন হওয়ার কারণ খুঁজে পায়না। রাহুলের বাগদত্তা রাই, কথা ছিলো স্টাডি শেষে জব নিয়েই বিয়ে করবে দুজন।

রাহুলের বাবা আবারো বললো রাই’এর আম্মুও…..

কথা না শুনেই রাহুল বাসা থেকে বের হয়ে দৌড়ে চলে আসে রাই’দের বাসায়, কাছাকাছি বাড়ি দুজনের। রাই’এর আম্মু রাহুলকে দেখে ঘাবড়ে যায়, মাথা নীচু করে জিজ্ঞেস করে, বাবা তুমি কি সব শুনেছো? গত দুইদিন ধরে রাই কি সব করে বেড়াচ্ছে?

হ্যা আন্টি শুনলাম, রাই কোথায় এখন? রাহুল রাই’কে দেখার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে, রাই’এর আম্মু বন্ধ দরজা খুলে দিতেই রাহুল ভেতরে প্রবেশ করে। রাই’এর রুম দেখে রাহুল চমকে উঠে।

রাই বেডে শুয়েছিলো, সম্ভবত কান্না করছিলো। রাহুল ভেতরে আসতেই উঠে দাঁড়ায় রাই, চোখের পানি মুছে জিজ্ঞেস করলো “কখন এসেছো রাহুল?

১ঘন্টা হবে রাই, রাই তোমার কি অবস্থা করেছো? রাই তোমার চোখ গুলো এমন হয়ে গেছে কেন? চুলগুলা পাগলের মত করে রেখেছো কেন?

রাহুলের চোখ ভিজে যায়, গাল গড়িয়ে জল পরতে থাকে। রাই’কে বড্ড বেশি ভালোবাসে রাহুল। ওর এই অবস্থা দেখে কেঁদেই দেয়।

প্লিজ কাঁদবেনা রাহুল, আমায় মায়ায় জড়াবেনা প্লিজ।
আমি অন্য পথে চলে গেছি রাহুল, ক্ষমা করো আমায়।
আমি আর ফিরে আসতে পারবোনা চাইলেও।

কি হয়েছে রাই? বলো আমায়, কোন পথে আটকে গেছো তুমি? আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবোনা, আমি তোমাকে হেল্প করবো।

হাহাহা, এতে তোমার জীবনও যেতে পারে রাহুল, এরপর ও কি…….? রাহুল সরাসরি উত্তর দেয়, আমার জীবন দিয়ে হলেও তোমায় উদ্ধার করবো আমি।

ঠিক আছে, কাল আমাকে বের করবা এই রুম থেকে। আম্মু বের হতে দেয়না, আর সাথে অবশ্যই কয়েকজন ছোটো বাচ্চা নিয়ে আসবা।

বাচ্চা? কিন্তু বাচ্চা কেন?

আমাকে উদ্ধার করতে হলে বাচ্চা লাগবে রাহুল, চিন্তা করোনা, বাচ্চাদের কিছুই হবেনা। রাহুল সায় দিয়ে ফিরে আসে বাসায়, বাসায় এসে নিজের ভাইয়ের দুই ছেলে ও বোনের মেয়েকে দেখে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে। যাক, আর কষ্ট করে বাচ্চা খুঁজতে হবেনা।

সকালে ঘুর‍তে যাওয়ার কথা বলে দুই ভাতিজা আর ভাগ্নিকে নিয়ে বের হয় রাহুল, ওদের গাড়িতে রেখেই রাই’কে নিয়ে আসে। রাই’এর আম্মু খুশিমনে বের হতে দেয় রাই’কে।

রাই’এর ইশারায় গাড়ি চালাতে চালাতে নির্জন একটা রাস্তায় আসে ওরা, রাহুল ভয় পেলেও চুপ থাকে। এসব আস্তানা হয়তো নির্জন জায়গাতেই হয়।

রাহুলের ভাতিজারা আর ভাগ্নি মিলে অনেক মজা করতেছে, ওরা খুব খুশি। ঘুরাফেরা করলে সব বাচ্চারাই খুশি হবে অনেক। কিন্তু ওরা যদি জানতো যে সামনে কি হতে চলেছে…..?

রাই’এর কথায় গাড়ি থেকে নেমে আসে রাহুল, আশেপাশে তাকিয়ে দেখে বাড়িঘর নেই কোনো। রাহুলের মনে পরে যায়, হিন্দু বাড়ির কথা। এটাই সম্ভবত সেই বাড়ি, রাতে নাকি কেউ ফিরে যেতে পারেনা এই জায়গা থেকে। ভয়ে দিনের বেলায় ও কেউ আসেনা এদিকে।

রাহুল শুনেছিলো যুদ্ধের সময় অনেক হিন্দু ভারত চলে গেছিলো বাড়িঘর ছেড়ে, এই বাড়িটার মালিকও হয়তো চলে গিয়েছিলো ভারতে।

কিন্তু রাহুলের অনেক ভয় লাগলো, তিনজনের দিকে তাকিয়ে গলা শুকিয়ে যায়। রাই’এর কথা ভেবে এগিয়ে
যায় রাহুল, ভয়ে ভয়ে এগিয়ে যায় রাই’এর পিছুপিছু।

ছোটো ছোটো গাছে জংগল হয়ে গেছে প্রবেশ রাস্তার চারিপাশ, অন্ধকারে কিছুই দেখা যাচ্ছেনা। রাই’কে অনুসরণ করে হাটতে থাকে, রাহুলের দুই ভাতিজা আর ভাগ্নি ভয়ে অস্থির!

রাহুলের কোলে দুজন, আর রাই’এর কোলে একজন। রাই’এর কোলে থাকা রাফি (৬) বারবার কাকাই কাকাই বলে চিল্লাচ্ছে, রাহুল বুঝতে পারলো, রাফি ভয় পাচ্ছে রাই’কে।

ভেতরে এসে ভয় পেয়ে যায় রাহুল, এখানে এতো মানুষ। রাইকে জিজ্ঞেস করলো কি করতে হবে এখন, রাই রহস্যময় হাসি দিয়ে এগিয়ে যায় সামনে। একজন মধ্য বয়সী লোকের সাথে কি যেনো ফিসফিস করে বলল, ইশারায় রাহুলকে দেখিয়ে দিলো।

রাহুলের হাত জড়িয়ে রেখেছে তিনজন (রাফি, রনি, মিম)

ওদের মুখ দেখলেই বুঝা যাবে কতটা ভয়ে আছে ওরা, এখানে উপস্থিত সবার পরনে কালো কাপড়। এরকম অবস্থায় রাহুলই ভয় পাচ্ছে, আর ওরা তো বাচ্চামানুষ।

হটাৎ করে কেউ পেছন থেকে রাহুলের মাথায় আঘাত করে, রাহুল ঝাপসা দেখে সব। ঝাপসা চোখেই দেখতে পেলো রাফি, রনি আর মিমকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে কেউ।

হাত-পা বেধে ফেলেছে, একটা দৃশ্য দেখে চিৎকার করে অজ্ঞান হয়ে যায় রাহুল। চিৎকার করাটাই স্বাভাবিক, নিজের আপন ভাতিজা ভাগ্নির কপালে রক্ত দেখলে যে কেউই চিৎকার করবে।

এদিকে রাই কালো কাপড় পরে নিয়েছে, একটু পর শুরু হবে আত্মাদের আহবান। রাই এখন আগের রাই নেই, তার এখন ক্ষমতা চাই, প্রচুর ক্ষমতা।

একটা ছোটো রুম থেকে লম্বামত একজন লোক বেরিয়ে এলো, সাথে সাথে সবাই মাথা নীচু করে সম্মান জানালো।

উনার চোখ আর ভাবমূর্তি দেখে যে কেউ ভয় পেয়ে যাবে, লাল চোখগুলো যেনো বেরিয়ে আসতে চাইছে।
রাই’এর দিকে তাকালেন তিনি, সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেন রাই’এর সংগ্রহণে।

রাই খুশিতে আত্মহারা হয়ে গেলো, প্রভুর মন জয় করতে পেরেছে সে। অশুভ শক্তির মালিক হতে পারবে রাই, এই প্রাপ্তির জন্য নিজের ভালোবাসাকে খুন করেছে, তিনজন অবুঝ বাচ্চাকে অশুভ শক্তির তরে বিলিয়ে দিবে একটু পর।

হার্ট শেপ বোর্ডের চারিপাশে বসেছে কয়েকজন, রাই ও বসেছে। রাই তার প্রভুর দিকে তাকিয়ে কিছু একটা বলল, একে অপরের হাত ধরে রাখলো, এরপর শুরু হলো মন্ত্রজপ।

মোমিবাতি গুলো ধীরেধীরে নিভে যাচ্ছে, ঘরময় জুড়ে একটাই শব্দ প্রতিধ্বনিত হচ্ছে “এসো, এসো! হে অশুভ শক্তিরা এসো” অমুকে এসো তমুকে এসো।

হটাৎ কেঁপে উঠে রাই’এর প্রভু, উনার মাধ্যমেই উপস্থিত হয়েছে আত্মা। একের পর এক আত্মার উপস্থিতি টের পেয়ে রাফি,রনি ও মিমের মত আরো তিনটি বাচ্চার কপাল আর একটু ফাটিয়ে দেয় রাই। গড়গড় করে রক্ত পর‍তে থাকে, অদৃশ্য কারা যেনো শুষে নিচ্ছে সেই রক্ত।

এদিকে জ্ঞান ফিরে আসে রাহুলের, কোনোরকমে উঠে দাঁড়ায় সে। সামনে তাকিয়ে দেখে তিনটা বাচ্চা আর্তনাদ করতেছে, কিছুক্ষণের মধ্যেই বাচ্চাগুলো লুটিয়ে পরে মাটিতে।

এরপর শুরু হয় প্রাপ্তির হাসি, ভয়ংকর হাসি। রাহুলের কান ঝালাপালা হয়ে যাওয়ার অবস্থা, রাহুল বোর্ডে হাত রেখে মন্ত্র জবতে থাকা রাই’এর প্রভুকে দেখে চমকে উঠে।

এয়ারপোর্টে মীট হওয়া সেই ভদ্রলোক, তখন স্যুট টাই পরে ছিলো। রাহুল অবাক হয়ে দেখতে লাগলো, রাই মাথা নীচু করে কাদের যেনো ডাকতেছে।

হটাৎ একসাথে কারা যেনো বলে উঠলো, “কেনো ডেকেছিস আমাদের?

রাই’এর প্রভু উত্তর দিলো, আমাদের সাহায্য করো, আমরা তোমাদের খুশি করবো। শক্তি দাও আমাদের, বিনিময়ে প্রতিদিন কচি বাচ্চাদের তাজা রক্ত উপহার দিবো।

অদৃশ্যরা মানুষের আকার নিলো, তবে ছায়ারুপে। আবারো তারা রক্ত চাইলো, রাই এগিয়ে গেলো রাফি,রনি ও মিমের দিকে।

রাহুলের কলিজা ধক করে উঠলো, ওর রক্ত বইছে ওদের শরীরে। রাহুলের একটাই চিন্তা, বাঁচাতে হবে ওদের।

কিন্তু কি করে? হটাৎ রাহুলের মনে পরে গেলো, সেদিন গাড়িতে বসে উনি প্লানচেট নিয়ে ফোনে কথা বলেছিলো। উনি বলেছিলো মিডিয়াম ছিন্ন হয়ে গেলেই বিপদ হয়ে যাবে।।

রাহুল মনে সাহস সঞ্চয় করে ভাবলো যে করেই হোক এই ভয়ংকর প্লানচেট বন্ধ করতে হবে, প্রতিরোধ করতে পারলেই হয়তো বেঁচে যাবে রাফি রনি ও মিম।

রাহুল এক দৌড়ে গিয়ে ঝাপিয়ে পরলো উনার উপর, উনি এর জন্য প্রস্তুত ছিলেন না। ছিটকে গিয়ে পরলো দূরে, বোর্ডের থেকে হাত সরে গেলো।

ঘূর্ণিঝড় এর মত বাতাস শুরু হলো, রাই থমকে গেছে।
আত্মারা ক্ষেপে গেছে, সবাই আকুতি মিনতি করে মাফ চাইতে লাগলো।

কিন্তু আত্মারা অসন্তুষ্ট হয়ে গেছে, যারা যারা ডেকেছিলো আত্মাদের তাদের সবার ছিন্নভিন্ন দেহ লুটিয়ে পরলো মাটিতে।

বোর্ডের পাশে বসে থাকা দুজন লোক ভয়ে ভয়ে উঠে দাঁড়ালো, ছোটো ঘরটার দিকে যেতে লাগলো। কিন্তু পারলোনা, ছায়ারুপী আত্মারা টেনে দু ভাগ করে ফেলল তাদের শরীর। ছিটকে রক্ত পরতে লাগলো, আর আত্মারা তৃপ্তি করে চুষে নিচ্ছে সব রক্ত। প্রায় কয়েকমিনিট দু’ভাগ হওয়া দুইটি শরীর মুচড়িয়েছে, চোখ গুলা উঠিয়ে নিয়েছে আত্মারা।

রাহুল ভয়ে ঘেমে একাকার, রাফি, রনি ও মিম অজ্ঞান হয়ে পরে আছে। তাদের গিয়ে নিয়ে আসে রাহুল, রাহুল অবাক হয় অনেক। কেননা আত্মারা ওর কোনো ক্ষতিই করেনি।

এদিকে রাই আর লম্বা লোকটি আত্মাদের অনুরোধ করলো ফিরে যেতে, কিন্তু আত্মাদের সাথে অন্যায় করেছে তারা, আত্মারা তাদের ও ছাড়লোনা। রাই’এর শরীর থেকে মাথা টা আলাদা হয়ে যায়, চিৎকার করে উঠে রাহুল।

যাক অবশেষে প্রতিরোধ সম্ভব হয়েছে।

সব শান্ত হয়ে যায়, রাহুল স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে। রাফি,রনি ও মিমকে কোলে করে বাহিরে নিয়ে আসে। ঘুটঘুটে অন্ধকার চারিদিকে, তিনজনকে নিয়ে অনেক কষ্টে গাড়ির কাছে আসে রাহুল।

পাশেই আরেকটি গাড়ি দেখে অবাক হয়ে যায়, গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে রাই’এর মা। রাহুল কেঁদে দিয়ে বলল “রাই’কে বাঁচাতে পারলাম না আন্টি।

রাই’এর মা স্বাভাবিক ভাবে বলল, তুমি বাসায় ফিরে যাও। এখানে বেশিক্ষণ থাকা ঠিক হবেনা। ওরা ফিরে যেতে পারেনি, ওদের এখন রক্ত চাই, তাজা রক্ত!

কিন্তু কারা আন্টি? আর আন্টি আপনি…. রাহুল প্রশ্ন শেষ করার আগেই রাই’এর মা হিন্দুবাড়ির প্রবেশপথে ঢুকে যায়। মিমের কয়েকমিনিট আগেই জ্ঞান ফিরেছিলো, মিম চোখ বড়বড় করে রাই’এর মা’কে দেখছিলো। কয়েকদিন আগেই তো রিমি নানু মারা গেলো, উনি কি করে আবার……? ১১বছরের মিম কিছুতেই হিসাব মিলাতে পারেনা।

গল্পের বিষয়:
রহস্য
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত