mission ভুতুড়ে হাবেলী

mission ভুতুড়ে হাবেলী

Missoin ভুতুড়ে হাবেলী পর্বঃ ০১ লেখকঃ মাসুদুর রহমান সাদিক পারিবারিক লাইব্রেরিতে একটা উপন্যাসের বই খোজার সময়,হঠাৎ একটা পুরোনো বইয়ের উপর আমার নজর পড়ে। বই টা দেখে মনে হচ্ছে ১৫-২০ বছর কেউ এই বইটাতে হাত লাগাই নাই। বইটাতে অনেক ধুলা বালি জমে আছে।আমি বই টা পরিস্কার করে বইটা আমার রুমে নিয়ে আসলাম। ভাবলাম বই টা পরে অন্য এক সময় পড়ব। বই টা টেবিলে রেখে ফেসবুকে গেলাম। কিন্তু কেন জানিনা বই টা বার বার আমাকে আকর্ষণ করছে। আমি মোবাইল রেখে বইটা পড়াতে মনোযোগ দিলাম। পড়তে পড়তে বইয়ের মাঝখানে একটা ফটো দেখতে পেলাম। ফটো টা ছিল একটা বিশাল বড় হাবেলীর, তো আমি ফটো টা নিয়ে আব্বুর কাছে গেলাম। বললাম আব্বু এটা কার হাবেলী। আব্বু ফটো টা দেখে কেমন যেন ঘাবড়ে গেল। আমাকে জিজ্ঞাসা করল, এই ছবি তুই কোথায় পেলি। আমি বললাম লাইব্রেরি তে পুরানো একটা বইয়ের মধ্যে ছিল। আব্বু বলতে লাগলেন,,,,, এই হাবেলি টা আমাদের।আমি এটা কিনে ছিলাম ২২ বছর আগে। আমার এই হাবেলী টা অনেক পছন্দ হয়। দাম ও ছিল পানির মত। তাই সাত পাচ না ভেবে এই হাবেলী টা কিনে ফেলি। গ্রামের মানুষের মুখে শুনেছিলাম এটা নাকি ভুতুরে হাবেলী। আমি এসব ভুত টুতে একদম বিশ্বাস করতাম না। তাই গ্রামবাসীর কথা পাত্তা না দিয়ে হাবেলী তে থাকা শুরু করলাম। তুই তখনো জন্মগ্রহণ করিস নি। আমি তোর মা আর তোর বড় ভাই। থাকতে শুরু করলাম হাবেলীতে। প্রথম এক সপ্তাহ খুব ভালভাবে কাটছিল। তার পরেই শুরু হয় আসল ঘটনা। রাতের বেলা অদ্ভুত রকমের আওয়াজ আসত। ছাদে ঘুপ ঘাপ শব্দ হত। মনে হত ছাদের উপর কেউ নাচানাচি করছে। প্রথমে আমরা তেমন টা পাত্তা দি না। কিন্তু আস্তে আস্তে সমস্যা আরো বাড়তে লাগল। গভীর রাতে কেউ একজন নুপুর পরে হাটাহাটি করত। মাঝরাতে কিচেন থেকে জিনিস পত্র নাড়াচারার শব্দ আসত। একদিন তোর ভাই রাতের বেলা বাইরে যাওয়ার জন্য ঘুম থেকে উঠে । সে একটা মেয়েকে দেখতে পেল, মেয়ে টা আনমনে সিড়ি বেয়ে উপরে উঠছে। সে মেয়েটাকে অনুসরণ করতে করতে তিন তলায় চলে গেল। মেয়েটা যখন তার দিকে ফিরে তাকাল তখন সে দেখতে পেল মেয়েটার চোখ জল জল করছে ভয়ংকর একটা দৃশ্য । মেয়েটা বলে উঠল আমি কাউকে ছারব না সবাইকে মেরে ফেলব। এটা শোনার পর ও একটা চিতকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়। ওর চিতকার শুনে আমরা বাইরে এসে দেখি ও মাটিতে পড়ে আছে। সকালে ওর জ্ঞান ফিরে আসলে। রাতের ঘটনা খুলে বলে। দুপুরের দিকে গা কাপিয়ে ওর জ্বর আসে। ডাক্তার পরীক্ষা করার পর জানতে পারলাম ও প্যারালাইজড হয়ে গেছে। ওই ঘটনার পর আমরা ওই হাবেলী টা ছেরে দিয়ে শহরে চলে আসি। হাবেলীটাকে বিক্রি করার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু ভুতুরে বলে কেউ ওটা কে কিনতে চাই নি। বাবার থেকে এই ঘটনা শোনার পর একটু ভয় পেলেও। মনে মনে বলি ওই হাবেলী তে কি ঘটেছিল কি এমন রহস্য লুকিয়ে আছে আমাকে সেটা উদঘাটন করতেই হবে। আমি আমার বন্ধুদের সমস্ত ঘটনা খুলে বলি। আর আমার উদ্দেশ্যের কথা টাও বলি। উদ্দেশ্যের কথা শুনে কিছু বন্ধু পিছিয়ে গেলেও মাসুম, মামুন,আফ্রিদি আর সাইদ,আমার সাথে যেতে রাজি হয়। তো কবে যাব সেটাও ঠিক করে ফেল্লাম। কিন্তু সমস্যা একটাই,হাবেলীর ঠিকানা টা জানা নেই। আব্বুকে বললে কস্মিনকালেও আমাকে সেখানে যেতে দিবে না। হটাৎ সেই বইয়ের কথা মনে পড়ল, আমি বললাম মেইবি ওই বইতে হাবেলীর ঠিকানা টা থাকতে পারে। সমস্ত বই ঘেটেও হাবেলীর ঠিকানা পেলাম না। একটু হতাশ হয়ে গেলাম। এমন সময় মামুন বলে উঠল৷ হাবেলীর ফটোতে থাকতে পারে। আমি তারাতাড়ি গিয়ে ফটো টা নিয়ে আসলাম। আসলেই সেই ফটোটার বিপরীত সাইডে হাবেলীর ঠিকানা লেখা ছিল। বাসা থেকে বললাম আমরা কিছু বন্ধু মিলে একটা ট্যুরে যাচ্ছি। বাসা থেকেও তেমন কিছু বলল না, আব্বু অনুমতি ও দিল। বলল এক সপ্তাহর ভেতর যেন চলে আসি।৷ যথারীতি আমরা পাচ বন্ধু ট্রেনে চেপে বসলাম, এবং রওনা দিলাম সেই ভুতুরে হাবেলীর রহস্য উদঘাটন করার জন্য। চলবে?? কেমন হয়েছে জানাতে ভুলবেন না কিন্তু

গল্পের বিষয়:
রহস্য
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত