আশর্চয্য মসজিদ

আশর্চয্য মসজিদ

আমি অনিক আমার বয়স ১৮ বছর আমি কোনো কাজ কাম করিনা । আমরা মাদ্রারী পুর গ্রামে থাকি আমি সবসময় ঘুরা

ফিরা করতে পছন্দ করতাম । গ্রামে কোনো বিচার শভা হলে আমাকে সেখানে অবশ্যই যেতে হত কারন আমার বিচার

বুদ্ধি সব সয়ম সঠিক ছিল তাই আমাকে আপনারা বিচারক বলতে পারেন । আমার বাবা গ্রামের মসজিদের ইমাম ছিলেন।

একদিন হঠৎ আমার বাবা মারা যান । তাই গ্রামের সকলে মিলে আমাকে ইমাম বানিয়ে দেই আমি অবাক হই না কারন

আমার বাবার পর আমারি ইমাম হওয়া কথা ছিল তাই আমি প্রতি দিন পাচ ওয়াকত নামাজ পরতাম । একদিন ফজরের

নামাজ পরার পর আমি বাসায় গেলাম যেয়ে দেখি মায়ের অনেক জ্বর হয়েছে। তাই আমি বাজারে যাই আর ডাক্তার কে

নিয়ে আসি সাথে বাজার থেকে আমার পিছু পিছু আর দুই জন লোক ও আসল আমি তাদের সাথে তখন কথা বললাম না ।

শুধু ডাক্তার কে নিয়ে খুব তাড়াতারি বাসায় চলে আসি । ডাক্তার বলল ভয়ের কোনো কারন নেই আমি ঔষধ দিচ্ছি ভালো

হয়ে যাবে । কথাটা শুনার পর মনে কিছুটা শান্তি পেলাম ডাক্তার সাহেব কে বিদায় দেয়ার পর আমি লোক দুটি কে প্রশ্ন

করলাম কেনো এসেছেন এখানে লোক দুটি বলল এতো অল্প বয়সে বিচার আর ঈমাম হয়ে গেলে বড়ই ভাগ্যে বেপার আমি

বললাম হমম তা আপনারা এখানে কেনো এসে ছেন । তোমাকে নিতে এসেছি আমি বললাম কিন্তূ কেনো লোক দুটি বলল

লোক দুটি বলল আমাদের গ্রামের অনেক বড় একটা বিচার করতে হবে তোমাকে । কেউ সঠিক বিচার করতে পারছেনা

তাই আমি বললাহ তাহলে বসুন দুপুরের খাবার খেয়ে এক সাথে যাব । মাকে বললাম আমি কি যাব মা বলল যা আমি ঠিক আছি ।

2 টার দিকে রওনা হলাম আমার আমি জান ফিরতে রাত হবে তাই একজন কে সাথে নিয়ে নিলাম । তার পর আমরা নদী পার

হওয়ার জন্য নৌকায় উঠলাম 2 ঘন্টা পর নদী পার হলাম তার পর আরো 1 ঘন্টা হাটার পর বিচার শভায় এশে পৌছালাম ।

বিচার আর্মভ করলাম । এক সময় আমি যাকে নিয়ে এসে ছিলাম সে আমাকে কিছু না বলে চলে যায় । পরে বিচার শেষ

করলাম তার পর আমি তাকে খুঝতে লাগলাম পরখনে এক লোক বলল আপনি কি কাউকে খুঝছেন আমি বললা হে আমার

সাথের লোকটি কে খুঝছি লোকটি বলল সে চলে গেছে আমি বললাম কেনো লোক টি বলল ওর বউয়ে বাচ্চা হবে তাই না

লেই তাড়াতারি বাসায় চলে যায় আমাকে বলে । আমি যেন বিচার শেষে আপনা কে বলে দেই ওহ আচ্ছা আপনাকে ধন্য বাদ ।

এখন আর কি করার একাই যেতে হবে মাঝিকে বলে ছিলাম আমার আসতে রাত হবে না জানি সে আছে কিনা । যেতে যেতে

অনেক দুর চলে এসেছি কিন্তু রাসতা যেন শেষ হয় না । ইকটু পরেই আযান শুনতে পাই । এখান থেকেই ঘটনা শুরু 

আযানের পর এখন ও অনেক খানি পথ বাকি রাতের অন্ধকারে ঠিক করে রাসতা ও চিনতে পারছিনা । তাই আর দেরি না করে

আমি নামাজের জন্য মসজিদ খুচতে থাকি যাতে যামাতের সাথে নামাজ পরতে পারি । পরখনে কিছু দুর হাটার পর আমার কানে

ভেসে আসল কে জেনো বলল । অনিক মসজিদ খুচছ ঘুরে তাকিয়ে দেখি এক বিদ্ধ আমি বললাম হে কথায় পাব মসজিদ

আমার নামাজের দেরি হয়ে যাচ্ছে । বিদ্ধ বলল সামনে গিয়ে বামে তার পর সোজা আমি বিদ্ধর কথায় সোজাহাটা দিলাম ।

সামনে দুটি রাসতা দেখলাম ডানে আর বামে বিদ্ধ যেহেতু বামে বলেছিল তাই আমি বামেই চলে যাই । অনেক খন হাটার পর

আমার মনে হল আমি যতই আগে যাচ্ছি আযানের আওয়ায ততই কমে আসছে । এখন আমি পিছনে ও যেতে পারব না আমি

পথ হারিয়ে ফেলেছি । তাই সামনেই যেতে থাকি আযানের আওয়ায আর এক সময় শুনা গেলনা । আমি সামনে এক জন বুড়ি

কে দেখতে পাই বুড়ি কে বললাম নানি এ খানে মসজিদ কথায় আছে উনি ইশারা করে বলল সামনে । আর হাসছিল আমি বুঝতে

পারলাম উনি মানুষ না । তাই উনার কথা মত আগেবার তে লাগলাম । পরখনেই তাকিয়ে দেখি একি এ দেখি এক আশর্চয্য মসজিদ 

এতো দেখি এক আশর্চয্য মসজিদ । এতো ঘন এক জন্গলের ভিতর এক হিরের আশর্চয্য মসজিদ পুরো মসজিদ হিরে দিয়ে তৈরি

আমামার কোনো লোভ নেই তাই আমি মসজিদটায় যেতে চাচ্ছিলাম না কিন্তু আমার ভয় করছিল যদি মসজিদে গেলে অঘটন ঘটে

তাই আমি মোটেও যেতে রাজি না তখন কোনো মানুষ ছিল না মসজিদের আস পাসে । এইগুলো ভাবতে ভাবতে হঠৎ দেখি কতগুলো

মানুষ তাদের গায়ে পরা সাদা পানজাবী আর মাথায় সাদা টুপি বুঝতে বাকি রইল না যে তারা নামাজ পরতে এসেছে । তার পর দেখছি

সারি সারি মানুষ লাইন ধরে মসজিদে ঢুকছে সবারি একি রকম পোসাক সাদা আর সবার চোখ লাল এগুলো দেখতে দেখতে পিছন

থেকে পাচ জন লোক এল আমাকে ইশারায় মসজিদে যেতে বলে আমি ভয়ে না বলি যে আমি যাব না । তাই তারা আমাকে ধরে টানতে

টানতে মসজিদে নিয়ে এল আমি বললাম আমাকে ছারুন আমি আমি নামাজ পরব বলা তে আমাকে সবাই ছেরে দিল । মসজিদ টা এত

সুন্দর যে আপনার মনে লোভ না থাকলে ও আপনি মসজিদে না এসে পারবেন না । আর মনে মনে বলবেন এক বার হলে ও নামাজ

পরেই যাব তাই আমি ও না এসে পারলাম না । তার পর উজু করতে গিয়ে দেখি সবাই উজু করছে আমি ও উজু করে মসজিদের ভিতর

গিয়ে বসি সামনের কাতার খালি তাই আমি ইমামের বরাবর পিছনের যায়গায় বসি তার পর ইমামের জন্য অপেক্ষা করতে থাকি একসময়

মনে হলো ইমাস ছে না কেনো তাই পিছনে তাকা তার পর যা দেখলাম হঠৎ করে আমার পিছনে সর কাতার মানুষে ভরা তাই আমি এক

জন কে জিগগাসা করলাম কে নামায পরাবে এখনো ইমাম আসছে না কে নো । তার পর এক সাথে সবাই ইশারা করে বলল আপনি নামাজ

পরান সবার কথায় আমি রাজি হই কারন আমি নিজেও এক জন ইমাম । তাই ইমামের যায়গায় আমি নামাজের জন্য দারাই আর অবাক

হই আমি ইমামের যায়গায় আসতেই সামনের কাতার ভরে যায় যাই হোক অবশেষে নামাজ শেষ করলাম তার পর আমি মসজিদ থেকে

বের হতে যাব আর তখনি আমাকে ওই পাচ জন লোক টেনে ধরে । আর ম বলে রাতের খাবার না খেয়ে যেতে দিবে না তাই আমি প্রথমে না

করি পরে দেখি সবার চোখ আর লাল টুকটুকে হয়ে গেলো তাই আমি ভয়ে রাজি হই তার পর খাওয়া শেষ করে আমি মসজিদ থেকে বেরিয়ে যাই ।

অন্ধ কারে জনগল দিয়ে হাট ছি হঠৎ করে একটি রাস্তা দেখতে পাই । সেই রাস্তা দিয়ে আমি নদির পারে যাও য়ার চেস্টা করছি কিন্তু অনেক খন

হাটার পর আমি কেলান্ত হয়ে পরি

তার পর রাস্তার পাসে একটা বড় বড গাছের নিচে বসেপরি । কিছু খন বসে আবার হাটতে থাকি। ঠিক তখনই এক লোক বলল বাবা অনিক না ।

আমি বললাম হে এতো রাতে এই খনে কি করো । বললাম নদির পার যাব কিন্তুু চিনতে পারছিনা । রাস্তা কোনটা লোকটা আর কেউ আমাদের

গ্রামের সেলিম চাচা । বলল আমি তোমারে নিয়া যাইতে ছি আহো আমার লগে । আমিও তার সাথে হাটা সুরু করলাম আর অনেক গল্প করলাম

গল্প করতে করতে একসময় নদির পারে এসে পরি । সেলিম চাচা বলল এখানে তুমি দাড়াও আমি আসি আবার দেখা হবে । বলে চলে গেল আমি

নদির পারে এসে দেখি মাঝি চাচা নাই অনেক বার মাঝি চাচার নাম ধরে ডাকি কিন্তুু কোনো সারা সব্দ নাই তাই নদির পারেই বসে পরলাম আর

ঘড়ি দিকে তাকাই এবার ত আরো অবাক হলাম 2 টাবাজে এতো রাত কখন হলো কিছুই বুঝতে পারছিলাম না । কিন্তুু এতো টুকু বুঝতে পেরেছি

এখনো আমার কোনো ক্ষতি হয় নাই তবে হতে চলেছে । আরসেটা কি আমি জানি না । এই ভাবে ঘন্টা খানিক বসে থাকার পর আমি হঠৎ চমকে

যাই প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন লোক সবার গায়ে আর মাথায় সাদা জামা আর টুপি সবার চোক আগের থেকে ও বেশি লাল টুকটুকে তারা সবাই

নদির পারে আসছে ৪ জন এর কাধে একটা লাসের খাটিয়া আর খাটিয়ার মধ্যে একটা মহিলার লাস । লাস নিয়ে আমার সামনে আসে আর

অদভুদ কন্ঠে বলে চলো আমাদের সাথে । আমি ভয় পেয়ে যাই আর একটা গোল করে বৃও আকি আর এর মধ্যে থেকে দোয়া সুরা পরতে থাকি

আর বলি আমার কাছে আসবে না । তাহলে পুরে ছাই হয়ে যাবে তোমরা এই কথা শুনে এক জন বৃওের ভিতর আসে আর বলে আমাদের কিছুই

হবে না বলে । সবাই লাশটি নিয়ে নদির মধ্যে নেমে যায় । আর এক সময় সবাই লাশটি নিয়ে পানির অতলে নদির মাঝে হারিয়ে । যায় তার পর

আমি চোখ বন্ধ কে ভাবতে থাকি যা হচ্ছে ঠিক হচ্ছে তো তার পর আমি চোখ খুলি চোখ খোলার সাথে সাথে আমি আশর্চয্য হয়ে যাই আরে

এতো দেখি সেই আশর্চয্য মসজিদ । তার পর ভাবতে থাকি মসজিদ আমার কাছে এসেছে নাকি আমি মসজিদের কাছে এসেছি । পরক্ষনে

বুঝতে পার লাম আমিই মসজিদের কাছে এসেছি আর মসজিদ মসজিদের যাগায় আছে । তার পর ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি । ফজরের

আযানের সময় হয়েছে আর সাথে সাথে মসজিদ থেকে গাইবি আওয়াজে বলল তুমি এই মসজিদে আজান দেও আমি শুনার পর উজু করে আযান দেই । 

তার পর নামাজের জন্য মানুষের অপেক্ষা করতে থাকি কিন্তুু অবাক করা বিশয় কেনো লোক আসল না । তার পর আমি নিজেই নামাজে

দাড়িয়ে পরি নামাজ পরা শেষ করে আমি ভয় পেয়ে যাই নামাজে র জন্য যাদের অপেক্ষা করছি লাম তারা সবাই নামাজ আমার সাথে শেষ

করে পুরো মসজিদ ভরা লোক কখন আসল আমি বুঝতে পারলাম না । এর পর আমিন ধরে শেষ করি । তার পর আমি বাহিরে দাড়াই এবং

ভাবি কি হচ্ছে এই গুলো আমার সাথে যখন ভাবা শেষ আমি আবার ও আশর্চয্য হই আমি আমি দেখি আমি শেই নদি র পারে দাড়িয়ে আছি ।

তখন 7 টা বাজে ঘন্টা খানিক পর আমি দেখি মাঝি চাচা আসছে আমি চিৎকার করে বলি মাঝি চাচা না । মাঝি চাচা উওর দেয় হ আরে বাবা

অনিক না বলল মাঝি চাচা আমি বললাম চাচা আপনে চইলা গেলেন কেন কালকে রাতে চাচা কইল আমি রাইতের দশ টা পর্যনত আসি লাম

তুমি আর আহো না তাই চইলা গেছি লাম । আচ্ছা ভালই করছেন নৌকায় উঠে বসলাম । তার পর চাচা কইলো রাইতে কি ভয়টয় পাইছো

নাকি আমি বললাম না চাচা কেনো চাচা কইল এই নদির পারের রাস্তাটা বেশি ভালো না এই রাস্তা দিয়া অনেক মানুষ যাওয়া আসা করইরা ভয়

পাইছে রাতের বেলায় আমি বললাম ও আমার তেমন কিছুই হয় নাই রাতে এই রাস্তায় আমার লগে সেলিম চাচার দেখা হইছিলো তার সাথেই

গল্প করতে নদির পারে আসি আমার দিকে বড় বড় চোখ কইরা আর ভয়ে ভয়ে বল তাছে কোন সেলিম আমি বললাম আমগো গ্রামের

সেলিম চাচা । তার পর যা শুন লাম তাতে এইবার ইকটু ভয়ে গেলাম । মাঝি চাচা বলল কালকে যখন তুমি আমার নৌকায় আহো তখন সেলিমের

লাশের যানাযা পরানের লইগা সবাই তোমার বাড়িযায় আর তোমারে না পাইয়া এখনো লাশের যানাযা হয়নাই । তুমি গেলে করব যানাযা এই

গ্রামে তো আর কোনো ইমাম নাই তাই তমারই করতে হইব । আমরা নদি পার হলাম গ্রামে পা রাখার সাথে সাথে কয়েক জন দৌড়ে আসে

আর কেউ কেউ আমার মাথায় হাত বুলায় কেউ কেউ আমার গাও দোয়ায় পৌছায় আবার কেউ কেউ কান্নাও করতে ছে এমন ভাব কর তাছে

যেন আমার কিছু হইয়া গেছে । অথবা আমার কেউ মারা গেছে গ্রামের মানুষ এমন করছে কেনো । আমি কিছুই বুঝতে পারলাম না ।

আগেতো কখনো এমন করেনি কেউ তাহলে কি।

স্যতি কেও মারা গেছে বাসায় গিয়ে দেখি অনেক ভির জমে আছে আমার বাসার সামনে ইকটু পরে দেখি আমার মা মারা গেছে ।

তার পর আমি কান্নায় লুটে পরি । অনেক খন পর কান্না করার পর এক লোক বলল বাবা অনিক এখন তো যোহরের আযানের সময় হয়েছে ।

তোমাকে শক্ত হতে হবে কারন তুমি একাই এই গ্রামের ইমাম আর এই ভাবে কান্না করলে তো হবে না । নামাজের পরত দুই দুই টা লাশ

যানাজা করতে হইব । লোকটার কথা শুনে কিছু টা শক্ত হলাম তার পর গোসল করে যোহরের আযান দিলাম । নামাজ পরতে সবাই চলে

এসেছে আর দেরি না করে নামাজ পরা লাম এর পর । আগে সেলিম চাচার লাশের যানাজা করলাম তার পর আমার মায়ের যানাজা করলাম ।

মাটি দিয়ে কবর দিলাম । আর আজ আমি সারা রাত মায়ের কবরের পাসে কাদলাম । পরে । ফজরের নামাজ পরে বাসায় আস লাম ।

অনেক কেলান্তি পর আমি ঘুমিয়ে পর লাম এর থেকে আমার সাথে শুরু হলে এক নতুন ঘটনা । আমি পাচ ওয়াকতে দশ বার আযান দিতআম ।

তাও এক মসজিদে নয় দুই মসজিদে গ্রামের মসজিদে সব সময় সঠিক টাইমে আযান আর নামাজ পরা তাম । কিন্তুু ওই আশর্চয্য মসজিদ প্রতি

ওয়াকতে ১ ঘনটা আগে আমাকে তার সামনে আযান আর নামাজ পরাতে নিয়ে যেত । কিরে যেতাম আর কি ভাবে আসতাম তাও আমি জান

তামনা শুধু এই টুকু যানতাম । যে ওই আশর্চয্য মসজিদের নামাজ শেষ হলে আমার গ্রামের আযানের সময় হত আর এই ঘটনা তার পর

থেকে প্রতি দিনিই ঘটে আমার সাথে এক দিন মাকে সপ্নে দেখি মা বলছে বাবা অনিক তুই এই আশর্চয্য মসজিদ কে থামা না হলে এই

মানুষ দের ও আমাদের মত মরতে হবে আমি মায়ের কথা সপ্নে কিছুই বুঝলাম না । শুধু এই টুকু বুঝলাম এই আশর্চয্য মসজিদের অব্যশই

কোনো বড়ো রহ্যস আছে । পরের দিন নামাজ পরে ঘুমো ছিলাম হঠৎ করে সেলিম চাচা সপ্নে এসে বলল বাবা অনিক তুমি যত তারা তাড়ি

পার এই আশর্চয্য মসজিদ সমপর্কে কিছু জানতে চাও বলেই সপ্নের মাঝে হারিয়ে গেল পরে ঘুমতে উঠে বুঝতে পারলাম এই আশর্চয্য

মসজিদ সমর্কে কে আমাকে জানতে হবে কিন্তু কার কাছে যানতে চাইব তা জানি না তার পর আবার সেই আশর্চয্য মসজিদে গেলাম ।

নামাজ শেষ করে বাহিরে এসে আমি চিৎকার করে বললাম হে আশর্চয্য মসজিদ ।

কত বছর ধরে তুমি এখানে আছ । তখন গাইবি আওয়াজ ভেসে আসে ১০০ বছর । তার পর আমি বললাম তাহলে এতে দিন কে আযান

দিত আর কে নামাজ পরাত । আবার ও গাইবি আওয়াজ ভেসে আসে রহমান । আমি বললাম কোথায় থাকে । এবার বলল বরিশাল

আমি বললাম এখন কেনো আসে না । বলল মারা গেছে । আমি আর কিছু বললাম না । চোখ বন্ধ করলাম আবার চোখ খুললাম আমি

আমার গ্রামে এসে পরেছি । তার পর আমি আশর্চয্য মসজিদের সিস্টাম বুঝে গেছি । যাই আশর্চয্য মসজিদের ইচ্ছায় আসি নিজের ইচ্ছায় ।

তার পরের দিন আমি বরিশাল যাই রহমান দাদু রখোজ করি কে ও বলতে পারল না তার পর আমি একটা চায়ের দোকানে বসি একটা

লোক সিগারেট টানছে আমি সহ্য করতে পারছিনা লোক টা কে বলি ভাই সিগারেট টা ইকটু দুরে গিয়ে খান এর পর লোকটা কিছু বলল

না চুপ চাপ দোকান থেকে উঠে বাহিরে গিয়ে সিগারেট টানছে । আমার এই কাহিনি দেখে দোকান দার বলল এই গ্রামে কি নতুন নাকি

মি বললাম হে নানা লোকটা অনেক বিদ্ধ ছিল বয়স আনুমানিক ১০৫ হবে । দোকান দার বলল কাগো বাসায় আইছ । আমি বললাম

কারো বাসায় না । এক জনের খোজ নিতে এলাম তো দোকান দার বলল কার খোজ নিতে আইছ আমি এই গ্রামের সবাই রে চিনি আমি

বললাম এই গ্রামের ইমাম সাব রহমান দাদুর বাসা সে বর্তমান মারা গেছে আমি জানি তাই তার বাসায় যাওয়া টা আমার জন্য অনেক টা

জরুরি আমি মাদারী পুরের ইমাম । দোকান দার বলল ওহ তাই কও রহমান আমার বন্ধু আসিল ছোট বেলায় এক সাথে খেলছি একসাথে

কত ঘুরছি । দাড়াও আমি রহমানে নাতি রে ডাক দেই এই খানেই আছে তার পর দোকান দার ডাক দিল ওই আনিস এক জন লোক তগো

বাসায় যাইব লইয়া যা এর পর সেই লোকটা এল আরে আপনে দোকান দার কইল এইটাই রহমানের নাতি এই ইকটু আকটু সিগারেট খায়

মাঝে মাঝে । তার পর আনিস বলল কি দরকার আমি বললআম বাসায় গিয়ে কথা বললে ভালো হয় । তার আনিস বলল তাহলে চলুন

আমরা আসলাম আনিসের বাসায় আনিস বিয়ে করেছে । আনিসের বউ আমার জন্য চা . বিস্কেট .পানি এই গুলো নিয়ে আসে ।

আনিস বলল আপনার নাম আমি বললাম অনিক তার পর কিরেন আমি বললাম আমি একজন ইমাম বুঝহেন হিতে ইমাম রা কি করে

হমম বুঝলাম তা এখানে কেনো এসেছেন আমি বললাম রহমান দাদুর সম্পর্কে কিছু যান তে এসে ছি । হমম কি যানতে চান বলুন ।

আমি বললাম রহমান দাদু কত বছর এই আশর্চয্য মসজিদে আযান আর নামাজ পরেছেন । এই কথা শুনে মনে হলো অনিসের

চোখ গুলো মাথায় উঠে গেলো ভয় ও পেতে লাগল । বলল আশর্চয্য মসজিদ আবার উঠেছে যত তাড়া তাড়ি পারেন আশর্চয্য মসজিদ

টিকে মাটিতে ডাবিয়ে দিন । না হলে প্রতি ওয়াকতে নামাজের পর ১জন করে মানুষ মারা যাবে । আমার দাদা ১ মাস ওই আশর্চয্য

মসজিদে আযান আর নামাজ পরায় । তার পর সে বুঝতে পারে প্রতি দিন রাতে দাদা কে তাদের লাসের সাথে যেতে বলত কিন্তুু দাদা

ভয়ে সেই নদিতে তাদের সাথে নামত না । এমন বার বার বলত একদিন দাদা তাদের লাসের সাথে সেই নদিতে নামে আর সাথে সাথে

কার বাসায় যেন পৌছে যায় । দাদা দেখছে লোকটা পাগলের মত করছে । আর মৃত্যুর কেপে উঠছে আর তখন আমার দাদা বলল কি

হয়ে ছে । আর সাথে সাথে লোক গুলো লাশের খাটিয়া আর লাশ ঘায়েব হয়ে গেল । আর লোক টা বলল আপনি আমাকে বাচালেন ওই

আশর্চয্য মসজিদ টাকে থামান না হলে আমার মত আরো অনেক কেই মরতে হবে । তার পরের দিন থেকে দাদা একটা দোয়া আর

একটা সুরা লিখে । আর তা দিয়ে ৫ টা তাবিস বানায় আর চার কোনো চার টা পুতে দেয় ওনেক বাধা পরে আর ৫ নামবার টা আশর্চয্য

মসজিদে উপর ছুরে মারে আর তখন অনেক ঝর তুফান শুরু হয়ে যায় । আমার দাদা ভয় না পেয়ে সুরা পরতে সুরু কে আর তার পর

হাটা শুরু করে । আর পেছনে তাকানো যাবেনা পেছন থেকে অনেক কথা বলবে এমন সব কথা বলবে যে তোমার তাকা তে মন চাই

বে তবু ও তাকা বেনা তাহলে তাবিজের গুন ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাবে আর আশর্চয্য মসজিদ আবার ওই খানেই থেকে যাবে সূতরাং ভয়

অথবা লোভ করা যাবে না । তাহলে আসতে পারবে আর এসে পরলে আশর্চয্য মসজিদ টি ১০ বছরের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে আর মাটির

গভিরে চলে যাবে । কিন্তু এই আশর্চয্য মসজিদ আবার১০ বছর পর তার পুরনো আবির্তি শুরু করবে আবার তোমাকে আযান আর

নামাজ পরাতে হবে আর আবার ওই আশর্চয্য মসজিদ টিকে মাটির নিচে ডাবাতে হবে । এই পযর্ন্ত আমার দাদা এই আশর্চয্য মসজিদ

টিকে ৯য় বার ডাবিয়ে দিয়ে ছে । আর এর ২ বছর পর আমার দাদা মারা যায় আমার তখন ১১ বছর আর এখন দাদা মারা যাওয়ার পর

এই আশর্চয্য মসজিদ টি ৮ বছর পর আবার তার আগের যায় গায় উঠেছে । আপনে যত তারা তারি পারেন আশর্চয্য মসজিদ টিকে

ডাবিয়ে দেন । এক তর ফায় এতো গুলো কথা বলে থামল আনিস । আমি বললাম তাহলে আমাকে তাবিস বানাতে হবে আর সেই দোয়া

আর সুরা তো আমি জানিনা । আনিস বলল দাদা মারা যাওয়ার আগে সেই দোয়া আর শুরা ।

একটা খাতায় লিখে রেখে ছিল সে জানত আবার এমন হবে । তার পর আনিস খাতা টা আমার কাছে আনল আমি সমস্ত দোয়া সুরা মুখস্ত

করে ফেলি আর সব নিয়ম পরি । তার পর আমি ৫টা তাবানাই আমি রাতে গেলাম শেই আবার আশর্চয্য মসজিদের সামনে প্রথম সাইড

১টা তাবিজ পুতলাম আর দেখলাম সোনার বস্তা আমি লোভ করলাম না । ২য় সাইড ১টা তাবিজ পুত আর দেখলাম হিরের খনি তাতে ও

লোভ করলাম না । তার পর ৩য় সাইডে ও ১টা তাবিজ পুত লাম আর তখন গাইবি আওয়াযে বলল আমি তোমার ৩ টা ইচ্ছা পুরন করব

তাতে ও আমি লোভ করলাম না । ৪র্থ সাইডে ১টা তাবিজ পুতলাম আর তখন বলল ৫ নামবার তাবিজ টা ফেলে দে আমি তোকে যাচাস তাই

দিবো আমি বললাম আমার কিছুই চাই না । এবার ও লোভ করলাম না । ৫ নামবার তাবিজ টা আমি ওই আশর্চয্য মসজিদের উপরে ছুরে মার

লাম আর সুরা দোয়া পরতে লাগলাম । আমি বাসায় চলে যাচ্ছি আর আমার পিছন থেকে ঝর শুরু হয়ে গেলে অনেক আত্ন চিৎকার আরো

কত কি যাই হয়ে যাক না কেনো আমি পিছনে তাকাতে পারব না । তাহলে তাবিজের গুন ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাবে আর আশর্চয্য মসজিদ আবার

আগের যায় গায় থাকবে । তাই যাই হোক না কেনো আমাকে কোনো মতে নদির পারের পানি পরসো করতে হবে তাহলেই ১০ বছরের জন্য

মুক্তি আর আমি মাঝি চাচা বলে রেখেছি যতই রাত হোক আমার জন্য অপেক্ষা করতে তার জন্য যত টাকা লাগে আমি দিবো বলেছি ।

হঠৎ মনে হলো আমার পায়ে গাছে শিকর আটকে আমাকে পেছনে টানছে আমি ও বুঝে গেলাম যে শিকর থেকে শেখরে পৌছতে হবে

আমি সমনেই আগে বরছি এক সময় নদির কাছে চলে আসি আর নদির পানি পরসো করি সব যেনো আগের মত শান্ত হয়ে গেছে আমি

মাঝি চাচা কে বললাম চলো চাচা নৌকা চলতে শুরু করল আর আমি ভাবতে শুরু করলাম । ১০ বছর পর আবার উঠবে এই আশর্চয্য

মসজিদ তখন কি হবে ।

……………………………………….সমাপ্ত………………………………….

গল্পের বিষয়:
রহস্য
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত