অামি নৌকায় বসে অাছি। চারদিকে তখন কালসন্ধ্যা। জায়গাটা সম্পর্কে সেরকম কোন সুস্পষ্ট ধারনা নেই। দূরে বিচ্ছিন্ন দু তিনটে দ্বীপ। সেখানে প্রাচীন অামলের বেশ কিছু দূর্গ মাথা তুলে ভূতুড়ে ভাবে তাকিয়ে অাছে অামার দিকে। দূর্গের কাঠামো অনেকটা ইংল্যান্ডের প্রাচীন অামলের কায়েদখানার মতো। কেমন যেন অস্বস্তি লাগতে লাগলো। অস্বস্তি থেকে অল্প অল্প ভয় চুঁইয়ে পড়ছে মনের মাঝে। চারদিক থেকে উড়ে অাসা প্রেতের মতো কুয়াশার অাগমন। কুয়াশার প্রাচীর চিড়ে হঠাৎ একটা নৌকা দেখা দিলো। বিষন্ন, ভূতুড়ে, মৃত্যুনীরবতায় ছেয়ে অাছে চারদিক। ভয়ে ভয়ে ডাক দিলাম
-কেউ অাছেন নৌকায়?
কিন্তু নীরবতা ভাঙলো না কেউ। যেন নীরবতা ভাঙাটা এ মুহুর্তে অপরাধবিজ্ঞানের প্রধান সূত্রের মাঝে পরে। মাঝিবিহীন নৌকাটা এবার সুস্পষ্ট হলো, অার অামার মাঝে জাগলো চরম অাতঙ্ক। কেন যেন ভয়ে হাত পা সিঁটিয়ে যাচ্ছে। পাল তোলার বাঁশটায় হলদেটে হ্যারিকেনর অালোটা জাগাচ্ছে অপার্থিব অাতঙ্ক। যেন শ্বাপদের চোখ! কোথা হতে ভেসে অাসছে ছোট্ট একটা মেয়ের গলায় সুর করে গাওয়া ” টুইঙ্কেল টুইঙ্কেল লিটিল স্টার” কবিতাটি। নৌকাটা একসময় অামার নৌকার পাশে এসে থেমে গেলো। নৌকার দিকে তাকাতেই অাতঙ্কে জমে গেলাম। ইতিহাস কুখ্যাত জ্বলজ্যান্ত অশুভের প্রতীক “এনাবেল ডল” বসে অাছে সে নৌকায়, অার তার পাশে একটা কফিন। অাতঙ্ক অার ভয়ের চরম পর্যায়ে পৌছুলাম, যেন এ যাত্রাই অামার শেষ যাত্রা হবে। হঠাৎ ঝট করে খুলে গেলো কফিনের ডালা, অার অামি কফিনের দিকে তাকিয়ে অাঁতকে উঠলাম। অামার ই লাশ! এনাবেল ডলটা অামার দিকে ঘুরে ভূতুড়ে হাসি নিয়ে ঠোঁটের উপর তর্জনি ঠেকিয়ে বললো “shhhhhh”.
চিৎকার দিয়ে ঘুম থেকে উঠে গেলাম। কিছুক্ষন পর ধাতস্থ হতেই চোখ গেলো টেবিলের উপর। সেখানে বসে অাছে এনাবেল ডল টা। অলীক হাসি মুখে নিয়ে চেয়ে অাছে টলটল করে….অামি মানস। অনার্স ফার্স্ট ইয়ারে পড়ছি। বেস কয়েকদিন অাগের ঘটনা। তখন পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে ক্যম্পাসে সাজ সাজ রব। অবশেষে এলো পহেলা বৈশাখ। পাঞ্জাবী, উত্তরীয় ও ধুতির কোছা হাতে নিয়ে রাস্তায় বের হলাম। এর অাগে একঝলক অায়নায় নিজেকে দেখে নিলাম। সত্যিই নিজেকে নিজেই বললাম, “অপূর্ব! ”
মা বলতেন
-ছেলেদের এত সুন্দর হতে নেই!”
অামি শুধু মুচকি হাসতাম। তখন ক্যাম্পাসে। মেইন গেইট দিয়ে ঢুকতে যাবো এমন সময় একটা অটোর ভিতর থেকে চিৎকার শোনা গেলো
-মামা অটো থামান!
অামি সেদিকে চোখ দিতেই দেখলাম একটা মেয়ে অাটপৌরে ধাঁচের শাড়ি পড়ে অামার দিকে এগিয়ে এলো। এসেই বললো
-নাম কি?
অামি ভাবলাম বড় অাপু হবে কি? কিংবা কোন ভুল করেছি কি?
ভয়ে ভয় উত্তর দিলাম
-মানস।
-কোন ডিপার্পমেন্ট?
-স্ট্যাট ফার্স্ট ইয়ার।
কিছু না বলে চলে গেলো। তারপর ব্যাপারটা নিয়ে মাথা ঘামালাম না। রাত্রে ফেসবুকে ঢুকতেই দেখি সুলোচনা রায় মানসী নামে একটা ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট। অারে এ ত সেই মেয়েই। অালাপচারিতায় জানা গেলো মেয়ে ফার্মেসি ১ম বর্ষে অাছে। তারপর কথাবার্তায় দুজনে কাছাকাছি হলাম।
চিন্তার ছেদ পড়লো মায়ের ডাকে। কিরে ভার্সিটি তে যাবি না?
-মা, অাজ শুক্রবার।
-ওহ মনেই ছিলো না। শোন অাজকে অামি অার তোর বাবা রিমার গায়ে হলুদে যাবো। তুই তোর ছোট ভাইকে সামলে রাখিস।
অনুপ অামার ছোট ভাই, যে জীবনের ৫ টি বসন্ত পাড়ি দিয়েছে। ফ্রেশ হতে বাথরুমে ঢুকলাম। হঠাৎ অামার চিন্তায় কড়া নাড়লো এনাবেল। কেন যেন মনে হচ্ছে অামি একাকী না, অামার পাশে কেউ অাছে, যে কি না খুবই অশুভ! সাতপাঁচ চিন্তা মাথা হতে ঝেরে ফেলে দিলাম। বাইরে বের হতেই বুকটা ধক্ করে উঠলো ছোট ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে। এ কি করলো! অামার এনাবেল ডলটার একটা হাতের অাঙুলগুলি দাঁত দিয়ে ছিড়ে নিয়েছে! রাগ ও অাতঙ্ক অামার রক্তে ঢেউ খেলে গেলো! চিৎকার দিয়ে বললাম
“কি করেছিস তুই! কতবার না করলাম এনাবেলে হাত দিবি না!”
-বাবার স্টাডি রুমে খেলছিলাম। দেখি সেখানে পড়ে অাছে।
-কিন্তু এনাবেল ত অামার রুমে ছিলো! বাবার রুমে কি করে গেলো!
-অামি কি করে বলবো। পচা পুতুল।
এই বলে এনাবেল টা অামার দিকে ছুঁড়ে দিলো। মনে মবে ভাবতে থাকলাম, ব্যাপারটা কি সত্যিই সেরকম কিছু ছিলো! অামার রুম থেকে ত মুভ করার কথা নয়! একটা ব্যাপার নিয়ে অাজগুবি স্বপ্ন দেখতেই পারি তাই বলে একটা পুতুল এক রুম থেকে অন্য রুমে হেটে যাবে, এমন গাঁজাখুরি কথা বিশ্বাসযোগ্য না।
ব্রেকফাস্ট করছি। তখন প্রায় দুপুর সাড়ে বারোটা। তীক্ষ্ণ ছুঁড়িতে ফসফর লাইটের অালো ঝিঁকিয়ে উঠলো। ধারালো ছুরি নিয়ে পাউরুটির উপর মাখনের প্রলেপ দিচ্ছি। হঠাৎ কারেন্ট চলে গেলো। ৬ তালার উপর অামাদের ফ্ল্যাট টা গ্রাস অাবছা অন্ধকারে। অাইপিএস চালু হচ্ছে না কেন! ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালালাম। তবু যেন অন্ধকার দূর হতেই চায় না! হঠাৎ ফোনে একটা ম্যাসেজ অাসলো, অচেনা নাম্বার থেকে। ম্যাসেজে লেখা
“MISS ME…?”
অবাক হলাম। ম্যাসেজ প্রদানকারী কে হতে পারে? অার এমন ম্যাসেজ পাঠানোর কারন! হঠাৎ ভীত কন্ঠস্বর শোনা গেলো। দাদা.. দাদা কোথায় তুমি! অামার ভয় করছে।
অনুপের কথা ভুলে গিয়েছিলাম। তাড়াতাড়ি পা চালালাম স্টাডি ঘরের উদ্দ্যেশ্যে। অবাক হলাম, অামি অাবার ঘুরে ডাইনিং এ চলে এলাম। বাবার স্টাডি রুম খোঁজে পাচ্ছি না! এমন কেন হচ্ছে অামার সাথে! অাতঙ্কিত, সাথে নিরবচ্ছিন্ন ভয়….। যেন অামার গলা টিপে ধরছে। বুকের কাছটায় ঢিপঢিপ শব্দ প্রবল হচ্ছে। হঠাৎ অার্তচিৎকার শোনলাম! অামার ছোট ভাইয়ের। দৌড় দিলাম। বাবার স্টাডি রুম পেলাম এবার। ঘরে ঢুকে ছোট ভাইয়ের দিকে ফ্ল্যাশ কাক করতেই সভয়ে চিৎকার দিয়ে উঠলাম। এ কি হলো!!! হায় হায়!
অামার ছোট ভাই একহাত দিয়ে অারেক হাতের কব্জি ধরে রেখেছে। সে কব্জির মধ্যমা ও অনামিকা অাঙুলদুটো নেই! অনর্গল রক্ত পড়ছে! নিচে অাঙুল দুটো পড়ে অাছে, অার পড়ে অাছে বাটার মাখানোর ছুরি ও পাশেই বসে অাছে এনাবেল ডলটা। রক্তে মাখোমাখো এনাবেল ডলের মুখে পৈশাচিক হাসি…..
-কেউ অাছেন নৌকায়?
কিন্তু নীরবতা ভাঙলো না কেউ। যেন নীরবতা ভাঙাটা এ মুহুর্তে অপরাধবিজ্ঞানের প্রধান সূত্রের মাঝে পরে। মাঝিবিহীন নৌকাটা এবার সুস্পষ্ট হলো, অার অামার মাঝে জাগলো চরম অাতঙ্ক। কেন যেন ভয়ে হাত পা সিঁটিয়ে যাচ্ছে। পাল তোলার বাঁশটায় হলদেটে হ্যারিকেনর অালোটা জাগাচ্ছে অপার্থিব অাতঙ্ক। যেন শ্বাপদের চোখ! কোথা হতে ভেসে অাসছে ছোট্ট একটা মেয়ের গলায় সুর করে গাওয়া ” টুইঙ্কেল টুইঙ্কেল লিটিল স্টার” কবিতাটি। নৌকাটা একসময় অামার নৌকার পাশে এসে থেমে গেলো। নৌকার দিকে তাকাতেই অাতঙ্কে জমে গেলাম। ইতিহাস কুখ্যাত জ্বলজ্যান্ত অশুভের প্রতীক “এনাবেল ডল” বসে অাছে সে নৌকায়, অার তার পাশে একটা কফিন। অাতঙ্ক অার ভয়ের চরম পর্যায়ে পৌছুলাম, যেন এ যাত্রাই অামার শেষ যাত্রা হবে। হঠাৎ ঝট করে খুলে গেলো কফিনের ডালা, অার অামি কফিনের দিকে তাকিয়ে অাঁতকে উঠলাম। অামার ই লাশ! এনাবেল ডলটা অামার দিকে ঘুরে ভূতুড়ে হাসি নিয়ে ঠোঁটের উপর তর্জনি ঠেকিয়ে বললো “shhhhhh”.
চিৎকার দিয়ে ঘুম থেকে উঠে গেলাম। কিছুক্ষন পর ধাতস্থ হতেই চোখ গেলো টেবিলের উপর। সেখানে বসে অাছে এনাবেল ডল টা। অলীক হাসি মুখে নিয়ে চেয়ে অাছে টলটল করে….অামি মানস। অনার্স ফার্স্ট ইয়ারে পড়ছি। বেস কয়েকদিন অাগের ঘটনা। তখন পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে ক্যম্পাসে সাজ সাজ রব। অবশেষে এলো পহেলা বৈশাখ। পাঞ্জাবী, উত্তরীয় ও ধুতির কোছা হাতে নিয়ে রাস্তায় বের হলাম। এর অাগে একঝলক অায়নায় নিজেকে দেখে নিলাম। সত্যিই নিজেকে নিজেই বললাম, “অপূর্ব! ”
মা বলতেন
-ছেলেদের এত সুন্দর হতে নেই!”
অামি শুধু মুচকি হাসতাম। তখন ক্যাম্পাসে। মেইন গেইট দিয়ে ঢুকতে যাবো এমন সময় একটা অটোর ভিতর থেকে চিৎকার শোনা গেলো
-মামা অটো থামান!
অামি সেদিকে চোখ দিতেই দেখলাম একটা মেয়ে অাটপৌরে ধাঁচের শাড়ি পড়ে অামার দিকে এগিয়ে এলো। এসেই বললো
-নাম কি?
অামি ভাবলাম বড় অাপু হবে কি? কিংবা কোন ভুল করেছি কি?
ভয়ে ভয় উত্তর দিলাম
-মানস।
-কোন ডিপার্পমেন্ট?
-স্ট্যাট ফার্স্ট ইয়ার।
কিছু না বলে চলে গেলো। তারপর ব্যাপারটা নিয়ে মাথা ঘামালাম না। রাত্রে ফেসবুকে ঢুকতেই দেখি সুলোচনা রায় মানসী নামে একটা ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট। অারে এ ত সেই মেয়েই। অালাপচারিতায় জানা গেলো মেয়ে ফার্মেসি ১ম বর্ষে অাছে। তারপর কথাবার্তায় দুজনে কাছাকাছি হলাম।
চিন্তার ছেদ পড়লো মায়ের ডাকে। কিরে ভার্সিটি তে যাবি না?
-মা, অাজ শুক্রবার।
-ওহ মনেই ছিলো না। শোন অাজকে অামি অার তোর বাবা রিমার গায়ে হলুদে যাবো। তুই তোর ছোট ভাইকে সামলে রাখিস।
অনুপ অামার ছোট ভাই, যে জীবনের ৫ টি বসন্ত পাড়ি দিয়েছে। ফ্রেশ হতে বাথরুমে ঢুকলাম। হঠাৎ অামার চিন্তায় কড়া নাড়লো এনাবেল। কেন যেন মনে হচ্ছে অামি একাকী না, অামার পাশে কেউ অাছে, যে কি না খুবই অশুভ! সাতপাঁচ চিন্তা মাথা হতে ঝেরে ফেলে দিলাম। বাইরে বের হতেই বুকটা ধক্ করে উঠলো ছোট ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে। এ কি করলো! অামার এনাবেল ডলটার একটা হাতের অাঙুলগুলি দাঁত দিয়ে ছিড়ে নিয়েছে! রাগ ও অাতঙ্ক অামার রক্তে ঢেউ খেলে গেলো! চিৎকার দিয়ে বললাম
“কি করেছিস তুই! কতবার না করলাম এনাবেলে হাত দিবি না!”
-বাবার স্টাডি রুমে খেলছিলাম। দেখি সেখানে পড়ে অাছে।
-কিন্তু এনাবেল ত অামার রুমে ছিলো! বাবার রুমে কি করে গেলো!
-অামি কি করে বলবো। পচা পুতুল।
এই বলে এনাবেল টা অামার দিকে ছুঁড়ে দিলো। মনে মবে ভাবতে থাকলাম, ব্যাপারটা কি সত্যিই সেরকম কিছু ছিলো! অামার রুম থেকে ত মুভ করার কথা নয়! একটা ব্যাপার নিয়ে অাজগুবি স্বপ্ন দেখতেই পারি তাই বলে একটা পুতুল এক রুম থেকে অন্য রুমে হেটে যাবে, এমন গাঁজাখুরি কথা বিশ্বাসযোগ্য না।
ব্রেকফাস্ট করছি। তখন প্রায় দুপুর সাড়ে বারোটা। তীক্ষ্ণ ছুঁড়িতে ফসফর লাইটের অালো ঝিঁকিয়ে উঠলো। ধারালো ছুরি নিয়ে পাউরুটির উপর মাখনের প্রলেপ দিচ্ছি। হঠাৎ কারেন্ট চলে গেলো। ৬ তালার উপর অামাদের ফ্ল্যাট টা গ্রাস অাবছা অন্ধকারে। অাইপিএস চালু হচ্ছে না কেন! ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালালাম। তবু যেন অন্ধকার দূর হতেই চায় না! হঠাৎ ফোনে একটা ম্যাসেজ অাসলো, অচেনা নাম্বার থেকে। ম্যাসেজে লেখা
“MISS ME…?”
অবাক হলাম। ম্যাসেজ প্রদানকারী কে হতে পারে? অার এমন ম্যাসেজ পাঠানোর কারন! হঠাৎ ভীত কন্ঠস্বর শোনা গেলো। দাদা.. দাদা কোথায় তুমি! অামার ভয় করছে।
অনুপের কথা ভুলে গিয়েছিলাম। তাড়াতাড়ি পা চালালাম স্টাডি ঘরের উদ্দ্যেশ্যে। অবাক হলাম, অামি অাবার ঘুরে ডাইনিং এ চলে এলাম। বাবার স্টাডি রুম খোঁজে পাচ্ছি না! এমন কেন হচ্ছে অামার সাথে! অাতঙ্কিত, সাথে নিরবচ্ছিন্ন ভয়….। যেন অামার গলা টিপে ধরছে। বুকের কাছটায় ঢিপঢিপ শব্দ প্রবল হচ্ছে। হঠাৎ অার্তচিৎকার শোনলাম! অামার ছোট ভাইয়ের। দৌড় দিলাম। বাবার স্টাডি রুম পেলাম এবার। ঘরে ঢুকে ছোট ভাইয়ের দিকে ফ্ল্যাশ কাক করতেই সভয়ে চিৎকার দিয়ে উঠলাম। এ কি হলো!!! হায় হায়!
অামার ছোট ভাই একহাত দিয়ে অারেক হাতের কব্জি ধরে রেখেছে। সে কব্জির মধ্যমা ও অনামিকা অাঙুলদুটো নেই! অনর্গল রক্ত পড়ছে! নিচে অাঙুল দুটো পড়ে অাছে, অার পড়ে অাছে বাটার মাখানোর ছুরি ও পাশেই বসে অাছে এনাবেল ডলটা। রক্তে মাখোমাখো এনাবেল ডলের মুখে পৈশাচিক হাসি…..
গল্পের বিষয়:
রহস্য