রহিম মিয়া রিকশাচালক। তিন ছেলে আর চার মেয়েকে নিয়ে বড়ই অভাবে দিন কাটে রহিম মিয়ার। বড় দুই মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। বড় মেয়ে সালমা আর মেজ মেয়ে রাশিদার বিয়ে দিয়েছেন তার চেয়ে ভালো সংসারে। সেজ মেয়ে মায়ার বয়স ১৮।বিয়ে দিবেন। পড়াশোনা চালাতে পারেন নি মেয়ের। দ্বিতীয় শ্রেণীতে থাকতেই শিক্ষা জীবনের অবসান ঘটে তার। বড় দুই মেয়ে যথেষ্ট সুন্দরী ছিল। তাই বিয়ে দিতে তেমন বেগ পেতে হয়নি তাদের। কিন্তু শ্যামবর্ণের এই মেয়েটিকে নিয়ে বিপাকে আছেন। বিয়ের সম্বন্ধ ও আসে না। হঠাৎ একদিন একটি সাদা প্রাইভেট কার এসে থামে তার বাড়ির সামনে। হা মায়ার বিয়ের সম্বন্ধ এসেছে। ছেলেরা অনেক বড়লোক। ব্যবসা করে।তবে ছেলের আগে দুটো বিয়ে হয়েছিল। বড় বউ আমিনা সিঁড়ি থেকে পড়ে মারা যায় আর মেজ বউ কয় মাস সংসার করেই চলে যায়।তবে ছেলের বয়স অত বেশী না।২৬-২৭ হবে হয়তো। দেখতেও বেশ। সংসারে ছেলে আর ছেলের মা মনোয়ারা বেগম ছাড়া কেউ নেই। আর সব চেয়ে বড় কথা মায়াকে তাদের পছন্দ হয়েছে। আজই বউ করে নিয়ে যেতে চাই। এত বড় ঘর দেখে রহিম মিয়ারও কোনো সমস্যা হয় না। সেদিন সন্ধ্যায়ই বিয়েটা হয়ে যায় মায়া আর সাকিবের।
মায়াকে ভালোই লাগে মনোয়ারা বেগমের। শান্ত শিষ্ট সংসারী মেয়ে। আগের দুইটা বউ বড় ঘরের ছিল। বেশ মেজাজী। তাই এবার গরীব ঘরের মেয়ে এনেছেন। ভালোই চলে মায়া আর সাকিবের সংসার। বড় ঘরে এসে এমন সুন্দর ব্যবহার খাওয়াদাওয়া। মায়া অনেক সুখী। মনোয়ারা বেগম বলেছেন তার কিছুই চায় না। শুধু তাড়াতাড়ি নাতি নাতনির মুখ দেখতে চান।মায়া মুখ লুকিয়ে আসে। ভালোই চলছিল। কিন্তু বিপত্তি ঘটে বিয়ের একমাস মতো পর..
একদিন সকালে মায়া রান্না করছিল। চুলায় ডাল গরম হচ্ছে। সাকিব আর মনোয়ারা বেগম এখনো ঘুমিয়ে। হঠাৎ একটা দমকা হাওয়া আসল। কে যেন কানে কানে ফিসফিসিয়ে বলে গেল..চলে যা। অবাক হলো মায়া। ভুল শুনল না তো। না হাওয়াটা কয় মিনিট পর আবার এসে যেন তাই ই বলে গেল। সারা শরীরে কাটা দিয়ে উঠল মায়ার। তারপর থেকে মাঝে মাঝেই যেন মায়া শুনতে পায় এমন ফিসফিসানি। একদিন এক ফকির বুড়ি আসে।সাকিব অফিসে ছিল আর মনোয়ারা বেগম ছিল বোনের বাড়ি। মায়া খেতে দেয় বুড়িকে। বুড়ি খেতে খেতেই খাওয়া থামিয়ে দিয়ে অদ্ভুত ভাবে তাকায় মায়ার দিকে। মায়া জানতে চায় কি সমস্যা। বুড়ি কিছুক্ষণ চুপ করে থাকে তারপর বলে ওঠে তুই চলে যা এই বাড়ি থেকে..চলে যা। বলতে বলতে বুড়ি চলে যায়। মায়া অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে। তারপর থেকেই মায়া যেন তার আশে পাশে কারো উপস্থিতি অনুভব করে। মনোয়ারা বেগম বা সাকিবকে বললে তারা হেসে উড়িয়ে দেয়। আর বলে এসব কিছুই না।একদিন মায়া দেখে তার শাশুড়ি রান্নাঘরে রান্না করছে। সে অবাক হয় কেননা তার শাশুড়ি রান্না করে না। সে ই করে। সে দাড়িয়ে দেখতে থাকে। হঠাৎ উপর থেকে তার শাশুড়ির গলা শোনা যায়। সে অবাক হয়ে উপরের দিকে তাকায় আবার রান্নাঘরে তাকায়। দেখে ওখানে কেউ নেই।সে ভয় পায় এতে কিন্তু কাউকে কিছু বলে না মজা করবে ভেবে। এমন আরো কিছু ছোটখাট ঘটনা ঘটতে থাকে।
তাদের বিয়ের প্রায় তিন মাস হয়ে গেছে। শাশুড়ি শুধু খুতখুত করে কবে নাতি নাতনির মুখ দেখবে কিন্তু এখনো কেন কোনো সুখবর পাচ্ছে না। মায়া চুপ করে থাকে। এর মধ্যে একদিন সকালে মায়া রান্না করছিল। সাকিবের জন্য ওর পছন্দের পায়েস রান্না করছিল ও। হঠাৎ যেন পেছনে কিসের আওয়াজ হয়। ও ভয়ে ভয়ে পিছনে তাকায়। এই কয় দিনে যা একটু আধটু হয়েছে তাতে মনে ভয় বসে গেছে। নাহ পেছনে তো কিছুই দেখতে পায় না। সব তো ঠিকই আছে। সামনে তাকিয়ে যা দেখল তার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিল না। পায়েসের জন্য যে দুধ জ্বাল দিচ্ছিল তা সম্পূর্ণ লাল। টগবগ করে ফুটছে। যেন রক্ত। ভয়ে চিৎকার করে উঠল ও।বাইরে বের হয়ে আসল রান্নাঘর থেকে। আওয়াজ শুনে সাকিব আর ওর শাশুড়ি দৌড়ে আসল। জানতে চাইল কি হয়েছে। ও কিছুই বলতে পারল না। রান্নাঘরের দিকে ইশারা করল। সাকিব রান্নাঘরে গেল আর বের হয়ে এসে বলল সব তো নরমাল। কি দেখে চিৎকার করলে। রক্ত..রক্ত..মায়া বিড়বিড় করতে করতে রান্নাঘরে ঢুকল। কই কোথায় রক্ত সব তো নরমাল। মায়া অবাক হওয়ার চেয়ে ভয়ই বেশী পেল। কিছু বলল না। সাকিব আর মনোয়ারা বেগম বের হয়ে যায়। সেদিন সারাদিন প্রায় শুয়েই থাকল ও।
সন্ধ্যায় ছাদে গেল কাপড় তুলতে। সিঁড়িরুমে প্রবেশ করতেই আলো নিভে গেল। ভয় টা আবার যেন পেয়ে বসল ওকে। কার যেন অস্তিত্ব অনুভব করল। তাড়াতাড়ি নেমে যেতে চাইল। হঠাৎ থেমে গেল। কে যেন ওর বাম হাত চেপে ধরেছে। ভয়ে ও আর পেছনে তাকাতেই পারল না। চোখ বন্ধ করে থাকল।আর আল্লাহর নাম নিতে লাগল। কিছু সময় পর ওর হাতের ওপর চাপ কমে গেল। বুঝতে পারল ওর হাত এখন মুক্ত। ও চোখ খুলে হাত টা সামনে আনল আর অন্য হাত দিয়ে দেখল। ঠিকই আছে। আর দাড়িয়ে থাকতে চাইল না। সিঁড়ি বেয়ে নামতে শুরু করল। হঠাৎ ধাক্কা খেল যেন কোনো অবয়বে।লাফ দিয়ে দুই সিঁড়ি উপরে উঠে গেল। অন্ধকারেই ওর সামনে একটি মূর্তি স্পষ্ট হলো। হা অন্ধকারে জ্বলজ্বলে গোলগাল চেহারা টা চিনতে পারল ও। আমিনা। ওর স্বামীর প্রথম স্ত্রী।ড্রয়ারে পাওয়া পুরনো এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবিটা আমিনার ছিল তা ওর শাশুড়ি বলেছিল।হা এই সেই চেহারা। আস্তে আস্তে ভয়ংকর হয়ে উঠল চেহারা টা আর চিৎকার করে বলল তুই চলে যা এখান থেকে। চলে যা। আমিনার মুখটি অদৃশ্য হলো আর আলো জ্বলে উঠল। আর পারল না ও জ্ঞান হারালো..চোখ মেলে পাশে সাকিবকে আর ওর শাশুড়িকে দেখতে পায় মায়া। সাকিব জিজ্ঞেস করে কেমন লাগছে আর কি হয়েছিল। সব খুলে বললে ওর শাশুড়ি কোনো হুজুরেকে ডেকে আনতে বলে সাকিবকে। হুজুর এসে সব শুনে বলল আমিনার মৃত্যু অপঘাতে হয়েছিল। আর তাই তার আত্মা এখনো এই বাড়িতেই রয়েছে। সে চায় না মায়া এ বাড়িতে থাকুক। তাই এমন করছে। তিনি মায়াকে তাবিজ দিলেন একটা। বললেন কখনো এটা না খুলতে।খুললেই নাকি এর কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যাবে। এটা যদি থাকে তাহলে আর আমিনার আত্মা কিছু করতে পারবে না। আর জানতে চাইলেন আমিনাকে ঠিকভাবে দাফন করা হয়েছিল কিনা। ওর শাশুড়ি বললেন হা।মায়া তার শাশুড়ির কাছে জানতে চাইল আমিনার ব্যাপারে। তিনি বললেন আমিনা আর সাকিব সম্পর্ক করে বিয়ে করেছিল। আমিনা খুব ভালোবাসতো সাকিবকে। তাই সে হয়তো মৃত্যুর পরও চাইছে না সাকিবের সাথে আর কোনো মেয়ে থাকুক। তারপর কিছুদিন সব ঠিকই ছিল।মায়া সুস্থ আছে। কিন্তু তার শাশুড়ি যেন সুখে নেই। তিনি এখনো কোনো সুখবর পাননি তা নিয়ে খুতখুত করেই যাচ্ছেন।একটা দুইটা কথা ও শুনাচ্ছেন।মায়া কেমন জানি নিজেকে অপরাধী ভাবতে লাগল।ভাবল সব মায়েরাই চায় নাতি নাতনীর মুখ দেখতে। তাই কিছু বলল না। এর মধ্যে একদিন মায়া ঘুম থেকে উঠে বাথরুমে ব্রাশ করছিল। এমন সময় দেখে ওর হাতে তাবিজটা নেই।কোথায় গেল। বিছানায় খুলে পড়েছে হয়তো। ভাবল বের হয়েই পরে নিবে। মুখে পানি দিয়ে আয়নার দিকে তাকালো। কিন্তু আয়নায় ওর মুখের বদলে অন্য একটা মুখ। হা ওইতো আামিনার মুখ। কি বিভৎস। মুখের একপাশ থেতলে আছে। সারামুখে রক্ত।আর দেখতে পারে না। দৌড়ে বাথরুম থেকে বের হয়ে আসে। রুমে এসে দেখে তাবিজটা বিছানার উপরেই আছে পরে নিল ও।কাউকে আর বলল না ব্যাপারটা।দুইদিন পর মায়া হঠাৎ বাথরুমে যেয়ে বমি করে। মনোয়ারা বেগম খুশি হয়ে বলেন তিনি দাদী হতে যাচ্ছেন। তখনি সাকিবকে ফোন করেন। সাকিব বাড়ি ফিরে মায়াকে কোলে তুলে নেয় খুশিতে। বলে সব থেকে সুখী আজ আমি। আমার এতো দিনের চাওয়া তুমি পুরণ করেছ।এটার জন্য অনেক কষ্ট করতে হয়েছে তাকে। মায়া মা হতে চলেছে সে নিজেও অনেক খুশি হয়। আর এখন সাকিব আর মনোয়ারা বেগম তো ওকে মাথায় করে রাখে। মায়ার নিজেকে সব থেকে ভাগ্যবতী আর সুখী মনে হয়। হঠাৎ একদিন মায়া মাথাঘুরে পড়ে যায়। সাকিব ব্যস্ত হয়ে ডাক্তার ডেকে আনে। তবে ডাক্তার এসে বলল দূর্বলতার জন্য এমন হয়েছে তবে তিনি আর যা বললেন তা শোনার জন্য ওরা মোটেই প্রস্তুত ছিল না। মায়া নাকি মা হতে যাচ্ছে না। মায়ার শাশুড়ি জানতে চাইল তাহলে যে বমি করল। ডাক্তার বললেন সেটা এমনিই হতে পারে। ডাক্তার চলে গেলেন। মায়ার সাথে সাকিব বা ওর মা কেউ ই কিছু বললেন না।
পরদিন সকালেও কিছু বলল না সাকিব। মায়া নিজেই কথা বলতে গেল। তখন সাকিব তেড়ে এল। একটা বাচ্চা দিতে পারিস না আবার কি কথা বলব তোর সাথে। সাকিবের এমন রূপ ও কখনো দেখে নি। হঠাৎ ওর মধ্যেও যেন প্রতিবাদ জেগে উঠল। ও বলল বাচ্চা হয়নি তা আমার কি দোষ আল্লাহ যদি না চাই কিভাবে হবে। এভাবে বেশ তর্ক বেধে যায়। ওর শাশুড়িও সাথে শুরু করে। এক পর্যায়ে সাকিব আর ওর মা দুজনেই হাত তোলে ওর উপর।আর একটি ঘরে বন্ধ করে রাখে। ও কাদতে থাকে খুব আর ভাবে এমন তর্ক ও না করলেই পারতো।কিভাবে তর্ক করল ও তাই ভাবতে লাগল। কই সাকিবের মুখে মুখে তো কোনো কথাই বলে নি কখনো। এমন সময় ও ঘরে কারো অস্তিত্ব অনুভব করে। হাতের তাবিজটা শক্ত করে ধরল। কিন্তু সামনেই আমিনা উদয় হয় কোথা থেকে। আর ওর দিকে এগোতে থাকে। ও আরো শক্ত করে তাবিজটা চেপে ধরল। চিৎকার করতে চাইল কিন্তু গলা থেকে কোনো শব্দ বের হলো না। আমিনা আরো কাছে এগিয়ে আসল। মায়া ভয়ে দেয়ালের সাথে লেগে গেল। আমিনা বলতে শুরু করল। ভয় পেও না মায়া। আমি তোমার কোনো ক্ষতি করব না। মায়া বলল কিন্তু আমার কাছে তো তাবিজ আছে তুমি কিভাবে আমার কাছে আসতেছ। আমাকে ছেড়ে দাও প্লিজ। তুমি মৃত্যুর পরও কেন সাকিবকে ছাড়ছ না। দয়া করে তুমি ছেড়ে দাও আমাদের। তখন আমিনা বলল তুমি এখনো বুঝতে পার নি কিছু। মায়া বলল না। তাহলে শুন বলছি..
আমি আর সাকিব ভালোবেসে বিয়ে করি। সাকিবের মা আমাকে মেনে নিতে পারেন নি। তবুও সাকিবের সামনে সেটা প্রকাশ করে নি। কিন্তু সাকিব না থাকলে আমাকে কথা শুনাতেন। সাকিবকে আমি এটা ওটা বললে বলেছিল আমাদের একটা বাচ্চা হলে সব ঠিক হয়ে যাবে। বিয়ের মাসদুয়েক পর থেকে আমার শাশুড়ি নাতি নাতনীর মুখ দেখবেন বলে জেদ ধরলেন। তবে আমার সাথে অমন ব্যবহার তখনো চলছিল। আমরা অনেক চেষ্টা করার পরও বিয়ের প্রায় বছরখানেক হলেও আমাদের কোনো বাচ্চা হয়নি।এর মধ্যে তিনি সাকিবকে এটা সেটা বুঝিয়ে আমার বিপক্ষে করে নেন। আমি ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কথা বললে তিনি বলেন তার পরিচিত ফকিরের কাছে যেতে। ফকির বলে আমি নাকি বাজা। কখনো বাচ্চা হবে না আমার। এরপর বাড়ি এসে শুরু হয় তার কথা। সাকিবও বাড়ি এসে অনেক কথা বলে। আমি বলি সমস্যা যে কারো থাকতে পারে। ডাক্তারের কাছে যেতে। তখন অনেক কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তারা দুজনে আমাকে মারে। আমার শাশুড়ির আমার উপর অনেক রাগ ছিল। তিনি রান্নাঘর থেকে নোড়া এনে আমার মুখ থেতলে দেন আর আমি মারা যায়।তখন আমার মৃত্যু ঢাকতে তারা আমার মৃত্যুকে সিঁড়ি থেকে পড়া মৃত্যু বলে চালিয়ে দেন।তারপর সাকিবকে আবার বিয়ে দেন। সেই বউ এর সাথেও বাচ্চা নিয়ে সমস্যা হলে সে পরীক্ষা করে দেখে সমস্যা তার নয় তখন সে চলে যায়। তারপর তোমাকে বিয়ে করে আনে। মায়া সব শুনে অবাক হয় আর ওর অনেক খারাপ লাগতে থাকে। ও জিজ্ঞেস করে কিন্তু তুমি তাবিজ থাকলেও আমার কাছে আসতে পারছ কেন। আমিনা বলে তোমার হাত থেকে যখন তাবিজ খুলে যায়। তারপর থেকে এই তাবিজের ক্ষমতা আর নেই। তা আমি তোমায় বুঝতে দিই নি। তোমার বমি হওয়া মাথা ঘুরে পড়া সব আমার জন্যই হয়েছে। এমনকি তুমি সাকিবের সাথে তর্ক ও করেছ আমার জন্যই। আমি এসব করেছি ওদের চেহারাটা তোমার সামনে আনার জন্য। মায়া এবার জিজ্ঞেস করলো তুমি প্রতিশোধ কেন নাও নি।আমিনা বলে আমি চেষ্টা করেছি। কিন্তু ওদের কাছেও তাবিজ আছে তাই পারিনি। আমার মৃত্যুর প্রতিশোধ না নেওয়া পর্যন্ত আমার আত্মা শান্তি পাবে না। এখন শুধু তুমিই পারো আমার আত্মাকে মুক্তি দিতে আর নিজেকে বাঁচাতে।
এমন সময় সাকিব আর ওর মা ঘরে ঢুকলেন। তখন মায়া তাদের দেখেই বলে উঠল আমি ভাবতেই পারিনি আপনারা এমন। আমিনার সাথে এমনটা কেন করেছেন। কেন মেরে ফেললেন ওকে। ওরা অবাক হলেও সামলে নিল। বলল জেনেই যখন গেছ তোমার ব্যাপার টাও তাই হোক। ওরা এগিয়ে আসল ওর দিকে। আমিনার দিকে তাকাল ও। বুঝল আমিনা ওদের তাবিজের দিকে ইশারা করছে। সাকিব আর ওর মা এগিয়ে এসে ওকে ধরল আর মারতে শুরু করল। ও মারামারির মাঝেও অনেক চেষ্টা করে দুইজনের হাতের তাবিজ খুলতে সক্ষম হলো। এবার পুরো ঘর যেন কেঁপে উঠল। আমিনা এক ভয়ংকর রূপে সামনে আসল আর সাকিব আর সাকিবের মা ভয়ে পিছিয়ে গেল….
(পনের দিন পর)মায়া ওর বাড়িতে। সেদিন ও বাড়িতে ফিরে আসে আর সব খুলে বলে।ওখান থেকে বেঁচে ফিরে মায়া নতুন জীবন শুরু করেছে। ও মনে মনে আমিনাকে ধন্যবাদ জানায় আর তার রুহের মাগফিরাত কামনা করে।।
(সমাপ্ত)
কেমন লাগল জানাবেন সবাই..(ধন্যবাদ)