পুনর্জন্ম (পর্ব-8 শেষ পর্ব)

পুনর্জন্ম (পর্ব-8 শেষ পর্ব)

প্রায়ান্ধকার একটা রুম।স্বল্প আলোর একটা টেবিল ল্যাম্প জ্বলছে শুধু পুরো ঘরটার মধ্যে।বিছানায় চিৎ হয়ে শুয়ে আছে তারেক।হাতে সেই আংটীটা ধরা।চিন্তিত।
লুতফর সাহেবের বাড়ি থেকে বেড়িয়ে হাসানুজ্জামানের বাড়ি গিয়েছিল তারেক দ্বীতিয়বারের মত মিসেস নার্গিসের সাথে কিছু কথা বলার জন্য।সেখানে একটা অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে।সেটাই ওর চিন্তার খোরাক।
তারেক কবর থেকে পাওয়া আংটীটা দেখিয়ে মিসেস নার্গিসের কাছে জানতে চেয়েছিল,আংটীটা সে চেনে কিনা।

অদ্ভুত ব্যাপার,আংটীটা দেখার সাথে সাথেই চেহারা বদলে গেল তার।যেন একটা ঘোরের মধ্য থেকে জেগে উঠলেন তিনি।স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছিল আংটীটা তিনি চিনতে পেরেছেন।কিন্তু সবচাইতে অদ্ভুত ব্যাপারটা হল,আংটীটা চিনতে পারার পর থেকেই তার আচরণ আমুল পাল্টে গেল।একটু আগের সে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ বেমালুম গায়েব।তারেকের কোনো প্রশ্নের জবাবই আর দিলেন না ভদ্রমহিলা।তারেককে একরকম উপেক্ষা করেই উঠে চলে গেলেন।

তিনি চলে যাবার পর হাসানুজ্জামান সাহেব অবাক হয়ে মন্তব্য করেন,‘ও এরকম করল কেন?’

হাসানুজ্জামান বুঝতে না পারলেও তারেক ঠিকই বুঝতে পেরেছে ভদ্রমহিলার এমন আচরণের রহস্য।গোয়েন্দা হবার সুবাদে এ ধরনের আচরণের সাথে তারেক ভালমতোই পরিচিত।কেউ যখন কিছু লুকাতে চায় তখন এভাবে এড়িয়ে যায়।পূর্ব অভিজ্ঞতা।
এখন প্রশ্ন হল আংটীটা দেখার সাথে সাথেই এমন পরিবর্তন আসবার কী মানে?তারমানে কী আংটীটাই সমস্ত রহস্যের চাবি কাঠি?

এতক্ষণ সেটা নিয়েই ভাবছিল ও।একটু একটু করে রহস্যের ছেড়া সুতোগুলো জোড়া দিয়েছে এতক্ষণ ধরে।সবই জোড়া দিতে পেরেছে,শুধু একটা বাকি।ওটা জোড়া দেবার জন্য কংকালের ফরেনসিক রিপোর্টটা জরুরি,যেটা এখন চাইলেও তারেক পাচ্ছেনা।আগামীকাল রিপোর্ট দেয়া হবে।সুতরাং মাথা না ঘামিয়ে ঘুমানোই ভাল।কাল এমনিতেই ওটাকে যথেষ্ঠ ঘামাতে হবে।
পাশ ফিরে শুয়ে পড়ল তারেক ফয়সাল।কিছুক্ষনের মধ্যেই গভীর ঘুম।

পরের দিন সকাল।

মোবাইলের রিংটোনে ঘুম ভাঙ্গল তারেকের।চোখ কচলে স্ক্রিনের দিকে তাকাল।হাসানুজ্জামান সাহেবের ফোন।গতকাল আসার সময়ই তাকে বলে এসেছিল,রিপো্র্টটা হাতে পাবার সঙ্গে সঙ্গে যেন তাকে জানানো হয়।রিপোর্টটা সম্ভবত হাতে পেয়েছেন।

‘হ্যালো,রিপোর্টটা কি পেয়েছেন?’

‘হ্যাঁ,এইমাত্রই পেলাম।আপনি কি এখন আসছেন?’

‘হ্যাঁ।তবে আপনি আমাকে জাস্ট এতটুকু বলুন,লোকটার মৃত্যু কিভাবে হয়েছিল?স্বাভাবিক?’

‘না,খুলিতে একটা চিড় পাওয়া গেছে, অর্থাৎ মাথা ফেটে কিংবা ফাটিয়ে মারা হয়েছে তাকে।‘

‘ধন্যবাদ,এটাই জানার ছিল।ও আরেকটা কথা,লোকটা কতদিন আগে মারা গেছে?’

‘পয়ত্রিশ থেকে চল্লিশ বছরের মধ্যে হবে।’

‘ও আচ্ছা।আপনি বাসায়ই থাকবেন তো নাকি?’

‘হ্যাঁ আছি,কেন?’

‘থাকুন,আমি আসছি।’

‘ওকে।’

ফোন রেখে কিছুক্ষণ বসে থাকল তারেক।একটুপরই নাকেমুখে দুটো গুজেই ছুটল হাসানুজ্জামানের বাড়ির উদ্দেশ্যে।সবগুলো সুতোই জোড়া দিতে পেরেছে ও অবশেষে।

***
হাসানুজ্জামানের বাড়ির ড্রয়িংরুম।মিস্টার এবং মিসেস হাসানুজ্জামান সোফায় বসা।তারেক তাদের সামনে দাড়িয়ে আছে।এটাই তারেকের চিরায়ত স্বভাব।চুড়ান্ত রহস্য ভেদ করার সময় দাড়িয়েই থাকে তারেক।

‘তারমানে আপনি সব রহস্য সমাধান করে ফেলেছেন?’এটা প্রশ্ন না মন্তব্য ঠিক বোঝা গেলনা।তবে মাত্র একদিনের মাথায় রহস্যর সমাধান যথেষ্ট অবাক করেছে হাসানুজ্জামানকে,এটা পরিষ্কার।

‘বলতে পারেন।’

‘মানে?’

‘মানে,আমি এখন যা বলব তার সবটাই অনুমান,তবে আমার বিশ্বাস সবটাই সত্য।

‘ঠিকআছে শুরু করুন তাহলে।’

নাটকীয় একটা ভাব আনার জন্য গলা খাকারি দিল তারেক।বলতে শুরু করল,আমি আপনাকে প্রথমেই বলেছিলাম পুনর্জন্মে আমার বিশ্বাস নেই।শুরু থেকেই আমার বিশ্বাস ছিল এর মধ্যে আরো জটিল কোনো ব্যাপার আছে।কারণ এটা যদি পুনর্জন্ম সংক্রান্তই কোনো ব্যাপার হত সেক্ষেত্রে মিসেস নার্গিসের লাশটা ছাড়াও আরও অনেক স্মৃতি মনে পড়বার কথা।যেহেতু পড়েনি তারমানে অন্য ব্যাপার।

আমি সে জটিল ব্যাপারটার সন্ধানেই থাকি।এবং আপনাদের প্রতিবেশী লুতফর সাহেবের সাথে কথা বলার পরই আমি সেটার সন্ধান পেয়ে যাই।
তার কাছ থেকে জানতে পারি,এ বাড়ির মালিক ছিলেন লোকমান মির্জা নামে একলোক।কী,হাসানুজ্জামান সাহেব,চমকে গেলেন্?বাই দ্যা ওয়ে,আপনার শশুরের নামটা যেন কী?’

‘ফোরকান মির্জা।’

‘ধারনা করেছিলাম,এমন কিছুই হবে।ঠিকই ধরেছেন,ফোরকান মির্জা আর লোকমান মির্জার মধ্যে সম্পর্ক আছে,কী,সেটা পরে বলছি।
তো সেই লোকমান মির্জা আজ থেকে প্রায় চল্লিশ বছর আগে মারা যায়।কিভাবে,সেটা কেউই জানতনা।খুবই রহস্যময় ছিল তার মৃত্যুটা।
তবে এখন আমরা জানি সে কিভাবে মারা গেছে।তাকে মাথা ফাটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।হুমম,আপনাদের বাড়ির পেছনে যে লাশটা পাওয়া গেছে সেটা লোকমান মির্জারই।
এখন প্রশ্ন,কে তাকে হত্যা করল?
উত্তরটা হল,আপনার স্ত্রী নার্গিস!’

এইমুহুর্তে যদি লোকমান মির্জার কঙ্কালটা হাই তুলতে তুলতে রুমে ঢুকত তাহলেও বোধহয় কেউ এত অবাক হত না।

‘এসব কী বলছেন আপনি?’ফুঁসে উঠলেন হাসানুজ্জামান।এদিকে তার স্ত্রীর মুখ রক্তের অভাবে ফ্যাকাসে হয়ে গেছে।

‘তিক্ত শোনালেও এটাই সত্য।’

‘কিন্তু ও কিভাবে খুন করবে?ও তো এর আগে মাত্র দুবার বাংলাদেশে এসেছে।দুবারই আমার সাথে,এবং সেটা চল্লিশ বছর আগে নয়।’

‘ভুল জানেন আপনি।আপনার স্ত্রী ছোটবেলায় একবার বাবা মা’র সাথে এদেশে এসেছিলেন।’

‘তাহলে আমি জানতে পারবনা সেটা?’

‘না,পারবেন না।কেন পারবেন না,সেটা একটু পরই বুঝতে পারবেন।শুরু থেকেই বলি।লোকমান মির্জা আর ফোরকান মির্জা ছিল সহোদর ভাই। লোকমান মির্জা বড়।

লোকমান মির্জা মানুষ তেমন ভাল ছিল না,যার ফলে যুবক বয়সেই তার বাবা তাকে ত্যাজ্য করে।
এদিকে ফোরকান মির্জা অল্প বয়সেই লন্ডন চলে যান।ওখানেই সেটল হন।
আর অপরদিকে লোকমান মির্জাও বেশ টাকা পয়সা কামাই করে।এই বাড়িটা বানান।এরপর কিভাবে কিভাবে যেন ছোট ভাইয়ের ঠিকানা যোগার করে ফেলে লোকমান মির্জা।লন্ডনের ঠিকানায় চিঠি দিয়ে তার বাড়িতে আমন্ত্রণ জানায় ছোট ভাইকে।
বাবা মারা গেছেন আগেই।অনেকদিন যাবত দেশে আসা হয়না।তাছাড়া বড়ভাইকেও বহুদিন ধরে দেখেননা।সব দিক ভেবে স্ত্রী আর দশ বছরের মেয়ে নার্গিসকে নিয়ে দেশে আসেন ফোরকান মির্জা।

যেদিন তারা আসেন সেদিনই ঘটে যায় একটা দুর্ঘটনা।’থামল তারেক।
হাসানুজ্জামান একরাশ উৎকন্ঠা নিয়ে তাকিয়ে আছে তারেকের দিকে।আর মিসেস নার্গিস মাথা নিচু করে আছেন।তারেকের খুব খারাপ লাগতে লাগল।কিন্তু কিছু করার নেই।কথাগুলো বলতেই হবে ওকে।
‘আগেই বলেছি লোকমান মির্জা ভাল লোক ছিলেন না।সে রাতে মাতাল অবস্থায় দশ বছরের ভাইজির উপর চড়াও হয় সে।আবারও কিছুক্ষনের জন্য থামল তারেক।
সে অবস্থায় দিশেহারা হয়ে নার্গিস নামের বাচ্চা মেয়েটা ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে লোকমান মির্জাকে।ফলাফল স্পট ডেড।

ফোরকান মির্জা তখন ভয় পেয়ে যান।মারাত্মক ভয়।সেই ভয় থেকেই রাতের আঁধারে ভাইয়ের লাশ বাড়ির পেছনে পুতে রাখেন,এবং পরেরদিনই লন্ডনের ফিরতি পথ ধরেন।এরপর আর কখনোই বাংলাদেশে আসেন নি।তার মেয়ে আসুক এটাও তিনি চাইতেন না।
এদিকে এই ঘটনা নার্গিসের কচি মনে খুবই খারাপ প্রভাব ফেলে।মানসিক বৈকল্য দেখা দেয়।তবে এই মানসিক বৈকল্য তার জন্য শাপে বর হয়ে দাড়ায়।এরফলে তার অ্যামনেশিয়া ঘটে।অর্থাৎস্মৃতির একটা অংশ মন থেকে মুছে যাওয়া।সে রাতের স্মৃতিও তার মন থেকে মুছে যায়।কিংবা এমনও হতে পারে কোনো ধরনের ড্রাগ দিয়ে সে রাতের স্মৃ্তি মেয়ের মন থেকে মুছে ফেলবার ব্যবস্থা করেছিলেন ফোরকান সাহেব।এবং সম্পুর্ণ ঘটনাই বেমালুম চেপে গেলেন।
এভাবে কেটে গেল চল্লিশ বছর।কিছুদিন আগে আপনারা ঠিক করলেন এদেশে এসে থাকবেন।সে জন্য একটা বাড়িও কিনলেন।এই কেসের সবচেয়ে আশ্চর্যজনক ব্যাপার এটাই।কাকতালীয়ভাবে আপনার চাচা শশুরের সেই বাড়িটাই আপনাদের পছন্দ হল!আপনারা দেশে এলেন।

সে রাতের ভয়ঙ্কর স্মৃতি মিসেস নার্গিসের কনশাস মাইন্ড থেকে মুছে গেলেও সাব কনশাস মাইন্ডে তার কিছু প্রভাব থেকেই গিয়েছিল।অবচেতন মনের সে টুকরো টুকরো স্মৃতিগুলোই মিসেস নার্গিসকে জানিয়ে দিল এবাড়ির পেছনে একটা লাশ আছে যে কিনা খুবই খারাপ একটা মানুষ!ভয় পেতে থাকলেন তিনি।কিন্তু যেহেতু কোনও স্পষ্ট স্মৃতি তার মনের মধ্যে নেই সেহেতু কোনও ধরনের হ্যালুসিনেশনের শিকার হলেন না।স্রেফ একটা অনুভূতি।

কিন্তু গতকাল যখন লোকমান মির্জার আংটীটা দেখলেন তখনি তার অ্যামনেশিয়া বা সাময়িক স্মৃতিভ্রষ্টতা কেটে গেল।স্মৃতি ফিরে পেলেন তিনি।কারণ হিসেবে আমার ধারণা এই আংটীটা সে রাতে তার উপর গভীর প্রভাব ফেলেছিল।’

এ পর্যন্ত বলা হতেই মিসেস নার্গিস কান্না চাপতে চাপতে উঠে চলে গেলেন।সেদিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে হাসানুজ্জামান বললেন,আমি আপনার সব কথাই বিশ্বাস করেছি।কিন্তু আপনি এতসব কিভাবে জানলেন?’

‘তখন বললাম না,অনুমান।লোকমান মির্জার অস্বাভাবিক মৃত্যু,আপনার শশুড় শাশুড়ির বাংলাদেশে আসার প্রতি অনীহা,মিসেস নার্গিসের চল্লিশ বছর আগের একটা কবরের কথা বলে দেয়া,লোকমান মির্জার মাথায় আঘাতের চিন্হ,সবই এক একটা বিচ্ছিন্ন সূত্র।এই বিচ্ছিন্ন সূত্রগুলোকে দুইয়ে দুইয়ে চার মেলানোর মত করে মিলিয়েছি আমি।তবে এক্ষেত্রে আমাকে সবচাইতে বেশি সাহায্য করেছে আংটীটা।’

‘কিভাবে?’

‘আপনার স্ত্রীর সাথে গতকাল যখন প্রথম কথা বলি তখন তিনি যথেষ্ঠই বন্ধুসুলভ আচরণ করেছিলেন।অর্থাৎ তিনিও তখন চেয়েছিলেন রহস্যটা সমাধান হোক।কিন্তু যখনই আমি তাকে আংটীটা দেখালাম সঙ্গে সঙ্গে তার আচরণ বদলে গেল।আমার সাথে শীতল ব্যাবহার করতে লাগলেন।

তখনই আমি বুঝতে পারি আংটিটা তার পরিচিত এবং এই আংটীটার মালিক যেহেতু লোকমান মির্জা সেহেতু লোকমান মির্জাও তার পরিচিত।আর পরিচিতিটা ঘটেছেও এজন্মেই।কারণ লোকমান মির্জা তার এজন্মেই মারা গেছে।সেক্ষেত্রে একটাই উপায়,লোকমান মির্জাকে স্বচক্ষে দেখা।
আমার এই ধারণাটা আরো দৃঢ় হয় তার আচরণে।স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছিল তিনি কিছু একটা লুকাতে চাইছেন।আর ডিটেক্টিভদের কাছে মানুষ একটা জিনিষই লুকায়,অপরাধ।

এর মানে তিনি একটা অপরাধ করেছেন।এবং সেই অপরাধটা হল লোকমান মির্জাকে হত্যা।অন্তত লোকমান মির্জার আংটী দেখে চমকে ওঠা তো এমনটাই বলে।’

‘আচ্ছা,আপনি তখন বললেন যে লোকমান মির্জা সে রাতে নার্গিসের উপর পাশবিকতা নিয়ে চড়াও হয়েছিল।সেটা আপনি কিভাবে বললেন?এমনকি হতে পারত না,দুর্ঘটনাবশত কিংবা খেলাচ্ছলে নার্গিস তাকে মেরে ফেলে?’

‘ওটা লোকমান মির্জার স্বভাব জেনে আন্দাজে ঢিল ছুড়েছিলাম,লেগে গেছে।তবে একটা কথা কি জানেন,লোকমান মির্জা কিন্তু তার ভাই এবং ভাইয়ের পরিবারকে ভালবাসত।তার উইলও সেটাই বলে।সেরাতে যা ঘটেছিল তা স্রেফ দুর্ঘটনা।মাতাল ছিল সে।আর জানেনই তো মাতাল অবস্থায় মানুষ আর মানুষ থাকে না।’

‘হুমম,ঠিক কথা।কিন্তু উইলের ব্যাপারটা তো বুঝলাম না।’

তারেক লুতফর সাহেবের কাছ থেকে শোনা উইলের ব্যাপারটা খুলে বলল।‘আমার ধারনা,লোকমান মি্র্জা চল্লিশ বছর যে ওয়ারিশদের জন্য অপেক্ষা করতে বলেছিলেন সেটা আসলে আপনারাই।আপনি বোধহয় চাইলে এখনও আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাড়ি বিক্রির টাকা কেয়ারটেকার রফিকের কাছ থেকে ফেরত নিতে পারবেন,যেহেতু লোকমান মির্জার একমাত্র ওয়ারিশ বলতে এখন আপনারাই।‘

‘না,তেমন কোনো ইচ্ছা আমার নেই।সারাজীবন বাড়িটা আগলে রাখায় রফিকের ওটা প্রাপ্য।আমি ঠিক করেছি বাড়িটাতেও আর থাকবনা আমরা।এখানে থাকলে দু্ঃসহ্য স্মৃতিটা তাড়িয়ে বেড়াবে নার্গিসকে।’

‘তাহলে কি লন্ডন ফিরে যাবেন?’

‘না,আমরা আরেকটা বাড়ি কিনে নেব।আর এটা এতিমদের জন্য দান করে দেব।’

‘খুবই ভাল স্বিদ্ধান্ত।আমি তাহলে আসি এখন?’উঠে দাড়াল তারেক।

‘আপনার ফি?’হাসানুজ্জামান সাহেবও উঠে দাড়িয়ে বললেন।

‘এতিমদের জন্য একটা বাড়ির ব্যাবস্থা করে দিলাম রহস্যটা ভেদ করে।ধরে নিচ্ছি এটাই আমার ফি।’
মুচকি হেসে বেরিয়ে গেল তারেক ফয়সাল।

(সমাপ্ত)

আরো গল্প পড়তে লিংক এ ক্লিক করুন……

পুনর্জন্ম (পর্ব -১)
পুনর্জন্ম (পর্ব -2)
পুনর্জন্ম (পর্ব -3)
পুনর্জন্ম (পর্ব -4 শেষ পর্ব)

গল্পের বিষয়:
রহস্য
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত