আচড়

আচড়

আচড় এইটার একটা ভাল দিক আছে আবার একটা খারাপ দিকও আছে।আর সেটা যদি ভালবাসার হয় তাহলেতো কোন কথাই নেই। যদি মনে ভালবাসার আচড় লাগে তাহলে সবাই এক অন্য জগতে চলে যায়,তার মনে সারাক্ষন প্রেমের স্ফুলিঙ্গ জ্বলতে থাকে।তার মনে সারাক্ষন সেই মানুষটিই থাকে যে তার মনে ভালবাসার বাষ্পশকট চালু করতে বাধ্য করেছে।কিন্তু তারই ভালবাসা যদি বিষাক্ত আচড়ে তার ভালবাসায় নিল ছাপ বসিয়ে দেয়।তাহলে কি করবে সে তার কি আর সেই স্বাভাবিক ভাবে থাকা সম্ভব থাকে।এমনটাই ঘটেছিল আমার সাথে।একটা মেয়েকে খুব ভাল লাগতো। বন্ধুদের মাধ্যমে পরিচয়।একবার আড্ডায় এক বন্ধুর সাথে এসেছিল, তখনই তার সাথে পরিচয়।তার

নাম রাফসা। তার সাথে কথা বলার মাঝে এক সময় সে আমারর ফেসবুক আইডি চাইলো,দিলাম তাকে।আমি কখনো কোন রিলেশনএ যাইনি।নিতান্তই ভদ্র ছিলাম মেয়েদের বিষয়ে।আর চুপচাপ থাকাটা ছিল আমার প্রিয় বিষয়। প্রয়োজন ব্যাতিত ফাও কথা বলতে আমার একদম ভালো লাগে না।তবে রাফসা মেয়েটা দেখতে খুব ভাল ছিল,তার দিকে আমার আকর্ষনের বিশেষ কারন ছিল তার লম্বা চুল যা তার উরু পর্যন্ত নেমে এসেছিল।যা আমায় খুব মুগ্ধ করেছিল।রাফসার সাথে ফেসবুকে কথা বলতে বলতে খুব কাছের মানুষ হতে লাগলাম।এর মধ্যে দুজনের ফোন নাম্বার নিয়ে বেশ কয়েকবার ফোনেও কথা বলেছি।এক সময় দুজন দেখা করলাম।আমার আবার একটা অভ্যাস আছে আমি টাকা খরচ করি বন্ধুদের সাথে।নিজের বিশেষ কোন খরচ নেই বলে সব টাকা তাদের সাথেই খরচ করি।

আর রাফসাকে ভাল লাগে তাই তার পিছনে আরো বেশি খরচ করতাম।এক সময় প্রতিদিনকার কাজ হয়ে গেল তার সাথে দেখা করা, তার সাথে ঘুরতে জাওয়া। এক কথায় আমি তার জন্য পাগল প্রায়। ঠিক করলাম তাকে প্রোপজ করবো।করলামও সে বিন্দু মাত্র চিন্তা না করে এক চিলতে হাসি দিয়ে তা সাদরে গ্রহন করে নিল।আমি মনে করলাম রাফসাও আমায় খুব ভালবাসে,কিন্তু তার ভিতরের সেই অভিশপ্ত মনকে বুঝতে পারিনি।ঠিক কিছুক্ষন না যেতেই সে আমার ঠোটে তার তার তার পাপড়িতুল্য ঠোট বসিয়ে গভীর চুম্বনে আমায় এক অচেনা আবেশে নিয়ে গেল।দীর্ঘ এই চুম্বনে আমি কোথায় ছিলাম কি করছি কোন স্মৃতি আমার নেই এমন মনে হচ্ছে।মনে হচ্ছে সে চুম্বনে আমার সব নিশ্বাস কেড়ে নিয়েছে। চুম্বন শেষ করে এক অদ্ভুত নজরে আমার দিকে তাকালো। সন্ধ্যা হয়ে এসেছে দুপুর থেইকেই তার সাথে আছি প্রোপজ করার আর কথা বার্তা এবং শেষে এক গভীর চুম্বন। আজ খাওয়া দাওয়া কিছুই হয়নি।রাফসা বলল চলো আমার বাসায় খাওয়া-দাওয়া হবে।আমি একটু ইতস্ততভাবেই হ্যা বললাম। রাফসার বাসায়

গিয়ে দেখলাম কেও নেই, সে বলল তার বাবা-মা আজ বাসায় নেই গ্রামে গেছে কাল আসবে।সে ফ্রিজ থেকে খাবার বের করে অভেনে গরম করে নিল। খাওয়া দাওয়া শেষ।বসে মোবাইল চাপছিলাম এমন সময় রাফসার লম্বা চুলের দোলা খেল আমার মুখের উপর।সে আমার পায়ের উপর বসে পরল আবার গভীর চুম্বনে আবেশ করে ফেলল আমায়।আমায় এমন ভাবে জাপটে ধরল নরম বক্ষের উষ্ণতা আমার কাছে ঢেলে দিতে চাচ্ছে। তার কামার্থ ভঙ্গি আমায় উষ্ণ করে তুলতে বাধ্য করল। তার বড় নখের আচড় আমার উলঙ্গ পিঠে এখনো বসে আছে।তখন তার সাথে শারীরিক সম্পর্কটাও হয়ে গেল।আমি নিস্তেজ দেহে বাসায় ফিরে এলাম, ঠিক করলাম তাকে যত জলদি বিয়ে করে ফেলব।বিলম্ব না করে পরের দিনই তাকে বিয়ের জন্য তাকে বললাম।সে যেন নির্দিধায় এবং নিঃসংকোচে তা নাকোচ করে দিল।এরপর তার কথা কথা শুনে আমি বিষ্ফোরিত হলাম। সে বলল এটা নাকি একটা গেম ছিল, সে আমার বন্ধুর সাথে বাজি ধরেছিল সে আমার সাথে রিলেশন করে দেখাবে।রাফসা আমায় বলে,তোমার মতো সাইকো

ছেলেকে আমি বিয়ে করব মাথা খারাপ হয়েছে নাকি আমার।আমি প্রচণ্ড রাগে মাথা নিচু করে আছি। কিছু বললাম না চুপচাপ চলে আসলাম।রাগে কি করব কিছু ভেবে পাচ্ছিলাম না।কিন্তু রাফসাকে তো এর শাস্তি ভোগ করতেই হবে। এক মাস ধরে আমি প্লান করছি তাকে কি করে শাস্তি দেওয়া যায়।বাড়ির আন্ডারগ্রাউন্ড এ কোনায় ছোট পরিত্যাক্ত রুম ছিল তা সুন্দর করে সাজালাম। অইখানে কেও আসে না,তাই ওটাই আমার সবচেয়ে নিরাপদ আস্তানা। এক মাস পর তাকে ফোন দিলাম দেখা করার জন্য, সে রাজি হলো আসার জন্য।গাড়ি নিয়ে গেলাম।তাকে দেখা মাত্রই মুখে চেপে ধরে গাড়িতে তুলে নিলাম।সে গাড়িতে আমায় দেখে প্রচুর ভয় পেল।তা দেখে আমার খুব ভাল লাগলো।তার হাত পা মুখ ভাল করে বাধলাম। তারপর গাড়ি স্টার্ট দিয়ে আমার গন্তব্যে চললাম। ।হাতে ঘুমের ইনজেকশন নিয়ে তার শরিরে পুশ করলাম।এবার বাসার কাছাকাছি আসতেই তার মুখের বাঁধন খুলে দিলাম দেখলাম মাত্র ঘুমের আবেশে যাচ্ছে।

মুখের বাঁধন খুলে তার মুখে শেষবারের মত এক পাপড়িসম ঠোটে গভীর চুম্বন বসিয়ে দিলাম।তার চোখ বন্ধ হয়ে আসছে।আস্তে আস্তে পুরো অচেতন হয়ে গেল।এবার সেই তৈরি করা রুমে তাকে নিয়ে গেলাম।তার চুলগুলোর সাথে বেধে তাকে ঝুলালাম, তাও উলঙ্গ অবস্থায়। ঝুলে রয়েছে অচেতন অবস্থায়,তার মুখে রুমাল গুঁজে কস্টেপ দিয়ে বেধে দিলাম।এবার তার চেতনা আসার অপেক্ষা।পাশে একটা ছোট টেবিলে বিভিন্ন সার্জিকাল যন্ত্রপাতি রাখলাম তাকে অসহ্য যন্ত্রনা দেওয়ার জন্য।তার সামনে চেয়ার নিয়ে বসলাম।দেখতে পেলাম তার হাত পায়ের আঙ্গুলগুলো নাড়াচ্ছে, তার মানে রাফসা চেতনায় আসছে।এবার আমার মুখে এক চিলতে হাসি ফুটে উঠলো। রাফসা চেতনায় এসে তার মাথায় প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব করছে। কারন তার মাথার লম্বা চুলের সাথে বেধে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।হঠাৎ সে আমাকে খেয়াল করল কিছু বলতে চাইছে বা চিৎকার করতে চাইছে,কিন্তু করতে পারছে না কারন তার মুখে

রুমালগুজে মুখটা যে বাধা।প্রথমে তার দুই হাতের মধ্যে ২৫০ টা সুই গিথে ফিলাম।ঝরঝর করে রক্ত ঝরছে হাত থেকে।এবার সুইগুলো আবার খুলে ফেললাম। ব্লেড দিয়ে হাতের কনুইয়ের নিচে এবং কব্জির উপর কিছু মাংস সহ চামড়া তুলে ফেললাম।তার চোখ দিয়ে অঝোর ধারায় পানি পরছে।মুখ দিয়ে লালা গরিয়ে পরছে।খেয়াল করলাম তার মুখের লালা গলা দিয়ে বেয়ে বক্ষের মধ্যভাজ দিয়ে নাভিদেশে ঘুরপাক খাচ্ছে।দেখতে ভালই লাগলো। তাই ছুরি দিয়ে তার বক্ষের মধ্যভাগ থেকে নাভিচক্র পর্যন্ত রক্তদিয়ে ঘুরপাক খাচ্ছে পরে তা তার দুই উরু বেয়ে মাটিতে পরচ্ছে।দেখলাম এবার সে চেতনা হারিয়েছে।এবার অচেতন অবস্থায় রাফসার মুখের বাঁধন খুলে তার জিভ কেটে ফেললাম, কারন সে আমার সাথে মিথ্যা কথা বলেছে অভিনয় করেছে।এবার মেশিন দিয়ে সামনের উপর ও নিচের চারতা দাত ফুটা করে চিকন তামার তার দিয়ে শক্ত করে বেধে দিলাম যাতে জোরে শব্দ করতে না পারে। মাথাটা একটু উচু করে দিলাম।

যাতে রক্ত বাহিরে না পরে পেটে যায়।এবার তার জ্ঞান ফিরার অপেক্ষায়।আধাঘণ্টার মধ্যে তার জ্ঞান ফিরল।সে তার অসহ্য যন্ত্রনা অনুভব করছে।দাতগুলো লাগানো এবং জিভ কেটে ফেলার কারনে, তার আর্তনাদের শব্দ অনেক ভয়ানক এবং পৈষাচিক মনে হচ্ছে।তুমি যদি আমাকে এমন ধোকা না দিতে তাহলে আজ তোমাকে এভাবে মরতে হতো না।এবার উঠে আবার হাতে চাকু নিয়ে তার সেই পাপড়িসম ঠোটগুলো কেটে ফেললাম।আহ! কেমন লাগছে ঠিক আধা পচে যাওয়া কংকাল এর মতো। এবার হাতে এসিডের বোতল হাতে নিয়ে তার নগ্ন শরীরে আস্তে আস্তে ঢালতে লাগলাম,যা দিয়ে সে আমার সাথে অভিনয়ে জরিয়েছিল। শরীরের চামড়াগুলো জ্বলে যাচ্ছে তার, সে আবারও

সেই ভয়ানক আর্তনাদ করতে লাগলো। কি শান্তি লাগছে আমার এক পৈষাচিক আনন্দ পাচ্ছি।এবার সে জ্ঞান হারাবার অবস্থায় তখন তাকে গুড বায় বলে তার গলার কেটে ফেললাম। আর কতো আচড় কাটবো তার শরীরে।মিনিট পাঁচেক এর মধ্যে মরে গেল তাকে এবার নিচে নামালাম।তার চোখদুটি আমার খুব প্রিয় ছিল তাই চোখ দুটি খুলে একটা কাচের বোয়ামে রেখে দিলাম।এবার তার বডিটা ছয় টুকরা করলাম।এরপর শহরের বিভিন্ন জায়গায় বডির পাঁচটি অংশ রাতের আধারে নির্জন জায়গায় পুতে ফেললাম। শুধু মাথাটা আমার কাছে রেখে দিলাম।এর মাংসপিণ্ড এসিড দিয়ে গলিয়ে কংকালটি আমার ঘরে সাজিয়ে ফেললাম। আর চোখগুলো ক্যামিকালে ডুবিয়ে রাখলাম যাতে পচে না যায়।আজও মাথার কংকাল, চোখ, আমার বুক-পিঠে নখের আচড় রাফসার কথা মনে করায়, সাথে মাথার কংকাল, চোখগুলো।এই আচড় কি আমি কখনো ভুলতে পারবো। শুধু মাত্র একটি আচড় কত কিছু করতে পারে, সেটা ভালো হোক বা খারাপ।এতে কিছু না কিছু ঘটবেই।

গল্পের বিষয়:
রহস্য
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত