খুনি

খুনি

নির্জন একটা রাস্তা।হেটে চলছেন মুকাদ্দেস সাহেব।হাতে একটা ব্রিফকেস।ভেতরে অফিশিয়াল কিছু জিনিস পত্র।কেবলই ঢাকা থেকে ফিরলেন।বিরাট এক কোম্পানির মালিক সে। কেবল ২০০ কোটি টাকার একটা ডিল করে আসলেন।এর ফলে দেশের সবচাইতে বড় কোম্পানির মালিক যে সে একা হতে যাচ্ছে তা আর বলার না।আজ অনেক খুশি তাই গাড়ি না নিয়ে বাসে এসেছে সে।এটা তার স্বভাব।বলা যেতে পারে বদ স্বভাব।কারণ মানুষ বেশি খুশি হলে গাড়ি করে ঘুরে বেড়ায় আর তিনি তখন চড়েন বাস বা রিক্সায়।আর আজ বাস থেকে

নেমে হেটেই বাসায় যাচ্ছেন তিনি।রিক্সায়ই উঠতেন।কিন্তু এত রাতে কোথাও রিক্সা পাননি।তাই এই হন্টন।যাই হোক বাস স্ট্যান্ড থেকে বাসা মাত্র দশ মিনিটের পথ।কিন্তু সমস্যা হলো রাস্তাটা খুব নির্জন আর বিপদসংকুল।তাই মনে একটু ভয় ভয় করছেনা তা নয়।বরং ভয়টা একটু বেশিই।বেশ কিছুদিন ধরে এই এলাকায় ছিনতাই হচ্ছে।এমনকি গত মাসে একটা খুন পর্যন্ত ঘটে গেছে।হঠাত মুকাদ্দেস সাহেব সামনে একটা ছায়া মূর্তির মতো দেখতে পেলেন।
শেষ পর্যন্ত আমি সফল।নিজেকে মুক্তি দিতে আমি সফল।সতেরোটা খুনের পর আমি আর বেচে থাকার মানে খুঁজে পাচ্ছিলাম না।তাই নিজেই নিজেকে মুক্তি দিয়ে দিলাম।মুক্তি।
সিরিয়াল কিলিং
হাসান বাবর
২৩-৭-২০১৪”
সমাপ্ত

গল্পটা পড়ে অনেক অবাক হলো ডিটেকটিভ আজাদ।কারণ এই গল্পের শুরুর সাথে শেষের এক ফোঁটাও মিল নেই।শুরু হলো মুকাদ্দেস সাহেবকে দিয়ে আর এরপরেই লেখা এক সিরিয়াল কিলারের মৃত্যুর কথা।আর হাসান বাবর এখানেই গল্পটার শেষ করে দিয়েছেন।এর মাঝে আরও অনেক কিছু থাকার কথা।সেগুলো কিছুই নেই।আর দেখেও মনে হচ্ছে না মাঝের কোনও পৃষ্ঠা ছেড়া হয়েছে।কারণ ছেড়া হয়ে থাকলে অবশই বোঝা যেত।আর পৃষ্ঠা খোলার কোনও সিস্টেম এই বাধাই করা খাতায় দেখা যাচ্ছে না।আর এটা হাসান বাবরেরই লেখা।কারণ পৃষ্ঠা গুলোতে তার নামের ওয়াটার মার্ক দেয়া।তাছাড়া হাতের লেখাও তার।এ লেখার সাথে বহু আগে থেকেই পরিচিত আজাদ।আর সর্বোপরি, খাতাটা পাওয়া গেছে হাসান বাবরে লাশের ঠিক পাশে।আজাদ

ম্যাগনিফাইং গ্লাস দিয়ে দেখল পরিষ্কার ভাবে দেখার জন্য।তখন জিনিসটা খেয়াল করলো।খাতার পৃষ্ঠা গুলো আসলে ছেড়াই হয়েছে।কিন্তু খুব সূক্ষ্ম ভাবে।এতোটাই সূক্ষ্ম যে খালি চোখে বোঝা একেবারেই অসম্ভব।আর এত সূক্ষ্ম কাজ মানুষের পক্ষে করা দেখে মানুষ হয়ে সৃষ্টিকর্তার প্রতি নিজের ধন্যবাদ জানিয়ে দিল।আর সাথে সাথে নিজের কেসটার জন্যও দোয়া করে নিল যাতে বরকত নাজিল হয়,এমনটা প্রতিটা কেসের আগেই করে থাকে সে।অন্তত ক্রাইম ব্রাঞ্চে আসার পর প্রত্যেকটা কেসেই করেছে। আজাদ।বাংলাদেশ পুলিশের সবচাইতে বুদ্ধিমান অফিসার।তার মেধা আর শ্রম দিয়ে ব্রাঞ্চের মুখ উজ্জ্বল করেছে।আর তার পুরস্কার স্বরূপ

প্রমোশন সহ ট্রান্সফার হয়েছে ক্রাইম ব্রাঞ্চে।এখানে এসেই পাঁচটি কেস অসাধারণ দক্ষতার সাথে সল্ভ করেছে সে।আর এখন রয়েছে ঢাকার গুলশানের একটি ফ্লাটে।এটি বিশিষ্ট সাহিত্যিক হাসান বাবরের বাসা।নিজ বাসাতেই কাল রাতে খুন হয়েছে সে।অন্তত ফরেনসিকের মতে তাই।এই লোকটা আজাদের খুব প্রিয়।শৈশবে আজাদের শিক্ষক ছিলেন।এরপর সাহিত্যকে নিজের ধ্যান করে নেন।তার লেখা সামাজিক ও জীবনমুখি উপন্যাস দিয়ে পাঠক মন জয় তো করেছিলেনই তাছাড়া ক্রমেই দেশের সবচাইতে জনপ্রিয় লেখক হয়ে উঠছিলেন।তার এই অকালমৃত্যুতে দেশের সরকার একদিনের শোক ঘোষণা করেছে,এর দ্বারাই তার জনপ্রিয়তা অনুমান করা সম্ভব। তার মৃত্যুতে আজাদ অবাক হওয়ার থেকে কষ্টটাই বেশি পেয়েছে।
-স্যার
হঠাত সহকারী রায়হান এর ডাকে সম্মত ফিরে পায় আজাদ।
-হ্যাঁ বলো।
-স্যার কোনও ধরনের ক্লু,ফিঙ্গার প্রিন্ট বা কিছুই পাওয়া যায় নাই।
-কিছুনা কিছু তো পাওয়া যাবেই।ভালো ভাবে চেক করো।
-না স্যার কিচ্ছু নেই।আমরা খুব ভালো ভাবে চেক করেছি।
-ওকে।

আজাদ এবার চিন্তায় পড়ে গেল।এখানে কোনও ধরনের ক্লুই পাওয়া যায়নি।অন্য কেসগুলোতে কিছু কিছু পেয়েছিল যার সূত্র ধরে এগিয়ে ছিল সে।যেমন ব্যবসায়ী রায়হানের কেসে খুনির ফেলে যাওয়া রুমাল থেকে বা স্কুল টিচার আব্দুর রহমান হত্যা কেসে খুনির জুতার ছাপ থেকে।কিন্তু এখানে তেমন কিছুই পাওয়া যায়নি।আর হত্যা পদ্ধতিটাও ইউনিক।বিষ প্রয়োগ।এটা ইউনিক কোনও পদ্ধতি না।কিন্তু বিষ প্রয়োগের পদ্ধতিটা বাংলাদেশে নতুন।সুই এর মাধ্যমে।বোঝা গিয়েছে কারণ তারা আসার পরও সুইটা হাসান বাবের গলায় গাথা

ছিল। হাসান বাবর বাড়ীতে একাই থাকতো।যদি বাড়ী ওয়ালা সকালে ভাড়া চাইতে এসে দরজা না খোলায় দরজা ভেঙে ভেতরে না ঢুকলে হয়তো দুই তিনদিন পর গন্ধ বের হওয়ার আগে এই মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যেত না।যাই হোক, আজাদ খুঁজতে খুঁজতে রান্নাঘরের একেবারে কোনায় একটা কাগজ খুঁজে পেল।কাগজটাতে যতদূর সম্ভব গল্পের রাফ লেখা।বাবর সাহেবই লিখেছিল এটা।হাতের লেখা থেকে বোঝা যায়।লেখাটা এরকম যে ‘গল্পের ক্যারেকটার ৭টা।মূল একটা।সে খুনি হবে।নাম কালু।পেশায় খুনি।শেষে নিজের গায়ে সুই দিয়ে বিষ প্রয়োগে মৃত্যু হবে।এভাবেই গল্পের শেষ হবে।’

লেখাগুলো পড়ে অবাক হয়ে গেল আজাদ।এখানে গল্পের খুনির মৃত্যু পদ্ধতি আর হাসান বাবের খুনের পদ্ধতি হুবহু এক।তাহলে কি খুনি বাবর সাহেবের লেখা পড়ে খুন করেছে?এরপর মাঝের লেখাগুলো ছিঁড়ে নিয়ে গেছে?নাকি হাসান সাহেব নিজেই লেখা পদ্ধতি অনুযায়ী আত্মহত্যা করেছেন?আর মাঝের পৃষ্ঠাগুলো তাহলে কোথায়?সেগুলো কি বাবর সাহেব নিজে ছিঁড়ে ফেলে দিয়েছেন?কি এমন লেখা ছিল তাতে যে তা ছিঁড়ে ফেলতে হবে? তাছাড়া পৃষ্ঠাগুলো এমন সূক্ষ্ম ভাবে ছেড়া যা বাবর সাহেবের পক্ষে সম্ভব না।কারণ তিনি একবার স্ট্রোক করেছেন।তার হাত সবসময় কাঁপত।তাই এত সূক্ষ্মভাবে ছেড়া তার পক্ষে অসম্ভব।তাহলে কোথায় গেল পৃষ্ঠাগুলো!কিভাবেই বা মৃত্যু হলো সাহিত্যিক হাসান বাবের?রহস্যের পর রহস্য জট বাধতে লাগলো আজাদের মাথায়।এত সব রহস্যের মাঝে নিজেকে জড়িয়ে ফেলছে আজাদ।

ফোনে কথাগুলো শোনার সাথে সাথেই বিরক্ত হলো আজাদ।পুলিশ স্ট্যাশন থেকে ফোন ছিল।শহরে আরেকটা খুন হয়েছে।একে তো হাসান বাবের খুনের কোনও কুল কিনারা পাচ্ছেনা।তার উপর দিয়ে দুইদিনের মাথায় আরেকটা খুন।আর আবার ডাক পড়েছে আজাদেরই।একরাশ বিরক্তি নিয়ে ক্রাইম সিনে গেল আজাদ।কিন্তু যেয়ে এভিডেন্স দেখে বিরক্তি ভাব সম্পূর্ণ কেটে গেলো।এখানে খুনের পরে কয়েকটা পেজ ফেলে রাখা হয়েছে।তাতে এই ব্যক্তির অর্থাৎ সেকান্দার সাহেবের খুনের কথা লেখা আছে।আর পৃষ্ঠাগুলো হাসান বাবের সেই ডাইরির।অর্থাৎ এই খুনি আর হাসান বাবের খুনি একই।সেকান্দার সাহেব ছিলেন সরকারি

কর্মকর্তা।তিনিও একাই থাকতেন বাসায়।খুন হয়েছেন কিচেনে।বোঝা যাচ্ছে কিছু রান্না করছিলেন।চুলা জ্বালানো আছে এখনো।চুলার তরকারি পুড়ে গেছে।তাছাড়া আরও কিছু পুড়ে যাওয়া কাগজ পাওয়া গিয়েছে।এগুলোতে কিছু লেখা না থাকলেও কাগজগুলো অনেক পুরু গোলাকার ধরনের।এগুলো দেখে আশ্চর্য হলেও আজাদের মনে চলছে আরেক চিন্তা।খুনি কেন হাসান বাবের লেখা গল্প অনুযায়ী খুন করেছে?তার সাথে হাসান বাবের কি শত্রুতা থাকতে পারে?রায়হানের কথায় বাস্তবতায় ফিরলো আজাদ।

-স্যার গলা কেটে খুন করা হয়েছে।মার্ডার ওয়েপন চাকু।বাথরুমে পাওয়া পরিষ্কার করে ফেলে রাখা হয়েছে।

-কোন ফিঙ্গার প্রিন্ট?

-না স্যার।আরেকটা জিনিস স্যার।

-কি?

-টয়লেটেও কাগজ পাওয়া গেছে।তবে ভেজা।বোঝা যাচ্ছে যে কিছু ধুতে গিয়ে ভিজে ছিঁড়ে পড়েছে।

-আচ্ছা লাশ সহ এভিডেন্সগুলো ফরেনসিক ল্যাবে পাঠিয়ে দাও।আর কোনও কথা?

-না স্যার।

রায়হান চলে যেতেই আজাদ একটা জিনিস খেয়াল করলো।খুনি বাড়ীতে চোরের মতো ঢোকেনি।কারণ তালা ভাঙার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছেনা।তাছাড়া সাত তলার উপড়ে জানালা দিয়ে ঢোকার ব্যবস্থা নেই।অর্থাৎ সেকান্দার সাহেব নিজেই খুনি কে ঢুকতে দিয়েছেন।হাসান বাবের খুনেও একই অবস্থা। খুনি আরামেই ঢুকতে পেরেছিল বাসায়।এসব চিন্তা করতে করেতেই গাড়ীতে উঠে বসলো।বেশ রাত হয়েছে।আজ হয়তো অফিসেই থাকতে হবে।তখনই ড্রাইভিং সিটে বসা রায়হান বলল বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মুকাদ্দেস সাহেব খুন হয়েছেন।বিজনেস ডিল করে বাসায় ফিরছিলেন।রাস্তায়ই খুন।পুলিশের ধারনা ছিনতাই এর কেস।কিন্তু তখনই আজাদের মাথায় ব্যাপারটা খেলে গেলো।মুকাদ্দাস সাহেবের খুনের কথা তো হাসান বাবের ডাইরির প্রথমে অর্থাৎ গল্পের প্রথমেই লেখা আছে।এর অর্থ এই খুনটাও তার কেসের সাথে কানেকটেড।সে জলদি পুলিশ

ডিপার্টমেন্টে ফোন করে কেসটা তার কাছে ট্রান্সফার করে নিল।আর পুলিশ যা ইনফরমেশন দিল তাতে তার ধারনাই সঠিক। এবারও লাশের পাশে পেজ পাওয়া গেছে।দ্রুত গাড়ি নিয়ে ক্রাইম সিনে গিয়ে পৃষ্ঠাগুলো দেখেই বুঝলও শুরুর কথা গুলো নেই।কারণ সেগুলো এখনো ডাইরিতে রয়েছে।আজাদ সেখানে কিছু কাজ সেরেই অফিসে ফিরে গেলো।এখন কিছু ডেস্ক ওয়ার্ক দরকার। অফিসে গিয়েই নিজের ডেস্কে বসে এই কেসে পাওয়া সকল এভিডেন্স সামনে নিয়ে বসলো আজাদ। এভিডেন্স বলতে শুধু কাগজগুলো।যেগুলোতে খুনের বর্ণনাগুলো লেখা।সেগুলোই খুব ভালো করে দেখতে লাগলো আজাদ।এখন পর্যন্ত খুনের কোনও প্যাটার্ন খুঁজে পায়নি সে।কাগজগুলোয় খুব অদ্ভুত একটা ব্যাপার লক্ষ করে আজাদ।বেশ কয়েকটা ওয়ার্ড মিসিং।মিসিং ওয়ার্ডের লাইনগুলো খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে নিল আজাদ।

আজাদ তার পাঠক মন থেকে বুঝতে পারলো যে সেখানে খুনির নাম ছিল। অর্থাৎ পৃষ্ঠাগুলো থেকে খুনির নাম মিসিং হলো কি করে?নাকি হাসান বাবর সেখানে খুনির নাম লেখেইনি?!হয়তো কালুর বদলে অন্য কিছু দেয়ার ইচ্ছে ছিল।কি হতে পারে?খুব বেশি চিন্তা করতে পারে না আজাদ।এর মাঝেই রায়হান এসে তার চিন্তায় ভাজ ফেলে।রায়হান কে সে ভিক্টিমদের মাঝের সম্পর্ক খুঁজতে বলেছিল।এদের মাঝে যে সম্পর্ক আছে তা সম্পর্কে আজাদ মোটামোটি শিওর।কারণ হাসান সাহেব নিজে বলেছেন যে গল্পের ক্যারেকটারগুলো তার খুব কাছের মানুষ হবে।রায়হানও এসে সেই কথাই জানান দিল। ভিক্টিম সবাই অর্থাৎ

মুকাদ্দেস সাহেব ও সিকান্দার সাহেব ছিল হাসান বাবের সহপাঠী।রায়হান আরও জানালো যে স্কুল লাইফে হাসান বাবের রোল ছিল এক।সেকান্দার সাহেবের দুই ও মুকাদ্দেস সাহেবের তিন। অর্থাৎ তিনজনই ভালো বন্ধু ।কারণ স্কুল লাইফে সাধারণত প্রথম পাঁচ রোলের সম্পর্ক ভালো হয়।হয়তো আতেল স্বভাবের জন্যই।যাই হোক আজাদ আবারও চিন্তার সাগরে ডুব দেয়।খুনগুলোয় কোনও প্যাটার্ন খুঁজে পায়না আজাদ।প্রথম খুনের পাঁচ দিন পর দ্বিতীয় খুন হয়,আর সেদিনই তৃতীয় খুন হয়।এর মাঝে প্যাটার্ন কি তা বুঝে ওঠে না।এই প্যাটার্নের খোজেই আজ রাত পার করে দিতে পারে ডিটেকটিভ আজাদ আহমেদ।

এই কেসের কোনো অগ্রগতি এই পাচ দিনে না হলেও আজ এই কয়েক ঘন্টারমাঝেই অনেক খানি এগিয়ে গেছে আজাদ।আজ সকালে ও সন্ধ্যায় একই পদ্ধতিতে দুটো খুন হয়।এর ফলে অন্তত খুনের প্যাটার্ন বুঝে গিয়েছে।প্রথম খুনের পাচ দিন পর যেমন দ্বিতীয় ও তৃতীয় খুন দুটি হয় তেমনি চতুর্থ ও পঞ্চম খুনও তৃতীয় খুনের পাচ দিন পর।অর্থাৎ নেক্সট খুন হবে আরও পাচ দিন পর।আর এই খুনটা হবে রোল ছয় এর ।যে কিনা বিশিষ্ঠ ব্যাবসায়ি আলম ইবনে সাত্তার……

এতটুকু লিখেই ক্লান্ত হয়ে গেলেন আলম সাহেব।বয়স হয়েছে তার।তাও লেখালেখির নেশাটা ছাড়তে পারলেন না।লিখেই চলেন।জীবনে অনেক থ্রিলার গল্প লিখেছেন।বলা চলে থ্রিলার কিং।আর পাঠক সমাজে তার সবচাইতে জনপ্রিয় ক্যারেকটার খুনি কালু।তাকে দিয়ে একের পর এক খুন করিয়েছেন।আর ডিটেকটিভ আজাদ হলো জনপ্রিয় গোয়েন্দা।যাইহোক আলম সাহেব চা খেতে উঠবেন ঠিক তখনি তার কাঁধে একটি ঠাণ্ডা হাত এসে পড়লো।তিনি ঘুরেই দেখলেন মোটা কালো কিন্তু চেহারা বিহীন একটি মানুষ।

আলম সাহেব চিৎকার দিয়ে বললেন, “কে তুমি?”

চেহারা বিহীন মানুষটি উত্তর দিল “স্যার আমি কালু।”

 

*************************************সমাপ্ত*********************************

গল্পের বিষয়:
রহস্য
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত