সমুদ্রের পাড়ে বসে ছবি আঁকা খানিকটা অসুবিধের ব্যাপার। হু হু করে বাতাস আসছে, কাগজ উড়ে যেতে চাইছে, বিশাল ছাতাটাও বাতাস আটকাতে পারছে না। কিন্তু আমার অসুবিধে হয় না। আমার এক শিক্ষক বলতেন, যে পারে, সে সব অবস্থাতেই পারে, যে পারে না, সে কোন অবস্থাতেই পারে না। সে পারে কেবল একটা জিনিস, তা হল কাজটা না করতে পারার অজুহাত তৈরি।
আমি পা উপরের দিকে, মাথা নিচের দিকে রেখেও ছবি আঁকতে পারি। ছবি আঁকতে হলে যেটা দরকার সেটা হল ছবির “সাবজেক্টের” দিকে পূর্ণ মনোযোগ দেয়া। যিনি এটা পারেন, তাঁর কাছে ছবি আঁকা কোন ব্যাপারই নয়।
আমি পূর্ণ মনোযোগে আমার সাবজেক্টকে ক্যানভাসে রং-তুলি দিয়ে ফুটিয়ে তুলছি।
আমি সনাতন চিত্রকর। আমি হাইপার মডার্ন আর্টের (অতি আধুনিক চিত্রকলা) নামে ক্যানভাসে দুর্বোধ্য আঁকিবুঁকি করি না। আমি যেটা দেখি, সেটাই আঁকি। আমার ছবিতে কোন দুর্বোধ্যতা থাকে না। ছবি দেখলে একটা পাঁচ বছরের বাচ্চাও বলতে পারবে, এটা সূর্যোদয়ের ছবি, এটা সূর্যাস্তের ছবি, এটা একটা মানুষের ছবি, এটা একটা পাখির ছবি, এটা গাছের ছবি।
আজকাল “অ্যাবস্ট্রাক্ট” বলে একধরণের ছবি চালু হয়েছে, কিছু দুর্বোধ্য রেখা আর বক্ররেখা দিয়ে হাবিজাবি এঁকে আর্টিস্ট বলেন যে এই ছবিতে অতিশয় সূক্ষ্ম জীবনদর্শন তুলে ধরা হয়েছে। সেসব ছবির পাদটীকা লিখতে গেলে একটা বড়সড় প্রবন্ধ হয়ে যায়। দর্শকরা এক্সিবিশনে এসে অনেক টাকা দিয়ে এসব ছবি কিনে নিয়ে যান। যে ছবি যত বেশি দুর্বোধ্য, সে ছবির দাম তত বেশি। কিছু ছবি দেখলে মনে হয় ডাস্টবিনের কিছু ময়লা ক্যানভাসে এনে উপুড় করে ফেলে রাখা আছে। একজন অতি গুণী শিল্পী আমাকে এই বিশেষ আর্টের ব্যাপারটা বুঝিয়ে দিতে চেয়েছিলেন, আমি রাজী হই নি।
আমি অ্যাবস্ট্রাক্ট আর্টের রাস্তায় হাঁটি নি বলেই বোধহয় আমার পসার হল না। আমি ফুল আঁকি, পাখি আঁকি, মানুষ আঁকি, সবাই যদি বুঝেই ফেললো যে আমি কী আঁকি, তাহলে আর সেই ছবির আবেদন রইলো কোথায়? আফসোস। দেখি, একসময় হয়তো পেটের দায়ে অ্যাবস্ট্রাক্ট ছবিও আঁকা শুরু করবো। ভাবে মজে পড়ে থাকলে তো আর পেট চলবে না, জীবন বড় কঠিন।
এই মুহূর্তে আমি একজন অতি সুন্দরী তরুণীকে মডেল করে ছবি আঁকছি। সাধারণত একজন তরুণীকে মডেল করে ছবি আঁকা দুরূহ একটি কাজ। তার প্রথম কারণ, তরুণীরা চুপচাপ এক জায়গায় বেশীক্ষণ বসে থাকতে পারেন না, অস্থির হয়ে যান। দ্বিতীয় কারণ, কখনো কখনো আর্টিস্ট ছবি আঁকা ভুলে হাঁ করে তরুণীর মুখের দিকে তাকিয়ে থাকেন।
এখানে এমন কোন সমস্যা হচ্ছে না। আমার মডেল নারীসুলভ অস্থিরতা বিবর্জিত। তিনি স্থির হয়ে বসে আছেন, দীর্ঘ এক ঘণ্টা ধরে। আমিও ছবি এঁকে যাচ্ছি, হাঁ করে তার দিকে তাকিয়ে নেই।
কী করে আমি মডেল হিসেবে এমন রূপবতী তরুণীকে পেলাম, সেটা বোধহয় এখন বলে দেয়া ভাল।
সেদিন আমি একটা ছবিতে পাহাড় আর সমুদ্রকে এক সাথে আনার চেষ্টা করছিলাম। হচ্ছিল না। পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা ছিঁড়ে সমুদ্রের পানিতে ফেলে দিয়ে নোংরা করছিলাম সমুদ্রতট।
এমন সময় পেছনে কাশির আওয়াজ পেলাম।
তাকিয়ে দেখি, অপরিচিতা এক তরুণী আমার পেছনে দাঁড়িয়ে আছে।
আমি বিব্রত হয়ে উঠলাম। হাতের তালু ঘেমে উঠলো। বললাম, আপনি? আপনাকে তো ঠিক … …
সে বলল, আমি কয়েকদিন ধরে দূর থেকে দেখেছি, আপনি এখানে, সৈকতে বসে বসে ছবি আঁকেন। কৌতূহল সামলাতে না পেরে দেখতে চলে এলাম। কী আঁকছেন?
আমি দেখালাম। কয়েকটা ছবি আমার সাথেই ছিল। অচেনা তরুণী বলল, বাহ, আপনি তো বেশ ভাল আঁকেন! আমাকে মডেল করে একটা ছবি আঁকবেন? টাকাপয়সা দেবো না কিন্তু!
এ যে মেঘ না চাইতেই জল! একটা তরুণী মেয়ে যেচে এসে আমার ছবির মডেল হতে চাইবে, এটা তো ভাবাই যায় না। মানুষ হিসেবে মডেল যাদেরকে পেয়েছি, তাদের মধ্যে আছে রেলস্টেশনের চা-ওয়ালা ছোকরা, ভিখিরি, টোকাই এরা। রূপবতী তরুণী এই প্রথম।
আমি এক কথায় রাজী হয়ে যাই। আমিও তো মানুষ, মানবিক দুর্বলতা আমারও আছে, আমারও যে মেয়েটাকে দেখে বুকের বাঁ পাশে খানিকটা চিনচিনে ব্যথা হয়নি তা নয়।
মুখে বলি, টাকাপয়সা? ছি ছি। আপনি আমার ছবির মডেল হতে চেয়েছেন, এটা তো পরম সৌভাগ্য।
তারপর সাতদিন ধরে আমি মেয়েটার ছবি এঁকে চলেছি। এমন একটি অবর্ণনীয় রূপের অধিকারী তরুণীর ছবি তো আর তাড়াহুড়ো করে আঁকা যায় না। মেয়েটাও অস্থির হয়নি, সে ধৈর্য ধরে প্রতিদিন আমাকে সীটিং দিয়ে যায়। যা কথা বলার আমিই বলি, সে স্থির হয়ে বসে থেকেই জবাব দেয়। ভালো কথা, মেয়েটির সাথে নাম-পরিচয় আদানপ্রদান হয়েছে। এই সুন্দরী তরুণীটির নামও অতি সুন্দর। প্রিয়দর্শিনী। যে নারীকে দেখলে মনে প্রীতির সঞ্চার হয়, তাকে বলে প্রিয়দর্শিনী। এদিক থেকে মেয়েটির নাম অতি সার্থক। নামটি উচ্চারণ করলেই কর্ণকুহরে যেন একটা ঝঙ্কার খেলে যায়। মেয়েটি যে রূপ ধারণ করে আছে, তা কিন্তু খুব চোখ ধাঁধানো নয়। একটু প্রাচীনত্বের ছোঁয়া আছে, কোমল রূপ দ্যুতি ছড়াচ্ছে, কিন্তু চোখে আঘাত করছে না। এমন বস্তু ক্যানভাসে ফুটিয়ে তোলা কোন মানবসন্তানের সাধ্য নয়, কিন্তু আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি।
সপ্তম দিনে আমি ঘোষণা করলাম, কাজ সমাপ্ত। অর্থাৎ ছবি কমপ্লিট।
মেয়েটি নড়ে উঠলো। ধীর পায়ে এগিয়ে এলো। আমার পাশে দাঁড়িয়ে দেখল ছবিটা, অনেকক্ষণ ধরে কোন কথা বলল না। ছবিতে প্রিয়দর্শিনী একটা বারান্দায় বসে আছে। বাতাসে তার চুল উড়ছে। দিগন্তে অস্ত যাচ্ছে সূর্য। দিনের শেষ মুহূর্তে সূর্যের রক্তিম আভা তার কোমল গালে পড়েছে, ফুটিয়ে তুলেছে রংধনুর সাত রং।
আমি তখন ছবির দিকে তাকিয়ে নেই, আমি বিভোর হয়ে প্রিয়দর্শিনীর দিকে তাকিয়ে আছি। জোর বাতাসে প্রিয়দর্শিনীর চুল উড়ে এসে আমার গায়ে-মুখে লাগছে। কি মিষ্টি একটা গন্ধ মেয়েটার চুলে!
প্রিয়দর্শিনী বলে উঠলো, এত সুন্দর করে আমাকে আঁকলেন কেন? খুব লজ্জা লাগছে আমার। আসলে তো আমি এত সুন্দর নই। লজ্জায় তার দুটি গাল লাল হয়ে গেছে।
আমি বললাম, ভুল বলছেন। আপনার সৌন্দর্যের সিকিভাগও আমি ছবিতে তুলে আনতে পারি নি।
প্রিয়দর্শিনী আমার দিকে তাকাল। আমি বললাম, আপনাকে খুশি করার জন্য বলছি না, সত্যি বলছি। আমি কখনো কাউকে খুশি করার জন্য কিছু বলি না।
সে বলল, আজ যাই তাহলে?
কি নরম সুরে কথা বলছে মেয়েটি, যেন অনুমতি প্রার্থনা করছে! আমি বললাম, ছবিটা তো শেষ হয়েছে, নিয়ে যেতে পারেন। যার ছবি তার কাছেই থাকুক।
সে বলল, কাল বিকেলে এসে নিয়ে যাবো। আজ আপনার কাছেই রাখুন।
আমি মানা করলাম না। এই অনিন্দ্য সুন্দরীকে আমার ঘরে নিয়ে একদিন রাখতে পারবো, এটাও তো অনেক আনন্দের ব্যাপার। আমি বললাম, এখানেই কিন্তু আমি অপেক্ষা করবো।
প্রিয়দর্শিনী মাথা নেড়ে সায় দিলো, তারপর ধীরে ধীরে হাঁটা শুরু করলো। ঐ দিকে, অনেক দূরে কয়েকটা বাংলো গা ঘেঁষাঘেঁষি করে দাঁড়িয়ে আছে, সেখানেই হয়তো তার বাড়ি। কি আশ্চর্য, সাতদিনেও জিজ্ঞেস করা হয় নি সে কোথায় থাকে। কাল জেনে নিতে হবে। আমি যে এই মেয়েটির প্রতি একটা অন্যরকম টান অনুভব করছি, সেটা কি সে জানে?
আমি রং, তুলি, ব্রাশ, ক্যানভাস, ছবি আঁকার সরঞ্জাম সব গুছিয়ে নিতে লাগলাম। এমন সময় পেছন থেকে একটা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলো কেউ, ভাইজান, আপনের “সমইস্যা” কী?
আমি পেছনে ফিরে তাকালাম। ছোকরা বয়সী একটা লোক দাঁড়িয়ে আছে, বেঁটে মতন। সে-ই প্রশ্নটা করেছে। আমার “সমইস্যা” নিয়ে চিন্তিত এক মানবসন্তান।
আমি বললাম, কীসের সমস্যা?
লোকটি বলল, আইজ ছয়-সাত দিন ধইরা আপনেরে দেখতাছি একা একা বইসা বিড়বিড় কইরা কথা কন আর ছবি আঁকেন।
একা হবো কেন? একটা মেয়েকে মডেল করে ছবি আঁকছি, উনাকে দেখেন নি? প্রিয়দর্শিনী তার নাম, ওদিকে থাকেন। একটু আগেই তো চলে গেলেন, দেখলেন না?
লোকটার দু’চোখ আলুর মতো গোল হয়ে কপালে উঠে যায়। মাইয়াছেলে? কী কন? আপনে তো একা, আর কাউরে তো দ্যাখলাম না।
আমার খানিকটা রাগ হয়। লোকটার কথার জবাব না দিয়ে প্রিয়দর্শিনীর ছবিটা পরম যত্নে আলতো করে তুলে নিই। নিজের আস্তানার দিকে রওনা হই।
পেছন থেকে লোকটা আপন মনে কথা বলছে। আমি স্পষ্ট শুনতে পেলাম, সে বলছে, দ্যাশে কত যে পাগলের আমদানি হইছে। কয় মাইয়াছেলের ছবি আঁকে। মাইয়াছেলে কি হাওয়ায় উইড়া গেল?
আমি গরম চোখে একবার পেছনে তাকালাম, কিন্তু কিছু বললাম না। পরমুহূর্তে চোখ পড়লো প্রিয়দর্শিনীর দিকে, সে কোমল চোখে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। আমি হোটেলে ফিরে এলাম।
***
দশ বছর পরের কথা।
প্রিয়দর্শিনী বলেছিল যে সে পরদিন এসে ছবিটা নিয়ে যাবে। সে আসেনি। তার পরদিনও না।
আমি নিদারুণ অস্থির হয়ে গেলাম। সেই এলাকার সব বাড়িতে হাজির হয়ে খুঁজলাম ওকে। পেলাম না। প্রিয়দর্শিনী বলে কেউ এখানে থাকেনা। বরং মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো অনেকে বলল, সমুদ্র সৈকতে তারা সবাই আমাকে একা দেখেছ, কোন তরুণী মেয়েকে আমার সাথে দেখেনি। বলা বাহুল্য, কারো কথাই আমি বিশ্বাস করিনি। যার ছবি সাতদিন ধরে এঁকেছি, সে কল্পনা হতে পারেনা, অসম্ভব।
তাহলে এর ব্যাখ্যা কী? কোথায় গেল সে? প্রিয়দর্শিনী কি তাহলে পর্যটক ছিল? আমার মতোই সমুদ্র দেখতে, ঘুরতে এসেছিলো? হবে হয়তো। এই ভেবে আমি আশেপাশের সব হোটেলে খোঁজ নিলাম, না, এই নামে কোন মেয়ে তো হোটেলে নাম এন্ট্রি করে নি। বরং হোটেলের লোকজন আমার দিকে একটা বিশেষ দৃষ্টিতে তাকাল, যে দৃষ্টির অর্থ- “তোমার মাথায় ছিট আছে।”
খুব লজ্জার ব্যাপার, আমার কান্না পেয়ে গিয়েছিলো। অথচ প্রিয়দর্শিনীর সাথে আমার কী-ই বা সম্পর্ক? সে আমার ছবির মডেল হয়েছে, আমি এঁকেছি, ছবি আঁকা হয়ে গেছে, সে-ও চলে গেছে। আসার কথা ছিল, আসেনি, কিন্তু তাতে কান্নাকাটির কী আছে?
আমার আঁকা ছবি এখন বেশ চলে। কিছু সমঝদার মানুষ আছেন, যাঁরা দুর্বোধ্য ছবি চান না, হিজিবিজি আঁকিবুঁকি দেখতে চান না, আমার আঁকা ছবিগুলোর মতো সহজ, “ক্লাসিক” ছবি চান। তাঁরা আজকাল আমার ছবি কেনেন। অনেক ছবি আমি ইতোমধ্যে বিক্রি করে দিয়েছি। কখনো টাকাপয়সার প্রয়োজনে, কখনো নিজের কাছে রাখার আর প্রয়োজন মনে করি নি বলে।
কিন্তু প্রিয়দর্শিনীর ছবিটা এখনো আমার ঘরে আছে, সযত্নে আমি ছবিটা সবার চোখের আড়াল করে রেখেছি। আমার আঁকা শ্রেষ্ঠ ছবিটি আর কারো দেখার অধিকার নেই, এই ছবি কোন ধনী লোকের বিলাসবহুল ড্রইংরুমে অবহেলায় ঝুলতে পারে না। এই ছবি আমার কাছে অমূল্য।
এখনো প্রতি রাতে আমি প্রিয়দর্শিনীর ছবিটার সামনে দাঁড়িয়ে কাঁদি। অনুযোগ করি, আর একবার কেন দেখা দিলে না তুমি? কেন এলে না?
প্রিয়দর্শিনী আজও ঠিক একই ভঙ্গিতে ঘন কালো চুলগুলো এলিয়ে দিয়ে বারান্দায় বসে আছে। সে কথার জবাব দেয় না। আমি এখনো ছবিটার দিকে তাকালে ওকে দেখতে পাই, ওর চুলের মিষ্টি গন্ধটি পাই।
পুনশ্চঃ
প্রিয়দর্শিনীর ছবিটি আর কাউকে দেখাই নি, কথাটা সত্যি নয়। ডক্টর মাহবুব আসরারকে আমি ছবিটি দেখিয়েছি। তিনি এই ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়েছেন, আমার মনে হয়তো একটা তৃষ্ণা ছিল, একটা গোপন চাওয়া ছিল খুব রূপবতী কোন তরুণীকে কাছে বসিয়ে, তাকে মডেল করে ছবি আঁকার। তাই আমার অবচেতন মন এই তরুণীকে তৈরি করে নিয়েছে, আমি টেরও পাই নি যে সে কল্পনা, অবাস্তব। সেই বেঁটে লোকটি ঠিকই বলেছিল। সাধারণ লজিক আমাদেরকে এটাই বলে, দশজন লোক যদি দাবী করে যে এই জিনিসটি তারা দেখে নি, আর একজন দাবী করে যে দেখেছে, তাহলে অবশ্যই ঐ একজনের দেখাটি বাস্তব নয়, বিভ্রম।
আমি বিশ্বাস করি নি। ডক্টর অনেক ভেবেই বলেছেন, তাঁর কথা যৌক্তিক, কিন্তু তিনি তো আর জানেন না যে প্রিয়দর্শিনী আমার কাছে বিভ্রম নয়। প্রিয়দর্শিনীকে একটা মামুলি বিভ্রম ভেবে আমি কখনো ওর অসম্মান করতে পারবো না।
…………………………………………….(সমাপ্ত)…………………………………………