১৮. উরিয়া হীপের পতন আমি ফিরে এলাম ইয়ারমাউথ থেকে। ক্যান্টারবেরিতে মি, মিকবারের সঙ্গে রহস্যজনক সাক্ষাৎকারের সময় হল। তাঁর আমন্ত্রণে আমরা চারজন—আমি, দাদী বেটসি, মি. ডিক আর ট্র্যাডলস। পৈৗছলাম হোটেলে। সঙ্গে সঙ্গে মি. মিকবার এসে হাজির…

১৯. মৃত্যু আর নীরবতা বহুদিন ধরে অসুস্থ ডোরা। আমার বাচ্চা-বৌ যে এত সহসা ছেড়ে যাবে আমাকে তা কি আমি জানতাম? ডাক্তাররা বলেছিলেন আমাকে, কিন্তু বিশ্বাস করতে পারিনি। এক রাতে ও আমাকে বলল যে এটাই হয়তো…

২০. অ্যাগনেসের কাছে প্রত্যাবর্তন পেগোটি আর আমি বন্ধুদেরকে বিদায় দিতে গেলাম। মি. পেগোটি মার্থাকেও অস্ট্রেলিয়ায় নিয়ে যাচ্ছেন দেখে দারুণ খুশি হলাম আমি। দুই দুটি মৃত্যুর বিষয়ে কিছুই জানালাম না ওদেরকে। কারণ ওদের বিদায়ের আনন্দকে আমরা…

২১. অস্ট্রেলিয়ার অতিথি আমি একজন খ্যাতিমান এবং ধনী লেখক হয়ে গেলাম। অ্যাগনেসের সঙ্গে জীবনটা আমার হয়ে উঠল আনন্দময়। আমাদের বিয়ের দশ বছর পূর্ণ হলো। আমি আর অ্যাগনেস বসে আছি আমাদের লণ্ডনের বাড়িতে, আগুনের পাশে। আমাদের…

২২. সুখ আমার গল্পের এখানেই শেষ। এই তো আমার দাদী। চোখে চশমা পরা। বয়স আশির ওপরে। তবু শীতের দিনেও একটানা হাঁটেন ছয় মাইল। তিনি এখন একটি আসল বেটসি ট্রটউডের, আমার মেয়ের, ধর্ম-মা। এতে তার মনে…

১২. মি. পেগোটির খবর ড, স্ট্রং-এর বাড়িতে কাজ শেষে এক তুষার-ঝরা রাতে ঘরে ফিরছিলাম পায়ে হেঁটে। তুষারে ঢাকা পড়েছে রাস্তা। গাড়ির চাকা আর লোকের চলার শব্দ শোনা যাচ্ছে কম। পথ সংক্ষেপ করার জন্য সেন্ট মার্টিন…

১৩. উরিয়া হীপের শয়তানী অ্যাগনেস আর মি. উইকফিল্ড কয়েকদিনের জন্য বেড়াতে এসেছেন ড. স্ট্রিংএর বাড়িতে। স্বাভাবিকভাবে হীপও এসেছে সঙ্গে। এক রাতে আমি আমার কাজকর্ম শেষ করছি, এমন সময় ডক্টর স্ট্রং-এর স্টাডিতে আলো জ্বলতে দেখলাম। আমি…

১৪. আমার বাচ্চা-বৌ সপ্তা, মাস, বছর গড়িয়ে গেল। আইনগতভাবে আমি সাবালক হলাম, অর্থাৎ আমার একুশ বছর পূর্ণ হলো। আমার আর ভোরার বিয়ে হয়ে গেল। ঘর-সংসার সম্পর্কে একজোড়া পাখির বাচ্চাও বোধহয় আমাদের দুজনের চাইতে কম জানে…

১৫. ধন্যবাদ, মি. ডিক ডক্টর স্ট্রং-এর কাজ ছেড়ে দিয়েছি অনেক দিন হলো। কিন্তু কাছাকাছি থাকি বলে প্রায়ই দেখা হয় তার সঙ্গে। উরিয়া হীপের নির্মম কথাগুলো তার হৃদয়ে আসন গেড়ে বসেছে এবং তাঁকে পীড়া দিচ্ছে অবিরাম।…

১৬. দুই রহস্যের জালে একদিন সন্ধ্যায় বেড়িয়ে ঘরে ফিরছিলাম মিসেস স্টিয়ারফোর্থের বাড়ির সামনে দিয়ে আসার সময় একজন চাকরানী ছুটে এসে আমাকে ডাকল। বলল, মিসেস স্টিয়ারফোর্থ এখন লণ্ডনের ওই বাড়িতে আছেন। তিনি আমাকে ডাকছেন। গেলাম। এমিলিকে…