২.০১ লুসি ওয়েস্টেনরার ডায়েরী থেকে ড্রাকুলা ২ ১৭ সেপ্টেম্বর, সকাল। একে একে শান্তিতেই কেটে গেল চারটে দিন আর রাত। আগের চেয়ে অনেক বেশি সুস্থ মনে হচ্ছে আজ নিজেকে। ভোর হয়েছে একটু আগে। জানালা দিয়ে ঘরে…

২.০২ রাতের খাওয়ার পর ডাক্তার জন সেওয়ার্ডের ডায়েরী থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর। রাতের খাওয়ার পর পড়ার ঘরে বসে কয়েকদিনের জমান চিঠিপত্রগুলো দেখছিলাম। গত কয়েকদিনের কাজের চাপে ওগুলোর কথা প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম। এক মনে চিঠি পড়ছি, হঠাৎ…

২.০৩ ঝড়ের গতিতে এগজিটারের দিকে মিনা হরকারের ডায়েরী থেকে ২২ সেপ্টেম্বর। ঝড়ের গতিতে এগজিটারের দিকে ছুটে চলেছে ট্রেন। জানালার পাশে বসে বাইরের দৃশ্য দেখতে দেখতে অতীতের কথা ভাবছি। এই তো ক দিন আগে হুইটবিতে ছিলাম।…

২.০৪ অদ্ভুত কয়েকটা খবর অদ্ভুত কয়েকটা খবর বেরোল ২৫ সেপ্টেম্বর, দি ওয়েস্ট মিনিস্টার গেজেট পত্রিকায়। সকালের সাধারণ সংখ্যায় বেরোল নিচের খবরটাঃ হ্যাম্পস্টেড রহস্য। গত দুই তিন দিন ধরিয়া কতকগুলি ভয়াবহ কাণ্ডকারখানা ঘটিয়া চলিয়াছে হ্যাম্পস্টেড এবং…

২.০৫ দুচোখের পাতা এক করতে পারিনি মিনা হারকারের ডায়েরী থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর। দুচোখের পাতা এক করতে পারিনি গত দুটো রাত। বার বারই ঘুরেফিরে মনে হয়েছে লুসি আর কাউন্ট ড্রাকুলার কথা। আমার স্বামীকে শেষ করতে বসেছিল…

২.০৬ আবার নতুন করে শুরু জোনাথন হারকারের ডায়েরী থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর। আবার নতুন করে শুরু করতে হবে ভাবিনি, উপায়ও নেই না করে। এত আনন্দ কেমন করে চেপে রাখব আমি? গত রাতে খাবার টেবিলে প্রফেসর ভ্যান…

২.০৭ লুসিকে নিয়ে ব্যস্ত থাকায় ডাক্তার জন সেওয়ার্ডের ডায়েরী থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর। লুসিকে নিয়ে ব্যস্ত থাকায় রেনফিল্ডের দিকে নজর দিতে পারিনি গত কয়েকদিন। আজ খোঁজ নিয়ে জানলাম মোটামুটি ভালই আছে সে। আর কোন ঝামেলায় পড়তে…

২.০৮ বার্কলে গিয়ে হোটেলে ২৯ সেপ্টেম্বর, ভোর। সাড়ে নটা নাগাদ বার্কলে গিয়ে হোটেলে পৌঁছেছিলাম গত রাতে। দশটার একটু আগে এসে পৌঁছুল আর্থার আর মরিস। ওদেরকে অভ্যর্থনা জানিয়ে বসাতে বসাতে জিজ্ঞেস করলেন প্রফেসর, তাহলে ঠিকমতই আমার…

২.০৯ হারকার দম্পতি ডাক্তার জন সেওয়ার্ডের ডায়েরী থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর। গত রাতে হারকার দম্পতিকে নিয়ে ফিরতে ফিরতে অনেক রাত হয়ে গিয়েছিল। সদ্য ঘুম থেকে উঠে মুখ হাত ধুয়ে অপেক্ষা করছি এমন সময় ঘরের দরজায় টোকা…

২.১০ কারফাক্সের গির্জা জোনাথন হারারের ডায়েরী থেকে ১ অক্টোবর। সারাটা দিন কারফাক্সের গির্জার আশেপাশে ঘুরে বেড়িয়েও ভেতরে ঢুকতে পারলাম না। কারণ সদর দরজা ছাড়া ভেতরে ঢোকার আর কোন পথ নেই। দরজাটা তালা মারা, চাবি গির্জার…