১৩. উরিয়া হীপের শয়তানী অ্যাগনেস আর মি. উইকফিল্ড কয়েকদিনের জন্য বেড়াতে এসেছেন ড. স্ট্রিংএর বাড়িতে। স্বাভাবিকভাবে হীপও এসেছে সঙ্গে। এক রাতে আমি আমার কাজকর্ম শেষ করছি, এমন সময় ডক্টর স্ট্রং-এর স্টাডিতে আলো জ্বলতে দেখলাম। আমি…

০৪. মা আমার মারা গেলেন গাড়ি চালক মি. বার্কিস কোচ স্টেশনে আমাকে সম্ভাষণ জানালেন এমনভাবে, যেন আমাদের শেষ দেখার পরে পাঁচ মিনিটও যায়নি। পেগোটির কথা জিজ্ঞেস করলেন তিনি। বললাম, তার বার্কিস ইচ্ছুক বার্তাটি আমি পাঠিয়েছি।…

০৫. জীবনের পথে একা মার্ডস্টোন অ্যাণ্ড গ্রিনবির মালগুদামটি নদীর কিনারে। একটা সরু গলির একেবারে শেষ প্রান্তে। গুদামের পরেই গলিটা খাড়া নিচে নেমে শেষ হয়েছে। নদী পর্যন্ত গিয়ে। গুদামঘরটা জরাজীর্ণ। ইঁদুরে ভরা। শত বছরের ময়লা আর…

০৬. নতুন জীবন মিস বেটসি অপেক্ষা করলেন কয়েক সপ্তাহ আমার শরীর-মন সবই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠার জন্যে। তারপর এক সন্ধ্যায় মি. ডিকের সাথে পাশা খেলতে খেলতে আমার দিকে ফিরে বললেন, ট্রট, তোমার শিক্ষার কথা ভুললে…

০৭. পুরানো বন্ধুদের সঙ্গে শৈশব থেকে আমি যাত্রা করলাম যৌবনের পথে। মন আমার আনন্দে ভরপুর। আমার বয়স এখন সতেরো। আমি স্কুলের হেড-বয়। উক্টর স্ট্রং আমাকে প্রতিশ্রুতিবান তরুণ পণ্ডিত বলে উল্লেখ করেন। অ্যাগনেস উইকফিল্ডও এখন আর…

০৮. একটা পেশা বেছে নিলাম পরদিন আমি আর স্টিয়ারফোর্থ বিদায় নিলাম ইয়ারমাউথ থেকে। পেগোটি ও তাদের পরিবার, সাগরের অনেক মাঝি মাল্লা-যারা বন্ধু হয়ে গিয়েছিল স্টিয়ারফোর্থের—সবাই মিলে বিদায় জানাল আমাদেরকে। কিছুক্ষণ কোন আলাপ হলো না স্টিয়ারফোর্থ…

০৯. এক বিরাট ক্ষতি সন্ধ্যায় পৌঁছলাম ইয়ারমাউথে পেগোটির বাড়িতে। দরজায় মৃদু টোকা দিতেই খুলে দিলেন মি. পেগোটি। তিনি আমাকে নিয়ে গেলেন রান্নাঘরে। সেখানে আগুনের পাশে বসে আছে এমিলি। বিষণ্ণ, চুপচাপ। হ্যাম দাঁড়িয়ে আছে ওর পাশে।…

১০. ফতুর হয়ে গেলাম মি. স্পেনলো ডোরার জন্মদিন উপলক্ষে এক পিকনিকে দাওয়াত করলেন আমাকে। আমি ফুল নিয়ে গেলাম ভোরার জন্য। ফুলগুলো ও সারাক্ষণ নিজের কাছে রাখল। ওর ছোট্ট কুকুর জিকে দিয়ে শোঁকাতে চেষ্টা করল। কিন্তু…

১১. আমার প্রিয় ডোরা পেগোটির ইয়ারমাউথে ফিরে যাবার সময় হলো। এমিলির খোঁজে চলে যাবার পর থেকে ভাইয়ের কোন খবর সে পায়নি। এখন বাড়ি যেতে চায় হ্যামের। দেখাশোনার জন্য। কোচে ওঠার আগে সে আমাকে প্রতিশ্রুতি দিতে…

০৩. সালেম হাউসের দিনগুলো একমাস পড়লাম মি. মেল-এর কাছে। ভালই চলছিল পড়াশোনা। হঠাৎ একদিন তলব করলেন হেডমাস্টার মি. ক্রীক্‌ল। মি. ক্রী্ক্‌ল-এর মুখটা দেখতে ভয়ঙ্কর। চোখদুটো ছোট, কুতকুঁতে। নাকও ছোট। বিশাল চিবুক। মাথায় মস্ত টাক। এটাই…