“স্যার, আপনার কাছে একটা চিঠি এসেছে” দপ্তরি একটা মুখবন্ধ খাম বাড়িয়ে ধরল প্রোফেসর আলমগির কবিরের দিকে। দু সেকেন্ড ভ্রু কুঁচকে খামটার দিকে তাকিয়ে থাকলেন প্রোফেসর। তারপর হাত বাড়িয়ে খামটা নিলেন। কলেজের ঠিকানায় তার কাছে চিঠি…

বাস্তবতা একসময় হার মানে।এমনকি মানুষ অস্তিত্ব হারায় আপন সত্ত্বার অন্তরালে…. সময়টা ১৬৫০ সালের দিকে।বর্তমান যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঞ্চল।সেই অঞ্চলেরই প্যারোমা আইল্যান্ড নিকটস্থ গাছপালা ঘেরা ক্ষুদ্র একটি গ্রাম স্যাকরেড ভ্যালি।খুব বেশি মানুষের বাস যে সেখানে তা নয়।মূলত…

এক দুই তিন !! ট্রাপডোরের ডালাটা ওঠার সময় বিড়বিড় করে বলতে লাগলো ডাঃ জামান। চোখ দুটো খুশীতে চিকচিক করছে তার। জায়গাটা এরোমেসা জাদুঘরের একদম গ্রাউন্ড ফ্লোর ঘঁষে। শত বছরের পুরোনো জাদুঘর।এখন ব্যবহারের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে।…

জুলাই ১৬, ২৪৪৫ মানবসভ্যতার ইতিহাসের একটি স্বর্ণজ্জ্বল দিন বলে ঘোষিত হতে চলেছে আজকের এই দিনটি। অবশেষে আনথ্রোপোসিন যুগের ৫০০তম বার্ষিকীতে মানবসভ্যতা তার সব থেকে বড় স্বপ্নকে সাকার করতে চলেছে। চতুর্মাত্রিক মহাবিশ্বকে তারই ভাষায় জবাব দিতে…

শীত পরতে শুরু করেছে কয়েকদিন হলো। এই শীতের রাতে সবচেয়ে বিরক্তিকর ব্যাপারটা হলো মাঝরাতে কম্বল ছেড়ে বাইরে বের হওয়া। আর এই বিরক্তিকর ব্যাপারটাই বদ অভ্যাসে পরিনত হয়েছে মাঝরাতে প্রস্রাব চাপার ফলে। বাথরুমে যাওয়ার পথে একটা…

নিউ ইয়র্কে থাকার একটা মস্ত অসুবিধা হল চেনা-অচেনা অনেককেই এয়ারপোর্টে গিয়ে রাইড দিতে হয়। আর শুধু রিসিভ করা নয়, মাঝে মধ্যে এইসব ভিসিটারদের দু-দশ দিনের জন্যে নিজেদের অ্যাপার্টমেণ্টে থাকতে দিতে হয়। আমি প্রায় ছ’বছর ম্যানহ্যাটানে…

১৫ এপ্রিল, রোম কাল এক আশ্চর্য ঘটনা । এখানে আমি এসেছি। একটা বিজ্ঞানী সম্মেলনে । কাল স্থানীয় বায়োকেমিস্ট ডাঃ দানিয়েলির বক্তৃতা ছিল। তিনি তাঁর ভাষণে সকলকে চমৎকৃত করে দিয়েছেন । অবিশ্যি আমি যে অন্যদের মতো…

৩০১৫সালের এপ্রিল মাসের আগুন ঝরা রোদের মাঝে চার ঘণ্টা ধরে বাসের টিকেটের জন্য লাইনে দারিয়ে আছি। শরীর দিয়ে দরদর করে ঘাম ঝরছে, তবুও ক্লান্তি অনুভব করছি না। মনের মাঝে এক ধরনের চাপা উত্তেজনা কাজ করছে।…

আমি আর নিশি যখন প্রথম বার পৃথিবীর মহাকাশ গবেষণার জন্য একাডেমীতে এসে ছিলাম তখন আমাদের সাহায্য করার জন্য কয়েকটি কয়েকটি দ্বিতীয় মাত্রার এনরয়েড² দেয়া হয়ে ছিল। এগুলো একএকটা আস্ত গাধার হাড্ডি। সারাদিন শুধু বোকার মত…

ঊন্নিশশো শতাব্দী। তখন ডাকবাহকের প্রচলন ছিলো অত্যধিক। কারণ আমাদের জমিদার মশায়েরা তাদের চিঠিপত্র আদান প্রদান করতেন এইভাবেই। যারা এই চিঠিপত্র, পার্সেল আনা নেয়া করতো তাদের “রানার” বলা হয়। কাধে ঝুলতো ইয়াব্বড়ো ঝোলা, হাতে ধার দেয়া…