বাচ্চা ভয়ংকর কাচ্চা ভয়ংকর: ০১. রইসউদ্দিনকে দেখলে মনে হবে

বাচ্চা ভয়ংকর কাচ্চা ভয়ংকর: ০১. রইসউদ্দিনকে দেখলে মনে হবে

বাচ্চা ভয়ংকর কাচ্চা ভয়ংকর মুহম্মদ জাফর ইকবাল ০১. রইসউদ্দিনকে দেখলে মনে হবে তিনি বুঝি একজন খুব সাধারণ মানুষ। তাঁর চেহারা সাধারণ (মাথার সামনে একটু টাক, আধপাকা চুল, নাকের নিচে ঝাঁটার মতো গোঁফ), বেশভূষা সাধারণ (হাফহাতা…
এই আমাদের প্রেম

এই আমাদের প্রেম

এই আমাদের প্রেম আমরা কথা বলছি আর আগুনে ঝলসে যাচ্ছে বিন্নি ঘাস ভরা প্রান্তর চচ্চড় শব্দ হচ্ছে, পুড়ছে মাটির মাংস-চামড়া আমরা দেখছি না, আমরা শুনছি না আমরা হাত বাড়িয়ে দিচ্ছি পরস্পরের দিকে আঙুলের ডগায় বরফের…
আশ্চর্য নদী

আশ্চর্য নদী

আশ্চর্য নদী আসুন, এই নদীর ধারে আমরা সবাই বসবো একসঙ্গে এখানে নেই কালো সাদা টেলিফোন, তার বদলে সূর্যমুখী ও চন্দ্রমল্লিকা দেহরক্ষীদের রেখেছি কিছুটা দূরে জঙ্গলের আড়ালে লাল কার্পেটের বদলে এখানে সবুজ ঘাস পা ড়ুবে যাবার…
আজ সারাদিন

আজ সারাদিন

আজ সারাদিন আজ সারাদিন একটাও কথা বলিনি কারুর সঙ্গে ব্রিজের ওপর দাঁড়িয়ে শুনছি কোলাহলময় সঙ্গীত পায়ে ক্ষীণ ব্যথা, জুতো খোলা যাক, খালি পায়ে দিক হাওয়া বুড়ো আঙুলের নখদর্পণে ঝলসে উঠলো প্রাক রজনীর চাঁদ হাঁটু গেড়ে…
আত্মজীবনীর খসড়া

আত্মজীবনীর খসড়া

আত্মজীবনীর খসড়া বাঁশি বাজানো শিখতে শুরু করেছিলুম উঠতি বয়সে সবাই বললে, ওরে, ও কম্ম করিস নি গরিবের ছেলে দিন রাত বাঁশি ফুকলে নির্ঘাৎ টি বি ত্রিপুরা থেকে কিনে আনা প্রিয় বাঁশিটি দান করে দিলুম এক…
আমাদের কৈশোরের

আমাদের কৈশোরের

আমাদের কৈশোরের সাতটা পঁচিশে তুমি নেমে এলে স্তব্ধতার সিড়ি ভেঙে, ওই দেশে বৃষ্টি হয়েছিল? এবারে অনেকদিন পরে এলে নীরা কী এমন পিছুটান, ওষ্ঠে কেন ক্ষীণ অভিমান স্বর্গে কোনো খেদ ছিল, ওখানেও হৃদয়ে লাগে দাহ? নীরা,…
আরও গভীরে

আরও গভীরে

আরও গভীরে ঘেঁড়া ছেঁড়া অন্ধকার নিয়ে খেলা করতে করতে একদিন ভালো মতন অন্ধকার এসে বললো, এসো, এবার জমিয়ে খেলা হোক! তারপর শুরু হলো চিঠি ঘেঁড়ার মহোৎসব শূন্য বাক্স-প্যাটরায় ফুঁ দিয়ে যে কত ধুলো উড়লো আঃ,…
জেব্রা!

জেব্রা!

বাংলার প্রান্তরে হঠাৎ আফ্রিকার সাভানার রোদ ঝলসে ওঠে। তুমিই কি? থেকে থেকে লাফিয়ে উঠতে চাও কোলে। আমি স্তম্ভিত। এই তুমি! বন্য ও উদ্দাম! এবং উৎকর্ণ। চাবুকের শব্দ সপাং সপ। বাতাস হচ্ছে রক্তাক্ত। তোমার ভীতিগুলোই কালো…
দরজা

দরজা

তাহলে দরজারই সমুখে! সেই দরজা! তোমার দরজা! একদিন যে-দরজা ছিল গরমের খরতাপে বন্ধ ও রঙচটা! কত সড়কেই না আমি সন্ধান করেছি এমন একটি দরজা যার পাল্লার কাঠে এসে পড়বে শ্রাবণ-বৃষ্টির সন্তাপহর ধারা। কিন্তু বিবর্ণ এই…
নিঃসঙ্গ কবি, নির্জন রেস্তোরাঁ

নিঃসঙ্গ কবি, নির্জন রেস্তোরাঁ

মাথার ভেতরে লেখা। অদূরে রেস্তোরাঁ। আষাঢ় সেজেছে খুব মেঘে মেঘে-মনে সে করাবে বিরহ বিপন্ন দিন-রাস্তাঘাট আদ্যোপান্ত খোঁড়া। মাটির পাহাড়গুলো কতদিনে কে জানে সরাবে! এরই মধ্যে পথ করে নিতে হবে আজ। অপেক্ষায় কবিতা ও কফি। হঠাৎ…
আরও গল্প