স্বল্প সুখের গল্প

স্বল্প সুখের গল্প

এক বাগানে একটি গোলাপ গাছ ছিল। সেই গোলাপ গাছটির পাশেই ছিল একটি অমরত্ব গাছ। দুজনেই পাশাপাশি বেড়ে উঠেছিল। আর দুজনের মধ্যে ভীষণ বন্ধুত্ব। একদিন অমরত্ব গাছটি গোলাপকে ডেকে বলল, ‘ভাই গোলাপ, তুমি কি সুন্দরই না…
তিন বোকার গল্প

তিন বোকার গল্প

এক গ্রামে ছিল তিন বোকা। তারা বোকা বলে বোকা, একেবারে বোকার হদ্দ। তাদের বাড়ির লোকজন একদিন তিনজঙ্কেই একসাথে গ্রাম থেকে বের করে দিল। বেচরা বোকা তিনজন গ্রামের বাইরে এসে একটা বড় ছাতিম তগাছের ছায়ায় এসে…
বুড়ির মুরগি পোষা

বুড়ির মুরগি পোষা

এক পাড়ায় এক থুবড়ি বুড়ি বাস করত। সংসার চালানোর জন্য সে অনেক গুলো মুরগি পুষেছিল। মুরগিগুলো যে কয়েকটা ডিম পাড়ত সেগুলো বাজারে বিক্রি করে যা টাকা পেত তাই দিয়েই মোটামুটি সে সংসার চালিয়ে নিত। মুরগিগুলোর…
বোকা দাঁড়কাক

বোকা দাঁড়কাক

একদিন এক ক্ষুধার্ত কাক খাবার খুঁজে ফিরছিল। কোথাও কিছু না পেয়ে ক্লান্ত হয়ে সে একটা ডুমুরগাছে এসে বসল। সে দেখল, গাছে প্রচুর ডুমুর ফলে আছে। ফলগুলো দেখে খুশি হয়ে দাঁড়কাক ভাবল, আঃ কত ফল! খেতেও…
রক্তচোষা

রক্তচোষা

স্যামসের লোকসভায় এক অত্যাচারী শোষকের প্রাণদণ্ডের বিচার হচ্ছিল। সেই সভায় ইশপ এই গল্পটি বলেছিলেন- একবার এক শেয়াল নদী পার হতে গিয়ে স্রোতের টানে এক খাঁদের মধ্যে গিয়ে পড়ল। অনেক চেষ্টা করেও সে খাদ থেকে উঠে…
পেট আর পায়ের দ্বন্দ্ব

পেট আর পায়ের দ্বন্দ্ব

একদিন পেট আর পায়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হচ্ছিল – কার শক্তি বেশি তাই নিয়ে। পা, পেট কে বলছিল, কে তোমাকে বয়ে নিয়ে বেড়ায়? আমিই তো ! তা হলে আমারই শক্তি বেশি। পেট বলে- বটে? কিন্তু…
মোরগ এবং চোর

মোরগ এবং চোর

কয়েকজন চোর একটা বাড়িতে চুরি করতে এসে একটিমাত্র মোরগ ছাড়া আর কিছুই পেল না। মোরগটাকে নিয়ে এসে যখন সেটা জবাই করতে গেল সে তখন তাদের কাকুতিমিনুতি করতে লাগল, বলল – আমাকে মেরো না ভাই, আমি…
মা-কাঁকড়ার উপদেশ

মা-কাঁকড়ার উপদেশ

জলার ধারে এক কাঁকড়া তার পরিবার নিয়ে বসবাস করত। মা-কাঁকড়ার অনেকগুলো বাচ্চা ছিল। বাচ্চারা জলার ধারে সারাদিন খেলা করে বেড়াত। তারপর সন্ধে হলে তারা ঘরে ফিরে আসত। মা-কাঁকড়া তার বাচ্চাদের সবসময় নানারকম উপদেশ দিত। কি…
বুদ্ধিমান ব্যবসায়ী

বুদ্ধিমান ব্যবসায়ী

এক ধনী ব্যবসায়ী ছিল। তার ছিল প্রচুর ধন সম্পত্তি। আর ছিল অনেক লোকজন, ঝি-চাকর গাড়িঘোড়া ইত্যাদি। তার একটা বড়ো কুকুরও ছিল। কুকুরটা ছিল খুবই প্রভুভক্ত। সে মনিবের সব লোকজনদের পাহারা দিত। কেউ কাজে ফাঁকি দিলে,…
হাসি ও রাণী মাছ

হাসি ও রাণী মাছ

হাসির মুখে হাসি নাই।   সে মন খারাপ করে পুকুরপাড়েবসে আছে।   তার বন্ধু রানীমাছ আর তার কাছে আসে না।  গল্প করে না। শুধু রানীমাছ কেন, পোনা মাছগুলোও ছুটে আসে না।   খেলাকরে না।   বড় মাছগুলো ঝুপঝাপ করে লাফ দেয় না। কাঁকড়াগুলো গুটি গুটি পায়ে পাড় ঘেঁষে হাঁটে না।  ব্যাঙগুলোও ঝুপঝাপ লাফ দেয় না।   ছোট ছোট পোকা-মাকড় ধরে খায় না।   ঐ কোণায় শাপলা ফুল আর ফোটে না। হঠাৎ একটা রানীমাছকে দেখে হাসি খুব খুশি হয়।   হাসিবলে, তোমরা এখন আস না কেন?   গল্প কর না কেন?  রানীমাছ বলে, তুমি হয়তো আমাদের কাউকেই আরদেখতে পাবে না।   তোমরা আমাদের শেষ করে দিচ্ছ। হাসি বলে, কেন, আমরা তোমদের কী ক্ষতি করলাম? রানীমাছ বলে, পানিতে আমাদের জীবন।   মাছ, কাঁকড়া,ব্যাঙ-  এ রকম অনেক কিছু পানিতে বাঁচে।   পানিতে ডিমপাড়ে।   ডিম থেকে বাচ্চা হয়।   তোমরা সেই পানি নষ্ট করেফেলেছ। রানীমাছ আরো বলে, তোমরা এই পানিতে ময়লা অবর্জনাফেল।   চিপস, চানাচুর, আচারের প্যাকেট ও নানা রকমপলিথিনের ব্যাগ ফেল। কপড়ধোয়া সাবান পানিতে মেশে।   পুকুরপাড়ে গরুছাগলকে গোসল করাও।   এতে ময়লা-গোবর পানিতেমেশে। পাশের ক্ষেতে সার আর পোকা-মাকড় মারতে কীটনাশকদাও।   এগুলোতে বিষ থাকে।   এ বিষ বৃষ্টির পানিতে ভেসেপুকুরে পড়ে।   পোকামাকড় মেরে ফেলায় আমরা খাবারপাই না। রানী বলে, দেখ, পুকুরের পানি এখন সাদা টলটলে নয়।  নোংরা আর কী বিশ্রী গন্ধ।   ফলে মাছ ও অন্যান্য জলজপ্রানী মারা পড়ছে।…
আরও গল্প