নয়ন বিন্দুর ভালবাসা

নয়ন বিন্দুর ভালবাসা

                                           নামনয়ন বিন্দুর ভালবাসা   

                                         গল্প রচনামিজানুর রহমান

 

চরিএ

ছেলে চরিএ – নয়ন

মেয়ে চরিএ – বিন্দু

বড় ভাই -চরিএ (বিন্দু )- রহমান সাহেব।

মা -চরিএ (নয়ন) – আমিনা বেগম।

আর করিম নামে একজন কাজের ছেলে

নয়নের কয় একজন বন্দু রুম মেট।

রাজ , হাবিব  নামে ২জন হাইজেকার চরিএ থাকবে।

 শিশু চরিএ- সুমা।     

১ম শট 

একদিন আমি (নয়ন )সকালে তখন ১১টা হবে একা বসে আছি সিআরবিতে সিগারেট খাচ্ছি । তারপর দেখলাম একটা সুন্দরি মেয়ে ফুল বিক্রি করছে আর করতে করতে আমার দিকে এগিয়ে আসছে।কিছু বুঝার আগে মেয়েটা এসে ভাইয়া ডাকা শুরু করল।আমি সিগারেট মুখে নিয়ে অবাক হয়ে গেলাম।অবাক হওয়ার কারন ছিল মেয়েটা(বিন্দু)খুব সুন্দর ছিল।

এসে বললো মেয়েটা-” ভাইয়া আপনাকে একটা কথা বলব?

নয়ন – (মনে মনে বললাম ভাইয়া ছাড়া কি অন্য নাম ছিল না নিজেকে শান্ত করলাম)  জি বলুন।

মেয়েটা(বিন্দু)-এখান থেকে আপনাকে একটা ফুল কিনতেই হবে।

নয়ন -আমি কথা শুনে চুপ হয়ে গেলাম বললাম কিনতেই হবে!!” কিন্তু কেন?”

মেয়েটা(বিন্দু)- আপনি ভাবছেন ফুল সব আমার আমিই বাঁ ফুল বিক্রি করছি তাই না।আসলে ফুল গুলো আমার না, একটা পিচ্চি মেয়ের। মেয়েটার খুব অসুস্থ ওই যে বসে আছে দেখছেন পিচ্চি মেয়েটার।অসুস্থতার জন্য ফুল বিক্রি করতে পারছে না।এখন বিক্রি করে না দিলে এত টাকার ফুল নস্ট হয়ে গেলে গরিব মানুষ কষ্ট পাবে।তাই আমি নিজে ফুল বিক্রি করে দিচ্ছি মেয়েটা কে বাসায় পোঁছে দিব। পিলিজ না করবেন না একজন একটা করে নিলে সব বিক্রি হয়ে যাব।

নয়ন –  চুপ হয়ে আমি বললাম।আমি যদি একটা না নিয়ে সব নিতে চাই বিক্রি করবেন আমার কাছে?

মেয়েটা(বিন্দু)- সব কিনবেন তাহলে খুব ভাল হয়।

নয়ন – কত টাকা দিতে হবে?( ৫০০ টাকা বের করে দিল)

মেয়েটা(বিন্দু)-ফুলের দাম ৪০০ টাকা আর আমার কাছে ১০০ টাকা খুচরা নেয়।

নয়ন – খুচরা লাগবে না। আপনি একজন অসুস্থ মেয়ের জন্য কষ্ট করে ফুল বিক্রি করে দিচ্ছেন আর আমি সামান্য কিছু টাকা বাড়তি দিতে পারব না। ভাল কাজ কি একা আপনি করবেন।

মেয়েটা(বিন্দু)- হাম তা পারবেন।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

মেয়েটা(বিন্দু) নয়নকে বলল আপনি চাইলে আমার সাথে আসতে পারেন। নয়ন (আমি) থাকিয়ে আছে মেয়েটা দিকে।আর কিছু না বলে মেয়েটা হাটাতে লাগলো।

নয়ন একটু পর পিছে পিছে গেল।পিচ্ছি মেয়েটা কে টাকা দিয়ে বাসায় পাটিয়ে দেয়।

মেয়েটা(বিন্দু)- অহ আপনি। একটু আগে আসলে দেখা হয়ত  পিচ্ছি মেয়েটার সাথে।

নয়ন – পিচ্ছি মেয়েটা কে দেখতে আসিনি আমি আসছি আপনার সাথে পরিচয় হয়তে।

মেয়েটা(বিন্দু)- আমার সাথে কেন? খুব স্বাভাবিক হয়ে বলল সুন্দর মেয়ে দেখলে কি পরিচয় হতে ইচ্ছা করে।

নয়ন – না।আপনি সুন্দর সেটা সত্যি কিন্তু আমি সুন্দরের পূজারী না। আপনি কেমন আমি জানি না। শুধু বিশ্বাস করলাম আপনার মন আপনার চেয়ে সুন্দর। কারন যে অন্নের কষ্ট নিজের মনে করে কাউকে সাহায্য করে,থাকে ভাল বলতে হয়।বলতে পারি আপনাকে আমার ভাল লেগেছে তাই পরিচয় হতে আসলাম।

মেয়েটা(বিন্দু)- হুম বুঝলাম।আপনিতু খুব সুন্দর কথা বলেন।আপনি এফ,এম রেডিও আরজে নাকি?

নয়ন – হাহহা। না, আমি নয়ন । আরজে-টারজে কিছু করি না তবে কিছু করার চেষ্টায় আছি।

মেয়েটা(বিন্দু)- ভালই। আমি বিন্দু। ছোট একটা স্কুল আছে সেখানে বাচ্চাদের সময় দিয়।

নয়ন – আপনার সাথে পরিচিত হয়ে ভাল লাগলো।

তারপর সেখান থেকেই বিন্দু সাথে নয়নের পরিচয় ।

২য় শট    

একদিন বিন্দু স্কুলে বাচ্চাদের পড়ায় সেখানে আমাকে নিয়ে যায়।আমি দেখলাম এত গুলা বাচ্চা পড়া জন্য বিন্দু একা ,আমাকে বলল নিজে স্কুলটা খুলছে।তখন বুঝলাম বাচ্চাদের জন্য এত দরদ কেন। আমি দেখে সত্যি ভাল লাগলো।চাইলে ভাল কাজ করা যায়। পড়ার ফাঁকে বিন্দু কে বললাম।

নয়ন – বিন্দু একটা কথা বলব?

বিন্দু – হুম বল?

নয়ন – তোমার এই স্কুলের আমি একজন স্যার হতে চাই ?

বিন্দু – আমার স্কুলে পড়ালে কিন্তু বেতন দেওয়া হবে না।

নয়ন – একটা ভাল কাজে নিজেকে যুক্ত করব বেতন নিব কেন।

তারপর বিন্দু বাচ্চাদের সাথে নয়ন কে পরিচয় করায় দিল।

বিন্দু বাচ্চাদের বলতেছে আগামিকার থেকে এই স্যার তোমাদের পড়াবেন। সালাম দাও সবাই।  বাচ্চার সবাই সালাম দিল।

নয়ন – কেমন আছ সবায়?

বাচ্চাদের সবাই ভাল আছে চিৎকার করে বলল।

নয়ন – ম্যাড়ামকে কে কে ভালোবাসো হাত তুলতু?

বাচ্চা সবাই একসাথে হাত তুলল।

নয়ন – তোমাদের আজ আমি  পড়াব না কারন তোমাদের জন্য আমি কিছু নিয়ে আসিনি তাই আগামিকাল আসলে চকলেট নিয়ে আসবো।তারপর পড়াব তাই আজ ছুটি ।

ছুটির পর…

নয়ন – সারাদিন এইসব নিয়ে থাক?

বিন্দু-হুম কেন জানি খুব মায়া হয় এইসব বাচ্চাদের জন্য।আমি নিজেকে উপভুগ করি ওদের সাথে।

৩য় শট-

সে দিন আমি আর বিন্দু হাঁটছি বিন্দু আমাকে বলছে প্রথিবী তে সব চেয়ে অসহায় কারা জানো?

নয়ন- জানি না।

বিন্দু- যারা বিদ্দাআশ্রামে থাকে। ওদের ভিতুরে এতু কষ্ট জমানো আছে তুমি কল্পানা করতে পারবে না। জানো আমার খুব মায়া হয় ওদের জন্য ইচ্ছা করে ওদের সেবা করি সব কিছু বাদ দিয়ে।বর্তামানে শিক্ষিত ছেলে মেয়েরা এই সব করে।কেউ ওদের আপন মনে করে না।

নয়ন-সারথপর মানুষ পথিবীতে ভাল থাকে।

বিন্দু- সেটা সাময়িক।

নয়ন- চা খাবেন?

বিন্দু- হুম খাওয়া যায়।আচ্ছা তুমি সিগারেট খাও কেন?

নয়ন-অভ্যাস হয়ে গেছে।

বিন্দু- সিগারেট বেশি খাবেন কাল থেকে।

মানুষকে হেল্প করা ,বাচ্চাদের নিয়ে একটা স্কুল খুলা,আবার কারো অসুক হলে তার জন্য রাস্তায় বক্স নিয়ে বের হয়ে টাকা তোলা,নিজের খাবার ভিক্ষকদের দেওয়া। এই সব যেন বিন্দুর প্রতিদিনের কাজ।আমি ওকে দেখে অবাক হয়।আসলে ইচ্ছা থাকলে ভাল কাজ করা যায়।আমি ওর এইসব দেখে দেখে কখন ওকে ভালবেসে পেল্লাম বুঝতে পারনি। দিন দিন ওর পতি আমার ভালবাসা বেড়ে চলছে।কিন্তু ওকে বলতে পারছি না। ভয় হয় যদি গ্রহণ না করে।

৪র্থ শট

একদিন সাহস করে বিন্দুকে দেখা করতে বলি আমার সাথে।

বিকালে সিবীচ পাড়ে আমি বসে আছি। একটু পর বিন্দু আসলো।

বিন্দু – সরি দেরি করে পেল্লাম। বল কেন আসতে বললে?

নয়ন- তোমার জন্য আনলাম(গিফট দিয়ে বলল।)

বিন্দু – আমার জন্য গিফট! হঠাত গিফট কেন?

নয়ন-ইছচা হল নিয়ে আসলাম।

বিন্দু –বল কি বলবা?

নয়ন- তোমার সাথে আমার পরিচয় টা আমি খুব উপভোগ করেছি।সে দিন থেকে তোমার সাথে চলতে গিয়ে তোমার ভিতরে একটা ভাল মানুষ আমি খুজে পেয়েছি। জানো তোমাকে যতবারে দেখি মানুষের জন্য চিন্তা করতে আমি ততবারই মুগদ হয়েছি। তখন আমি নিজেকে নিয়ে আফসোস  করতাম।আর যখন থেকে তোমাকে আমি ভালবাসতে শুরু করেছি তখন থেকে আর আফসোস হয় না। কারন আমি যার জন্য আফসোস করতাম সে মানুষ টাকে আমি ভালবাসি।(মাটিতে বসে  আংটি বের করে বলে) তোমাকে আমি ভালবাসি।অনেকবার বলতে চেয়েছি আমার মনের সুস্ক ভালবাসা জাগরণ করে তোমার কাছে প্রকাশ করার জন্য কিন্তু পারিনি তাই আজ জমে থাকা না বলা কথাটা বলে দিলাম বিন্দু আই লাভ ইউ- ওয়িল ইউ মেরি মি?

বিন্দু – কান্না চোখে নয়ন কে জড়ায় ধরে। আমাকে এত ভালবাসো আগে বলনি কেন?

নয়ন- ভয় করছিল যদি তুমি আমাকে ফিরিয়ে দাও তাই।

বিন্দু – আজ যদি ফিরিয়ে দিতাম তখন কি করতে?

নয়ন- তখন কি করতাম আর পরের দিন সকালে পেপারে নিউজ পাইতে ভালবাসার প্রস্তাবে রাজী না হওয়া নয়ন নামে এক ব্যাথ প্রমিকের আত্তাহত্তা।

বিন্দু –  থাক আর আত্তাহত্তা করত হবে না ক্ষিদা লাগছে চল। যেতে যেতে বলল তুমি সবসময় এই এক ড্রেস কেন পড় অন্য কোন ড্রেস কি নাই তোমার?

নয়ন- থাকবে না কেন।

বিন্দু- কি পচা গন্দ।

৫ম শট   

সকাল  ৮টা এখনো ঘুম নয়ন। মেসে থাকে বন্দুরা মিলে ৩জন। হঠাৎ সকালে নয়নের মোবাইলে মেসেজ বেজে উঠল ঘুম ভেঙ্গে যায়। ঘুম থেকে উঠে দেখে মেসেজ এসেছে ফোনে। বিন্দুর মেসেজ তোমার বিকাশ নাম্বের ৩০০০টাকা পাটিয়েছি দোকান থেকে নিয়ে নিও।তাড়াতাড়ি উঠে চোখে পানি দিয়ে আবার চেক করল। না ঠিক ই আছে। বিকাশে আমার একাউন্টে ৩০০০হাজার টাকা।চুপচাপ থাকলাম রুমমেট বলদগুলোকে এই কথা বলা যাবে না।শালারা কথায় কথায় ট্রীট চায়। এই কথা শুনলে নির্ঘাত ১হাজার টাকা চলে যাবে ওদের খাওয়াতে।

নয়ন- (রুম মেট একজন কে বলল)ওই আমি একটু বের হচ্ছি দরজা বন্দ কর।

১ম জন রুম মেট- হাম আসার সময় সিগারেট নিয়ে আসিস।

২জন রুম মেট- আমার জন্য কলা আর বন নিয় আসিস।

নয়ন- কিরে টাকা আসলো কি খবর পাইছে নাকি গন্দ পাইছে বুঝলাম না শালাদের বিশ্বাস নাই) আসতে দেরি হবে আমার। বলে চলে গেল।

৬স্ট শট-১ঘন্টা পর…    

(নয়ন) আমি বিন্দু কে কল করল…।।

নয়ন- হেল। সরি দেরি করে পেল্লাম।আমি টাকা পেয়েছি। কিন্তু বুঝলাম না হঠাৎ এতো টাকা কেন?

বিন্দু – তোমার জন্য দিয় নাই।

নয়ন- আমার জন্য দাও নাই তো কার জন্য দিস?

বিন্দু- তোমার রুমমেটদের জন্য দিছি টাকা গুলা ওদেরকে পুরা টাকা দিয়ে ট্রীট দিও।আর দুপুরে তোমাকে নিয়ে বের হবো শপিং করার জন্য।কি সব পুরান কাপড় পড় সব সময়।কি বাজে গন্দ।

নয়ন- ওদের পুরা টাকা দিয়ে দিবো? মানে বুঝলাম না।

বিন্দু – হ্যাঁ, ওদের দেখিয়ে দেও তোমার প্রেমিকার মন কেমন।বড় লোক সবাই কিপটা হয় না।

নয়ন- ঠিক আছে দিয়ে দিব। ওরা আমাকে বলে সব সময় তুমি নাকি ট্রীট দাও না।আমি টাকা দিয়া তোমার কাছে আসব।(যদিও দিব না মাথা খারাফ হয়ছে আমার টাকা দিব)

বিন্দু – কি চুপ হয়ে আসো কেন।ঠিক দুপুরে রেডি থাকবা কিন্তু।

নয়ন- না কিছু না ঠিক আছে।আমি চলে আসবো।

 

৭ম শট-দুপুরে বের হয়েছে  

বিন্দু আর নয়ন মার্কেটে ঘুরছে আর শপিং করছে। বিন্দু নয়নকে ২ টা প্যান্ট, আর ২ টা টিশার্ট কিনে দিয়েছে।

নয়ন- আমি তুমাকে একটা জামা কিনে দিই।

বিন্দু – না আমার লাগলে আমি নিজে কিনে নিব। আর তুমি  চাকরি পেলে তখন তোমার কাছে থেকে ইচ্ছেমতো মার্কেট করে নিবে।মনে মনে ভাবছি আল্লাহ আমার কপালে কি প্রেমিকা দিয়েছে এটা।এতো ভালো কপাল কোনো ছেলের হয়!

নয়ন- আমাকে এত ভালোবাসো তুমি?

বিন্দু – হাম কেন বিশ্বাস হয় না ?

নয়ন- হবে না কেন একটা কথা কি জানো আমি জীবনে কোন ভাল কাজ করেছি বলে পুরস্কার হিসাবে হয়ত তুমাকে আমি পেয়েছি।

বিন্দু – হয়ছে আর পাম্প দিতে হবে না ।আচ্ছা বাদ দাও,, চলো আজ দুজন একসাথে লাঞ্চ করি আমি করাব কিন্তু?

নয়ন- আমি  না দিতাম  ওকে। চল  (মনে  মনে  বলতেছে মেসের পঁচা খাবার খাইতে খাইতে পেটের খারাপ অবস্থা। তার উপর ওর এই চমৎকার অফার শুনে মনটা একদম আনন্দে নেচে উঠলো।)

তাস্পিয়া গার্ডেন এসেছি বিন্দু র সাথে দুপুরে লাঞ্চ করলাম।খাবারের পর।

নয়ন- আজ আমি তোমাকে বাসায় পৌঁছে দেই ।

বিন্দু – আমি একা যাইতে পারব।

নয়ন- ভালবাসার মানুষের যত্ন না করলে ভালবাসা পাব কি ভাবে বল। আর কোন কথা নাই আমি দিয়ে আসব তোমাকে।

বিন্দু টিক আছে। নয়ন নিজের বাইক করে বিন্দুর বাসার সামনে এসে নামলো। বাসার গেঁট খুলতে   বিন্দু বড় ভাই বাসার সামনে দাঁড়িয়ে আছে তার ভাইকে বলল ভাইয়া তুমি এইখানে?

বড় ভাই রহমান সাহেব- হা আমি এইখানে পড়া লেখা করতে পাটিয়েছিলাম প্রেম করতে নয়।এই সব করছ তাই না। পড়া লেখা বাদ দিয়ে।ছেলেটা কে এই ছেলে তোমার নাম কি বাড়ি কয়?

নয়ন- ভাইয়া আমি বিন্দু কে ভালবাসি।

বড় ভাই রহমান সাহেব- কত বড় সাহস আমার সামনে বলে কি বিন্দুকে ভালবাসি। তোর ভালবাসা আমি বের করতেছি। করিম এই বিয়াদবকে ভিতরে নিয়ে আই।এই ছেলে তুর বাবা কে ফোন কর আসতে বল না আসলে তুকে পুলিশে দিয়ে দিব।   (করিম হচ্ছে রহমান সাহেবের বাসায় কাজ করে)

নয়ন- আমার বাবা নাই ,মা আছে।

বড় ভাই রহমান সাহেব- তাহলে তুর মা কে আসতে বল , না  আসলে তুর খবর আছে বলে রাখলাম।তোই আমার সামনে বলছ বিন্দু ক ভালবাসি।

বিন্দু- ভাইয়া অকে ছেড়ে দাও না ওর কোন দোষ নাই।

বড় ভাই রহমান সাহেব- তুই চুপ কর। কার দোষ আমি ভাল করে জানি তুই ভিতরে আই।এক সাপ্তাহ মধ্য তোর বিয়ে টিক করতেছি আমি। আজ থেকে তোর বাড়ির বাইরে যাওয়া বন্দ।

 

 

৮ম শট-ঘন্টা পর..

নয়নের মা আসলো।

বড় ভাই রহমান সাহেব- এই করিম ছেলেটা কে নিয়ে আই।এই ছেলে কি আপনার?

মা (আমিনা বেগম) –হাম। কেন কি করছে আমার ছেলে?    

বড় ভাই রহমান সাহেব-কি হয়ছে আর কি করছে সেটা আপনার ছেলে থেকে জেনে নিবেন আমি আর কোন সময় যাতে আমার বোনের সাথে না দেখি ।যদি কখনো দেখি তাহলে আপনার ছেলে লাশ পাবেন আপনি কথা টা মনে রাখবেন।

মা (আমিনা বেগম –তাহলে আপনি ও আপনার বোনকে সামলে রাখবেন আমার ছেলে সাথে যেন না মিশে। আর একটা কথা মনে রাখবেন এক হাতে তালি বাঝে না।নয়ন চলে আই।

নয়ন- মা আমি বিন্দু কে ভালবাসি।

মা (আমিনা বেগমতোদের ভালবাসা সত্যি হলে তোদের কেউ আলাদা করতে পারবে না।চল।

৯ম শট   

১ সাপ্তাহ পর হয়ে গেল কার কোন দেখা নেই। যার যার মত আছে ওরা। নয়ন প্রেম যেখান থেকে প্রেম শুরু করছিল সেখানে যায় বসে থাকে।সিগারেট খায় আর পথ শিশু নিয়ে স্কলে যায় টিক মত পড়ায় না।অন্য দিকে বিন্দু বাসায় বন্দি নিজের মত করে সময় কাটায় বাচ্চাদের পড়ানোর জন্য যায়তে পারে না আর একা একা সময় কাটায় চোখের জল নিয়ে।

(একটা গান থাকবে যদি প্রয়োজন মনে হয়)

 

বিন্দু বান্দবি নিলার সাথে নয়ন দেখা করে যাতে বিন্দুর সাথে একটু দেখা করাই দেয়। অনেক মিনতি করার পর নিলা রাজী হয়।

পরের দিন নিলা বুরকা পড়ে বিন্দুর বাসায় যায়। তখন বড় ভাই রহমান সাহেব ও ছিল।

নিলা-ভাইয়া। বিন্দু কোথায় অনেক দিন দেখিনি তাই দেখা করতে আসলাম।

রহমান সাহেব- যায়। ভিতরে আছে একটু বুঝাও এই ছেলে কে যেন ভুলে যায়।

নিলা- জি ভাইয়া।

১৫ মিনিটস পর নিলা সেজে বিন্দু বরকা পড়ে বের হয়। বিন্দু সেজে নিলা রুমে গুমের ভান করে শুয়ে আছে,

রহমান সাহেব- কি চলে যাচ্ছ?

বিন্দু- জি ভাইয়া। আর কিছু না বলে বিন্দু নয়নের সাথে দেখা করতে চলে যায় নদীর ধারে।

কোন কথা না বলে জড়িয়ে দরে বিন্দু আর নয়ন।

বিন্দু- ভাইয়া জানতে পারলে আমি এইখানে আসছি তোমাকে মেরে পেলবে।

নয়ন- যতখুশি মারুক তখনও বলব তোমাকে ভালবাসি।

বিন্দু-ভাইয়া আমার বিয়ে টিক করেছে তোমার সাথে আমার হয়ত আর দেখা হবে না।

নয়ন- তুমি বিয়ে করবে?

বিন্দু- করব। আমাকে যেন অন্য কেউ ভালবাসতে না পারে তার জন্য সে রাতে জীবন দিয়ে দিব।

নয়ন-বাজে কথা বল না, শুন। তোমাকে আমি ভালবাসি আর বিয়ে তোমাকে আমি করব।আমাকে বিশ্বাস কর না।

বিন্দু- করি।

নয়ন- তাহলে। কান্না করি ও না আর ওকে।

১০ম শট-

একদিন সন্ধ্য গনিয়ে আসলো রাহুল টিউশন শেষ করে মেসে ফিরতেছে গাড়ির জন্য অপক্ষা করতেছে রাস্তায়।টিক ওলটা পথে কয় একজন ছেলে সিএনজি আটকে একটা মেয়ে কি নিয়ে টানাটানি করতেছিল।রাহুল দেখে সামনে গেল দেখতে পেল ফারিয়া গাড়িতে।

রাহুল- কি করছেন আপনারা একটা নিরহ মেয়েকে টানা হেছড়া করছেন কেন?ছেড়ে দেন না হলে মানুষ ডাকব।

রাজ– দেখেন ভাই জামিলা করবে না আমাদের কাজ আমদের করতে দেন। আর আপনার কেন এত খারাফ লাগছে?

রাহুল- মেয়েটা আমার গালফ্রন্ড হয়।

রাজ– এই ছেড়ে দেয় চল।

রাহুল-সন্ধায় কোথায় থেকে আসতেছ।

ফারিয়া- ক্লাস ছিল তাই।

রাহুল- তোমার কিছু হয়নি তো।

ফারিয়া- না।(কান্না করে বলছে)

রাহুল-হাম।ড্রাইবারকে বলল এই মামা চল।

১১ শট-

গাড়ি ফারিয়ার বাসার সামনে নামলো।ভিতরে যায় ফারিয়া বড় ভাই রহমান সাহেবকে ডাকল  ফারিয়া যায় বড় ভাইকে জড়িয়ে দরে কান্না করতে লাগলো।

রহমান সাহেব- কি হয়েছ তুর কান্না করতেছ কেন?

রাহুল- আমি বলছি আর একটু হলে আপনার বোনকে এই ভাবে পাইতেন না।হয়ত লাশ না হয় বললাম না আর,আপনি না ওর বড় ভাই বোনকে সামলাতে না পারলে বাইির হতে দেন কেন।আর  তুমি একা একা আস্তেছ কেন ভাইকে ফোন করতে পারো নিই তোমার আজ কিছু হয়ে গেলে কি হত তখন মারা জন্য হাত তুলল ( থাপ্পাড় তুলল)আজ ওর কিছু হলে এই দায় কে নিত বলুন।আপনি কি নিতেন এর দায়? শুধু বড় বড় কথা বললে ভাইয়ের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না।সাবধানে রাখবেন।বলে চলে গেল। রহমান সাহেব চুপ করে শুনে রইল রাহুলের সব কথা।

ফারিয়া- কেঁদে কেঁদে ভাইয়া ও না থাকলে হয়ত আজ আমার সব শেষ হয়ে যেত।

রহমান সাহেব- কান্না করিছ না। এই ছেলে শুন যে অন্য জনের সম্মান রক্ষা করতে পারে সে কক্ষনো খারাফ হতে পারে না সেটা আমার বিশ্বাস।আজ থেকে আমার বোনের সম্মান রক্ষা করা দায়িত্ব তোমাকে দিয়ে দিলাম আজিবনের জন্য। সবসময় কি শুধু বোনের দায়িত্ব ভাই পালান করবে মাজে মাজে বয় ফ্রেন্ডকে করতে হয়।তোমার মা কে আমার কাছে আসতে বলবা আমি কথা বলব। বড় ভাই রহমান সাহেব- সে দিনের জন্য আমি সরি।   

রাহুল-  আপনি আমার বড় ভাইয়ের মত আর সব বড় ভাইরা যে কাজ টা করবে আপনি ও করছেন তার জন্য সরি কেন বলবেন।

রহমান সাহেব- আয় বুকে আই তুরা।যা আজ থেকে তুদেরকে মুক্ত করে দিলাম।রাহুল তুমি মনে রাখবে এখন থেকে আমার বোনের বডিগাড।সবাই হেসে জড়িয়ে দরে নাটক শেষ হবে।

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত