স্ত্রৈণ

স্ত্রৈণ
আজ দিনা আমাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছে। দিনা আমার বিবাহিত স্ত্রী। বা বলা যায় গত ৬ বছর ধরে সে আমার স্ত্রী ছিল। আজ সব সম্পর্ক ভেঙ্গে দিয়ে সে চলে যাচ্ছে, সাথে নিয়ে যাচ্ছে আমাদের ছেলে মাহিনকে। বসার ঘরে আমার আব্বা, আম্মা , বড় ফুফা সবাই নিচু কন্ঠে মিটিং করছেন। আমাদের শোবার ঘরে দিনা তার ব্যাগ গুছিয়ে নিচ্ছে। ওর চোখ দুইটা রক্ত লাল, তবে ও এখন আর কাঁদছেনা। ছয় বছরে ওর চোখের পানি মনে হয় শুকিয়ে গেছে। আমার পক্ষে ওর এই পাথরের মত নিষ্প্রাণ মুখের দিকে তাকিয়ে থাকা সম্ভব হচ্ছিলনা। আমি ব্যালকনিতে চলে এলাম। ব্যালকনিটা ছোট ছোট মাটির টব দিয়ে সাজানো। সব গুলিতে মৌসুমি রঙ বেরঙের ফুল ফুটে আছে। এ সবই দিনার বদান্যতায়। এই ঘরের যা কিছু সুন্দর, সব কিছুতেই দিনার হাতের জাদু মাখানো। এই মায়ায় গড়া জাদুর সংসার ছেড়ে তবে কেন আজ সে চলে যাচ্ছে? আমি ব্যালকনির এক কোণায় দাঁড়িয়ে ভাবনার জগতে হারিয়ে গেলাম।
দিনাকে আমি ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম। ওর বাবার বাড়ি আমাদের এলাকায় নয়। বরং বাংলাদেশের দুই কোণায় আমরা দুইজন বড় হয়েছি। আমার বড় ফুপা এ নিয়ে বিয়ের আগে আমার আব্বা-আম্মাকে সাবধান করে দিলেন। “ দেখেন ভাইজান, ভিন্ন এলাকার মেয়ে নিয়ে আসতেসেন। আপনাদের আদরের ছেলেকে নিয়ে না আলাদা হয়ে যায়? আর নিজের পছন্দে বিয়ে করলে ছেলেরা স্ত্রৈণ হয়ে যায়!!” আমি হালকা প্রতিবাদ করি-“ কি বলছেন ফুফা? দিনা এমন মেয়ে নয়। আর আমি কিভাবে আমার আব্বা আম্মাকে ছেড়ে আলাদা হব? আমার পক্ষে এটা করা জীবনেও সম্ভব নয়”। দিনা আমাদের বাসায় আসলো। ওদের এলাকার জীবনযাপন পদ্ধতি আমাদের একেবারেই উল্টো। সে তাই ঘরের কাজ করতে গিয়ে পদে পদে আম্মার বিরাগভাজন হতে লাগল। ওরা শুটকি রান্না করে তেল ছাড়া। মাছের তরকারীতে জিরা দেয়না। বাসায় মেহমান মিষ্টি নিয়ে আসলে, সেটাই আবার মেহমানের সামনে পরিবেশন করেনা- এতে নাকি হোস্টের লজ্জা হয়। কিন্তু এসব তুচ্ছ ঘটনাতেও আম্মার মেজাজ চড়তে লাগল। দিনা একদিন নিরূপায় হয়ে বললো-“ মা, আমি তো ভিন্ন পরিবেশে বড় হয়েছি।
আপনাদের কালচার সম্পর্কে জানিনা। আপনি আমাকে আগে থেকে বলে দিয়েন কিভাবে কি করতে হবে। তাহলেই আমার আর ভুল হবে না। আপনারও আর খারাপ লাগবেনা”। অত্যন্ত যৌক্তিক আবদার। নতুন অফিসে গিয়ে খাপ খাইয়ে নিতে আমার ও তো অনেক বেগ পেতে হয়েছিল। না জেনে সিনিয়র এক কর্মকর্তাকে ভাই ডেকে ফেলেছিলাম। প্রথমে উনি মাইন্ড করেছিলেন, কিন্তু পরে ঠিকই আমায় বুঝিয়ে বলেছিলেন- এই অফিসে সিনিয়রদের স্যার বলতে হয়। বলে দেওয়ার পরে আমার আর কখনো ভুল হয়নি। কিন্তু আম্মা কেন যেন ফুঁসে উঠলেন- “ কেন, তুমি এতখানি শিক্ষিত হয়েছ, তোমাকে আমার বলে দিতে হবে কেন?” দিনা আমার কাছে বুদ্ধি চায়। আমি বলি-“ তুমি মানিয়ে চলো। আমার আম্মা আসলে খারাপ মানুষ নন”। তাই তো, আমার আম্মা তো পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মা। আমাদের দুই ভাইকে কত আদর যত্ন করে বড় করেছেন। অনেক বড় হয়ে যাওয়ার পরেও আমাদের মুখে তুলে ভাত খাইয়ে দিয়েছেন।
আমাদের সাথে স্কুলে, স্যারের বাসায় দৌঁড়ে দৌঁড়ে আমাদের এতখানি শিক্ষিত করেছেন। কিন্তু আমার বিয়ের পরে আম্মার কিছু কিছু অস্বাভাবিক আচরণ এমনকি আমার চোখেও দৃষ্টিকটু লাগতে শুরু করল। আম্মা মা হিসাবে আমাদের দুই ভাইয়ের জন্য অসাধারণ। কিন্তু পরের মেয়ের জন্য একটুখানি স্নেহ বিলিয়ে দিতেও আম্মা ভিষণ কার্পণ্য করতে লাগলেন। একদিন দিনা খাওয়ার সময় নিজের প্লেটে ইলিশ মাছের পেটি তুলে ফেলেছিল। আম্মা সাথে সাথে ওর প্লেট থেকে হাত দিয়ে ওটা তুলে নিয়ে বললেন- “পেটি আমার ছেলে খাবে, তুমি গাদার মাছ খাও”। দিনার সাথে সাথে আমিও হতভম্ভ হয়ে গিয়েছিলাম। আমাকে খেতে বসিয়ে এভাবে কেউ প্লেট থেকে মাছ তুলে নিয়ে গেলে আমি আর জীবনেও তার বাসায় খেতাম না। কিন্তু দিনাকে দেখলাম ভাতের সাথে কান্নাও গিলে গিলে খেয়ে ফেলল। ও সরে গেলে আমি আস্তে করে আম্মাকে জিজ্ঞেস করলাম-“ এটা কি করলে আম্মা? ওর মন খারাপ হলো তো”।
আম্মার উত্তর শুনে আমার মুখে পালটা যুক্তি যোগালো না-“ তুই পেটি পছন্দ করিস, তাই তোর জন্য তুলে রেখেছি। আর ওর প্লেট থেকে তুলে ওর জামাইকেই তো দিয়েছি, না কি? ”। আম্মার একচোখা মমতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করলে পাছে আমি স্ত্রৈণ উপাধি পেয়ে যাই- তাই চুপ করে রই। রাতে দিনা ফুপাতে ফুপাতে বলল, ওদের বাসায় কখনো খাবার নিয়ে বৈষম্য করা হতোনা। দিনা আর তার ভাই দুজনেই মাছের পেটি, মুরগীর রান দিয়ে ভাত খেত। তাই আম্মা যে মাইন্ড করবেন এটা সে বুঝেনি। আমি তো মা ভক্ত ছেলে। কিভাবে স্বীকার করি যে আম্মা খুব হীন একটা কাজ করেছেন? তাই ওকে সান্তনা দিলাম-“ আরে, তোমার প্লেট থেকে মাছ তুলে তো নিজে খাননি, আমাকে দিয়েছেন, তুমি মন খারাপ করোনা”। দিনা আর কথা এগোয় না। তবে দিন এগোতে থাকে। আমাদের ছেলে মাহিন আসে পৃথিবীতে। ওর জন্মের পর আমি নতুন একটা মেডিকেল টার্মের সাথে পরিচিত হলাম- কলিক বেবী।
পেটে গ্যাসের সমস্যায় নবজাতক বাচ্চা দিন রাত কান্না করতে থাকে, এদেরকে নাকি কলিক বেবী বলে। আমার বাচ্চা কলিক হোক আর যাই হোক, আমার দিন রাত্রের রুটিনে কোন পরিবর্তন হলোনা। আমি বিয়ের আগে যেমন মায়ের আদরের দুলাল হয়ে সুখে ছিলাম, এখনো তেমনই আছি। তবে দিনার জীবনটা নরক হয়ে গেল। সে সারারাত ঘুমাতে পারেনা। বাচ্চার কান্না থামানোর জন্যে কোলে নিয়ে ঘরের মধ্যে পায়চারী করতে থাকে। আমি মাঝে মাঝে ঘুম ভেঙ্গে খুব বিরক্ত হই। তবে আমাকে তো আর কোলে নিয়ে হাঁটতে হয়না, তাই আবার পাশ ফিরে শান্তিতে ঘুমিয়ে যাই। সেই ভোররাতের দিকে মাহিনের একটু দয়া হয় তার মায়ের প্রতি। কিন্তু মাহিন ঘুমালেও দিনা ঘুমাতে পারেনা। আম্মা ভোর ৬ টায় এসে দরজায় ডাকাডাকি করেন। ও সাড়া দিতে একটু দেরি করলেই উল্টাপাল্টা কথা বলেন। এক ছুটির দিনে আমার কাছে বাচ্চাকে দিয়ে দিনা একটু ঘুমিয়ে নেওয়ার দুঃসাহস করল। কিন্তু আম্মার মাতৃস্নেহে আবার জোয়ার আসে, আর আমার স্ত্রী বাৎসল্যে ভাঁটা পরে যায়!
-“ আমার ছেলেটা সারা সপ্তাহ অফিস করে, সকালে একটু শান্তিতে ঘুমাতে পারেনা। একটা মাত্র ছুটির দিনে বাছা আমার কাকভোরে উঠে পড়ল! তোর আব্বা কোনদিন তোদের কোলে নিয়েছে? তাহলে তুই পুরুষ মানুষ হয়ে বাচ্চা কোলে নিয়ে হাঁটিস, লজ্জা করে না? কয়দিন পর কি করবি? বাচ্চার কাঁথা ধুয়ে দিবি? খিচুড়ি ঘুটে দিবি?”
তাইতো। আমার ভিষণ লজ্জা করে। আমি আবার দিনাকে ডেকে তুলে মাহিনকে ওর কাছে গছিয়ে দেই। দিনা অভিযোগ করে-“ তুমি না আমাকে ভালোবাসতে? এখন কোথায় গেল সব?” আমি কি উত্তর দিব? আমি দিনাকে এখনো ভালোবাসি। কিন্তু আমি তো আমার মা কেও ভালোবাসি। তিনি আমাকে জন্ম দিয়েছেন, পেলে পুষে বড় করেছেন। দিনার জন্য আম্মাকে তো আমি কষ্ট দিতে পারিনা।তবুও আমি মাঝে মাঝে আম্মাকে বোঝাতে যাই। তখন পুরো বাসায় আমার পৌরুষত্বের অস্তিত্ব নিয়ে টানাটানি পরে যায়। একদিন তো আমার ছোটভাই রাহুল বলেই বসল আমার নাকি মেরুদন্ড দূর্বল। ওর বউয়ের কারনে যদি কখনো আম্মার মুখ কালো হত, তাহলে সে নাকি তার বউকে পিটিয়ে লাশ করে দিত! আমি বাসার সবাইকে ক্ষেপানোর চাইতে রাত্রে দিনার চোখের পানি সহ্য করাকে শ্রেয় মনে করলাম।
এর মধ্যে আমাদের পরিবারে শোকের মাতম বয়ে গেল। রাহুল বিয়ে করেছিল সরকারী চাকুরিজীবী এক মেয়েকে। তার চাকরীর সুবাদে দুজন অন্য জেলায় থাকতে চলে যায়। এতে আবার আমার পরিবারের কেউ কিছু তেমন মনে করে না। মায়ের সাথে ঝগড়া করে তো আলাদা হয়নি। চাকরীর প্রয়োজনে আলাদা হয়েছে। তবে আমার মনের ভিতর কেউ যেন খোঁচাতে থাকল- রাহুল আর তার বউ আমাদের সাথে থাকলে কতদিন খোশমেজাজে থাকতে পারত কে জানে! যাই হোক, ওদের এক বছরের মেয়ে পুতুলকে নিয়ে একবার বাসায় আসার জন্য রওনা দিয়ে আমার একমাত্র ছোট ভাইটা বউ সহ রাস্তায় অ্যাক্সিডেন্টে মারা গেল। আল্লাহর রহমতে পুতুলের গায়ে একটা আঁচড়ও পড়লোনা। রাহুলের শোকে আম্মা যেন আরো খিটখিটে হয়ে গেলেন। দিনা কিন্তু পুতুলকে মাহিনের মতই আদর যত্নে বড় করতে লাগলো। পুতুল তো দিনাকেই মাম্মাম বলে ডাকে। তবে দুইটা বাচ্চা সামলাতে গিয়ে দিনা হিমসিম খেতে লাগলো। একদিন বিকালে আমাকে খুব করে ধরল-“চলোনা, কোথাও থেকে ঘুরে আসি। বাচ্চারাও একটু আনন্দ করুক”। আমরা রেডি হয়ে আম্মাকে বললাম বাচ্চাদের নিয়ে একটু এমিউজমেন্ট পার্কে থেকে ঘুরে আসছি। আম্মা বাচ্চাদের গায়ে আয়াতুল কুরসি পড়ে ফু দিয়ে বললেন ওদের যেন দেখে রাখি।
আমরাও খুশিমনে ঘুরে এলাম। রাতে খাওয়ার টেবিলে লেবু কাটা হয় নাই দেখে আম্মা হিস্টিরিয়াগ্রস্থ রোগীদের মত চেঁচাতে লাগলেন। দিনা যতই বলে, আম্মা আমি লেবু কেটে আনছি, আপনি রাগ করিয়েন না- উনি ততই ক্ষেপে যায়। “ থাক, তোমাকে আর কিছু করতে হবে না। আক্কেল জ্ঞান কবে ছিল তোমার? ঢ্যাং ঢ্যাং করে জামাইর হাত ধরে বাইরে ঘুরতে চলে গেলে। বাসায় আর কেউ যাবে কিনা জিজ্ঞেস করার কথা মনে হয়েছিল একবার ও?” তাহলে এই ব্যাপার! আম্মাকেও কেন সাথে নিলাম না, তাই এত অশান্তি করছেন। আমি এতকাল আম্মার পক্ষ নিয়ে দিনাকে বুঝিয়ে আসলেও এইবার কি যেন হয়ে গেল। বলে বসলাম-“ এইসব থিম পার্কে যেয়ে তুমি কি করতে? তোমার এমনিই কোমর ব্যাথা। ঐসব ডেঞ্জারাস রাইড গুলোতে তো চড়তেই পারতে না”। “হারামজাদা!! জরু কা গোলাম!! তার বউ কে কিছুই বলা যাবেনা, নিজের মায়ের মুখে মুখে তর্কে লেগে যায়। তোকে জন্ম দিয়ে আমি ভুল করেছি। আমার রাহুল বেঁচে থাকলে কখনো আমাকে এত অবহেলা করতোনা। রাহুল রে, ও রাহুল, তুই কই চলে গেলি বাপধন? !!!””
আম্মা শেষ পর্যন্ত আমাকে ঐ ভিষন গালিটা দিয়েই দিলেন। আমি দিনাকে ভালোবাসি ঠিক আছে, কিন্তু সত্যি কথা হলো, সবার আগে আমি নিজেকে ভালোবাসি। আমার ইগোতে আঘাত লাগলে আমি নিশ্চয়ই দিনরাত সহমর্মিতা বিকোতে পারবোনা! আমি রুমে ফিরে সব দোষ দিনার ঘাড়ে চাপিয়ে দিলাম। ও ঘুরতে যেতে না চাইলে তো আমাকে এত কথা শুনতে হতোনা। শুধু এইটুকুই তো বলেছিলাম, এর চেয়ে বেশি কিছু বলিনি। কিন্তু দিনার পৃথিবী মনে হয় উলট পালট হয়ে গেল। সে বলল আর কোনভাবেই নাকি আমার সাথে সংসার করা ওর পক্ষে সম্ভব নয়। গত তিন দিন তাকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেছি। সে বলেছে যদি ওকে আর মাহিন কে নিয়ে আলাদা হতে পারি, তাহলেই সে আমার সাথে থাকবে। কিন্তু এটা কি সম্ভব? এম্নিতেই আমার ভাইটা নেই। এখন আমিও আমার মাকে ছেড়ে চলে যাব? আর আলাদা হতে চাইলেই, বড় ফুফা দৌঁড়ে এসে খোঁচা দিবেন -“কি, আমি আগেই বলেছিলাম না?” যাক, দিনাই যাক, কিছুদিন পরে মন শান্ত হলে আবার আসবে।
মাহিনকে কোলে নিয়ে ড্রয়িং রুম পর্যন্ত হেঁটে যেতেই আমার আব্বা আর বড় ফুপা দিনার পথ আঁটকে দাঁড়ান। “ তোমার যেখানে ইচ্ছা যাও, আমাদের বংশের নাতিকে আমাদের কাছে রেখে যেতে হবে”। আমাকে শেষবারের মত পরখ করে নিতে দিনা আমার চোখের দিকে তাকায়। আমি সেই দৃষ্টির সামনে কুকড়ে যাই। চোখ সরিয়ে নিয়ে বলি-“হ্যা, মাহিন আমার কাছেই থাকবে”। দিনার ভরসার জায়গা থেকে তো অনেক আগেই পদত্যাগ করেছি, এবার ওর বুকের মানিককে ছিনিয়ে নিয়ে আমার পৌরুষত্বের বিজয় নিশান উড়িয়ে দিলাম। বড় বড় শ্বাস ফেলে দিনা কিচ্ছুক্ষন ধাতস্থ হয়ে নেয়। অন্য সবাইকে অগ্রাহ্য করে আমার সামনে এসে থামে।
“ যাক, আমার ছেলের বউ যদি কখনো বাড়ি ছেড়ে যায়, তাহলে অন্তত শাশুড়ির দোষ দিতে পারবেনা। আর আমি দোয়া করে যাই, পুতুলের যেন এমন ঘরে বিয়ে হয় যেখানে তোমার মত জামাই আর তোমার মায়ের মত শাশুড়ি না থাকে!!” সবাইকে বজ্রাহত করে দিনা চলে যায়। বড় ফুফা বলতে থাকেন-“ আমি আগেই বলেছিলাম। ভিন্ন জেলার মেয়েরা এইরকম শয়তান হয়। যাক, আমাদের ছেলেটা তো আমাদের বিপক্ষে যায়নি। সাবাশ বেটা”। ফুফার সাবাশী পেয়ে নিজেকে একটু নির্ভার লাগছে কি? আমার সংসার ভেঙ্গে গেছে, যাক। আমাকে তো আর কেউ স্ত্রৈণ বলতে পারবেনা !!
গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত