আমাদের বাসার কাজের মেয়ে রুহি,দিন দিন বেশ ডাগরডোগর হয়ে উঠছে।তাকে দেখলেই কেন যানি পুরুষত্বের আঁড়ালে যৌনপিপাসু নামক হায়নাটা মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে চায়। ইচ্ছে করে ওর অল্প বয়সি শরীরটার উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে নিজের খায়েসটাকে মিটিয়ে নেই।রুহির বয়সটা আনুমানিক চৌদ্দ কি পনেরো হবে,আর এই বয়সটাতেই একজন মেয়ের শরীরে তার যৌবনের ঢল নামে। রুহিও তার ব্যতিক্রম নয়।মাঝেমধ্যে যখনি ওকে খুব কাছ থেকে দেখি তখনি কেন যানি রুহির প্রতি একধরনের লোভ জন্ম নেয়।
আর লোভটা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে।কিন্তু স্ত্রী নীলার জন্য আমার এই লোভটাকে চাপা দিয়ে রাখি।অবশ্য আর কয়েকদিন পর একটা মুখ্যম সুযোগও আসবে,নীলা তার বাবার বাড়ি যাওয়ার কথা কয়েকদিন থেকেই বলছে,আমি যে কোনো একটা অযুহাত দেখিয়ে বাসায় থেকে যাবো,আর তারপরই সুযোগ বুঝে মিটিয়ে নিবো মনের খায়েশ।
সোমবার,সকালে নাস্তার টেবিলে নীলা আমার দিকে তাকিয়ে বললো,”বাবার শরীরটা একটু বেশিই খারাপ হয়ে গিয়েছে,চলো আজকে আমরা সবাই মিলে ঘুরে আসি।নীলার কথা শুনে আমি অফিসের বাহানা দেখিয়ে বললাম,”তুমি আর আদ্রিতা যাও,আমার অফিসে জরুরি মিটিং আছে। নীলাও আমাকে আর জোর না করে বললো,”আমি হয়তো আসতে পারবো না আজকে।সব খাবার রান্না করে ফ্রিজে রেখে যাবো,রুহিকে বলবা একটুখানি গরম করে দিতে। আমি লোভাতুর একটা হাসি দিয়ে বললাম,”আচ্ছা ঠিক আছে। নাস্তা শেষ করে অফিসে চলে আসলাম।
বেশ কয়েকবার নীলাকে ফোন দিয়ে দিয়ে খোঁজ নিতে থাকলাম,দুপুরের পর নীলা জানালো,তারা এইমাত্র বার হচ্ছে।
কথাটা শোনা মাত্রই মনের ভিতরে ঘুমন্ত জানোয়ারটা মাথা চাড়া দিয়ে উঠলো।কয়েকঘন্টা পর অফিস থেকে বার হয়ে গেলাম,শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার কথা বলে।বাসায় ফেরার পথে ফার্মেসির দোকান থেকে টুকিটাকি জরুরি সামগ্রি কিনে দ্রুত বাসার উদ্দ্যেশ্যে রওনা দিলাম। বাসায় এসে কলিং বেল চাপতেই রুহি দরজা খুলে দিলো।রুহিকে দেখা মাত্রই হার্টবিট টা কেপে উঠলো।মনের ভিতরে একটা অন্যরকম অনুভূতি জাগ্রত হলো। ইচ্ছে করছে এখনি ওর উপর ঝাপিয়ে পড়ে ওর উঠতি যৌবনের সমাপ্তি ঘটিয়ে দেয়।কিন্তু ঝটপট কোনো কিছু করার মাঝে পুরো আনন্দ উপভোগ করার মজা নেই।তাই গভীর রাতে ধীরেসুস্থে উপভোগের সাথে সবকিছু করবো।যাতে একটু আধটু চিল্লানি দিলেও কেউ বুঝতে না পারে।
আজকে অনেক রাত অবধি জাগতে হবে,নতুন অভিজ্ঞতা নেওয়ার জন্য জাগতে হবে।তাই বাসায় ফিরে ফ্রেস হয়ে বিছানার উপর শরীরটা এলিয়ে দিতেই দু চোখে ঘুম জড়িয়ে আসলো।তন্দ্রাঘোরে নিমজ্জিত হলো আমার দুনিয়া।
ওগো শুনছো,আমাদের আদ্রিতা কেমন যানি করছে।তাড়াতাড়ি বাহিরে আসো! ধড়ফড়িয়ে বার হয়ে দেখলাম,আদ্রিতা তার তলপেটে চাপ দিয়ে ধরে ব্যাথাতে কাতরাচ্ছে।সেই সাথে ওর শরীরে থাকা সাদা ফ্রগটাও লাল রক্তে ভিজে গিয়েছে। দৌড়ে গিয়ে আদ্রিতাকে চেপে ধরে বললাম,”মামোনি কি হয়েছে তোমার?তোমার জামাতে রক্ত আসলো কিভাবে!! আদ্রিতা কাতরজড়িত কণ্ঠে বললো,”বাবা, রায়হান আংকেল আমাকে ক্যাডবেরির লোভ দেখিয়ে তার বাসায় নিয়ে গিয়েছিলো,তারপর আমাকে বলে,আমার ফ্রগ খুলতে।আমি পালিয়ে আসতে গেলে আংকেল জোর করে আমার ফ্রগ খুলতে গেলে আমি তাকে বারণ করাতে আমাকে খুব করে মেরেছে।
আমার পেটে খুব ব্যাথা করছে মা।রায়হান আংকেল খুব খারাপ,আমাকে অনেক ব্যাথা দিয়েছে। অবুঝ মেয়েটি তার সাথে কি হয়েছে,তা না বুঝলেও আমার বুঝতে বাকি রয়লো না।রায়হান আমার বন্ধু কম আপন ভাই ভাবতাম। আর সেই কিনা,তার মেয়ের মত একটা অবুঝ মেয়ের সাথে,নাহ্ আর ভাবতে পারছি না। ছুটে রায়হানের বাসায় গিয়ে,রায়হানকে ইচ্ছেমত মেরে রক্তাক্ত করে দিলাম। এক পর্যায়ে রায়হানের মৃত্যু হলো,কিন্তু রায়হান মরার আগে একটা কথা হাসতে হাসতে বলে গেলো,”আজ নিজের মেয়ে ধর্ষণ হয়েছে দেখে আমাকে খুন করলি,একটাবার কি ভেবেছিস,যে তোর বাসায় রুহি নামের যে মেয়েটা কাজ করে,সেও তোর মেয়ের বয়সিই একটা নিষ্পাপ বাচ্চা।আজ সে তোর দ্বারা ধর্ষণ হলে তার দায় কি নিবে? ঘুমের ভিতরে লাফ দিয়ে উঠে বসলাম।তারমানে সবকিছু স্বপ্ন ছিলো!তাড়াতাড়ি নীলাকে ফোন দিলাম,”হ্যালো নীলা,আদ্রিতা কি করছে?
-ওর নানুর সাথে খেলা করছে,একবেলা মেয়েকে ছেড়ে থাকতে পারছো না বুঝি?
-তা তেমন কিছু না,ওর দিকে খেয়াল রেখো।
কথাটা বলেই ফোনটা কেটে দিলাম। চুপচাপ বসে আছি,এমন সময় রুহি দরজার সামনে এসে বললো,”স্যার খাবার গরম কইরা দিমু? রুহির দিকে না তাকিয়ে বললাম,”না,পরে দিও,এখন যাও। রুহি চলে গেলো,কেন যানি ওর দিকে তাকানোর সাহস হলো না আমার।নিজের হিংস্র মনোভাবের উপর বড্ড ঘৃণা হচ্ছে। দুঃস্বপ্নটা কাল্পনিক হলেও,ভুল তো কিছু বলে নি রায়হান। আদ্রিতাও তো রুহির মতই একটা মেয়ে। আদ্রিতার মত রুহিরও বাবা-মা আছে,কিন্তু দারিদ্রহীনতার বেড়াজালে হয়তো তারা তাদের মেয়েকে আটকে রাখতে পারেনি।
তবে আমার আদ্রিতার প্রতি ঠিক যতটা টান,হয়তো রুহির বাবারও তার মেয়ের প্রতি আছে। তফাৎ শুধু ধনি গরিবের বৈষম্যের।রুহি হয়তো অভাবের তাড়নাতে মুখ বুজে সবকিছু মেনে নিতো,কিন্তু আমাকে কি কখনো ক্ষমা করতো?আমার প্রতি যেই সম্মান আর শ্রদ্ধাটা আছে,সেটা কি তখন আদৈও থাকতো,থাকতো না। আমি হয়তো কয়েকমিনিটের আনন্দ পেতাম,কিন্তু রুহির হাসি-খুশি জীবনটাকে আমি মাটিচাপা দিয়ে দিতাম। তখন হয়তো অভাববোধ আর ভিরুতার কাছে হেরে গিয়ে জিবন্তলাশ হয়ে ঘুরতে হতো তাকে।একটা দুঃস্বপ্ন আমাকে অনেক কিছু শিখিয়ে দিয়েছে।শিখিয়েছে পর নারীকে যৌনপিপাসার বস্তু না ভেবে সম্মান দিতে। আজ থেকে আদ্রিতার মত রুহিকেও মেয়ের রূপেই দেখবো। ক্ষনিকের আনন্দের কথা ভেবে অনেক বড় একটা অন্যায় করে ফেলতে যাচ্ছিলাম। বাহিরে বের হয়ে,রুহিকে ডাক দিলাম।
-রুহি তুমি না বলেছিলে তোমার স্কুলে যাওয়ার খুব সখ,তুমি কি স্কুলে যাবে?আমি তোমার স্কুলের সমস্ত খরচ দিবো।তুমি ঠিক ততোটুক কাজই করবে,যতটুকু একজন মেয়ে তার মাকে রান্নার কাজে সাহায্য করতে করে থাকে,কি পারবে না?
-মা জানলে বকা দিবো।আর ম্যাডামেও রাগ করবো।
-তোমার ম্যাডাম কিছু বলবে না।
তুমি বাসার কাজও করবে,আর আমি আদ্রিতার ম্যামকে বলে দিবো,এবার থেকে সে যেন আদ্রিতার সাথে সাথে তোমাকেও পড়ায়। সে তোমাকে রোজ দু ঘন্টা করে বাসায় এসে শিক্ষার আলো দিবে।কি পারবে না? রুহি অশ্রুসিক্ত চোখে এসে পায়ে হাত দিতে গেলে তাকে তুলে বললাম,”আরে পাগলি,তুইও তো আমার মেয়েরই মতন। আজ থেকে আমাকে স্যার না বলে বাবাই বলবি কেমন। রুহি মুচকি হেসে বললো,”আইচ্ছা,স্যার।ওহ সরি বাবাই।
গল্পের বিষয়:
গল্প