কলেজ থেকে বাসায় ঢুকতে যাবো, অমনি আদ্র ভাইয়ের সাথে ধাক্কা।
_ এই ছেলে আর একদিন যদি আমাদের বাড়ির আসেপাশে দেখছি তো তোমার বাবা হওয়ার স্বাদ মিটিয়ে দিবো।
_ মানে কি??
_মানে এমন মাইর দিবো, ভবিষ্যতে আর বাবা হতে পারবে না।
_ মামা মামি তোরে ভালো শিক্ষা দিতে পারে নি। দেখো ভাইয়া মেজাজ খুব খারাপ,তুমি আমার সামনে থেকে যাও।
_ কেনো আবার কি ঝামেলা করছিস?
_ আর বইলো না,বাসের এক সুপারভাইজার গায়ে হাত দিছে । কি করবো রাগ লাগছিলো এক ঘুষিতে নাক ফাটাই দিছি।
_ বেশ করেছিস তাতে রাগের কি আছে?
_ কথার মাঝে এত কথা বলো কেনো?
_ আচ্ছা বল, পরে কি হইছে?
_ বাসের ভিতর একজন লোক বলল, সব দোষ মেয়েদের, পর্দা মেনে চললে কি আর এই অবস্থায় পড়তে হতো?
_ঠিকিই তো বলছে, তাতে রাগের কি আছে?
_ একদম নাক ফাটাই দিমু (নাক বরাবর হাত নিয়ে) রাগ হচ্ছে, বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন এর উপর। শয়তানি মেয়ে মানুষ একটা ওর জন্যই তো মেয়েদের ঘরের বাইরে বের হতে হলো,আর নানা সমস্যা পড়তে হচ্ছে। আর তার প্রতিবাদ করতে গেলেই বলে, এইটা মেয়ে নাকি ছেলে? রাস্তায় একটা মেয়ে বিপদে পড়লপ কেউ সাহায্য হাত বাড়িয়ে দেয় না উল্টো মজা নিতে পছন্দ করে।
_ আমি যাচ্ছি ক্ষুদা লাগছে, তোর ভাষন আজ আর শেষ হবে না জানি ।
_ তা শুনবা কেনো? তুমি তো ওইসব ছেলেদের মধ্যে যারা বিপদ দেখলে মজা নেয়।
_ তো কি করবো? শোন ফাতেমা নিজের হাতে বিপদ ডেকে আনার কোন ইচ্ছাই আমার নাই।
_ তোমার হাতটা একটু এইদিকে দাও। তার হতের মাপ নিয়ে বললাম, কাল তোমার জন্য চুরি কিনে আনবো।বলেই রুমে চলে আসলাম উফফ!!! শালা লুইচ্চা ছেলেরে মারতে গিয়ে হাতে ব্যথা পাইছি,মা জানলে উল্টা ঝাড়ি খেতে হবে। ঠিক তখনি মা এসে বলল,
– ফাতেমা তুই নাকি কোন ছেলেরে মারছিস?
_ তোমায় কে বলল?ওই শয়তান ছেলেটা বলেছে??
_ হ্যা, কেন মারছিস?
_ ঠোট পাতলা ছেলে একটা, পাইলে ওর দাত ফালাইয়া দিতাম,মারছি সেইটা বলছে কিন্তু কেনো মারছি সেটা বলে নাই।
_ বিড়বিড় করে কি বলিস?
_ কিছু না, খেতে চলো। খেতে খেতে মাকে বললাম,
_ জানো মা, আজ একটা ছেলে আমার গায়ে হাত দিছিলো, তাই ওই ছেলেকে মারছি। লজ্জা নাই আবার আমাকে বলে, আমাকে নাকি দেখে নিবে।কি হলো কি ভাবছো?
_ কিছুদিন তোর কলেজ যাওয়া বন্ধ থাকবে, এ নিয়ে আর কথা বলবি না। বলেই মা চলে গেলো, আজব!! এইজন্যই বাসায় কিছু বলতে ইচ্ছা করে না। কি আর বলবো মাকে না বলেও থাকতে পারি না। আস্তে আস্তে সজল ভাইয়ার মতো হয়ে যাচ্ছি, ঠোঁট পাতলা ছেলে একটা।
উফফ!! চারদিন ধরে কলেজে যেতে পারছি না।এই হচ্ছে সমস্যা, যদি কারো সাথে ঝামেলা হয় তখনি বাসা বন্দি হয়ে থাকতে হয়। তার দুই দিন পর কলেজে গেলাম, কিন্তু সাথে বডিগার্ড নিয়ে।মায়ের একটাই কথা কিছুদিন সজল কলেজে দিয়ে আসবে আবার নিয়ে ও আসবে। রাস্তায় ঝামেলা হতে পারে, তাই সজল সাথে থাকবে। কি করে মাকে বুঝাবো,আদ্র ভাই বিপদ দেখলে মজা নেয়। সে কি করে আমার বিপদে মোকাবিলা করবে? কলেজে থেকে বের হয়ে দাঁড়িয়ে আছি আদ্র ভাইয়ের জন্য। আলালের ঘরে দুলাল বলা চলে এই ছেলেকে। আমার একমাত্র ফুফুর একমাত্র ছেলে, মানে আদরে আদরে বাদর তৈরি হইছে। আমাদের পাশের এলাকায় থাকে। সারাদিন আমাদের বাসায় ঘুরঘুর করে।শয়তান ছেলেটা আজ না নিতে আসলেই ভালো হবে। আকাশ অন্ধকার হয়ে আছে একটু পর বৃষ্টি হবে। শুরু হলো বৃষ্টি,বৃষ্টিতে ভিজতে যাো ওমনি পিছন থেকে হাত ধরল।পিছন ফিরতেই দেখি আদ্র ভাই হাত ধরে দাঁড়িয়ে আছে। (আদ্র ভাইয়া) ছাতা নিয়ে আসছি ভেজা লাগবে না।
_ তোমার কথায় হবে নাকি?
_ না, মামির কথায় হবে। কাল তোকে দেখতে আসবে। আর ভিজলে ঠান্ডা লাগবে, তাই মামির আদেশ একদম ভেজা যাবে না।
_ আচ্ছা
_ কিরে রাগিনী আজ মনটা মনে হয় অনেক ভালো?
_ হু জানো ভাইয়া, আজ আমার এক বান্ধবীর ডিভোর্স হয়ে গেছে।
_ কি! তাতে তুই এত খুশি?
_ এইবার কিন্তু রাগ লাগছে, কত বার বলছি কথার মাঝে কথা বলবা না।
_ আচ্ছা সরি, তবু্ও রাগিনীর রাগ উঠাইস না।
_ জানো বেগম রোকেয়া সাখাওয়াতকে সামনে পাইলে হাজার সালাম দিতাম।
_ কেনো? কিছু আগে তো শয়তানি বলে উপাধি দিছিলি।
_ চুপ করো কথা বলবা না, আমার বান্ধবীর লাবনীর স্বামী, বিয়ের পর বাইক চাইছিলো তাই লাবনী ওর স্বামীকে ডিভোর্স দিছে। আর বেগম রোকেয়া না থাকলে আজ এটা সম্ভব হতো না।
_ হুম বুঝলাম, তো বাসায় তো তোর বিয়ে ঠিক করছে।
_ আমি বিয়ে করলে তো হবে নাকি? চলো আইসক্রিম খাই,
_ এই বৃষ্টিতে আইসক্রিম খাবি?
_ খেয়ে দেখো কত মজা, বৃষ্টির মধ্যে আইসক্রিম খেতে খেতে অনেক দূর চলে আসলাম, রাস্তার পাশের এক দোকানে দুইটা ছেলে আমাদের দেখে শিস দিলো। কাছে যাবো ওমনি হাতটা চেপে ধরলো আদ্র ভাইয়া,
_ কি হলো হাত ধরলা কেনো?
_ কি দরকারে ফালতু ছেলেদের সাথে কথা বলার?
_ ওদের একটু শিক্ষা দেওয়ার দরকার।
_ ওরা কুকুর হলে কি, তুইও ওদের মতো হবি নাকি?
_ কুকুরের কামড়েী ভয়ে কি দৌড়াতে হবে নাকি? লাঠি হাতে নিতে হবে, যাতে দেখলে ভয় পায়, হাতটি ছাড়িয়ে ওদের সামনে গেলাম,
_ কিরে ভাই শিস তো ভালোই দিতে পারেন, আবার শিস দিনতো,পুলিশদের একটু শুনাবো যে, আপনারা কতো সুন্দর শিস বাজাতে পারেন। কিহলো কি দেখছেন ওইভাবে?
_ সরি, তুমি কলেজের প্রতিবাদী আপু না? আমাদের ভুল হয়ে গেছে আপু।বলেই চলে গেলো,আদ্র ভাইয়া সামনে এসে হাসি দিলো,ওই হাসির মানে হলো রাগিনী তুই পারিসও বটে। আমিও একটা হাসি দিলাম, ওই হাসির মানে হলো, তোমার মতো নাকি হুহ।
_ কলেজে তোকে সবাই প্রতিবাদী আপু বলে চিনে??
_ জি হ্যা।বাসায় এসে ঘুমচ্ছিলাম, বিকালে মা এসে বলল,
_ এই ফাতেমা তাড়াতাড়ি উঠ,বাসায় মেহমান আসছে তোকে দেখতে।
_ আর সময় পাইলো না এই বিকালেই আসতে
হলো?
_ হ্যা, কথা না বাড়িয়ে উঠে ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে নে।আর শোন ফাতেমা খুব ভালো ঘর থেকে প্রপোজাল আসছে,ছেলে প্রফেসর, খুব ভদ্র ছেলে। রেডি হয়ে ওদের সামনে গেলাম, আজ আমি প্রথম শাড়ি পাড়লাম। হঠাৎ বুকের মধ্যে ধুক করে উঠলো, সজল ভাইয়া ওই ভাবে তাকিয়ে আছে কেনো?
_ তোকে খুব সুন্দর লাগছে। ( আদ্র ভাইয়া )
_ কি বলবো বুঝতে পারছি না,ভাইয়া ওমন ভাবে তাকিয়ে আছে কেনো?
মায়ের ডাকে ঘোর কাটলো, ওদের সামনে গিয়ে বসলাম, ছেলের সামনাসামনি বসে আছি। ছেলে আমার দিকে তাকিয়ে থাকলেও আমার চোখ আদ্র ভাইয়ার দিকে। সে কি ভালোবাসে আমায়? ছেলেপক্ষের একজনের ডাকে ঘুরে তাকালাম। ওরা আমায় ঠিকানা লিখতে বলল,লিখে দিলাম। খুব বলতে ইচ্ছা করছিল এইবার ছেলে ঠিকানা লিখবে। কিন্তু পর্দার আড়ালে থেকে মায়ের কটমট চাহনিতে সেটা আর সম্ভব হলো না বিকেলে ছাদে বসে আছি, পাশে বসলো আদ্র ভাইয়া,
_ছেলে তো তোকে পছন্দ করলো, দুই দিন পরে তোর বিয়ে
_ হ্যা জানি,
_ বিয়েতে তোর মত আছে?
_ থাকবে না কেনো? প্রেম ট্রেম তো আর করি নাযে বিয়েতে মত থাকবে না। বাই দা রাস্তা তোমার কি হইলো?
_ ভালোবাসি
_ জানি
_ কিভাবে?
_ বিকালে তোমার চাহনিতে, আগে কেন বল নি?
_ বাদ দে,তোর বিয়ের সব দায়িত্ব তো আমার।
_ হু, বাবাকে বলতে পারলে না?
_ ধুর কিসব বলিস,
আমি তোরে ভালোবাসি তবে আমার বউয়ের ননদ হিসাবে।আচ্ছা বাদ দে অনেক কাজ আছে, আমার বউয়ের ননদের বিয়ে বলে কথা। বলেই চলে গেলো, রাগ লাগছে ইচ্ছে করছে সত্যি ই হাতে চুরি পড়িয়ে দেইশয়তান ছেলেকে। আজ আমার বিয়ে, ছোটো বেলা থেকেই এই ভাবে বউ সাজার খুব সখ।আজ তা পূরণ করলো আদ্র ভাইয়া, আমার মনের মতো করে বউ সেজেছি। কত সখ ছিল বিয়েতে গায়ে হলুদ হবে, ছেলের ফুফার নাকি ছুটি শেষ, তাই বিয়ের দিনই একসাথে তুলে নিবে।বউ সেজে বসে আছি, বর পক্ষ নাকি আসছে। বিয়ের কাজ সম্পুর্ন করতে আদ্র ভাইয়া আর একটা লোক আসছে। আদ্র ভাইয়ের দিকে তাকাতেই চোখ নামিয়ে নিলো।
_ রাগিনী সইটা করে দে কাপা কাপা হাতে সই টা করে দিলাম, আচ্ছা আমার হাত কাপছে কেনো?
_ রাগিনী তুই এখন একজন প্রফেসরের বউ। আদ্র ভাইয়ার দিকে তাকালাম, চোখ মুছতে মুছতে চলে গেলো। আমি কি ভুল করেছি? নাহ ভুল করবো কেনো? বাবা মা আমার সুখের জন্যই তো করেছে। একটু পর চলে যাবো, আদ্র ভাইয়াকে কোথাও দেখছি না। বান্ধবী এসে বলল,
_ এই ফাতেমা জানিস বাইরে খুব ঝামেলা হচ্ছে
_ কিসের ঝামেলা?
_ তোর ফুফু শাশুড়ী বলছে,
গলার সীতা হার আর ঘরপর সব ফার্নিচার না দিলে নাকি বউ গাড়িতে উঠবে না।আর আঙ্কেল ফার্নিচার গুলো দিতে রাজি হয়েছে, কিন্তু তোর ফুফু শাশুড়ী গলার সীতা হার না নিয়ে যাবে না। তোর মা বলেছে, পরে সব দিয়ে দিবে কিন্তু তোর ফুফু শাশুড়ী বললেন, এখন তোর মায়ের গলার হার দিতে, পরে সীতা হার নিবে।
_ কি বললি?? আমার ফুপু শাশুড়ী সামনে গিয়ে দাড়ালাম,
_কি হচ্ছে এইসব ( আমি)
_তোমায় এখানে আসতে কে বলেছে? তোমার বাবা মায়ের সাথে কথা বলছি ্( ফুপু শাশুড়ী )
_আপনারা আগে বলেন নি কেনো, যে এতো কিছু লাগবে?
_এই মেয়ে তোমাকে যেতে বলছি না? মা আমার হাত ধরে অন্য পাশে নিয়ে বলল,
_লক্ষি মা আমার রাগ কিরস না,
তুই এখন ওই বাড়ির বউ। সব কিছু মাথা নিচু করে মেনে নিতে হবে। বিয়ের পরে স্বামীর বাড়ি মেয়েদের সব,ওরা যা ছায় সব দিবো, তোর সুখের জন্য আমরা সব করতে পারি। আর এই গলার হার আর যতো ফার্নিচার তো তোরিই থাকবপ। কি বলবো বুঝতে পারছি না, এটা কি একটা মায়ের রূপ, নাকি বাঙালি মেয়ের প্রতিরূপ? এটা কি আমাদের সমাজ? যেখানে বউ হয়ে গেলে সব অন্যায় মেনে নিতে হবে? রাগ লাগছে খুব, আমার স্বামীর সামনে গিয়ে দাড়ালাম।
_ আপনি এইসবকে সাপোর্ট করছেন?
_( নিরব)
_ কিছু বলবেন না আপনার ফুপুকে?
_ ফুপুর মুখের উপর কথা বলি নি কখনো। নিজের উপর লজ্জা লাগছে, আত্মীয় স্বজন, কলেজের স্যার,বন্ধু বান্ধবী, কলেজের ছোট ভাই বোনের সামনে মা তার গলার হার খুলতেছে।করুন দৃষ্টিতে মায়ের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। নাহ আর পারা যায় না আমি আবার আমার মেরুদণ্ডহীন ভদ্র স্বামীর সামনে গিয়ে বললাম,
_ আপনি কি সত্যি কিছু বলবেন না??
_( মাথা নিচু করে )আর কিছু ভাবা যাচ্ছে না,দিলাম দুইটা থাপ্পড়!! এক নিমিষেই বন্ধ হয়ে গেলো বিয়ে বাড়ির সব কোলাহল। বেশ কিছুক্ষন নিরব পরিবেশ।
_ লজ্জিত হওয়া উচিত, বিয়ে করতে আসছেন নাকি ব্যবসা? যার ভিতরে মানবতাবোধ নেই, সে আমার আমার সারাজীবনর ভরসা হবে কি করে? যদি লজ্জা থেকে থাকে তো বেরিয়ে যান।ওমনি তার ফুপু বলল,
_ স্বামীর গায়ে হাত??
_ কে স্বামী? একে তো আমি এখনি ডিভোর্স দিবো আর ফুপু শাশুড়ী আপনাকে বলছি,সংসার তো করবো আমি,আমার মায়ের গলার হার দিয়ে কি করবেন আপনি? আপনাদের বের করার আগে বেরিয়ে যান। মা এসে হাত ধরে বলল,
_ ফাতেমা মেয়েদের বিয়ে একবারই হয়।
_ মা,চাই না আমি ওমন সংসার, পড়াশুনা করলে ওইরকম ভালো ছেলের পিছে পড়ে থাকা লাগবে না।
নিজের ভবিষ্যৎ এই ছেলের হাতে দিবো না, আমার ভবিষ্যৎ আমি খুজে নিবো। কি হলো আপনারা এখনে বসে আছেন কেনো?? এতক্ষন বলছিলেন না? গলার হার না পেলে বউ গাড়িতে উঠবে না, সেই বউ এখন বলছে,আপনারা বেরিয়ে যাবেন নাকি ঘার ধাক্কা দিয়প বের করবো।
অনেকে বলছে ফাতেমা একদম ঠিক কাজ করছে মেয়ে হলে ওর মতো হওয়ার দরকার। কেউবা বলছে, বিয়ে হতে না হতেই ডিভোর্স? সবার কথা এরিয়ে মা বাবার দিকে তাকালাম, মায়ের চোখে কান্না মিশ্রিতো মিষ্টি হাসি, আর বাবার ভেজা চোখের গর্বিত চাহনি। আমি তো এটাই চাই, আমার বাবা মা মাথা নিচু করে নয় উচু করে থাকবে। আদ্র ভাইয়া সামনে এসে দাড়ালো, আমার তাকিয়ে একটা হাসি দিলো, এই হাসির মানে হলো, পাগলী তোকে কি আমি ইচ্ছায় রাগিনী বলি? আমিও একটা হাসি দিয়ে আদ্র ভাইয়ের হাত ধরলাম, আর এই হাসিটার মানে কেউ না বুঝলেও আদ্র ভাই ঠিকই বুঝছে।
গল্পের বিষয়:
গল্প