গেম

গেম
বিয়ে বাড়িতে সকলের অপস্থিতিতে কনের আপত্বিকর ভিডিও প্লে করায় পুরু বাড়িটাই নিস্তব্দ হয়ে আছে। আসিফ সিকদার ভাবতেও পারেনি তার একমাত্র আদরের মেয়ে এভাবে তার নাক-কান কেটে ফেলবে। মেয়ের এমন কুকির্তি যেনো বিশ্বাসই করতে পারছেনা সে। পাত্র পক্ষের অনেকের মুখেই “”ছি”” সুচক শব্দ বার বার বেরিয়ে আসলেও প্রতিবাদি কন্ঠে গর্জে না উঠে মাথাটা নিচু করে বসে আছে আসিফ সিকদার। কারন সে যে আজ বাকরুদ্ধ। একটু আগেও যে মেয়েকে নিয়ে বুক ফুলিয়ে মাথা উচু করে গর্ববোধ করলো, এখন সেই মেয়ের জন্যই মাথাটা নিচু করে আছে তোলার সাহস পাচ্ছেনা। দীর্ঘ ৬ বছরের রিলেশনের পরে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হচ্ছিলো আদিত্ব ও শুভ্রতার। দীর্ঘ ৬ বছরেও কোনোদিন শুভ্রতার চরিত্রের কোনো অবনতি দেখেনি আদিত্ব। আজ যেনো পুরু বিষয়টা সকলের কাছে একটা সারফ্রইজ এর মতো। ওদিকে শুভ্রতাও কেদে কেদে অস্থির।
সকলকে বুঝানোর চেষ্টা করছে সে নির্দোষ। কিন্তু সকলের চোখের সামনে জ্বল জেন্ত প্রমান থাকায় শুভ্রতা নিজেকে নির্দোষ প্রমান করতে ব্যর্থ। তা ছারা ভিডিওতে শুভ্রতার সাথে ছেলেটার পুরু মুখটাই ব্লার করা। বুঝাই যাচ্ছেনা ছেলেটা কে? শুধু এটা বুঝা যাচ্ছে শুভ্রতা একটা ছেলের সাথে আপত্বিকর অবস্থায় সময় কাটাচ্ছে। আদিত্বের বাবা আসিফ সিকদারের মুখের উপর আঙুল তুলে অপমান করে গেছে। আদিত্বও কিছু বলতে পারছেনা। আবার সে শুভ্রতাকেও অবিশ্বাস করতে পারছেনা। সকলকে অপমান করে অনেক আগেই চলে গিয়েছে পাত্র পক্ষ। রুমের দরজা বন্ধ করে বসে বসে কেদে যাচ্ছে শুভ্রতা। এই অপমান, লানঞ্চনায় শুভ্রতার ইচ্ছে করছে এখনি সুইসাইড করতে। কিন্তু তার বাবা যে তাকে সেই শিক্ষা দেয়নি। তার বাবা সব সময় বলতো মৃত্যুই সকল সমস্যার সমাধান নয়। বাস্তবতার সাথে লড়তে হয়।
রাত তখন গভির, সকলেই চলে গেছে। আসিফ সিকদার বসে আছে নিজ রুমে। সকলের চোখেই একজন সম্মানিত ব্যাক্তি ছিলো আসিফ সিকদার। কিন্তু আজ এই অপমান টা সে মুখ বুজেই সহ্য করে নিয়েছে। কারন সারপ্রাইজ এর মতো মেয়ের এমন চরিত্র দেখে সে প্রায় বাকরুদ্ধ। চোখ দুটু বুজে চেহারে হেলান দিয়ে বসে আছে সে। সকালে একদল লোক ভির করে আছে আসিফ সিকদারের বাড়ির সামনে। সকলের মাঝখানে পরে আছে আসিফ সিকদারের নিথর দেহ। মুখটা থেতলে আছে। দেখে বুঝাই যাচ্ছে যে, ছাদ থেকে লাফিয়ে আত্বহত্যা করেছে আসিফ সিকদার। লাশ পোসমার্টামের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। শুভ্রতার পুরু বিশ্বাস তার বাবা আত্বহত্যা করার মতো মানুষ নয়। সে আত্বহত্যা করেনি। কেও একজন গেম খেলছে তাদের সাথে। তার সাথে আর এখন তার বাবা? সকলের ধারনা আসিফ সিকদার শুভ্রতার কারনেই আত্বহত্যা করেছে। অপমান সহ্য করতে পারেনি আসিফ সিকদার। কিন্তু শুভ্রতা জোর দিয়ে বলতে পারে এটা আত্বহত্যা নয় মার্ডার।
গতকাল রাত থেকে আদিত্ব আর যোগাযোগ করেনি শুভ্রতার সাথে। ছয় বছর রিলেশনের পর অবশেসে তাদের মিলন মেলায় সব কিছু গোলমাল হয়ে গেলো। আদিত্বের সাথে তার বিয়ে ভেঙে যাওয়াটা একপ্রকার স্বপ্ন ব্লক এর মতোই। পোস মার্টাম রিপোর্টের সাথে শুভ্রতার কথারই মিল পাওয়া যাচ্ছে। আসিফ সিকদারের পান্জাবির কিছুটা অংশ ছেরা পাওয়া গেছে। যেমনটা কারো সাথে হাতাহাতির সময় হয়ে থাকে। আসিফ সিকদারের নখে কিছু বড় বড় চুল পাওয়া গেছে। যা দেখে অনুমান করা হচ্ছে, ছাদ থেকে পরার আগে আসিফ চৌধুরির কারো সাথে হাতাহাতি হয়েছে আর তা কোনো মেয়ে মানুষের সাথে। কিন্তু অবাক করার বিষয় হলো, আসিফ সিকদারের গায়ে কোনো ফিঙ্গার পিন্ট পাওয়া যায়নি। পোস মার্টাম রিপোর্ট ও শুভ্রতার উক্তিতে একটা কমপ্লিন লিখা হয়।
প্রায় এক সাপ্তাহ কেটে গেলো, কিন্তু এই গেম এর কোনো খেলোয়ার এর হদিস পাওয়া যায়নি। এই গেমের খেলোয়ার ধরার মতো যথেষ্ঠ প্রমান নেই কারো কাছে। কিন্তু হাল ছেরে দেওয়ার মতো লোক না পুলিশ ইন্সপেক্টর আফিফ মাহমুদ। জীবনের প্রতিটা পদক্ষেপেই তার সাক্সেস শব্দটা জড়িত। তার ধারনা, কোনো কোনো বিষয় যদি মাঝ পৃষ্ঠা থেকে পড়লে বুঝা না যায়, তবে এর প্রথম পৃষ্টি খুজে বের করে ওখান থেকে শুরু করতে হবে। খুজতে হবে এই খেলার প্রথম দিকটা থেকে। কারন এই কেস এর সাথে জড়িয়ে আসিফ সিকদারের মৃত্যুটাই নেই, তার সাথে শুভ্রতার ইজ্জত, প্রিয়জন হারানোর কষ্টও জড়িয়ে। শুভ্রতার কথা ভুলে যাওয়ার জন্য আদিত্বকে কড়া ফরমেশ দিয়ে গেলো তার বাবা। এমন একটা মেয়েকে সে কিছুতেই ঘরের বৌ করে আনবেনা। কিন্তু শুভ্রতাকে যে আদিত্ব সেই ছয় বছর ধরেই চেনে? আদিত্ব তার বাবাকে কথা দিয়েছে যদি শুভ্রতাকে নির্দোশ প্রমান করতে না পারে, তাহলে শুভ্রতার নাম এই মন থেকে চিরতরে মুছু ফেলবে আদিত্ব।
শুভ্রতার বিয়েতে ঘটে যাওয়া ঘটনার সাথে আসিফ চৌধুরির মৃত্যুর কিছুটা একই সুত্র গাথা রহস্য অনুমান করতে পারছে ইন্সপেক্টর আফিফ মাহমুদ। শুভ্রতার কথাটা সত্য প্রমান করতে প্রথমে ভিডিওতে শুভ্রতার সাথে ছেলেটা কে তা জানা আবস্যক। আসিফ সিকদারের মৃত্যুর দিন রাতের ঠিক ৪ টার সময় আসিফ সিকদারের ফোনে একটা অচেনা নাম্বার থেকে ফোন এসেছিলো। তার সাথে তিন মিনিট কথাও বলেছে আসিফ চৌধুরি। এখন এটা নিশ্চিত আসিফ চৌধুরি ৪ টা পর্যন্ত জিবিত ছিলো। আর তার লাস পাঁচটার সময় দেখতে পায় লোকজন। তার মানে মৃত্যু এই চারটা থেকে পাঁচটা  এর মাঝামাঝি সময়ে হয়েছে। কিন্তু এই অসময়ে আসিফ সিকদারকে ফোন দিলো কে?
সিম কোম্পানি থেকে খবর নিয়ে জানতে পারে সিমটা আমির নামক একজন লোকের নামে রিজিস্ট্রি করা। ঠিকানা নিয়ে আমির নামক লোকটার বাড়ি গেলো ই. আফিফ মাহমুদ। গিয়ে জানতে পারে লোকটা দুই বছর আগেই মারা গেছে। আর এই সিমটা তার ভাইয়ের ছেলে কিরন ব্যবহার করে। কিন্তু কিরনের ব্যপারে জিগ্গেস করতে এটাও জানতে পারে কয়দিন আগে কিরনের ফোনটা চুরি হয়ে গেছে। পরেন্সিক রিপোর্টের এক কথায় কেসটা যেনো কিছুটা সহজ মনে হচ্ছে ই. আফিফ মাহমুদের কাছে। আসিফ সিকদারের নোখে পাওয়া বড় বড় চুল গুলো কোনো মেয়ের নয়। এগুলো ছেলেরই চুল। তার মানে আসিফ সিকদারের সাথে কোনো ছেলেরই হাতাহাতি হয়েছিলো।
চুলের বিষয়টা নিয়ে একটু চিন্তা ছিলো ই. আফিফ মাহমুদের মাঝে। একটা মেয়ে কি করে এমন একটা কাজ করতে সাহস করবে? তাছারা টাটকা জোয়ান আসিফ চৌধুরির সাথে হাতাহাতি করার মতো শক্তিটুকুও একটা মেয়ে থাকাটা ইম্পসিবল। শুভ্রতার বিয়ের দিন প্লে করা ভিডিওটা পুনরায় চালু করলেন ই. আফিফ মাহমুদ। উপায় নেই কেস এর শেষ দেখতে চাইলে শুভ্রতার পাসের ছেলেটাকে খুজে বার করা প্রয়োজন। ভিডিওতে হটাৎ চোখ পরে পাসে টেবিলে রাখা একটা বস্তুর মাঝে খোদাই করা একটা হোটেলের নাম, এ,কে,আর। শহরের পাসেই হোটেল টা। ই. আফিফ মাহমুদ গদ গদ করে হেটে বেরিয়ে পরে। হোটেলে গিয়ে শুভ্রতার ছবি দেখায় ই. আফিফ মাহমুদ।
— একটু মনে করে বলুন তো এই মেয়েটাকে চিনেন কিনা?
— হ্যা, স্যার এতো আসিফ সিকদারের মেয়ে।
— এই মেয়েটা কি কখনো এই হোটেলে এসেছিলো কোনো ছেলেকে নিয়ে?
— আরে স্যার এইতো মাস খানেক আগে। আমিতো অবাক হলাম আসিফ সাহেবের মেয়ে কোনো ছেলেকে নিয়ে তাও আবার হোটেলে।
— তুমি কি ওই ছেলেটাকে চিনো?
— না স্যার ওই দিন প্রথম দেখেছি।
— আচ্ছা সিসি টিভি ফুটেজ আছেতো তখনকার?
— হ্যা স্যার আছে।
— গুড। দরজায় নক পরায় এগিয়ে গিয়ে দরজা খুলে দেয় মাহিন। দেখে বাইরে কয়েকজন পুলিশ দাড়িয়ে।
— আ আ আপনারা এখানে?
— হ্যা আমরা। ভাবলাম আমরা পুলিশ, শুধু চাকরি নিয়ে পরে থাকলেতো আর হবেনা। আশে পাডে থাকা লোকজনের তো একটু খোজ রাখতে হবে।
— ব ব বসুন স্যার।
— আমরা বসতে আসিনি চলো আমাদের সাথে।
— ক ক কোথায়?
— শশুর বাড়ি। একটা চেয়ারে বসে ই. আফিফ মাহমুদ মাহিনের মুখুমুখি। পাশে দাড়িয়ে শুভ্রতা ও আদিত্ব।
— কিরে বলছিস না কেনো? শুভ্রতাকে তুই চিনিস?
— না স্যার,,,,
— তাহলে এই ভিডিওতে থাকা মেয়েটা কে?
— এরা আবার কারা?
— নাটক বন্ধ কর আমরা সব জানি। আর এটাও জানি এটা কোন হোটেল। মাস খানেক আগে গিয়েছিলি ওখানে। নিজ থেকে সব বলবি নাকি বের করে আনতে হবে? বল(ধমকের শুরে)
— ব ব বলছি স্যার। আমি এসব করেছি শুধু টাকার জন্য। আর পাসে মেয়েটাও এই শুভ্রতা ম্যাডাম না। এটা হলো মিলি। আমাদের পাড়ায় থাকে আমরা দুজন টাকার জন্যই এসব করেছি। মিলিকে ওই লোকটা কিছুক্ষনের জন্য মুখ প্লাস্টার করে থসকতে বলেছিলো। যেনো শুভ্রতা ম্যাডামের মতো লাগে দেখতে।
— কে করিয়েছে তোদেরকে এইসব?
— লোকটার চেহারা দেখিনি, মাস্ক পরা ছিলো। তবে হ্যা তার চুল গুলো বড় বড় একেবারে ঘার অব্দি।
— ওকে এবার বুঝতে পেরেছি বিষয়টা। যতক্ষন না কেসটা শেষ হবে তুই এখানেই থাকবি।
একটা জিনিস এখন পুরুপুরি নিশ্চিত মি. আদিত্ব। মাহিনকে এসব করিয়েছে লম্বা চুল ওয়ালা একটা লোক। আবার আসিফ সিকদারের নখে পাওয়া লম্বা চুলগুলোও একজন পুরুষের। তার মানে একজনই লোক।
ই.আফিফ মাহমুদ সেই রাতে আসিফ সিকদারের কল রেকর্ড শুনতে চায়। অফিসে গিয়ে কল রেকর্ড বের করে তা শুনে এটা বুঝতে পারে আসিফ সিকদারকে ছাদে নিয়ে যাওয়া হয়েছে শুভ্রতার কথা বলে। আসিফ সিকদদারকে বলা হয়েছে শুভ্রতা ছাদে দাড়িয়ে আছে আত্বহত্যা করার জন্য। বাচাতে চাইলে দেড়ি না করে ছাদে চলে আসতে।
এখন সুধু লোকটাকে ধরতে পাররলেই সকল তথ্য সামনে বেরিয়ে আসবে।কেনো করেছে সে এমন? ই. আফিফ মাহমুদের কাছে ফোন আসে অফিস থেকে। ওই রাতে আসিফ সিকদারকে ফোন করা সিমটা থেকে একটু আগে একটা নাম্বারের সাথে চার পাঁচ বার কন্টাক্ট করেছিলো। সিমটা এখনো চালু আছে। ই. আফিফ মাহমুদ সিমটার লোকেশন টেগ করতে বললো। ৮৫ কিঃ মিঃ দুরে ট্রেগ হয়েছে। সিমটা এখান থেকে প্রায় ৮৫ কিঃমিঃ দুরে। দেরি না করে ওখানকার একটা থানার সাথে যোগাযোগ করে ওখানে চলে যায় ই. আফিফ মাহমুদ। এ যেনো মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি। ফোনের সাথে লম্বা চুল ওয়ালা লোকটাও। লোকটাকে একটা টেবিলের সাথে বেধে চার পাসে চক্কর কাটছে ই. আফিফ মাহমুদ।
— দেখ সব প্রমানই তোর বিরুদ্ধে। যা করেছিস তাতে ফাসি নিশ্চিত। এখন এটা বল, কেনো করেছিস এগুলো?
— অনেক মার খেয়ে মাথশ নিচু করে উত্তর দিলো লোকটা, আমাকে কেও করিয়েছে এগুলো।
— আরো আছে? কে সে?
— বলতে পারবো না।
— দেখ তোকে দিয়ে যদি কেও করিয়ে থাকে তাহলে তার নামটা বলে দে। তোর শাস্তি কমে যাবে।
— শাস্তি কমবে?
— হ্যা, কারন তুই কন্টাক্ট কিলার। মেইন কিলার অন্য কেও।
— আমি এতো তারাতারি মরতে চাই না। বলছি সব। তুহিন সিকদার আমাকে দিয়ে এইসব করিয়েছে।
— তুহিন সিকদার!
— হ্যা, আসিফ সিকদারের ভাইয়ের ছেলে। সোফায় বসে আছে শুভ্রতা সাথে আদিত্ব, তার একটু দুরেই তুহিন সিকদার। কলিং ব্যাল বাজতেই গিয়ে দরজা খোলে শুভ্রতা।
— স্যার আপনারা? জানতে পেরেছেন কে সে?
— হ্যা, জানতে পেরেছি বলেই তো এলাম(তুহিন সিকদারের কাধে হাত রেখে বলে ই. আফিফ সিকদার) কাপা কাপা গলায় তুহিন সিকদার বলে উঠে,
— কে সেই লোক? যে আমার কাকার ফ্যামিলিটা তছনছ করে দিয়েছে?
— আমাদের সাথে চলো জানতে পারবে। লম্বা চুলওয়ালা লোকটার মুখুমুখি বসে আছে তুহিন সিকদার।
— দেখো তুহিন, তুমি এখন পুরুপুরি ভাবেই ফেসে গিয়েছো। অতএব সত্যিটা বলেই দাও কেনো করেছো এমন?
— কি করবো আমি? ছোট বেলা থেকেই শুভ্রতাকে ভালোবাসতাম আমি। কিন্তু এই আদিত্বর জন্য কখনো শুভ্রতাককে দুর্বল করতে পারিনি। শুভ্রতাকে বিয়ে করতে চাওয়ার অন্য একটা কারন হলো তার বাবার মানে আমার কাকার সম্পত্বির জন্য। কিন্তু যখন শুনলাম আদিত্ব আর শুভ্রতার বিয়ের জন্য কাকা রাজি হয়েই গেলেন। তখন আমাকে ভাবতে হলো আমার রাস্তা। শুভ্রতাকে সবার চোখে খারাপ করে দিলাম। যেনো আদিত্ব তাকে ভুল বুঝে চলে যায়। তখন আর শুভ্রতাকে কেও বিয়ে করতে চাইবেনা। তখন আমি গিয়ে শুভ্রতার পাসে দাড়াবো। আর আমার কাজটা যাতে সহজ হয় তার জন্য কাকাকেও মেরে ফেললাম। যেনো সবাই মনে করে কাকা অপমানে আত্বহত্যা করেছে। সব প্লেন ঠিকঠাক মতো ছিলো। কিন্তু না জানি, এই সালা বাচ্চু কোথায় বলদামি করেছে?
— ই. আফিফ মাহমুদ বলে উঠে, চোর ধরতে পেছন পেছন দৌড়ানো লোকের ভিরেও কখন যে আসল চোরটাই ঢুকে চোর চোর বলে চেচায় তা বুঝা বড় মুশকিল।
— ছি ছি ভাইয়া, তোকে এখন আমার কাকার ছেলে বলতেও ঘৃনা হচ্ছে। ইচ্ছে করছে পায়ের জুতু খুলে তোকে পিটাতে। পাস থেকে আদিত্ব বলে উঠে,
— কি বলেছিলে তুহিন? আমার চোখে শুভ্রতাকে কালার করবে? এতোই সহজ? শুভ্রতার প্রতি বিশ্বাস আমার চির কালের জন্য। এটা বলেই শুভ্রতাকে কাছে টেনে নেয় আদিত্ব।
গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত