মৌ সিদ্ধ ডিম গুলি ছুলে বাটিতে রাখছে। বাবা না কি ইফতারের সময় ডিম কোর্মা খেতে চেয়েছেন। মা রুই মাছ ভাজি করছে। আমি এসে রান্নাঘরে ঢুকেই, চাটি মেরেছি মাথায়। মৌ আ আ করতেই, আমি বলি,”অভিনয় করিস কেন, হাত টা মাত্র মাথায় লাগাইছি”। মৌ এবার “মিথ্যাবাদি” বলতেই মা বলল,”এই তোরা বাইরে গিয়ে ঝগড়া করতো। সবসময় এসব যন্ত্রণা, আমার মোটেই ভালো লাগে না”। এরমধ্যে আপা খুশিতে চিৎকার দিচ্ছে ,”এই তোমরা সবাই দেখো, আমার আজকের পুডিং টা কতো সুন্দর হয়েছে”। আমি বলি,”কি পুডিং রাঁধছো, এর চেয়ে রান্নায় সাহায্য করো না কেন”? আপা আবার সবকিছু তেই খুব তাড়াতাড়ি রেগে যায়,”বেয়াদব তুই আমাকে বুদ্ধি দিবি,মাকে আমি সাহায্য করবো কিনা”? মা এবার রেগে গিয়ে বলল,”খোকা তুই যা তো এখানে থেকে”। আমার এসবে হিলদোল নেই। আপা বরং রাগে রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে গেল। ওর চোখের পানি রেডি থাকে। কিছু বললেই ঝরঝর ঝরতে থাকে।
মা শাড়ির আঁচলে মুখ মুছে বলে,”ওকে শুধু শুধু রাগাস্ কেন? কিছু লাগবে? এ গরমের মধ্যে বসে আছিস যে? আমি বলি,”কেন তোমার গরম লাগে না”? মা উত্তর দেবার আগেই, বাবার গলা শুনা যায়,”কই গেলে বাজার এনেছি”। আমি মৃদু স্বরে বলি,”ঈদের শাস্তি তাহলে আজ থেকেই তোমার শুরু হলো মা”? মা এবার ফিসফিস করে বলল, “লক্ষ্মী বাবা আমার। রোজা রেখে এসব আমার ভালো লাগে না।একটু শান্তিতে থাক। রুমে যা”। আমি বুঝতে পারছি, আমার কোনো বেফাঁস কথা যদি বাবা শুনে রেগে যায়, সেজন্য ই মার এরকম সাবধানতা। এ পরিবারে কাউকে যদি বাবা বাড়াবাড়ি রকমের ভালোবাসতো সে ছিলাম আমি। কিন্তু, কিছু ঘটনায় পরিস্থিতি পুরোপুরি পাল্টে গেছে। আমার বাবা কে সমাজের সব মানুষ, ভীষণ বিনয়ী, ভালো একজন মানুষ হিসেবে চিনে। আমরাও হৃদয়বান ই ভাবতাম। কলেজে উঠার পর,একদিন হঠাৎ দুপুরে বাসায় এসে দেখি, হয়তো অসাবধানবশত কলাপসিবল গেট খোলা।
২ বোন ই ভার্সিটি ও স্কুলে। দাদীর রুম থেকে উনার কাশির শব্দ আসছে। বারান্দা থেকে ডাইনিং স্পেসে আসতেই দেখি, বাবা চুলের মুঠি ধরে মা কে মারছে। আমি চিৎকার দেই,”ছেড়ে দাও বাবা। মা কে আর ছূলে,বড় খারাপ হবে কিন্তু”। বাবা এ কথা শুনে,বেশ হকচকিয়ে যায়। কিন্তু, মা রেগে বলে,”বড়দের সব কথায় থেকো না খোকা। তুমি তোমার রুমে যাও”। মা নিজেই বলে, আমার নাকি চন্ডাল রাগ। রেগে গেলে নাকি আমি পাগল হয়ে যাই। বুক চিতিয়ে বাবার সামনে এসে বলি,”তুমি কি কারণে আমার মা কে মারলে বাবা,বলো তো? তুমি কি সবসময় মা কে মারো? এতো সাহস তোমার হয় কি করে”? এবার মা ঠাস করে একটা চড় মারলো আমাকে। হিসহিসিয়ে বলল,”এটা আমার ও তোমার বাবার মধ্যেকার ব্যাপার। সবকিছু তে নাক গলাতে এসো না বললাম। রুমে যাও”। আমি রুমে গিয়ে দেখি, সারা শরীরে কে যেন আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। মা একদিন বলেছিল,”রাগ উঠলে শুয়ে পড়বে। এটা খুব কাজে দেয়” মনে পড়তেই শুয়ে পড়েছি।
আহারে আমার মা !!! তার কোমর ছাপানো চুল দেখে কতো বার খুশি হয়েছি। সেই চুল যে, বাবার শাস্তির সহায়ক হবে জীবনেও ভাবিনি। আর মা ঠিক কতো দিন ধরে এভাবে কষ্ট পাচ্ছে তাও তো জানি না। বিকেলে দুইবোন বাসায় ফিরলে জিজ্ঞেস করি,”বাবা যে মা কে মারে, তোমরা কি জানতে”? তাদের বিস্মিত দৃষ্টি দেখেই বুঝি, ওরা জানে না।আপা কাঁদতে কাঁদতে বলে,”এজন্যই মা মাঝে মাঝে রুম লক্ করতো মনে হয়। আমি তো ভেবেছি, বেশি হলে বাবা হয়তো মা কে বকে।ভাই, আমরা আসলেই খুব খারাপ সন্তান। এতো বছর ধরে, মায়ের এ কষ্টের কথাও জানি না”। সেদিন তিন ভাই বোনের কান্না ও ক্ষোভের আগুন যেন দ্বৈতভাবে একসাথে জ্বলছিল।
আস্তে আস্তে মার অনেক কষ্টের জিনিস, নতুন করে চোখে ভাসতে লাগলো, আগে যা দেখেও স্বাভাবিক মনে করেছি। ঈদের দিন নতূন শাড়িটা পরে বাবা কে ও দাদিকে সালাম করেই, খুলে কাজে লেগে যেতো। আমার বাবা পরিবারের বড় ভাই।তাই,দুই ঈদের দিন দুপুরে তার বাকি তিন ভাই বোনের ফ্যামিলি সহ, এখানে খাওয়াটা বাঁধা ছিল। আর হন্তদন্ত হয়ে আমার মার ছুটে চলা টাও। কুরবানীর ঈদের দিন মার কষ্ট বেড়ে যেত।কারণ, কসাই গোশত কাটার পর বাবা ঘরে সেটা পাঠিয়ে দিয়ে বলতো রাধার জন্য। কেটে, বেছে, ধুয়ে মা তাড়াতাড়ি করে বসাতো। আপা একবার বলে,”প্রেসার কুকারে বসালে খুব জলদি হয়ে যায় মা। বসাই”? মা বলে,”না, প্রেসার কুকারের রান্না তোমার বাবার কাছে স্বাদ লাগে না”। আমি মনে মনে বলি,”স্বাদ না,আসল কথা হচ্ছে তোমাকে কোনো আরাম দেয়া যাবে না। তুমি যাবজ্জ্বীবন কারাদণ্ডের আসামীর চেয়েও খারাপ আছো”।
এ ঘটনার পর থেকে,বাবার কাছে থেকে আমার দূরত্ব বাড়তেই থাকে। আমি এবার মেডিকেল কলেজের ফোর্থ ইয়ারে পড়ি। এ পাঁচ বছরে নদী তে অনেক পানি বয়ে গেলেও, বাবা মা কে স্যরি বলেনি। সে তার ইগো নিয়েই আছে। আমি অনেক দিন ধরে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের দুটি ছাত্র কে পড়াই।এবার ঈদের আগের দিন বোনদের ডেকে বললাম,”আমি গত তিন মাসের টিউশনির টাকা জমিয়েছি। ঈদের দিন রাতে, আমি আর মা নানুর বাসায় থাকবো, পরদিন সকালে ২ দিনের জন্য কক্সবাজার যাচ্ছি। তোরা এ দুদিন বাবা কে খেয়াল রাখতে পারবি তো”? তারা সানন্দে রাজি হয়েছে। মা কে আগে থেকে বললে, না যাবার একশ টা কারণ দেখাবে,তাই বলিনি।
ঈদের দিন দুপুরে যথারীতি সবাই এসে খেল। পাঁচ বছর আগের ঘটনার পর, আমি আমার মাকে ছাড়া কোনো ঈদে একবার ও খাইনি। সবার খাওয়া শেষ হলে,আমরা তিন ভাইবোন মাকে নিয়ে বসতাম। প্রথম বার আমার দাদি আমাকে বলেছিলেন,”তুমি হলে বংশের বড় ছেলে। আমাদের সাথে বসে খাও”। আমি বলি,”বংশের বড় ছেলে যার পেটে জন্ম নিল,তাকে তো এতো বছরেও একবার খেতে ডাকতে দেখলাম না”।সবাই একদম চুপ হয়ে গেছে। বিকেলে মার রুমে গিয়ে বাবা কে পরিকল্পনার কথা বলতেই, বাবা ‘ঠিক আছে”বলল। মা শুনে বাবার সামনেই হুলস্থুল শুরু করে দিল,”এভাবে কি করে যাবো? তোর বাবার তরকারিও রাঁধিনি।” আমি শান্ত স্বরে বলি,”সেটা এ দুদিন আপা ও মৌ সামাল দিবে। তুমি আজ মরে গেলে, পৃথিবী থেমে যাবে ভাবো না কি”?
নানার বাসা হাঁটার দূরত্বে। ছোট একটা ব্যাগ নিয়ে সন্ধ্যার পর গেলাম। আমরা ঈদের রাতটা এখানে থেকে, সকালে বাস ধরবো শুনে আমার নানা নানু মা কে জড়িয়ে ধরে কাঁদছেন। কারণ, বিয়ের ২৬ বছর পর আজ প্রথম মা ঈদের দিন এসেছে। বাবা ঈদের দিন মার কোথ্থাও যাওয়া পছন্দ করেন না। পরদিন বিকেলে বাস যখন কক্সবাজার পৌঁছল, মা খুব চিন্তিত স্বরে বলল,”খোকা হোটেলে রুম না থাকলে তো সমস্যায় পড়ে যাবি’”। আমি হেসে বলি,”তুমি কি আমাকে এখনো ছোট মনে করো”? রুম থেকে সমুদ্র দেখা যায়, এরকম একটা হোটেলে রুম বুক করা ছিল। লাঞ্চ করে সমুদ্রের পাড়ে যেতেই মায়ের মুখে অদ্ভুত এক আভা যেন খেলা করে। আমরা সেখানে গল্প করে করে, কফি খাই বাদাম খাই। সূর্যাস্তের সময় মা সমুদ্র পানে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকল কতোক্ষণ।আমি ভাবি, “কি হিসেব করছো মা? জীবন টা কতো খারাপ কাটলো, সেটা”?
হোটেলে টিভি দেখছি, মা বাবার সাথে ফোনে কথা বলছে।ভাত খেয়েছে কিনা, আপার রাঁধা তরকারি খেতে পেরেছে কিনা ইত্যাদি। ফোন রাখতেই বলি, “আচ্ছা মা তুমি তো বাবার এতো খেয়াল রাখো, বাবা যে তোমার সাথে এমন আচরন করে, তোমার রাগ লাগেনা”? মা স্বাভাবিক অবস্থায় যা কখনো বলেনি বা বলতো না, অস্ফুটে তা ই বলে উঠলো,”আমার গায়ে প্রথম যেদিন তোর বাবা হাত তুলে, ভীষণ ভয় পাই। কারণ, খুব অভাবে বড় হলেও, আমরা কখনো মার খাইনি। মা গাল দিলেও বাবা মা কে বকতো।সকালে তোর বাবা অফিসে চলে গেলে, আমি বাবার বাসায় চলে গিয়ে সব খুলে বলি। মা বলে,”তোর ছোট আরো তিন টা বোন।এদের বিয়ে নিয়ে আমরা পেরেশান। এখন তুই চলে এলে, কিভাবে হবে? সহ্য কর মা। ভালো দিন আসবে”। অভিমানে ওখানে এক মুহুর্ত না বসেই চলে আসি। পরে মনে হয়েছে, আমার গরীব মা বাবার কি ই বা করার ছিল?
একে একে তিনটা হীরার টুকরো খোদা আমাকে দিলেন। মাঝে মাঝে মন বিদ্রোহ করতো, কিন্তু সব আগুন কে ছাইচাপা করে দিলাম। আমি বলি, “এতো কষ্ট করে কি লাভ হলো মা”? মা হেসে বলে,”ক্লাশ নাইন পর্যন্ত পড়ুয়া আমার,এক মেয়ে ইংলিশে মাষ্টার্স করে ব্রিটিশ কাউন্সিলে কতো ভালো বেতনে চাকরি করে, কিছু দিন পর ছেলে ডাক্তার হবে ইনশাআল্লাহ, ছোট মেয়ে বুয়েটে পড়ছে আর কি চাই? সমাজ কে ৩ টা সফল মানুষ তো উপহার দিতে পেরেছি। অবশ্য আমি যদি তখন আত্মনির্ভরশীল হতাম, তাহলে হয়তো ভিন্ন চিত্র হতো”। আমি পাশের বিছানা থেকে উঠে মাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকি। মা তখনো বলে যাচ্ছে,”ছেলে মায়ের কষ্ট বুঝে, নিজের উপার্জিত টাকা দিয়ে ঘুরতে এনেছে,এটা কতোজনের ভাগ্যে মিলে বাপ”?
আমার সারাদিনের ক্লান্ত মা রাতে অঘোরে ঘুমাচ্ছে।আমি ঘুমানোর বৃথা চেষ্টা করে করে ভাবছি,”কতো কতো মা, এভাবে এতো ব্যথার সাগর বুকে নিয়ে বেঁচে আছে সৃষ্টিকর্তা ছাড়া আর কেউ বলতে পারে না। এরা যদি তিতিবিরক্ত
হয়ে, বাচ্চাদের ছেড়ে চলে যেতো, আমাদের বড় মুখ করে,”আমি অমুক” “আমি তমুক” বলার পথ বন্ধ হয়ে যেত। মা দের সৃষ্টিকর্তা কোন বিশেষ উপাদান দিয়ে গড়েছেন, সেটা উনিই জানেন। শুধু “মা” সৃষ্টি করে ই তিনি তার বান্দাদের বুঝিয়ে দিয়েছেন যে,তিনি তাদের কতো ভালোবাসেন !!! পরদিন হোটেলের কমপ্লিমেন্টারি ব্রেকফাস্ট খেয়ে মা ছেলে বীচে গেলাম। একটানা চার ঘণ্টা বসে ছিলাম। মায়ের ভালো লাগছে দেখে, আমিও তার পাশে চুপটি করে বসে আছি। বিকেলে মা বলছে,”আমি তো আসলেই ভাবিনি সমুদ্রের কাছে এলে দুঃখ কষ্ট গুলো কম মনে হয়। প্রথম বার এলাম তো। মনে অনেক শক্তি জমা করে যাওয়া যায়। ধন্যবাদ আমার সোনা বাচ্চা। আল্লাহ তোকে এর উত্তম প্রতিদান দিন”।
রাতে বাসে উঠে সকালে বাসায় ফিরি দুজনে। এর সপ্তাহখানেক পরে বাবা বলে, নূর চাচা আপার জন্য বিয়ের ভালো একটা প্রস্তাব এনেছেন। ছেলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। বাবা প্রায় এক মাস নানান জনের কাছে থেকে খবরাখবর নেন। মা কে বললেন,”মেয়েটা ভীষণ অভিমানী। অল্পতেই কান্না চলে আসে। ছেলেটা ভালো না হলে মুশকিল”। আমি আপনমনে হাসছি,”মানুষের মেয়ে ঘরে এনে, তখন তো সেটা বেমালুম ভুলে যাও বাবা। মুখে কষ্ট দাও, হাতে কষ্ট দাও”। মাসদেড়েক পর আপার বিয়ে হয়ে যায়। বাবা যেন তার মহামূল্যবান সম্পদ হারিয়ে ফেলেছে। প্রথম কয়েক দিন অনবরত কাঁদলেন ই। মৌ বাবা কে বলছে,”আমি কি তোমার কেউ না বাবা? আমাকে আপার মতো আদর করো”। বাবা কিছু না বলে, একটা হাসি দিয়ে ওকে আদর করে দেয়।
বিয়ের পর প্রথম ঈদের সময়, রাতে আপাকে দাওয়াত দেয়া হলে, উনার শশুর বললেন ঈদের পরদিন আপাকে নিয়ে ওরা সবাই আসবেন। বাবা রাতে খাননি,লাইট অফ করে চুপচাপ শুয়ে আছেন। মা বলল,”উনি ভেবেছিলেন রাতে মেয়ে কে নিয়ে খাবেন। সেজন্য ই মনে হয় মনটা খারাপ”। রাত পৌনে নয়টার দিকে গাড়ির হর্ণ শুনে বেরিয়ে দেখি, স্বামী সহ আপা উপস্থিত। বাবার খুশি দেখে কে? ভাইয়া বলছে,”এক শহরে আছি, রাতে আসতে সমস্যা নেই তো। বাবা কে বুঝিয়ে তাই চলে এসেছি। উনারা কালকে আসবেন”। বাবা ভাইয়ার গায়ে হাত বুলিয়ে দিয়ে বলছেন,”আল্লাহ তোমার ভালো করুন। আমি অনেক খুশি হয়েছি”। রাতে খাওয়া দাওয়া শেষ করে সাড়ে এগারোটায় তারা বিদায় নিলেন। বাবা কে বলি,”তোমার কপাল তো আমার নানার কপালের মতো খারাপ না বাবা। তুমি বেশ ভালো জামাই পেয়েছো বলতেই হবে”।
বাবা কিছু না বলে, মাথা নিচু করে চলে যেতেই মার বকা শুরু হলো,”দিন দিন অসভ্য হচ্ছিস কেন খোকা”? বাবা মা কে দুঃখ কষ্ট দেয়ার মধ্যে কোনো কৃতিত্ব নেই বুঝলি? ঘুমোতে গিয়ে মনে হলো, আমাদের দেশে কবে সুখী সংসার হবার মত উচ্চ মন মানসিকতা দিয়ে ভরা হৃদয় থাকবে? যেখানে “কর্তার ইচ্ছায় কর্ম বলে কিছু থাকবে না”।সবাই যার যার অধিকার নিয়ে সন্তুষ্ট থাকবে? যেখানে কেঊ শারীরিক নির্যাতনের শিকার হবে না।।কে জানে, হয়তো খুব শিগগিরই আশা, ভরসা নিয়ে নতুন সূর্য উঠবে। তখন আমার মায়ের মতো কষ্ট, আর কোনো মায়ের হবে না।
গল্পের বিষয়:
গল্প