তোমাতেই আমি আবদ্ধ

তোমাতেই আমি আবদ্ধ
—-” এই রোজ, আরে ওঠ না আর কত ঘুমাবি? তোকে কত করে বলে দিলাম রাতে। আজকে তোর মামনি, আঙ্কেল আর শুভ্র আসবে। আজকে অন্তত একটু আগে ঘুম থেকে উঠিস। তবুও তুই সেই আজকেও বেলা করে ঘুমাচ্ছিস।”
আম্মুর কথায় লাভ দিয়ে উঠে বসে বললাম,
—-” কি বললে আম্মু? কে আসবে? তোমার ভাগ্নে?” আম্মু ভ্রু কুঁচকে বললো।”
—-” হ্যা তো কি বলছি? এখন যা গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নে,
বলে আম্মু চলে গেলো? আমি এদিকে বসে নখ কামড়াচ্ছি। সেই ছোটবেলায় ওনাকে মানে শুভ্র ভাইকে দেখেছিলাম। এরপর উনি পড়াশোনা করতে আমেরিকা চলে গেলো। আজ এতগুলো বছর পর ওনাকে দেখবো। ছোট বেলায় কি প্যারাটাই না দিতো। রোজ এখানে যাবি না। রোজ ওখানে যাবি না। অন্য কোন ছেলের সাথে স্কুলে খেলতেও দিতো না। একদিন তো রীতিমত মেরেছিলো আমাকে। তখন অবশ্য উনিও ছোট ছিলো। কিন্তুু তবুও মামনি ওনাকে মেরেছিলো। উনি সেটা নিয়ে গাল ফুলিয়ে ছিলো। আমি আর চেষ্টা করিনি ওনার সাথে কথা বলতে। পরে আবার উনি নিজেই এসেছিলো কথা বলতে। এরপরই ওনাকে আমেরিকা পাঠিয়ে দিয়েছিলো। বসে, বসে ভাবতে লাগলাম।”
—-” আচ্ছা শুভ্র ভাই এখন দেখতে কেমন হয়েছে? ছোট বেলায় তো কিউটের বস্তা ছিলো। কি সুন্দর নাক, মুখ, চোখ ছিলো। সিল্কি চুলগুলো কপালে এসে থাকতো। ডার্ক রেড ঠোট আর ঠোটের নিচে তিল। এখন নিশ্চয় আরো সুন্দর হয়েছে দেখতে,নিজের ভাবনায় আমি নিজেই চমকে গেলাম। লাইক এসব কি ভাবছি টাইপ। কাথাটা সরিয়ে ওয়াসরুমে চলে এলাম আমি। একেবারে গোসল সেরে নিলাম। এমনিতেও আমার ঠান্ডার প্রবলেম আছে। কিছুটা না পুরোটাই ফোবিয়া বলা চলে। ঠান্ডা বেশী লাগলে শ্বাসও বন্ধ হয়ে যায়। তাই এখন যেহেতু শীত পড়ে গিয়েছে। তাই তাড়াতাড়ি গোসল করে নেই। মাঝে, মাঝে আবার লেটও হয়ে যায়। গোসল সেরে একটা রেড কালার থ্রি পিচ পড়ে নিলাম। লম্বা চুলগুলো থেকে টপটপ করে পানি পড়ছে। এই এক প্রবলেম চুলই মুছতে শিখলাম না ঠিকমত। কোনরকম চুল মুছে ঠিকঠাক হয়ে নিচে গেলাম। আম্মু নানান রকমের পদ রান্না করছে। বাবাই এখনো মেবি অফিস রুমে আছে। ভাইয়া সোফায় বসে মোবাইলে গেম খেলছে। আমি তো রান্না পারিনা তবুও আম্মুর কাছে এলাম। আম্মু আমাকে দেখেই বললো।”
—-” তুই এখানে কি করছিস?” আমি হেসে দিয়ে বললাম,
—-” আম্মু আমি তোমাকে হেল্প করি?”আম্মু মুচকি হেসে বললো।”
—-” শোনো পাগলি মেয়ের কথা। বলি তুই কি রান্না পারিস? তোর হেল্প করতে হবে না তুই যা। আমার সাথে তোর রহিমা খালা আছে। সে এখন রুম পরিষ্কার করছে। তুই বরং গিয়ে ডাইনিং টেবিল মুছে ফেল,আমি আচ্ছা বলে চলে এলাম। এরপর ডাইনিং টেবিলটা মুছে ফেলাম। দেখতে, দেখতে আম্মুর রান্নাও হয়ে গেলো। আমরা সবাই সোফায় বসে আছি। এমন সময় কলিং বেল বেজে উঠলো। ওমনি আমার হার্টবিট ফাস্ট হয়ে গেলো। বুঝতে পারছি না এমন কেন হচ্ছে? আম্মু গিয়ে মেইন ডোর খুলে দিলো। তখনি মামনি আর আঙ্কেল ভেতরে এলো। আমি গিয়ে মামনিকে জড়িয়ে ধরলাম। মামনিও আমাকে জড়িয়ে ধরলো। আঙ্কেলকে সালাম করে দরজার দিকে তাকালাম। কিন্তুু শুভ্র ভাইকে দেখলাম না। মনে, মনে ভাবতে লাগলাম তাহলে কি উনি আসেনি? আবার ভাবলাম ভাল হয়েছে খারুসটা আসেনি। বলে আবার সোফার দিকে পা বাড়ালাম। ওমনি কারো ভয়েস আমার কানে এলো।”
—-” ইয়াহ, আই ক্যান ম্যানেজ,
আমি ঝটপট ঘুরে তাকালাম। সামনে তাকিয়ে হা হয়ে গেলাম। একটা ছেলে দাড়িয়ে আছে কানে ফোন। মেবি কারো সাথে কথা বলছে। গায়ে হোয়াইট একটা শার্ট। শার্টের দুটো বোতাম খোলা। শার্টের উপর ব্লাক জ্যাকেট। জ্যাকেটের চেইন খোলা থাকায় হোয়াইট শার্ট দেখা যাচ্ছে। তার সাথে ব্লাক জিন্স প্যান্ট পড়া। হাত নাড়িয়ে কথা বলায় হাতের ব্লাক ঘড়িটা দেখা যাচ্ছে। চোখে ব্লাক সাইন গ্লাস। সিল্কি চুলগুলো কপালে এসে পড়ে আছে। এক হাত দিয়ে সেটা বারবার সরাচ্ছে। ডার্ক রেড ঠোটদুটো বারবার নড়ছে। ঠোটের নিচের তিল দেখে আমার চিনতে দেরী হলো না এটাই শুভ্র ভাই। কিন্তুু উনি কি জানে? ওনাকে দেখেই আমি এক দফা ক্রাশ খেয়েছি। জীবনে ক্রাশ না খাওয়া মেয়েটাও আজ ক্রাশ খেলো। হায় কি লজ্জাজনক ব্যাপার, স্যাপার। উনি কথা বলা শেষ করে ভেতরে এলো। একটা মারাত্মক সুগন্ধি ছড়িয়ে গিয়েছে চারিদিকে। উনি আমাকে পাশ কাটিয়ে ভেতরে গেলো। উনি ভেতরে আসতেই সুগন্ধিটা আরো তীব্র হলো। আম্মু যে আমাকে ডাকছে সেটায় খেয়াল নেই আমার। আমি এক ধ্যানে কিছু ভাবছি। এবার আম্মু গলা খাকারী দিয়ে বললো।”
—-” এই রোজ দরজা দিয়ে আয়, আমি তাড়াতাড়ি দরজা দিয়ে এলাম। সবার সাথে সোফায় এসে বসলাম। আড়চোখে শুভ্র ভাইর দিকে তাকাচ্ছি বারবার। ও ব্যাটা একবারও তাকাচ্ছে না। ফোনের ভেতর ঢুকে আছে। ফোন চাপছে আর মুচকি, মুচকি হাসছে। নিশ্চয় জিএফের সাথে চ্যাটিং করছে। অবশ্য এত বছর আমেরিকা থেকে এসেছে। এই চেহারা নিয়ে কয়জনকে পটিয়ে রেখে এসেছে ঠিক আছে? দেখেই বোঝা যায় ব্যাটা লুচু হু। আম্মু আবারো গলা খাকারী দিয়ে বললো।”
—-” এই তুই কি ভাবছিস বল তো? তখন থেকে তোকে একবার ডাকলে শুনছিসই না, আমি মিনমিন করে বললাম।”
—-” ইয়ে মানে আম্মু,পাশ থেকে শুভ্র ভাই বললো।”
—-” মামনি তোমার মেয়ে মেবি ওর বিএফকে নিয়ে ভাবছে, আমি চোখ বড়, বড় করে তাকালাম। হায় আল্লাহ এই বদ বলে কি? আমার কোন বিএফ নেই। আম্মু রাগী দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। আমি শুকনো ঢোক গিলে বললাম।”
—-” আম্মু বিশ্বাস করো। আমার কোন বিএফ নেই। আরে বিএফ তো থাক দুরে। বিএফের বি ও নেই আম্মু,
এটা বলে আবার শুভ্র ভাইর দিকে তাকালাম। তাকিয়ে কিছুটা অবাক হলাম। ওনার মুখে বিশ্ব জয়ের হাসি। মনে হচ্ছে বিশ্ব জয় করে ফেলেছে। ব্যাপারটা আমার ছোট মাথায় ঢুকলো না। এদিকে আম্মু এখনো রেগে আছে। ইচ্ছে করছে ওনার চুল টানতে। সবাই মিলে দুপুরের লাঞ্চ করতে এলাম। বড়রা মিলে এটা, ওটা নিয়ে কথা বলছে। ওনাদের দেখে মনে হচ্ছে কথার ঝুড়ি নিয়ে বসে আছে। ভাইয়া খেতে, খেতে বললো।”
—-” শুভ্র তুই এসেছিস কবে বললি না তো?” এবার আমিও তাকালাম ওনার দিকে। উনি আমার দিকে তাকিয়ে বললো,
—-” ইচ্ছে তো করতো চলে আসি আগেই। বাট বাবাই আর আম্মুর জন্য রয়ে গেলাম। যাইহোক সে সব কথা থাক। আমি এসেছি মাএ ২দিন হলো। একদম পার্মানেন্ট বুঝলি?” উনি একেবারে চলে এসেছে শুনে মনটা খুশিতে নেচে উঠলো। এমন কেন হলো জানিনা? নিজের কার্যকলাপে নিজেই বিরক্ত আমি। লাঞ্চ শেষে সবাই রেস্ট নিতে গেলো। আমিও নিজের রুমে চলে এলাম। বারবার ওনার মুখটা চোখের সামনে ভাসছে। নিজেই ভাবছি উনি এত সুন্দর কেন? মানুষ এত সুন্দর হতে পারে? পরেই মনে পড়লো আম্মুকে আমার নামে মিথ্যে বলেছে। এবার জোড়ে, জোড়েই বলে উঠলাম।”
—-” সুন্দর না ছাই হুহু। এক নম্বরের ফাজিল। কি মিথ্যেটা বললো আমার নামে ভাবা যায়?”
—-” মোটেই না, ওনার ভয়েস শুনে তাকিয়ে বললাম।”
—-” আপনি এখানে?” উনি সোজা রুমে ঢুকে গেলো। চারদিক ঘুরে, ঘুরে রুম দেখে বললো,
—-” দেখতে এলাম রুম কেমন সাজিয়েছো? আমার পছন্দ না হলে তো নতুন করে সাজাতে হবে। বিকজ এই রুমে তো আমিও থাকবো।” ওনার কথায় গোল, গোল চোখ করে বললাম,
—-” আপনি এই রুমে থাকবেন মানে?”উনি আমতা, আমতা করে বললো।”
—-” ওসব কিছু না বাদ দাও, বলে ধপ করে বেডে বসে বললো।”
—-” এত কিপটে কেন তুমি?” আমি রাগী সুরে বললাম,
—-” কি বললেন আপনি?” উনি আবার ফোন চাপতে, চাপতে বললো।”
—-” এসিটা অন করো কি গরম, মনে মনে বলতে লাগলাম।”
—-” উনি কি গন্ডার? এই শীতে বলছে কি গরম? আবার এসিও অন করতে বলছে স্ট্রেঞ্জ, শুভ্র ভাই এবার রাম ধমকদিয়ে বললো।”
—-” এই মেয়ে তোমাকে এসি অন করতে বললাম না?”
ধমক খেয়ে ভেংচি কেটে রিমোট নিলাম তাড়াতাড়ি। এসি অন করে দিয়ে ব্যালকনিতে চলে এলাম। ব্যালকনিতে এখন মিষ্টি রোদ আছে। চেয়ার টেনে চুপচাপ বসে পড়লাম। বেশ কিছুক্ষণ এখানে থেকে আবার রুমে ফেরত এলাম। এসে দেখলাম বেড ফাকা মানে উনি চলে গিয়েছে। এসিটা অফও করে যায়নি ফাজিল। এসি অফ করে ড্রয়িংরুমে এলাম। শিরির কাছে এসেই থমকে গেলাম। মামনি আর আঙ্কেল ওনার বিয়ের কথা বলছে,
—-” এবার শুভ্রর বিয়েটা দিয়ে দিতে চাই।” মামনির কথায় আম্মু বললো,
—-” তা মেয়ে দেখেছিস নাকি?” মামনি হেসে বললো।”
—-” না দেখিনি তবে দেখা শুরু করবো। আর শুভ্রর তো পছন্দের কেউ নেই। তাই আমরা যাকে পছন্দ করবো ও তাকেই বিয়ে করবে,
আমি ওনার দিকে তাকালাম। উনি নিজের মতো গেম খেলে যাচ্ছে। জানিনা কি হলো আমার? দৌড়ে আবার উপরে চলে এলাম। বারবার চোখগুলো ভরে আসছে। আর আমি বারবারই চোখ মুছতে ব্যস্ত। এমন কেন হচ্ছে আমার? কেন এতটা অসহায় লাগছে? আর কেনই বা ওনার বিয়ের কথা শুনে এত কষ্ট হচ্ছে?” দাড়িয়ে, দাড়িয়ে অশ্রু বিসর্জন দিচ্ছিলাম। এমন সময় গিটারের টুং টাং শব্দ কানে এলো। শব্দটা আমার রুম থেকে আসছে বুঝতে পারছি। কিন্তুু এখন গিটার কে বাজাচ্ছে? শব্দটা আরো গভীর আর গাড় হতে লাগলো। লোকটা এবার ব্যালকনিতে চলে এলো। এ যে শুভ্র ভাই কিন্তুু উনি এখানে? তাও আবার হাতে গিটার মুখে হাসি। উনি আমার কাছে এসে গেয়ে উঠলো।”
মুচকুরানে কি ওয়াজা তুম হো
গুনগুনানে কি ওয়াজা তুম হো
জিয়া যায়ে না, যায়ে না, যায়ে না ওরে পিয়া রে
জিয়া যায়ে না, যায়ে না, যায়ে না ওরে পিয়া রে
আমি অবাক চোখে তাকিয়ে আছি। এতক্ষণ চোখের পানি থামছিলোই না। আর এখন আপনাআপনি থেমে গিয়েছে,
ও রে লামহে তু কাহি মাত যা
হো সাকে তো উমরে ভার থাম যা
জিয়া যায়ে না, যায়ে না, যায়ে না ওরে পিয়া রে
জিয়া যায়ে না, যায়ে না, যায়ে না ওরে পিয়া রে
এতটুকু গেয়েই উনি থামলো। এরপর আমার একদম কাছে চলে এলো। আমি কিছুটা পিছিয়ে যেতেই উনি আরো এগিয়ে এসে বললো।”
—-” কাঁদছিলে কেন?” আমি আমতা, আমতা করে বললাম,
—-” কই আমি কাঁদছিলাম না তো।” উনি খপ করে আমার হাত ধরে ফেললো। আমি চোখ বড়, বড় করে বললাম,
—-” আরে কি করছেন আপনি?” উনি আমার হাত টেনে নিচে নিয়ে এলো। সবাই অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। শুভ্র ভাই নিচে এসে আমার হাত ছেড়ে গা ছাড়া ভাব নিয়ে বললো।”
—-” আম্মু, বাবাই তোমরা আমাকে বিয়ে করাতে চাও তাই না?” মামনি আর আঙ্কেল হ্যা বললো। উনি গা ছাড়া ভাবেই বললো,
—-” তো এই হলো তোমাদের বউমা। আমি রোজকেই বিয়ে করবো।” আমার চোখ মনে হচ্ছে কোটর থেকে বেরিয়ে আসবে। একটুপর উনি যেটা করলো আমি শকড হয়ে তাকিয়ে আছি। উনি হুট করেই ওনার প্যান্টের পকেট থেকে একটা রিং বের করলো। আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই রিংটা আমার হাতে পড়িয়ে বললো,
—-” আজ থেকে রেড রোজ আমার হবু বউ।” ওনার মুখে রেড রোজ শুনে। মনের মাঝে একটা শীতল স্রোত বয়ে গেলো। ছোট বেলায় আমাকে রেড রোজই বলতো। এরপর কত বছর পর এটা শুনলাম। তবে এই মুহূর্তে সবার দিকে তাকালাম। সবাই গম্ভীর চেহারা নিয়ে তাকিয়ে আছে। আর শুভ্র ভাই এখনো গা ছাড়া ভাবেই দাড়িয়ে আছে। ওনার এই গা ছাড়া ভাব দেখে যে আমার গা জ্বলে যাচ্ছে। এই ব্যাপারটা কি উনি বুঝতে পারছে না? নিজেকে সামলে যেই সবার উদ্দেশ্য কিছু বলতে যাবো। ওমনি মামনি আর আঙ্কেল একসাথে বলে উঠলো,
—-” আলহামদুলিল্লাহ আমাদের বউমা পছন্দ হয়েছে।” এবার আম্মু আর বাবাই ও বলে উঠলো,
—-” আমাদেরও জামাই পছন্দ হয়েছে।” ভাইয়া দাত কেলিয়ে বললো,
—-” আমারও দুলাভাই পছন্দ হয়েছে।” আমি হা করে তাকিয়ে আছি। এসব কি হলো?”রাত ১১টা আমি আর শুভ্র ভাই ছাদে দাড়িয়ে আছি। আমি নাক ফুলিয়ে বলে উঠলাম,
—-” আপনি তো খুব খারাপ লোক। আপনি ইচ্ছে করে আম্মুকে মিথ্যে বললেন? যাতে জানতে পারেন আমার বিএফ নেই?” উনি দাত কেলিয়ে বললো।”
—-” ইয়াপ রেড রোজ, আমি কিছুক্ষণ ভেবে বললাম,
—-” এর জন্যই আপনি হাসছিলেন? দেখে মনে হয়েছিলো বিশ্ব জয় করে ফেলেছেন।” উনি মুচকি হেসে বললো,
—-” হুম কারণ আমার কাছে তোমাকে পাওয়া আর বিশ্ব জয় করা একই। ইনফ্যাক্ট তোমাকে পাওয়া তার থেকেও বেশী।” আমি ওনার মুখের দিকে তাকিয়ে আছি। এবার উনি দুষ্টু হাসি দিয়ে বললো,
—-” তুমি কাঁদছিলে কেন?” আমি মিনমিন করে বললাম।”
—-” আমি কাঁদিনি হু, উনি আমার কোমর ধরে নিজের সাথে মিশিয়ে ফেললো। ওনার গরম নিঃশ্বাস আমার মুখে পড়ছে। আমার তো কাঁপা, কাঁপি শুরু হয়েছে। শুভ্র ভাই আমার চুল কানে গুজে দিয়ে বললো।”
—-” তুমি ভেবেছিলে আমি অন্য কাউকে বিয়ে করবো। আর এর জন্যই তুমি কাঁদছিলে। কিন্তুু রেড রোজ তুমি এটা কি জানো? তোমাকে ছাড়া অন্য কোন মেয়েকে বিয়ে তো থাক দুরের কথা। অন্য কোন মেয়েকে নিয়ে ভাবারও নেই আমার সাধ্য। কারণ বলে উনি আমার কপালে ভালবাসার পরশ একে দিলো। আমিও শক্ত করে ওনাকে জড়িয়ে ধরলাম। এই মানুষটা যে আমার শুধুই আমার। উনিও আমাকে জড়িয়ে ধরে চুলে বিলি কেটে দিচ্ছে। আমি পরম শান্তিতে ওনার বুকে মুখ গুজে আছি।”
গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত