ছোট বেলা থেকেই ইচ্ছে ছিলো আমার জামাইটা পুরো বউ পাগল হবে। তাই প্রেমটাও কখনো করা হয়নি , সবসময় এটাই ভাবতাম বিয়ের পরে জামাইয়ের সাথে প্রেম করবো, আর আমার জামাই আমাকে ছাড়া কিচ্ছু বুঝবে না। সারাক্ষণ শুধু বউ বউ করবে।
টিভি সিরিয়ালে প্রায় কাহিনীতে দেখতাম নায়ক নায়িকার পিছু ছাড়েনা, নায়িকা যেখানে নায়কও সেখানে। অদ্ভুত কারণে ব্যপারটা আমার খুব ভালো লাগতো। তাই একটাই চাওয়া ছিল আমার জামাইও এমন হোক। আমার সব স্বপ্ন একদিন সত্যি হলো, সুসজ্জিত গাড়ীতে চড়ে লাল টুকটুকে পাগড়ী পরে আমার বর আসলো। বিয়ে পড়ানোর সময় আমি এক হাত ঘোমটার আড়াল থেকে লুকিয়ে তাকে দেখতে চাচ্ছিলাম,কিন্তু কোনো জানি বারবার তার চোখাচোখি হতে হচ্ছিলো। মানে আমার দিক থেকে আমার জামাইয়ের চোখ অন্যদিক ফিরছিলোই না। তাই আর লজ্জায় উনার দিকে তাকাতে পারিনি। আর এই বিষয়টা নিয়ে ততক্ষণে সেখানে হাসির রোল পড়ে গেলো। এবং সবাই হাসাহাসি করছে আর বলছে, আরে জামাই তো বউয়ের থেকে চোখই সরাচ্ছেনা। নিশ্চয়ই এটা বউ পাগল হবে।
তাকে নিয়ে লজ্জা পাওয়ার শুরুটা এখান থেকেই শুরু হয়েছিল।তবে সেদিন খুশি হয়েছিলাম এটা ভেবে যে আমার সারাজীবনের ইচ্ছেটা অবশেষে ঠিক পূরণ হলো। আমার জামাই তাহলে আমার জন্য পাগল থাকবে। ভেবেছিলাম বিয়ের আগে আমাকে ভালো করে দেখে নাই বলেই হয়তো বিয়েরদিন তার দেখার আক্ষেপ তীব্র ছিল। কিন্তু নাহ, এরপর আস্তে আস্তে বুঝতে পারলাম আমার সারাজীবন এমন উদ্ভট স্বপ্ন দেখাটাই ভুল ছিলো। সেই স্বপ্নটা পূরন হয়েছে। বউ পাগল হোক চেয়েছিলাম তবে সবদিক ভুলে গিয়ে সে পুরোপুরি পাগল হোক সেটা তো চাইনি। সে ঠিক এমনি,সবকিছু ভুলে সারাক্ষণ বউ ছাড়া কিছু বুঝেনা।
বিয়ের পর পর একটা রীতি আছে,বউকে তার পরিবারের লোকজন নিয়ে আসবে এবং তখন জামাই সাথে যাবেনা। কয়েকদিন থাকার পরে জামাই গিয়ে নিয়ে আসবে। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে এটা মারাত্মক কাল হয়ে দাঁড়ালো, আমার জামাই আমাকে পরিবারের লোকদের সাথে যেতে দিবেনা,আর যেতে হলে সেও সাথে যাবে। এমনকি বাচ্চাদের মতো কাঁদতে শুরু করে দিছে। আমি কোনো রকম বুঝিয়ে বললাম একটাদিন অন্তত থাকো, আমাদের ফোনে কথা হবে, ভিডিও কলে কথা হবে, এরপরেরদিন বরং চলে যেও। যাক আমি কোনো রকম বুঝিয়ে দুপুরের দিকে চাচার সাথে বাসায় গেলাম। গাড়ীতেও এক মিনিটের জন্য ফোনটা রাখতে পারিনি, সারাসময় তার পাগলামি কথাবার্তা শুনতে হয়েছে৷ বাসায় গিয়ে মাথা ব্যথার অজুহাতে ফোনটা রেখে সবার সাথে কিছুক্ষণ সময় কাটালাম, ইচ্ছে করেই ফোন সাইলেন্ট করে একটু ঘুমালাম। সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ আম্মু এসে আমাকে ধাক্কা দিতে দিতে বললো,
___ এই উঠ, তোর মোবাইল কি হয়েছে? জামাই তোকে ফোনে না পেয়ে চলে আসছে। তোর চিন্তায় কাঁদতে কাঁদতে তার চোখমুখ গিয়ে দেখ কি অবস্থা। আম্মুর কথা লাফিয়ে উঠে বসলাম, উফফ! কাকে এতো বুঝিয়ে রেখে আসলাম। নিজের মাথার চুল টেনে নিজেরই এখন কাঁদতে ইচ্ছে করছে। এর মধ্যে তাকিয়ে দেখি আমার জামাই হুড়মুড় করে এসে রুমে প্রবেশ করেছে৷ আমাকে দেখেই দৌঁড়ে এসে হাত ধরে বসে বিলাপ করতে শুরু করে দিলো, আম্মু লজ্জায় মুখ ফিরিয়ে তারাতাড়ি রুম থেকে বেরিয়ে গেলো। আমি চোখ বড় করে বললাম..
___ ওই তোমারে না আমি এতো বুঝিয়ে রেখে আসলাম, তুমি এখন আসলা কেন? তারপর আম্মুর সামনে এসব কি শুরু করছো? তখন দেখি বেচারার চেহারা আরো লাল হয়ে গেছে, বিনিয়ে বলতে লাগলো
___ কি করবো বলো? তুমি ফোন ধরছিলে না আমি তো চিন্তায় অস্থির হয়ে যাচ্ছিলাম, তোমার কোনো কিছু হয়ে গেলোনা তো। তারপর আবার তোমাকে দেখতে খুব ইচ্ছে করছিলো তাই চলে আসছি। আমি উপরে তাকিয়ে নিজের রাগকে কিছুটা কন্ট্রোল করে বললাম.
___এতো চিন্তার কি হলো আজব, আমি তো গাড়ী থেকে নেমে বলেছিলাম বাসায় পৌঁছেছি। এরপর আর কেন চিন্তা করতে হবে? আর চিন্তা করছো মানলাম, আমাকে ফোনে পাও নাই। তুমি তো আম্মু আব্বু কারো ফোনে ফোন দিয়ে জানতে পারতে তাইনা? আসলা কেন তুমি? আর আমাকে না তুমি দেখতে ইচ্ছে মানে কি? আজকেই তো মাত্র আসলাম। আল্লাহ আমি কোথায় যাবো? আমাকে এমন বিষন্ন হতে দেখে সে উঠে আমার পাশে বসে বারবার গালে হাত দিয়ে বলতে লাগলো
___আমি আসছি বলে তুমি খুশি হওনি? একটু হাসোনা বউ।
___ ছাড়ো, হাসতে বলতেছো? এদিকে আমার চিল্লাইতে ইচ্ছে করতেছে। আমার মানসম্মান সব শেষ করে দিবা তুমি? জানো তুমি এভাবে চলে আসছো শুনলে চারপাশের সবাই কতো হাসবে আমাকে নিয়ে? ধ্যাত আমি কারে কি বুঝাই, সেতো আমি ছাড়া কিছু বুঝেই না৷তারপর আমি হাত ছাড়িয়ে এখান থেকে উঠে দরজার কাছে গিয়ে বললাম,
___রুমের ভেতরেই থাকবে,আমি লক করে যাচ্ছি। কেউ যেন না জানে তুমি এখানে। সে উঠে বলতে চাইছিলো আমার সাথে আসবে কিন্তু শুনিনি। দরজা লাগিয়ে চলে আসলাম। মা বাবাও ওর এমন কান্ডে হাসলো। আমার আর বাবার বাড়িতে বেশি থাকার কপাল হলো না। পরেরদিন ওরে নিয়ে চলে গেলাম। প্রথমদিকে তো নতুন বউ ছিলাম,রান্নাঘরে যাওয়া হয়নি,কিন্তু এখন গিয়ে পড়লাম আরো বিপদে। আমি রান্না করতে গেলে আমার পেছন পেছন গিয়ে রুমাল হাতে দাঁড়িয়ে থাকে, আমি নাকি ঘেমে যাবো। মুখের সামনে হাত উঠিয়ে রাখে আগুনের আঁচে নাকি কালো হয়ে যাবো। আমার শাশুড়ীর সামনেও এমন করতে শুরু করে দিছে। বেশিরভাগ সময় সে আসলে শাশুড়ী এখান থেকে উঠে চলে যায়৷
তারপর শুরু হয় কাড়াকাড়ি, আমাকে কাজ করতে দিবেনা। সে পারেনা তাও চোখ কচলাতে কচলাতে পেঁয়াজ কেটে দিবে, মরিচ কেটে দিবে। তেলে মাছ ছাড়ার সময় আমাকে ঠেলে দূরে সরিয়ে দিবে,তেলের ছিঁটা পড়লে নাকি পুড়ে যাবে হাত। মানে অতিরিক্ত পাগলামি শুরু করে দিলো আর আমি বিরক্ত হয়ে যাচ্ছিলাম। সেদিন মেহমান আসছে, সকাল বেলা অনেকগুলো রুটি বানানোর আয়োজন, শাশুড়ী মা চুলায় ভাজতেছে আর আমি রুটি বেলতেছি। পাশে মেহমানরা বসে কথা বলতেছে। এর মধ্যে জামাইকে দেখলাম এদিক ওদিকে ঘুরছে,মেহমানের জন্য সুযোগ পাচ্ছেনা। হঠাৎ করে দরজার সামনে বসে থাকা আন্টির ফোনে কল আসলো,উনি উঠে একটু সরার সাথে সাথে সে এক দৌঁড়ে আমার কাছে। এসেই টানতে লাগলো সে বানাবে, এতোগুলো রুটি বানালে নাকি আমার হাত ব্যথা করবে। শাশুড়ীর দিকে আমি আড় চোখে তাকিয়ে দেখি উনি ভেবাচেকা হয়ে তাকিয়ে আছেন। তখনি দেখি মেহমান মানে আন্টিটা এসে আবার বসেছে। আমাদের দিকে তাকিয়ে উনি জোরে হাসতে শুরু করে দিলো। আর আমার শাশুড়ী ও আমার স্বামীকে উদ্দেশ্য করে বললো..
___ তুই বলেছিলি তোর ছেলে বউ পাগল, তাই বলে এতটা পাগল সেটা আন্দাজ করতে পারিনি। কিরে সারাদিন বউয়ের আচঁল ধরে থাকবি নাকি ব্যবসায়ও একটু নজর দিবি? সে প্রথমে তার মার দিকে রেগে তাকালো, তারপর আন্টির দিকে তাকালো। তারপর জোরে জোরে বললো,
___আম্মু আমার বউ আমি বিয়ে করছি, আমিই পাগল হবো,আচঁল ধরে বসে থাকবো। এটা সবাইকে বলতে হবে কেন? আর আন্টি শুনেন আমার ব্যবসায় বিয়ের আগে যথেষ্ট সময় দিয়েছি। এখন লোক রেখেছি ওরাই সব করবে। আমার বউকে রেখে আমি কোথাও যাবোনা।
ওর কথা শুনে হাসার কথা ছিল, কিন্তু আমার কাঁদতে ইচ্ছে করছে। সে নাকি আর কাজেও যাবেনা। আল্লাহ এভাবে আর কয়েকদিন গেলে আমিই পাগল হয়ে যাবো। নিজের কপাল চাপড়ে নিজেকেই জিজ্ঞাসা করতে ইচ্ছে করছে কেন আমি বউ পাগল জামাই চাইছিলাম! প্রায় ১৫ দিন চলে গেলো, এর মধ্যে শুধু একবার বাবার বাড়িতে গেছিলাম। সেটাও সে নিয়ে গেছিলো। সারাক্ষণ চোখের সামনে থাকা চায়। লোকলজ্জায় পড়ার আগে চলে আসতে হয়েছিলো। সেদিন ছিল বিয়ের ২০তম দিন। ইচ্ছে করেই সেদিন গোসলে দেরি করছিলাম, মানে বাথরুমে অযথা বসে ছিলাম, সাথে একটা টুল নিয়ে গেছি । ওর বকরবকর শোনার চেয়ে আমার এখানেই বসে থাকতে ভালো লাগছে। একটা মানুষ এতো বেশি চোখের সামনে থাকলে বিরক্তি এসে যায়। এদিকে সে জানে আমার গোসল করতে সর্বোচ্চ ২০ মিনিট লাগে। ২০ মিনিট পার হওয়ার পরেই ডাকতে লাগলো,
___ ওগো তোমার শেষ হয়েছে। কতক্ষণ দেখিনা তোমায়। কাপড় রেখে চলে আসো, আমি ধুয়ে দিবো। তুমি ধুবেনা কিন্তু, তোমার হাত জ্বলবে। আমি কোনো শব্দ করলাম না। একদম ঝিম মেরে বসেই রইলাম। অতিরিক্ত কেয়ার সত্যিই প্যারা। ৩০ মিনিট চলে গেলো, এখন বুঝতে পারছি সে এদিক ওদিক ঘুরছে আর বলছে আজকে দেরি কেন? তাও আমি কোনো পাত্তা দিলাম না। ৪০ মিনিটের মাথায় সে দরজায় টুকা দিতে থাকলো, আর অস্থির কণ্ঠে বলতে লাগলো,
___তোমার কিছু হয়নি তো? আমার খুব ভয় লাগছে। বউ প্লিজ দরজা খুলো। তারাতাড়ি আসো।
আমি তাও কোনো আওয়াজ করলাম না। ১ ঘন্টা চলে গেলো, এবার সে হাঁউমাঁউ করে কাঁদতে শুরু করছে, তারপরও কথা বললাম না। এসব ন্যাকামো বিরক্ত লাগছে আরোও। এর ঠিক ১০ মিনিট পর সে পুরো বাসার মানুষকে ডাকাডাকি শুরু করে দিছে। সবাই বুঝতে পারছে আসলে কিছুই হয়নি, তারা তো নিজ চোখে দেখে ওর কান্ডকারখানা,তারা আন্দাজ করতে পারছিলো ওর অতিরিক্ত পাগলামিতে বিরক্ত হয়ে আমি ইচ্ছে করেই এমন করছি। তাই ওর ডাকাডাকিতেও পরোয়া করলোনা। দেড় ঘন্টার মাথায় দেখি দরজায় জোরে জোরে আওয়াজ হচ্ছে। মনে হচ্ছে এবার দরজা ভেঙেই ফেলবে। কিন্তু এরপরও আমি সাড়া দিলাম না। ভাঙুক দরজা, ভাঙতে যতক্ষণ সময় লাগে অন্তত ততক্ষণ একটু শান্তিতে বসে থাকি। এরপর কিছুক্ষণ নিরব। কোনো সাড়াশব্দ পেলাম না। ঠিক আধ ঘন্টা পরে শুনলাম অনেকগুলো জুতার ধপধপ আওয়াজ। আমি বুঝতে পারলাম না কারা আসছে। কান পেতে শোনার চেষ্টা করলাম, তখন শুনি অপরিচিত কেউ বলতেছে
___আমরা দেখতেছি দরজা কিভাবে ভাঙা যায়। আপনি চিন্তা করবেন না, হতে পারে ভেতরে আপনার স্ত্রী মাথা ঘুরে কিংবা কোনো দূর্ঘটনার শিকার হয়েছে। এদের কথা শুনে হেসে ফেললাম আমি,সে তাহলে পুলিশ নিয়ে আসছে। পুলিশের সাথে বাড়ির সব সদস্যরাও আছে। এর মধ্যে আমার শাশুড়ী বলতেছে,
___ স্যার আমার বউমার যদি কিছু হয় তাহলে এর দায়ভার আমার ছেলের। সে যদি সুইসাইডও করে সেটাও ওর জন্য। আমার ছেলে খুব জ্বালায় বউটাকে। খুব বেশি প্যারা দেয় । হয়তো মেয়েটা এসব সহ্য করতে না পেরেই আত্মহত্যা করেছে। তখন শুনলাম একজন পুলিশ বলতেছে,
___আপনার আম্মুর কথা কি সত্যি? আমি কোনো রকম মুখ চেপে হাসি বন্ধ রাখার চেষ্টা করে শুনতে লাগলাম কি বলে। শুনলাম সে কেঁদে কেঁদে বলতেছে
___আমি তো আমার বউকে ভালোবাসি,খুব ভালোবাসি। সবসময় চোখেচোখে রাখি৷ তাকে না দেখে আমি এক
মূহুর্ত থাকতে পারিনা। আমার জন্য আমার বউ কেন সুইসাইড করবে? আমার বউয়ের কিছু হলে আমিও মরে যাবো বলে দিলাম । তখন আমার শাশুড়ী আদুরে কণ্ঠে বললো,
___ আচ্ছা যাগগা বাদ দে। যার দোষেই মরুক তুই মরবি কেন বাবা? তোর তো বউ দরকার, আমি আরেকটা বউ
এনে দিবো ঠিক আছে? তারপর আবার এমন করলে আবারও আরেকটা এনে দিবো। তাও আর কান্না করিস না বাপ আমার। সে তার মার কথায় আরো জোরে জোরে কেঁদে উঠে বললো,
___আমার আর কোনো বউ চায়না। আমি শুধু আমার এই বউকেই চাই। আমি তাকে খুব ভালোবাসি। প্লিজ দরজা ভাঙতে বলো আম্মু। প্রমিজ আমি আর অতিরিক্ত পাগলামি করবোনা। তখন কেউ এসে দরজার উপর আঘাত করতে যাবে, আমি তখনি দরজা খোলে বেরিয়ে আসলাম। আমাকে দেখে সে দৌঁড়ে এসে জড়িয়ে ধরার কথা ছিল। কিন্তু সেটা না করে, সে সেখানে ছিল সেখানে দাঁড়িয়েই শুধু কাঁদতে লাগলো।
পুলিশের একজন বললো,
___যাক আপনি বেঁচে আছেন৷ আপনার স্বামী হাতেপায়ে ধরে টেনে আমাদের নিয়ে আসছে। এমন বউ পাগল একটা জামাই পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপারস্যাপার! আপনার জামাইকে গুরুত্ব দিয়েন ম্যাডাম। বলেই ওরা চলে গেলো,সাথে ঘরের অনন্য সদস্যরাও৷ এতক্ষণ ওর এমন পাগলামিতে আমিও কেমন জানি হয়ে গেলাম, তাই নিজে থেকেই গিয়ে ওরে জড়িয়ে কেঁদে ফেললাম। সে কানের কাছে ফিসফিস করে বললো,
___শুনেছো তো কি বলে গেলো, এমন জামাইকে গুরুত্ব দিতে হয়। আমার মতো পাবেনা কাউকে বুঝলে? কতো
ভালোবাসি তোমায়। আর তোমার কাপড়গুলো কি তুমিই ধুয়ে ফেলছো? দাঁড়াও আমি ধুয়ে আসছি। আমি তাকে ছেড়ে দিয়ে উপরে দু’হাত তুলে বললাম, এএ খোদা আমাকে সত্যি সত্যি উঠিয়ে নাও এবার নয়তো তাকে অন্যদের মতো স্বাভাবিক করে দাও। আমার এমন বউ পাগল জামাই চাইনা!
গল্পের বিষয়:
গল্প