অবিশ্বাস

অবিশ্বাস
অফিসের একটা কাজে আবার রাজশাহী যেতে হচ্ছে।সকাল সকাল স্টেশনে গিয়ে টিকিট কেটে নিজের সিটে গিয়ে বসে পড়লাম। নিজের সিটে বসে সামনে তাকিয়ে অবাক হয়ে গেলাম।কারণ সামনে আমার ভাইয়া ভাবি,,ও ভাবীর কোলে একটা বাচ্চা,,আব্বু,,আম্মু,,ও ভাবীর বোন মায়া বসে আছে।
আমি তাদের দেখে অবাক হলাম তারাও আমাকে দেখে অনেক অবাক হলো তবুও কেউ আমার সাথে কথা বললোনা। কথা বলবেই বা কি করে ৮বছর আগে ভাবির একটা মিথ্যা নাটকের জন্য আমার পরিবার আমাকে ত্যাএপুএ করছে। আমিও খুশি মনে তাদের ছেড়ে চলে এসেছি।। এবার আমার পরিচয়টা দেই। আমি সাজ্জাদ কেআর আপাতত একটা প্রাইভেট কোম্পানির এমডি। পরিবার থাকার সত্বেও আমার কেউ নেই। দেখলাম ভাইয়া আমাকে কিছু বলবে মনে হয়।সেটা শুনার আগেই আমি সিটে থেকে ওঠে এসে দরজার কাছে দাড়ালাম। এবার চলুন আপনাদের আমার অতীত বলি??  ৮বছর আগে তখন আমি সবে ইন্টার পরীক্ষা দিয়েছি রেজল্টের অপেক্ষায় আছি। পরিবার বলতে আব্বু,,আম্মু,,ভাইয়া এই ছিল আমার পরিবার।। একদিন রাতে রুমে বসে ফেসবুক চালাচ্ছিলাম।তখন আব্বু আমার রুমে এলেন এবং বললেন।।
আব্বুঃ শুন তোর ভাইয়ার বিয়ে ঠিক করেছি??
আমিঃ এটাতো ভালো কথা এখন আমাকে কি করতে বলো??আর বিয়ের দিন আমি থাকবো না।।
আব্বুঃ সেটা আমি জানি।আর তোর সব বন্ধুদের দাওয়াত দিস।
আমিঃ আচ্ছা দিব।।
আব্বুঃ হুম।।
আব্বু আর কিছু বললো না সোজা নিচে চলে গেল। আপনারা আবার ভাবছেন নিজের ভাইয়ের বিয়ে অথচ আমি থাকবোনা কেন। তাহলে শুনন আমি কোনো রকম অনুষ্ঠানে থাকতে পারিনা।আমার অনেক সমস্যা হয়।আর এই জন্য আমার পরিবার আমাকে কখনো জোর করেনা। আব্বু চলে যাওয়ার পর আমি নিচে এসে ডিনার করে ঘুমিয়ে গেলাম। সকালে ঘুম থেকে ওঠে ফ্রেশ হয়ে সবাই একসাথে নাস্তা করলাম।তারপর আব্বু আমাকে কিছু কাড দিলো। কাড গুলো ছিল ভাইয়ার বিয়ের কার্ড। কার্ড গুলো আমার হাতে দিয়ে বললেন??
আব্বুঃ শুন আজকেই তোর বন্ধুবান্ধব আত্নীয় স্বজন যত লোক আছে সবাইকে কার্ড গুলো দিয়ে আসতে বলবি??
আমিঃ ঠিক আছে বলবো।।
তারপর আমি কার্ডগুলো নিয়ে বের হয়ে এলাম।এবং আমার সব বন্ধুদের দাওয়াত দিলাম তারপর বাসায় চলে এলাম।। রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে লাঞ্চ করে ঘুমিয়ে গেলাম। বিকেলে ঘুম থেকে ওঠলাম তারপর নিজের জামাকাপড় প্যাক করে নিচে এলাম।। ৩দিন পর ভাইয়ার বিয়ে।আমি আজকে কক্সবাজার যাব সেখানে ৭দিন থেকে বাসায় আসবো।। বাসার সবাইকে বিদায় দিয়ে বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম কক্সবাজারের দিকে।। আমি সব জায়গায় বাইক নিয়ে যায়।। দীঘ ১৫ঘন্টা টানা। বাইক চালানোর পর কক্সবাজার এসে পৌছেলাম। এখানে ৭দিন অনেক মজা করে কাটিয়ে আজকে আবার বাসায় ফিরে যাচ্ছি। বাসায় এসে কলিংবেল বাজাতেই একটা অপরিচিত মেয়ে এসে দরজা খুলে দিয়ে চলে গেল।মেয়েটাকে ভালো করে খেয়াল করে দেখলাম দেখতে একদম পরীর মতো।। যাই হোক আমি সেদিকে সময় না দিয়ে রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে তারপর দিলাম একঘুম।। একবারে রাতে ঘুম ভাংলো। তাড়াতাড়ি করে বিছানা ছেড়ে ফ্রেশ হয়ে নিচে চলে এলাম।
নিচে এসে দেখি দুজটা মেয়ে ও তাদের সাথে সবাই বসে আছে আপনাদের আগে বলে রাখি আমি এখনো আমার ভাবীর কোনো ছবি দেখেনি তাই চিনি না। আমিও গিয়ে ওদের সাথে বসলাম।তখন আব্বু আমাকে মেয়ে দুইটার সাথে পরিচয় করিয়ে দিল। একজন হলো আমার ভাবী।আরেকজন হলো ভাবীর বোন নাম মায়া। দুইজনের সাথে পরিচিত হলাম।মায়ার আমার সাথে বেশ ভালো করেই কথা বললো। কিন্তু ভাবীর আমার সাথে তেমন একটা কথা বলছেনা।তার চোখে আমি বিরক্তের ছাপ দেখতে পারছি। তাই আমিও তেমন একটা কথা বললাম না।চুপচাপ বসে থাকলাম। তারপর ডিনার করে ঘুমিয়ে গেলাম। খুব সকালেই ঘুমটা ভেঙে গেল তাই ওঠে ফ্রেশ হয়ে ছাদে চলে গেলাম। ছাদে গিয়ে দেখি ভাবি ও মায়া দাড়িয়ে আছে।ভাবি আমাকে দেখে মায়াকে সঙ্গে করে নিয়ে নেমে গেল।।আমি নিজের মতো করে ছাদে দাড়িয়ে থাকলাম।কিছুক্ষণ পর মায়া আবার ছাদে এলো। এবং আমার পাশে এসে দাড়ালো।। আমি ওর দিকে একবার তাকিয়ে আবার সামনে তাকালাম।তখন মায়া আমাকে বলল??
মায়াঃ কি করছেন??
আমিঃ এইতো দাড়িয়ে আছি??
মায়াঃ আচ্ছা একটা কথা জিজ্ঞাসা করি??
আমিঃ আচ্ছা বলেন কি বলবেন??
মায়াঃ আপনি কিসে পড়েন?
আমিঃ ইন্টার পরীক্ষা দিয়েছি।আপনি?
মায়াঃ আমিও।আচ্ছা আমরা যেহেতু একই ক্লাশে পড়ি তাহলে ফ্রেন্ড হতে পারি??
আমিঃ ঠিক আছে ফ্রেন্ড।
মায়াঃ তাহলে কিন্তু তুমি করে বলতে হবে??
আমিঃ তুমিও কিন্তু আমাকে তুমি করে বলবে??
মায়াঃ ওকে।।
তারপর আমরা কিছুক্ষণ গল্প করে রুমে চলে এলাম।মায়া মেয়েটা অনেক মিশুক সহজেই আমার সাথে মিশে গেছে।। ৭দিন পর আজকে মায়া চলে যাচ্ছে।সাথে আমার ফ্যামিলির সবাই শুধু আমি বাদে। একদিন রাতে ছাদে দাড়িয়ে ছিলাম যখন নিচে নেমে রুমে যাব তখন ভাইয়ার রুম থেকে ভাবি ভাইয়াকে আমার ব্যাপারে কি যেন বলছে। আমি দরজায় লাগিয়ে দিলাম তখন ভাইয়া ভাবিকে বলল।
ভাইয়াঃ আচ্ছা আমরা সবাই তোমার বাড়িতে যাচ্ছি।সবাইকে যেতে বললে কিন্তু সাজ্জাদকে বললেনা কেন?
ভাবিঃ দেখ তোমার ভাইকে আমি দু চোখে দেখতে পারিনা।আর ওকে আমার ভালো লাগেনা তাই কথা বলিনা।আর যেতেও বলিনা
ভাইয়াঃ কি কারণে দেখতে পারোনা সেটা আমাকে বলবে?
ভাবিঃ সেটা বলতে পারবো না।আমি ওকে দেবর হিসেবে মানতে পারবো না এটাই শেষ কথা।।
ভাইয়া আর কিছু বললোনা।আমি এসব কথা শুনে পায়ের নিচের মাটি সরে গেল।। আমি আর মূহূর্ত ওখানে দাড়িয়ে না থেকে আবার ছাদে চলে এলাম। আমার কানে শুধু ভাবীর কথা গুলো বারবার বাজছে। এসব নিয়ে ভাবছি তখন কে যেন আমাকে পিছন থেকে ডাক দিলো।আমি পিছনে তাকিয়ে দেখি মায়া দাড়িয়ে আছে। আমার কাছে এসে আমার হাতে একটা চিঠি দিয়ে মায়া নিচে চলে গেল।।আমি চিঠিটা খুলে দেখি সেখানে লেখা আছে। তোমাকে প্রথম যেদিন দেখি সেদিন তোমাকে ভালো লাগে।আর তোমার সাথে থাকতে থাকতে এতদিনে তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি।। তাই I Love You
ইতি,,
মায়া চিঠিটা পড়ে আমি কিছুক্ষণ ঘোরের ভেতর ছিলাম।সত্যি বলতে আমিও মায়াকে ভালোবেসে ফেলেছি। তাই ওকে হ্যাঁ বলে দিব।। তারপর আমি ছাদে থেকে নেমে সোজা রুমে এসে ঘুমিয়ে গেলাম। সকালে সবাই ভাবীর বাসাতে গেল শুধু আমি বাদে।। সবাই চলে যাওয়ার পর আমি রুমে এলাম তখন আমার ফোনটা বেজে ওঠলো।পকেট থেকে বের করে দেখি মায়া ফোন করেছে।। আমি ফোনটা রিসিভ করলাম তখন ওপাশ থেকে মায়া আমাকে বলল।
মায়াঃ কি মিস্টার আমার প্রশ্নের উওর কোথায়??
আমিঃ Love You 2
মায়াঃ সত্যি??
আমিঃ হুম।
এইভাবে শুরু হয়েছিল আমাদের ভালোবাসা দেখতে দেখতে ২০দিন কেটে গেছে। আমাদের কথা এখনো কাউকে জানায়নি আর ভাবিতো এখন আমাকে আরো দেখতে পারেনা। ২০দিন পর মায়া ফোন করে আমাকে বলল তারা নাকি কালকে আসবে আমাদের বাসায়। আমি আচ্ছা বলে দিলাম। সকালবেলা ছাদে বসে আছি হঠাৎ মায়া এসে আমার পাশে দাড়ালো। তখন আমি মায়াকে বললাম।।
আমিঃ তুমি কখন এসেছো??
মায়াঃ এইমাএ এলাম।কেমন আছো?
আমিঃ ভালো তুমি?
মায়াঃ আমিও ভালো।।
এভাবে কথা বলছি হঠাৎ কোথা থেকে যেন ভাবী এসে মায়াকে টানতে টানতে নিয়ে গেল।।মায়াকে নিয়ে যাওয়ার পর আমিও নিচে গেলাম। দেখলাম সবাই বসে আছে।আমি আব্বুর কাছে যেতেই আব্বু কোনো কথা না বলে আমাকে মারতে লাগল।। আমি তখন বললাম।।
আমিঃ আব্বু আমাকে মারছো কেন??
ভাইয়াঃ কি জন্য মারছি জানিস না।
এই বলে ভাইয়াও আমাকে মারতে লাগল।।প্রচন্ড মারার কারণে আমি শুয়ে পড়ি আমার শরীর অনেক জায়গা দিয়ে রক্ত পড়ছে।।তখন তারা মারা বন্ধ করে আব্বু বললো।
আব্বুঃ তোকে আমার ছেলে বলতেও ঘৃণা হয়।তুই এই কাজ করবি আমি আগে জানতাম না।।
আমিঃ আমি কি করেছি সেটা অন্তত আমাকে বলো।।
ভাবীঃ কি করেছো মানে আমার বোনের ইজ্জত নষ্ট করতে চেয়েছিলেনা।। ভাবীর কথা শুনে আমি আকাশ থেকে পড়লাম।এসব কি বলছে ভাবি তখন আমি বললাম।।
আমিঃ ভাবী আপনি এগুলো কি বলছেন।আপনার মাথা ঠিক আছে।
ভাইয়াঃ যা সত্যি তাই বলেছে।মায়া নিজে আমাদের বলেছে যে তুই ওর ইজ্জত নষ্ট করতে চেয়েছিস??
আমিঃ মায়া তুমি অন্তত বলো আমি এগুলো কিছুই করিনি (মায়াকে উদ্দশ্য করে)
মায়াঃ হ্যাঁ তুমি আমার (বলে ন্যাকা কান্না শুরু করলো)
আব্বুঃ আমি এখনি তোকে ত্যাগপুএ করবো।আজকে থেকে আমার একটা ছেলে। আমি কিছুই বললাম না আমি জানি এটা ভাবীর সাজানো নাটক যেটাতে মায়াও ছিল।। তখন আমি আব্বুকে বললাম।।
আমিঃ তুমি এটা করোনা প্লিজ??
ভাইয়াঃ চুপ করে থাক তুই এই নে এটাতে সাইন করে দে(একটা কাজ দেখিয়ে)
আমিঃ আব্বু প্লিজ??
আব্বুঃ চুপচাপ সাইন করে দে নাহলে আমাদের মরা মুখ দেখবি?? এটা বলার পর আব্বু কাগজটা সাইন করতে বললেন।আমিও চুপচাপ সাইন করে দিলাম।। সাইন করার পর ভাবিকে বললাম।।
আমিঃ আপনি কাজটা ঠিক করলেন না এর বিচার আল্লাহ করবে।আর মায়া তুমিতো আমাকে ভালোবাসতে তাহলে এরকম করলে কেন।আর তোমার ভালো থেকে আজ থেকে তোমাদের সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।সত্যটা একদিন জানতে পারবে হয়তো আর আমাকে পাবেনা।। সবাইকে এই কথাগুলো বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে এলাম।। হাটতে হাটতে বাসস্ট্যান্ডে এসে বসে পড়লাম।।কাছে শুধু কয়েকহাজার টাকা আর মোবাইলটা আছে।। এখন ভাবতেছি কি করব। তখন আমার এক বন্ধু মিজুর সাথে দেখা ও ঢাকা যাচ্ছে সেখানে নাকি পড়াশুনা করে।।আমাকে দেখে আমার কাছে এসে বলল
মিজুঃ কিরে এখানে বসে থেকে কি করিস??
আমিঃ তো কি করবো আমারতো আর কোনো ঠিকানা নেই।।
মিজুঃ মানে কি হয়েছে আমাকে খুলে বল।।
আমিঃ তাহলে শুন সব ঘটনা খুলে বললাম।
মিজুঃ আচ্ছা তাহলে এখন আমার সাথে চল??
আমিঃ তোর সাথে কোথায় যাব??
মিজুঃ কোথায় আবার আমার সাথে ঢাকায় চল সেখানে আমার সাথে ম্যাচে থাকবি??
আমিঃ কিন্তু ম্যাচ ভাড়া আমি দিব কোথা থেকে??
মিজুঃ আমার সাথে ফ্রিল্যান্স করবি তাহলেই তোর চলে যাবে।।
আমিঃ ঠিক আছে চল।।
তারপর আমি মিজুর সাথে ঢাকা চলে আসি।তারপর ওর সাথে ম্যাচে ওঠে ফ্রিল্যান্স করে নিজের পড়াশুনা চালিয়ে নিলাম।প্রথম প্রথম কষ্ট হলেও পরে সব কিছু ঠিক করে নিয়েছি।। আস্তে আস্তে সপ্তাহ গেল মাস গেল তারপর কয়েকবছর কেটে গেল আমার পড়ালেখা শেষ করলাম।।তারপর একটা প্রাইভেই কোম্পানিতে এমডি হিসেবে জব পেলাম।। জব করেই নিজে ১৫টা ফ্ল্যাট বাসা কিনেছি সবগুলো ভাড়া দেওয়া থাকে।আর একটাতে আমি একাই থাকি।। সেদিন এর পর থেকেই মায়া নামটা আমার জীবন থেকে মুছে দিয়েছি।।এখন আমি কারোর জন্য আফসোস করিনা।। এই ছিল আমার অতীত চলুন বতমানে আসি।। বর্তমান ট্রেনের দরজার কাছে দাড়িয়ে এতক্ষণ অতীতের গল্প শুনালাম। দরজার কাছে থেকে সরে আবার নিজের সিটে গিয়ে বসলাম।দেখলাম সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে।মায়া তো আমার দিকে এক নজরে তাকিয়ে আছে।। আমি আর ওদের দিকে তাকালাম না বাইরের দিকে তাকিয়ে থাকলাম। ওদের দেখা বা কথা বলার কোনো ইচ্ছায় আমার নেই।। আমি বাইরে তাকিয়ে ছিলাম তখন ভাইয়া আমাকে বললো??
ভাইয়াঃ ভাই তুই কেমন আছিস??
আমিঃ আমি কারো ভাই না।আর আমি এতিম।।আমার কোনো পরিবার নেই।যারা ছিল তাদের কাছে আমি মৃত।।
এটা কথা বলার পর সবার চোখে আমি পানি দেখতে পেলাম।কিন্তু এই চোখের পানির মূল্য আর আমার কাছে নেই।।কিছুক্ষণ পর ট্রেনটা আমার গন্তুব্য মানে রাজশাহীতে থামল।।
আমি ট্রেন থেকে নামলাম।।আমার সাথে সাথে ওরা সবাই নামলো।।আমি তাদের দিকে একবার তাকিয়ে হাটা শুরু করলাম।। আমার জীবনে এমন লোকদের দরকার নেই যারা আমাকে বিশ্বাস করেনা।। তাই ঠিক করেছি আর কোনো তাদের কাছে ফিরে যাবোনা। আর মায়াকে কোনোদিন ক্ষমা করবো না।। স্টেশনে থেকে নেমে আমার গাড়ি করে রওনা দিলাম আমার বাসার দিকে।।চারিদিকে সন্ধ্যা নেমে আসছে।। আজ আমারো এরকম একটা ফ্যামিলি থাকতো।কিন্তু সবার ভাগ্যে সেটা হয়না।। তবুও ভালো থাকুক তারা আমি নাহয় একা খারাপ থাকি।।
গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত