পরিণতি

পরিণতি
যার সাথে আমার বড় বোনের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল তার সাথে এই মাত্র আমার বিয়ে হয়ে গেল। আমি হিয়া, অনার্স ২য় বর্ষে পড়ি। আর আমার আপুর নাম নিলিমা। আমার বড় চাচার মেয়ে। অনার্স শেষ করেছেন। চাচার কোন এক বন্ধুর ছেলের সাথে আপুর বিয়ে ঠিক করা হয়েছিলো। কিন্তু আজ বিয়ের দিনই আপু পালিয়ে গিয়েছে। সাথে একটা চিঠি লিখে রেখে গিয়েছিলেন।
বাবা-মা, পারলে আমাকে ক্ষমা করে দিও। আমি একজনকে ভালোবাসি। কিন্তু ভয়ের কারনে তোমাদের বলতে পারিনি। তাকে ছাড়া আমি থাকতে পারবো না। তাই আমি পালিয়ে গেলাম। আমায় খুজো না। ইতি নিলীমা। বড় চাচা এই চিঠি পড়ে কিংকর্তব্যবিমূড় হয়ে পড়েন। আজ বিয়ে, সব আয়োজন শেষ, কিন্তু মেয়ে পালিয়েছে। আত্মীয়স্বজন আর বন্ধুর কাছে মানসম্মান আর থাকবে না। বাড়িতে তখন শোকের ছায়া নেমে আসে। হঠাৎ ই চাচা দাঁড়িয়ে বললেন বিয়ে হবে। এক মেয়ে পালিয়ে গিয়েছে তো কি হয়েছে বাড়িতে তো আরও একটা মেয়ে আছে। চাচা তখন আমার কাছে এসে আমার হাত ধরে বললেন, তুই ই পারিস আমার মানসম্মান বাচাতে। তুই এই বিয়ে টা কর। চাচার কথা শুনে আমি চমকে উঠলাম। আমি কি বলব বুঝতে পারছিলাম না। চাচা আবার আবার বললেন কিরে করবি তুই এই বিয়ে, বাড়ির মানসম্মান বাচাবি?
চাচার চোখে এই প্রথম আমি জল আসতে দেখলাম। তিনি খুবই শক্ত আর রাগী মনের মানুষ। কিন্তু এই পরিবারের সবাইকে অনেক ভালোবাসেন। তার কথার অবাধ্য হওয়ার সাধ্যি নেই কারও। কিন্তু চাচার এই কথার উত্তরে আমার কি বলা উচিত বুঝতে পারছিলাম না। না আমি কাউকে ভালোবাসিনা। তবে অনার্স শেষ হবার আগে বিয়ের চিন্তা ছিলনা। তাও আবার এই ভাবে! আমি কিছু বলার আগেই আমার আব্বু বলে দিলেন, আমি এই বিয়ে করছি। এরপর আর আমার কিছু বলার ছিল না। তাই আমি বাধ্য মেয়ের মত রাজি হয়ে গেলাম। চাচা তার বন্ধুর সাথে কথা বলে সবকিছু ম্যানেজ করে নিলেন। অবশ্য বিয়ের আগে পাত্র আমার কাছে এসেছিলেন আলাদা কথা বলার জন্য। তার নাম শাওন। তিনি এসে আমাকে জিজ্ঞাস করেছিলেন,আমি বিয়েতে রাজি কিনা। আমি মাথা নাড়িইয়ে উত্তর দিলাম হ্যা।
তখন তিনি আমায় বললেন, তোমার আপু পালিয়েছে আমি একদিক থেকে খুশি। মনের মধ্যে একজনকে রেখে অন্য জনের সাথে সংসার করা কঠিন। আমাদের সংসার সুখী হওয়ার সম্ভাবনা কম ছিল। তাই তোমাকে আবার জিজ্ঞেস করছি সত্যিই তুমি এই বিয়েতে রাজি কিনা। কারন আজ যদি এই বিয়ে না হয়, হয়তো দুই পরিবারকে ছোট হতে হবে। কিন্তু কিছুদিন পর সবাই এটা ভুলে যাবে। আর সংসার আমাদের দুজনকে সারা জীবন করতে হবে। আমাদের পরবর্তী জীবনের সুখ নির্ভর করছে এই বিয়ের উপর।
তাই তোমার যদি পছন্দের কেউ থাকে আমাকে বলতে পারো, আমি সবাইকে বুঝিয়ে বলবো। তোমার আপুকেও আমি এই কথা জিজ্ঞেস করেছিলাম। কিন্তু তখন উনিও হ্যা বলেছিলো। হয়তোবা ফ্যামিলির চাপে বা ভয়ে। তাই আশা করি তুমি সত্যিটাই বলবে।আর আমি যাকে বিয়ে করবো সে আমার জীবনের প্রথম এবং একমাত্র নারী হবে, এজন্য আমিও যেন তার প্রথম এবং একমাত্র পুরুষ হই সেটাই চাইবো। ওনার এই কথা শোনার পর আমি খুব খুশি হলাম। আমি ওনার জীবনের প্রথম নারী ভাবতেই কেমন যেন ভালোলাগা কাজ করছে। আমিও খুব করে চাইতাম আমার স্বামী আমাকে অনেক ভালোবাসবে। বিয়ে নিয়ে আমার ভয় অনেকটাই কমে গিয়েছিলো ওনার কথা শুনে। তখন ওনাকে আশ্বস্ত করলাম, আমার পছন্দের কেউ নেই , আর এই বিয়েতেও কোনো আপত্তি নেই।
ব্যাস এরপর ওনার সাথে আপুর জায়গায় আমার বিয়ে হয়ে গেল। ৫ বছর পর, আজ আমদের ৫র্থ বিবাহ বার্ষিকি। সেই সাথে কয়েক দিন আগে জানতে পারলাম আমি ২য় বারের মত মা হতে চলেছি। তাই উনি ছোট খাটো একটা আয়োজন করেছেন দুই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে। এই পাঁচ বছর শাওনের সাথে বেশ সুখেই সংসার করেছি। উনি আমাকে অনেক ভালোবাসেন। আমার শ্বশুর-শ্বাশুড়ি ও আমাকে তাদের নিজের মেয়ের মতো ভালোবাসেন। বিয়ের দেড় বছরের মাথায় আমাদের কোলজুড়ে আসে এক কন্যা সন্তান। পরীর মতো দেখতে বলে উনি নাম রেখেছেন পরি। সবকিছু মিলিয়ে আমি অনেক সুখে আছি। মাঝে মাঝে ভাবি যদি কোনদিন আপুর সাথে হয় তাহলে আপু কে ধন্যবাদ দিব, যদি আপু ওই দিন পালিয়ে না যেত তাহলে হয়তো আমি এমন স্বামী-সংসার পেতাম না। পরীকে তৈরি করে দিয়ে শাওনের সাথে পাঠিয়ে দিয়েছি। আমাদের বাড়ি থেকেও সবাই এসে গিয়েছে। আমি তৈরি হচ্ছি এমন সময় আমার ফোনে একটি আননোন নাম্বার থেকে কল এলো। আমি রিসিভ করে সালাম দিলাম। কিন্তু ওইপাশ থেকে কোন উত্তর নেই।
-হ্যালো…হ্যালো…..কে বলছিলেন? তাও কেও উত্তর দিল না। ওই পাশ থেকে কোন উত্তর না পেয়ে আমি ফোনটা রাখতে যাব এমন সময় কেউ একজন বলে উঠল, কেমন আছিস হিয়া। ওই প্রান্তে থাকা ব্যক্তিটির কণ্ঠস্বর শুনে আমি চমকে উঠলাম। নীলিমা আপু…!!!
-পাঁচ বছর পর তোমার আমাদের কথা মনে পড়লো আপু? তোমাকে কত জায়গায় খোঁজা হয়েছে জানো তুমি? আমাদের কথা কি তোমার একটুও মনে পড়ে নাই?
-মনে পড়ছে রে খুব করে মনে পড়ছে
-তাহলে তুমি কেন ফিরে আসে নাই আপু। জানো চাচা-চাচী কত কষ্টে আছেন। তারা এখনো তোমার আশায় বসে আছে তুমি ফিরে আসবে। দেখেছ উত্তেজনায় আমি ভুলে গেলাম, তুমি কেমন আছো আপু আর কোথায় আছো?
-এখন ঢাকাতেই আছি।
-কেমন আছো সেটা বললে না যে?
এই কথা শোনার পরে আপু হু হু করে কেঁদে উঠলো।
-আপু তুমি কাঁদছো কেন সবকিছু ঠিক আছে তো?
তাও আপু কেঁদে যাচ্ছে, কোনও উত্তর দিচ্ছে না। আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, আপু কান্না থামাও আর বল কি হয়েছে ,তুমি যার সাথে পালিয়ে গিয়েছে সে কি তোমায় ধোঁকা দিয়েছে? আপু এবার কান্নাজড়িত কণ্ঠে উত্তর দিল, নারে বোন ও যদি আমার হাত ছেড়ে দিত তাহলে হয়তো আমার মরা ছাড়া কোন উপায় ছিল না।
-আপু প্রথমে শান্ত হও, তারপর বল তাহলে কি হয়েছে তোমার? আপু কোন রকমে কান্না থামিয়ে বললো, আমি বাবা-মাকে কষ্ট দেয়ার শাস্তি পাচ্ছি রে। বাবা-মায়ের সাথে যে অন্যায় করেছি আল্লাহ আমাকে এখন তার শাস্তি দিচ্ছেন।
-শাস্তি? কেমন শাস্তি আপু, সবকিছু খুলে বলো। এবার আপু বলা শুরু করলো,
-বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে ওই দিনই আমি আর আবিদ কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করে নেই। তারপর আমরা কুমিল্লা চলে যাই ওখানে আবিদের পরিবার থাকে। আবিদ পরিবারের একমাত্র ছেলে তাই ওর বাবা-মা আমাদের মেনে নিয়েছিলেন। আমরা বেশ সুখেই ছিলাম। বিয়ের দু’বছরের মাথায় জানতে পারি আমি প্রেগনেন্ট। সেই দিন আমি অনেক খুশি হয়েছিলাম। মনে হয়েছিল পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি মানুষ আমি। প্রেগনেন্ট অবস্থায় আবিদ আর ওর পরিবার আমার অনেক খেয়াল রাখতো। কিন্তু এইটুকু বলে আপু একটা দীর্ঘশ্বাস নিল। আমি জিজ্ঞেস করলাম, তারপর? আপু আবার বলতে লাগলো,
-তখন আমার প্রেগনেন্সির ৯ মাস। একদিন আমি বাথরুমে অসাবধানতাবশত পা পিছলে পড়ে যাই। আবিদ তখন অফিসে ছিল। আমার শাশুড়ি এসে আমাকে রক্তাক্ত অবস্থায় অজ্ঞান হয়ে বাথরুমে পড়ে থাকতে দেখতে পায়। কতক্ষণ ওই অবস্থায় ছিলাম তা কেউ জানে না। তারা আমাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করে। দুই দিন পর আমার জ্ঞান ফিরে। জ্ঞান ফেরার পর জানতে পারি আমার বাচ্চা আর পৃথিবীতে নেই। দুজনের অবস্থাই খুব ক্রিটিকাল ছিল। যেকোনো একজনকে বেছে নিতে হতো। আমি আমার বাচ্চা মুখটাও দেখতে পারিনি। ওই দুর্ঘটনার কারণে আমি মা হওয়ার ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলি।
এই বলে আপু আবার কান্না শুরু করল। সবকিছু শুনে আপুর জন্য আমার খুব খারাপ লাগছে। একটা সন্তান জন্ম দিতে একজন মায়ের যে কত কষ্ট করতে হয় তা শুধুই মা ই জানে।আপুকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা এই মুহূর্তে আমার কাছে নেই। কিছুক্ষণ পর আপু নিজেই কান্না থামিয়ে আবার বলা শুরু করলো, আমার সন্তানকে তো আমি পৃথিবীতে আসার আগেই হারিয়ে ফেলেছি। তাতেই আমার এত কষ্ট হচ্ছে। আর বাবা মা তারা তো আমাকে ২৪ বছর পর্যন্ত লালন পালন করেছে। তাদের ২৪ বছরের ভালোবাসা যখন পায়ে ঠেলে ফেলে এসেছিলাম তখন না জানি তারা কত কষ্ট পেয়েছিল। তাদের মান সম্মানের কথা চিন্তা না করে বিয়ের দিন পালিয়ে এসেছিলাম। তাদের কষ্ট দেওয়ার শাস্তি আমি পাচ্ছি।
-আপু তুমি চলে যাওয়ার পর চাচা-চাচী খুব ভেঙে পড়েন। তুমি যদি আগে থেকেই সব কিছু বলতে তাহলে হয়তো তারা মেনে নিতেও পারতেন। তোমার আগেই তাদেরকে বলা উচিত ছিল তুমি বিয়েতে রাজি না, অন্য কাউকে ভালোবাসো।
-আমি খুব ভয়ে ছিলাম। তাই বলতে পারিনি। কিন্তু আমার একবার চেষ্টা করা উচিত ছিল। ওই সময় সাহস করে বলতে পারলে হয়তোবা আজকের পরিস্থিতিতে পড়তে হতো না। সেই সাথে তোকেও ফাসিয়ে দিয়ে গেলাম। মান সম্মান বাঁচাতে ওই সময় তোকে বিয়েটা করতে হলো। তুমি জানো আপু?
-হ্যাঁ জানি। ছয় মাস আগে আবিদের ঢাকায় ট্রান্সফার হয়। তাই আমরা সবাই ঢাকায় চলে আসি। ঢাকায় এসে আমি সবার খোঁজখবর নেয়া শুরু করি। তখন জানতে পারি ওই সময় তোর সাথে বিয়েটা হয়। প্রথমে শুনে খুব খারাপ লাগছিল আমার জন্য বাবা-মা কষ্ট পেল, আবার তোকেও এইভাবে বিয়েটা করতে হলো। পরে জানতে পারলাম তুই স্বামী-সন্তান নিয়ে বেশ সুখেই আছিস। তখন খুব ভালো লাগছিল। হ্যাঁরে তোর মেয়ে কেমন আছে?
-ভাল আছে আপু, খুব দুষ্টু হয়েছে। আর একজন নতুন অতিথিও আসছে কথাটা বলেই আমি জিব্বায় কামড় দিলাম। এই মুহূর্তে আপুকে এই কথাটা বলা ঠিক হয়নি। তাই আপুকে বললাম, আপু কিছু মনে করো না, আসলে মুখ ফসকে বেরিয়ে গিয়েছে।
-না রে পাগলী কিছু মনে করব কেন, এটাতো খুশির সংবাদ। তবে সাবধান থাকিস আর নিজের যত্ন নিস।
-আচ্ছা। তুমি বাসায় আসবে না, সবার সাথে দেখা করবে না?
-বাসায় তো আসতে চাই, কিন্তু সাহস হয়ে উঠে না। কোন মুখ নিয়ে যাব তাদের সামনে বল। বাবা মা কি আমায় ক্ষমা করতে পারবে?
-তুমি এসেই দেখনা। তারা তো তোমার আশায় বসে আছে তুমি কবে আসবে। জানো চাচি প্রতিদিন তোমার জন্য কান্না করে। চাচা উপরে অনেক শক্ত থাকলেও ভেতরে যে কষ্টে আছেন তা বোঝা যায়। সন্তান যতই অপরাধ করুক না কেন, বাবা তাদের ফেলতে পারেনা। তুমি এসে তাদের কাছে ক্ষমা চাও, দেখবে তারা ঠিক ক্ষমা করে দিবেন। তুমি তাদের থেকে দূরে আছো, তারাও যেমন কষ্ট পাচ্ছেন তুমিও কষ্ট পাচ্ছ। তাই এসে সব ভুল বুঝাবুঝির অবসান করো।
-ঠিক বলেছিস। আগে বাবা মায়ের কথা তেমন একটা মনে পড়তো না। কিন্তু ওই ঘটনার পর থেকে তাদের কথা ভীষণ ভাবে মনে পড়ে। মানসিকভাবে আমি খারাপ অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। এই সময় বাবা-মাকে কাছে পেতে খুব ইচ্ছে হয়। বাবা মায়ের কাছে ক্ষমা চাইলে হয়তো আমার মানসিক অবস্থা অনেকাংশে ভালো হয়ে যাবে।
-তাহলে আজকে আসো আমাদের বাসায়। এখানে সবাই আছে। আমাদের বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
-না রে আজ না। আজ তো আমাদের ও বিবাহ বার্ষিকী। একটু পরে আবিদ আমাকে নিয়ে ঘুরতে বের হবে। ও আমাকে শুরু থেকেই সাপোর্ট দিয়ে আসছে। ও যদি আমার পাশে না থাকতো তবে যে আমার কি হত জানিনা। আগামী সপ্তাহে বাবা মায়ের বিবাহ বার্ষিকী। ঐদিন যাবো তাদের কাছে, দিয়ে তাদের পায়ে পড়বো যেন আমাকে ক্ষমা করে দেন।
-হ্যাঁ আপু আমার বিশ্বাস তারা তোমায় ক্ষমা করে দেবেন।
-আচ্ছা এখন রাখছি রে, আবিদ একটু পরে অফিস থেকে চলে আসবে,আমার তৈরী হতে হবে।
-আচ্ছা আপু আমারও তৈরি হতে হবে, তবে আমি কিন্তু তোমার সাথে ফোনে যোগাযোগ রাখব।
-ঠিক আছে বোন ভালো থাকিস।
এই বলে আপু ফোনটা কেটে দিলো। ফোনটা রেখে একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে আপুর কথা ভাবতে লাগলাম। আপুর জন্য খুব খারাপ লাগছে। তবে আমার একটা উপলব্ধি হলো, বাবা-মা হচ্ছে পৃথিবীতে আমাদের সবচাইতে আপন জন। ইহকাল পরকাল দুই জায়গাতেই বাবা-মাকে কষ্ট দেয়ার পরিণতি ভোগ করতে হয়। অনেক সময় হয়তো তারা আমাদের উপর কোন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে চায়। কিন্তু তারা মনে করে ওটাতেই আমাদের মঙ্গল। তারা কোনদিন সন্তানের খারাপ চায়না। বাবা মায়েরা তাদের সন্তানদেরকে সবচাইতে বেশি ভালোবাসেন, তাই সন্তানদের উচিত বাবা মাকে সবচাইতে বেশি ভালোবাসা। কখনো আবেগের বশে তাদের ভালোবাসাকে দূরে ঠেলে তাদের কষ্ট দেওয়া উচিত না। একদিন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে যখন জিবরাঈল আমীন ওহী নিয়ে আসলেন এবং বললেন,
“যে ব্যক্তি মা-বাবা পেয়েও নিজের গুনাহ ক্ষমা করাতে পারল না, সে যেন ধ্বংস হয়।” রাসূল (সা.) বললেন, “আমীন।”
যেখানে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমিন বলেছেন, সেখানে বোঝাই যায় বাবাকে কষ্ট দেয়ার পরিণতি কতটা ভয়াবহ।
গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত