বোকারাম

বোকারাম
“আপনি আরেকটু চেপে বসুন। আমার বসতে অসুবিধা হচ্ছে।” কথাটা বলা মাত্র রিকশার ড্রাইভার হালকা পেছন ফিরে তাকিয়ে আবার রিকশা চালানোর দিকে মন দিয়েছে। তার চাহনি দেখে মনে হলো সে হয়তো তার রিকশায় এরকম বলতে কাউকে দেখেনি। তার ধারণা আমার পাশে যে মেয়েটি বসে আছে ওটা আমার ভালোবাসার মানুষ। সুতরাং আমার কথাটি সে ভালোভাবে নিতে পারেনি। এদিকে আমার কথা শুনে পাশে বসে থাকা মেয়েটি আরেকটু সরে বসল। সে হয়তো খেয়াল করেনি যে সিটের তিন ভাগের দুই-তৃতীয়াংশ সে দখল করে নিয়েছে। ছোট্ট করে বলল, “সরি, আমি খেয়াল করিনি।” এই শহরের ভালোবাসা গুলো বড়ই অদ্ভুত। আমি যেদিন গ্রাম থেকে শহরের ব্যস্ত রাস্তায় পা রেখেছিলাম সেদিন খুব ভয় পেয়েছিলাম। নিজেকে বড্ড একা লাগতে শুরু হলো। দালান গুলো দেখে মনে হচ্ছে যেন আমার গায়ে ভেঙ্গে পড়বে। এতো বড় বড় দালান গ্রামে একটাও নেই। স্কুলের দালানটা সামান্য উঁচু। তিনতলা। গ্রামে এর চেয়ে উঁচু দালান আর নেই।
টেলিভিশনে দেখতাম বাইরের দেশের উঁচু উঁচু দালান। কিন্তু আমাদের শহরেই যে রয়েছে তা তেমন একটা গ্রামের কেউ বিশ্বাস করবে না। গ্রামের লোকেরা এদিকে কম আসে। একেবারে আসে না বললেই চলে। তাদের সব কাজকারবার আশেপাশের গ্রামগুলোর সাথেই। এতো গ্রাম পার হয়ে শহরে আসেও না তেমন কেউ।পাশে বসা মেয়েটি একটু কেশে নড়েচড়ে বসে বলল, “অদ্ভুত লোক তো মশায় আপনি! পাশে একটা মেয়ে বসে আছে আর আপনি এতো কাচুমাচু করছেন কেন! আপনার কী ভয় হচ্ছে?” তার কথাবার্তা শুনে অদ্ভুত ভাবে অবাক হলাম। একা একটি মেয়ে অপরিচিত লোকের সাথে এতো ভালোভাবে কথা বলতে পারে তা যেন আমার কিছুতেই বিশ্বাস হচ্ছে না।
মেয়েটির কথায় আরেকটু বাইরের দিকে চেপে গিয়ে বললাম, “ভয় কেন লাগবে! এমনিতেই অপরিচিত লোকের সাথে তেমন একটা কথা বলি না। তাই একটু আর কিছু বলার আগেই মেয়েটি হুট করে হেসে ফেলল। তার হাসির আওয়াজটা শীতল বাতাস হয়ে আমার বুক অবধি গিয়ে আটকে গেছে। তার হাসির আওয়াজের সাথে তাল মিলিয়ে ব্যথাটা ক্রমশই বাড়তে শুরু করে দিলো। বাইরের দিকে তাকিয়ে বললাম, ” না! ভয়ের কোনো ব্যাপার না তেমন! তবে একটু সংকোচ হচ্ছে এই আর কি। মেয়েটি অবাক হয়ে কিছুক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে রইলো। তারপর বলল, “বুঝতে পারছি। আচ্ছা আপনার নাম তো চয়ন তাই না?” মেয়েটি আমার নাম জানে দেখে আমি অবাক হলাম। এটা কী করে সম্ভব! উনার সাথে তো আমার আজকেই প্রথম পরিচয়। তবে নাম জানলো কীভাবে! কোনোভাবেই হিসেব মিলাতে পারলাম না।
ভার্সিটিতে যাওয়া আসা নিয়ে বাইরে বের হতাম। নাহয় সারাদিনই আন্টির বাসায় গল্প লিখা আর পড়ালেখায় দিন কেটে যেতো। আন্টি’টা আপন না। গ্রামে একটা টিউশন ছিলো। স্কুলের হেড ম্যাডামের মেয়েকে পড়াতাম। যখন ম্যাডাম শুনেছে যে আমি শহরে যাচ্ছি তিনিই সব ব্যবস্থা করে দিলেন। এই আন্টিই হচ্ছে ম্যাডামের বোন। তার ছোট মেয়ে আছে দশম শ্রেণিতে পড়ে। তাকে পড়াই আর তাদের বাসায় থেকে যায়। খাওয়া দাওয়া সব তাদের সাথেই।
আন্টির বড় মেয়ে নীলা আমার ভার্সিটিতেই পড়ালেখা করে। মাঝেমধ্যেই এসে আমার সাথে আড্ডা জমাতো। তার জন্ম থেকে সব শহরেই। তার বান্ধবীর অভাব নেই ভার্সিটিতে। প্রথম দিন ভার্সিটিতে গিয়েই তার সাথে দেখা হয়েছিলো। প্রিন্সিপাল স্যারের অফিস কোথায় চিনতাম না। এক বড় ভাইকে জিজ্ঞেস করেই ভেতর অবধি গিয়েছিলাম। এরপর কোনদিকে যাবো বুঝতে না পেরে সামনে তাদের পেয়ে তাদের কাছেই জিজ্ঞেস করেছিলাম। তারা সুন্দর করে আমাকে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন কোনদিক দিয়ে যেতে হবে।
বাসায় এসে যখন তাকে দেখলাম সে রিতীমত অবাক হয়ে গিয়েছিলো। তার থেকেও আমি বেশি চমকে উঠলাম। সে কিছু বলতে যাবে তার আগেই আন্টি এসে বলল, “এর নাম চয়ন। তোর আন্টি চয়নের কথায় বলেছিলেন।”
নীলাদের বাড়িটা দুইতলা। নিচের তলায় এক ফ্ল্যাটে তারা থাকেন। অন্য ফ্ল্যাটে কুমিল্লার এক চাকরিজীবী পরিবার সমেত থাকেন। উপররে তলাটা পুরোপুরি তৈরি হয়নি। তবে পূর্বদিকে এক রুমের একটি ঘর ছিলো। ওইটাতেই আমার থাকার বন্দোবস্ত হয়েছিলো। কোত্থেকে আমার নাম জেনেছে তা আর জিজ্ঞেস করিনি। আমি বললাম, “জি আমিই চয়ন।” সে আমার দিকে অদ্ভুত চাহনি দিয়ে তাকিয়ে রইলো। সে হয়তো মনে করেছে তার নাম জিজ্ঞেস করবো। তা না করাতেই আমার দিকে এমনভাবে যে দৃষ্টিপাত করলো তা বুঝতেই পারছি। তারপর সে নিজ থেকেই বলল, “আমার নাম রিয়া।”
আমি তার দিকে তাকিয়ে বললাম, “ওহ্।” কিছুক্ষণ দু’জনে নিরবতা পালন করলাম। রিকশা তার আপন গতিতে চলছে। ঘড়িতে সময় দেখলাম। নয়টা বেজে পনেরো হয়েছে। কিছুক্ষণ পরে মেয়েটি আবার বলল, “আপনি ভার্সিটিতে পড়েন তাই না!” আমি কিছুক্ষণ চুপ থাকলাম। আমি এখনো বুঝতে পারছি না এই অচেনা মেয়েটি আমার ব্যাপারে এতকিছু কীভাবে জানে। তারপর বললাম, “জি।” নীলা খুশি হয়ে বলল, “বেশ তো। দুজনে একসাথে যাওয়া আসা করতে পারবো।” তারপর নীলা আমার কাছাকাছি এসে বলল, “কি বলেন মশায়! আপনার আমার সাথে যেতে সমস্যা আছে নাকি? আমি আমতা আমতা করে বললাম, ” আসলে মেয়েদের সাথে আমার তেমন একটা..” তারপর নীলা চোখ রাঙ্গিয়ে বলল, “বুঝতে পারছি, গার্লফ্রেন্ড বকবে তাই তো!”
এমন সময় যাকে পড়ানোর কথা সে চলে আসলো। “ভাইয়া! আমি নিরু।” নীলা চলে যাওয়ার সময় তার উদ্দেশ্যে বললাম, “এমন কোনো ব্যাপার না! বুঝতেই তো পারছেন, গ্রামের মানুষ।” সে হেসে বলল, “সমস্যা নেই, আমি ঠিক করে নিবো।” বলেই হাস্যমুখে প্রস্থান করলো। সেই থেকে আমার দিনকাল ভালোভাবে কাটতে শুরু করলো। যাওয়া আসায় কোনো সমস্যা হতো না। আমাকে পেয়ে যেন নীলা তার সব বান্ধবীকে হারিয়ে বসেছে। সবারই একটা অভিযোগ, আগের মতো নীলা তাদের সাথে মিশে না। কথাটা অবশ্য অবাস্তব নয়। নীলার মোটামুটি বলা যায় সারাদিনটায় আমার সাথেই কাটে। মাঝেমধ্যে অদ্ভুত টাইপের কিছু প্রশ্ন করে বসে। যেগুলোর কোনো সঠিক উত্তর আমার কাছে থাকতো না। তারপর বলতো, “তুমি আসলেই একটা বোকা। কোনো কাজের না।”
মেয়েটি আবার বললো, “তুমি কেমন ছেলে বলো তো! তোমার পাশে একটা সুন্দরী মেয়ে বসে আছে অথচ তুমি একদম চুপচাপ বসে রয়েছো। কিছু তো বলো!” এতক্ষণ চিন্তায় মগ্ন ছিলাম। চারপাশের পরিবেশটা অদ্ভুত সুন্দর। খোলা রাস্তায় রিকশা চলছে নিজ গতি নিয়ে। আকাশে তারাদের খেলা দেখা যাচ্ছে। মগ্ন হয়ে সেদিকেই দেখছিলাম। আমার রাতের আকাশ দেখতে ভালো লাগে। সেই ছোটবেলা থেকেই। তবে গ্রামে আরো বেশি ভালো লাগতো। বিলের মাঝে বসে আকাশের তারা দেখার মতো সুখ বোধহয় আর কোথাও নেই। মেয়েটির কথার প্রতুত্তরে আমি কিছুই বলিনি। শুধু তার দিকে একবার তাকালাম। যেভাবে নিজের প্রশংসা করছে তাতে না দেখলে বোধহয় নিজেই লজ্জা পাবে। হ্যাঁ, আসলেই সুন্দর। তবে কেন জানি তার ওই সুন্দর আমাকে কোনো প্রকার আকর্ষন করেনি। আমি তার দিকে তাকিয়ে বললাম, “আর কতদূর আপনার বাসা! অনেকক্ষণ তো রিকশাতেই ঘুরছি।” সে কিছুক্ষণ আমার পানে তাকিয়ে রইলো। তারপর হাসিমুখে বলল, “আর বেশি না! এই তো সামান্য। আচ্ছা আপনার কী আমার সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করছে না?”
এই কথায় বেশ রাগ হলো। কোনোরকমে পোষে রেখে বললাম, “অদ্ভুত তো! আমি বলতে চাইলেও আপনি অপরিচিত লোকের সাথে কেন কথা বলবেন? দয়া করে সবাইকে নিজের মতো সরল মানুষ ভাববেন না।” মুখ থেকে কথাটা বের হলো বটে, তবে তার হাবভাব দেখে মনে হলো এমন প্রতুত্তর আমার থেকে আশা করেনি। তার চেহারায় কেমন যেন একটা মায়া ফুটে উঠলো। আমি আর কিছু বলার সাহস করলাম না। ভার্সিটি থেকে বের হয়ে আমি আর নীলা রাস্তার ডান পাশ দিয়ে হাঁটছি। এমন সময় নীলার বান্ধবী রিমি এসে পথ আটকালো। আমি মতবিনিময় করলাম কিন্তু তাতে রিমির কোনো বিশেষ প্রতিক্রিয়া না দেখে দাঁড়িয়ে পড়লাম। রিমি ছোট্ট করে নীলাকে বললো, “তো! কতদূর এগিয়েছে। বোকাটা কী কিছু বলেছে নাকি এখনো নীলা মুখ টিপে হেসে বলল, “মনে তো হয়না সে কিছু বলতে পারবে। আমি ভুল বলিনি, আস্ত একটা বোকারাম।”
কথাটা বলেই নীলা আর রিমি দুজনেই হেসে উঠলো। তাদের হাসির কারণটা আমি ঠিক বুঝতে পারিনি। এই শহর মানেই হচ্ছে তাল মিলিয়ে চলা। তাই ভাবলাম আমিও হাসলে বোধহয় ভালো দেখায়। তাদের সাথে তাল মিলিয়ে যেই না হাসলাম তাতেই দুজনেই আমার দিকে অগ্নী দৃষ্টিতে তাকালো। আমি কিছুই বুঝতে পারলাম না। রিমি নীলার দিকে তাকিয়ে বললো, “আসলেই বোকারাম রে..” আবার দু’জনে হেসে উঠলো। তাদের সাথে আর তাল মিলালাম না। সেদিন বিকেলে ছাদে বসে গল্প লিখছিলাম। আমার প্রথম উপন্যাসটিতে অনেক দিন হাত লাগানো হয়নি। সেই কলেজ লাইফে শুরু করলেও তাকে মোটামুটি কোনো রুপ দিতে পারিনি এখনো। গল্প লিখি না তাও না। কেন জানি এই উপন্যাসটা আগাতে ইচ্ছে করে না। এই উপন্যাসে হাত লাগালেই কেমন জানি ভয় লাগে।
আমি নীলার এক অদ্ভুত মায়ায় নিজেকে আটকে ফেলেছি। এটা কোনোভাবেই নীলার সামনে বলার আমার ক্ষমতা বা সাহস কোনটিই নেই। মাঝে কয়েকবার বলতে গিয়ে আটকে গেছিলাম। এরপর থেকে বলার আর চেষ্টা করিনি। তবে আমার একটা বিশ্বাস আছে যে নীলাও আমাকে ভালোবাসে। তবে সেও তা প্রকাশ করতে চাচ্ছে না। এই এক অদ্ভুত বেড়াজালে আটকে পড়লাম আমি, যার কোনো সমাধান দেখতে পাচ্ছিলাম না। সেদিন ক্লাসের সামিয়া নামের এক মেয়ের সাথে পরিচয় হয়। নীলা সেদিন ভার্সিটি যায়নি। তার সাথে আমার অবশ্য কথা ছিলো ভার্সিটিতে গেলে দুজনেই যাবো। আর যেদিন যাবো না সেদিন কেউ যাবো না। কিন্তু ওইদিন কোনো একটা কাজ ছিলো যার কারণে যেতে ইচ্ছে না হলেও গিয়েছিলাম। তো ক্লাস শেষে ফেরার সময় আসার পথে সামিয়া সঙ্গী হয়। সে যখনএকসাথে আসতে চাইলো আমিও আর না করিনি।
এই বিষয়টি কেম্নে যেন নীলার কানে পৌঁছে গেছিলো। সামিয়ার সাথে কথা বলার কারণে আমাকে শাস্তি দিয়েছিলো তিনদিন তার সাথে কথা বলা যাবে না। এই তিনদিন যে কীভাবে কেটেছিলো তা আমি জানি। তাই অমন কাজ আর দ্বিতীয়বার করিনি। উপন্যাসটিতে হাত দিলাম এমন সময় নীলা ছাদে আসলো। বেশ কিছুক্ষণ আলাপ হওয়ার পরে সে বলল, “আমার বিয়ে ঠিক হয়েছে।” কথাটা বলেই সে আমার দিকে তাকিয়ে ছিলো। আমার মুখ দিয়ে কেন যেন কিছুই বের হচ্ছিল না। অনবরত চোখ দিয়ে পানি ঝরতে থাকলো। ঘুরে যেতে চাইলে নীলা আটকে ধরে এমন ভাবে চেপে বসেছিলো সেদিন বলতে বাধ্য হয়েছিলাম যে, “তোমাকে ছাড়া আমার আমি কল্পনা করতে পারি না।” তারপর সে কিছুক্ষণ হেসে আমার মতো কান্না করতে শুরু করে দিলো। শেষমেশ জানতে পারলাম যে এটা একটা টেকনিক ছিলো তার বিয়ের কথা বলে আমার মুখ থেকে কথা বের করানোর।
একটা বাসার সামনে গিয়ে মেয়েটি রিকশা থামালো। সন্ধ্যায় একটা টিউশন করি। নীলাদের বাসা থেকে পনেরো টাকা রিকশা ভাড়া। আজকে সেইজন্য বের হয়েছিলাম। রিকশা নেওয়ার আগে হুট করে মেয়েটি কোত্থেকে এসে যেন আমার হাত ধরে বসলো। বললো একটা ঝামেলায় পড়ে গেছে। কয়েকটি ছেলে তার পিছু নিয়েছে তাই তাকে বাসায় পৌঁছে দিতে হবে রিকশা করে। এতক্ষণ রীতিমতো সেই কর্তব্য পালন করছিলাম। মোবাইলটা হাতে নিয়ে দেখলাম নীলা কল দিয়েছিলো। কিন্তু রিসিভ করতে পারিনি। হয়তো সাইলেন্ট করা ছিলো তাই শুনিনি। মেয়েটি রিকশা থেকে নেমে বলল, “আমি রিয়া। নীলার স্কুল লাইফের বেস্ট ফ্রেন্ড। আপনার নামে সে এতো এতো সুনাম করে যে হজম করতে না পেরে টেস্ট করে দেখলাম আপনি কেমন।” আমি অবাক হয়ে তার দিকে তাকিয়ে বললাম, “তার মানে নীলা সব জানে?” সে হেসে বলল, “জি।”
অবাক হয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে রইলাম কিছুক্ষণ। নীলা যে আমাকে বোকা ভাবে! সে যতটা বোকা ভাবে আমি কী ততোটা বোকা? নিজেকে নিজেই প্রশ্ন করে কোনো প্রতুত্তর না পেয়ে রিকশা ঘুরাতে বললাম। এমন সময় দেখলাম নীলার কল। রিসিভ করতে ভয় হচ্ছে। তাও করলাম। আমি কিছু বলার আগে ওদিক থেকে বলল, “সরি বোকারাম, রিয়া যে এমন করবে তা জানতাম না। বিকেলেই বলেছিলো সে। প্রমিস করার কারণে তোমাকে কিছু বলতে পারিনি। আর হ্যাঁ, তাড়াতাড়ি চলে এসো। আম্মু ভাত নিয়ে টেবিলে বসে আছে।”
গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত