এ্যাই, তাড়াতাড়ি উঠো। লাশটা ফেলে দিয়ে আসতে হবে।’ সকাল সকাল বউয়ের মুখে এমন কথা শুনলে পৃথিবীর কোনো স্বামীই আর শান্তিতে ঘুমিয়ে থাকতে পারেনা। আমিও পারিনি। তাড়াতাড়ি উঠে বসলাম। প্রচন্ড কৌতুহল নিয়ে এদিক ওদিক তাকালাম। কিন্তু কোথাও কোনো লাশ দেখতে পেলাম না। মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে বাইরে। ঝুপঝুপ শব্দ কানে এসে বারি খাচ্ছে একের পর এক। হঠাৎ সেই শব্দ ছাপিয়ে গেলো রিনঝিন হাসির শব্দে। এই হাসিটাও আমার খুব চেনা। ঘুম ঢুলুঢুলু চোখে দেখতে পেলাম, তানিয়া আমার দিকে তাকিয়ে ফ্যালফ্যাল করে হাসছে। বুঝতে পারলাম মজা করা হচ্ছে আমার সাথে। তার মানে এসব লাশ টাশ আসলে কিছুই না। সব হচ্ছে আমার ঘুম ভাঙ্গানোর ধান্দা। রাগ দেখিয়ে কিছু বলতে যাবো তার আগেই বউ এসে আমার গলা জড়িয়ে ধরলো। তারপর আদুরে কন্ঠে বললো — ‘জানো ঘুম থেকে উঠলে না তোমাকে একদম বাচ্চা বাচ্চা লাগে!’
আমার এতো স্বাধের ঘুম ভেঙ্গে ম্যাডামফুলি তামাশা শুরু করে দিয়েছে। ইচ্ছে করছে গালের উপর কষিয়ে দুটো চড় লাগিয়ে দেই। কিন্তু কান্না করলেই বিপদ। এমনিতেই অন্যের বাড়ি। লোক জানাজানি হতে পারে। মানুষ জন কানাঘুষা করবে পরে। তাই এই বুদ্ধি আপাতত মাথা থেকে বাদ দিলাম। মনের রাগ মনের আলমারিতে সাজিয়ে বউয়ের গাল দুটো টেনে ধরলাম৷ তারপর ন্যাকামীর সুরে বললাম— ‘কী শুরু করলে এসব! তোমার যন্ত্রণায় শ্বশুরবাড়ীতে এসেও একটু শান্তিতে ঘুমোতে পারবো না?’ তানিয়ার হাসিমুখটা মুহূর্তেই কালো হয়ে গেলো। কাঁদো কাঁদো গলায় বললো— তুমি আমার নরম গাল টেনে এমন ঝুলিয়ে দিলে কেনো? ‘আমার বউয়ের গাল আমি টানবো নাতো কে টানবে?’ বলেই আবারো টান দিলাম জোরে। সে এবার ঝামটা মেরে দুই হাত দূরে সরে গেলো। তারপর ঝাঁঝালো স্বরে বলে উঠলো— আমি বুঝি তোমার সব মতলব। ইচ্ছে করে আমার গাল টেনে এমন লম্বা করে দিচ্ছো। যাতে আমি তাড়াতাড়ি বুড়ি হয়ে যাই। তারপর তুমি আরেকটা বিয়ে করতে পারো।
বউয়ের মুখে এমন কথা শোনার পর হতবাক হয়ে বসে রইলাম। ইচ্ছে করছে আকাশ থেকে মাটিতে পড়ে একদম পাতালে চলে যাই। কিন্তু পাতাল তোহ দূরের বিষয়। বউয়ের এই রাগী চেহারার সামনে থেকে এখন বাথরুমে যাওয়াও সম্ভব নয়। তাই চুপ করে বিছানাতেই বসে রইলাম। অনেক শখ করে বিয়ে করেছিলাম বরিশালের মেয়ে। জীবনের একটা গোপন স্বপ্ন ছিলো বউ হতে হবে প্রচন্ড বোকা। পেয়েও গেলাম ঠিক তেমন। বাজারে একটা বড়ো সবজির দোকান ছিলো ছোটো চাচার। একদিন সেই দোকানে একটা মেয়ে এসে বললো—চাচা, ঢেঁড়সের কেজি কতো? ‘ একদাম চল্লিশ টাকা।’ মেয়েটা গাল ফুলিয়ে বললো— এতো দাম হলে কি আর সবজি কেনা যায়! একদাম পঞ্চাশ টাকা দিবো। দিলে দেন না দিলে নাই। ছোট চাচা সেদিন জীবনে প্রথমবার কিছুক্ষণের জন্য স্তব্ধ হয়ে রইলেন। কি করবেন ভেবে না পেয়ে পঞ্চাশ টাকাতেই সবজি দিয়ে দিলেন। মেয়েটাও প্রত্যাশিত মূল্যে সবজি কিনতে পেরে খুশিমনে বাড়ী চলে গেলো।
পরদিন ছোটো চাচার কথা মতো মেয়েটাকে দেখতে বেরিয়ে পরলাম। এমন হাবাগোবা মেয়েই তো আমার চাই। জানতে পারলাম মেয়েটার নাম তানিয়া রহমান। ডাকনাম তানিয়া। তবে তানিয়ার ‘তা’ আর রহমানের ‘র’ একসাথে করে সংক্ষেপে ডাকা যায় ‘তার’ বলে। যদিও নাম নিয়ে আমার কোনো মাথাব্যাথাই নেই। মেয়ে দিয়েই হলো কথা।
ঠিকঠাক ঠিকানায় এসে কলিংবেল চাপতেই এক হুরপরী বেরিয়ে আসলো। কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেললাম আমি। একমনে তাকিয়ে আছি মেয়েটার দিকে। যেমন তাঁর চুল তেমন হাসি। এমন হাসি সচরাচর দেখতে পাওয়া যায় না। যেনো ছবিতে বাঁধানো কোনো শিল্পকর্ম। আর এরকম শিল্পকর্ম তো জাদুঘরে থাকার কথা। এই মেয়েটা বাইরে আছে কি করে কে জানে! যাকগে ভালোই হয়েছে। এবার তাহলে এই শিল্পকর্মকে আমার মনের মিউজিয়ামে সাজিয়ে রাখার পালা। হঠাৎ মেয়েটার ডাকে পুরোপুরি সম্বিত ফিরে পেলাম। অনুভব করলাম আমার হাতে ভারী কিছু একটা ঝুলছে। তাকিয়ে দেখি সেই ভারী বস্তুটা আর কিছুই নয়। একটা ময়লাভর্তি ঝুড়ি মাত্র। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মেয়েটা বললো
— আজকে দেখি নতুন লোক এসেছে। আচ্ছা শুনেন, ঝুড়িটা একটু ভালোমতো ঝাকি দিয়েন তো। নিচে ময়লা লেগে থাকে একটু করে। বাধ্য ছেলের মত ঝুড়ি নিয়ে ময়লা ফেলে আসলাম। জীবনে প্রথমবার নিজেকে সেদিন ময়লাওয়ালা মনে হয়েছিলো। কিন্তু তাতেও কোনো আফসোস নেই। কারন কোথায় যেনো শুনেছি, যাকে ভালো লাগে তার আশেপাশের সবকিছুই ভালো লাগে। তাদের বাড়ির কালো কুকুরটাকেও খুব কিউট লাগে। সে যেই রাস্তা দিয়ে হেটে যায়, সেই রাস্তার ধূলাবালি গুলোকেও মনে হয় ইসবগুলের ভুষি। ইচ্ছে করে, এখুনি পানিতে ভিজিয়ে খেয়ে ফেলি। আর তাইতো সেদিন তাদের বাড়ির ময়লার ঝুড়িটাকেও আমার কাছে খুব পবিত্র মনে হয়েছিলো।
এরপর থেকেই শুরু হয়ে গেলো আমার নাজুক অবস্থা। যখন যেখানে যাই, যেদিকে তাকাই সেখানেই শুধু মেয়েটার
ছবি ভেসে ওঠে। চায়ের কাপ থেকে শুরু করে ফ্যানের সিলিং, বাথরুমের আয়না থেকে শুরু করে কোলবালিশের কভার সব জায়গায় শুধু মেয়েটাকেই দেখি। তাঁকে ছাড়া যেনো আর কোন কিছুই কল্পনা করতে পারি না। জেগে থাকলে ঘুমাতে পারি না। ঘুমালে চোখে দেখি না। একবার ঘুমালে তিনদিনে আর ঘুম ভাঙ্গে না। জীবন আমার ফুটো চাকার মতো থমকে আছে যেনো। অবশেষে সিদ্ধান্ত নিলাম, দরকার হলে ওই হুরপরীর জন্য আজীবন ময়লাওয়ালা হয়েই থেকে যাবো আমি। কয়েকদিন বাদেই বাবাকে সাথে করে নিয়ে গেলাম মেয়েটার বাসায়। গেট খুলতেই মেয়েটা বললো— ‘ আজকে তো একবার ময়লা নিয়ে গেছে। আবার এসেছেন কেনো?’ আমি চেহারায় ভাব এনে হালকা কেশে জবাব দিলাম— ধুর বোকা মেয়ে। আজ আর ময়লা নিতে আসিনি। আজকে এসেছি তোমাকে নিয়ে যেতে।
কথাটা শেষ হবার আগেই নাক বরাবর এক ঘুষি খেলাম। মুহূর্তেই আমার ভারী মাথাটা ভীষণ বেগে চক্কর দিয়ে উঠলো। পাত্রী দেখতে গিয়ে এর আগে কখনোই এমনটা ঘটে নি। একবার অবশ্য মেয়ের বাবার লাথি খেয়েছিলাম। আরেকবার পাত্রীর ছোট বোন হকিস্টিক দিয়ে বারি দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছিলো। তবে ঘুষি এবারই প্রথম। বোঝা গেলো, এই মেয়েটা ভীষণ জেদি। তাঁর সাথে মেপে মেপে কথা বলতে হবে সবসময়।সন্তানের দৈন্যদশা দেখলে জগতের কোনো বাবাই চুপ করে বসে থাকতে পারে না। আমার বাবাও পারলেন না। অগত্যা রাগ দেখিয়ে বলে উঠলেন— ‘চুপ করো মেয়ে। আমার ছেলে কিডন্যাপার না, যে তোমাকে তুলে নিয়ে যাবে। আমি এসেছি তোমাকে আমার ছেলের বউ করে নিয়ে যেতে। কথাটা শোনামাত্রই নতুন বউয়ের মতো ঘোমটা টেনে নিলো তানিয়া। তারপর টকটকে আপেলের মতো লাল চেহারায় একটা লজ্জার হাসি ফুটতেই দৌড়ে ভিতরে চলে গেলো।
বিয়েটা আমাদের অনুষ্ঠান করে হয় নি। হয়েছিলো হুট করে। তাইতো আত্মীয় স্বজন, পাড়া প্রতিবেশী যারা এসেছিলো তারাও কেউ টাকা,পয়সা, দামী গহনা এসব কিছুই নিয়ে আসে নি। সাথে করে এনেছিলো শুধু দোয়া। কিন্তু সেই দোয়ায়ও যে কমতি ছিলো তা আজকে হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। তা নাহলে বউ আমাকে এতো সন্দেহ করবে কেনো! কোনো মতে বউকে শান্ত করতেই মুখটা কানের কাছে এনে ফিসফিস করে বলে উঠলো— ‘এখন তাহলে লাশটা ফেলে দিয়ে আসো তাড়াতাড়ি। লোক জানাজানি হবার আগেই।’ চেহারা দেখে বুঝতে পারলাম, বউ আমার মোটেও মজা করছে না। সে আসলেই খুব সিরিয়াস। জিজ্ঞেস করলাম— কিসের লাশ? কোথায় রেখেছো?
সে সতর্কতার সহিত একবার এদিক ওদিক তাকিয়ে নিলো। তারপর নরম গলায় বললো— ‘বিছানার নিচে আছে। কাল তুমি ঘুমিয়ে যাবার পরে আমাদের সর্বনাশ করতে এসেছিলো। কিন্তু পারে নি। তার আগেই ভাতে বিষ মাখিয়ে রেখেছিলাম। সেটা খেয়েই বেচারা পটল তুলেছে একদম।’ বউয়ের কথামতো বিছানার নিচে তাকাতেই হাজার ভোল্টের একটা শক খেলাম। সত্যি সত্যিই একটা লাশ পড়ে আছে সেখানে। তবে সেটা মানুষের নয়। একটা বাচ্চা ইঁদুর হাত পা টান টান করে শুয়ে আছে। হাসবো না কাঁদবো কিছুই বুঝতে পারছি না আমি। এতো বোকা একটা মেয়েকে বিয়ে করে জীবনে কী ভুলটাই না করেছি! তা ভাবতেই আবার কান্না পাচ্ছে খুব। অত্যন্ত ভয়ানক সুরে বললাম— মস্ত বড় বিপদ হয়ে গেছে রে তানিয়া। মস্ত বড় বিপদ! এমন করে কথা বললে বউ সবসময় কৌতুহলী হয়ে শুনতে চায়। আজকেও তার ব্যাতিক্রম ঘটলো না। বললো— কিসের বিপদ?
হাসি চেপে চেহারায় গভীর চিন্তার ছাপ এনে বললাম, ‘এই লাশ ফেলে দিলেই বিপদ।’ ‘কেনো?’ ‘কারন তাতে ওর আত্মা খুব কষ্ট পাবে। নিজের হত্যাকারীকে সে কিছুতেই ছাড়বে না। কিছুতেই না।’ এবারে তানিয়ার চোখে মুখে স্পষ্ট ভয়ের ছাপ দেখতে পেলাম। করুন সুরে বলে উঠলো— ‘তাহলে এখন উপায়?’ অনেকক্ষণ ভেবে চিন্তে বললাম— উপায় একটা আছে। তবে ‘তবে কী? তুমি কি চাও আমার ক্ষতি হোক কোনো? তাড়াতাড়ি বলো কি করতে হবে?’ ‘এই লাশ দাফন দিতে হবে। তার আগে লাশটাকে গোসল করিয়ে ওর জানাজা দিতে হবে।’ তানিয়া জোড়গলায় বললো— যা যা লাগে সব আমি দেবো। তুমি শুধু ব্যবস্থা করো প্লিজ। আমি সান্ত্বনা দিয়ে বললাম— ‘ আপাতত কিছুই লাগবে না। তুমি শুধু লাশটাকে গোসল করিয়ে আনো। আর হাজারখানেক টাকা দাও। জানাজার জন্য লাগবে। বাকী সব না হয় আমিই ব্যবস্থা করে নেবো।’
বউ আমার কথামতো মরা ইদুরের লাশটা নিয়েই চলে গেলো। গোসল করাবে হয়তো। আর আমি মুখ চেপে হেসেই যাচ্ছি। ভাবতেই অবাক লাগে। এরকম গাধাও হয় মানুষ! তাও আবার আমার বিয়ে করা বউ। একটুপরেই ফিরে আসলো তানিয়া। হাজার টাকার একটা নোট ধরিয়ে আমার ডানহাতটা শক্ত করে চেপে ধরলো। পরক্ষণেই তাঁর গোবরে ভর্তি মাথাটা আমার বুকে গুজে আদুরে কন্ঠে বলে উঠলো— আজ তুমি না থাকলে আমার কি যে হতো! আমি তাড়াতাড়ি করে নোটখানা পকেটে ঢুকিয়ে নিলাম। তারপর বউয়ের ভোতা মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললাম— চিন্তা করো না বউ। আমি তো আছি। তোমার যে কোনো বিপদেই ছায়ার মতো পাশে থাকবো কথা দিলাম। হঠাৎ দেয়ালে ঝুলে থাকা একটা টিকটিকির সাথে চোখাচোখি হলো। বেচারা আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসছে। তবে সেই হাসির কারনটা এখনো বুঝতে পারছি না। কিছুতেই না।
পরিশিষ্টঃ থানায় বসে আছি আধঘন্টা যাবৎ। তবু মনে হচ্ছে কয়েকদিন ধরে এখানেই পড়ে আছি। সময় যেনো কিছুতেই কাটতে চাইছে না। দম বন্ধ হয়ে যাবার মতো অবস্থা। অথচ বছরের পর বছর ধরে এখানে বন্দী থাকা কয়েদিরা কিভাবে সময় কাটায় কে জানে। সত্যিই থিওরি অব রিলেটিভিটির ব্যবহারিক প্রয়োগ এখানে না আসলে বোঝাই যেতো না। শেষমেশ এরকম একটা পঁচা শামুকে পা কাটবে আমার। সেটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না।
ইতোমধ্যে সবকিছু অসহ্য লাগতে শুরু করে দিয়েছে। এক অন্যরকম অস্থিরতা আমাকে ঘিরে ধরেছে যেনো। এই অস্থিরতা দেখে খাটো চেহারার ইউনিফর্ম পরিধেয় ভদ্রলোক আমার দিকে তাকিয়ে খিকখিক করে হাসছিলো। তবে সামান্য চোখাচোখি হতেই তার সেই হাসি কোথায় যেনো মিলিয়ে গেলো। অসি সাহেব আবারও বলে উঠলেন— সত্যি করে বল, এই ধান্দা কবে থেকে করিস? তোদের গ্যাং এ আর কারা কারা আছে? আমি খুব আকুতি মিনতি করে বললাম— বিশ্বাস করেন স্যার। আমি এইসব কিছুই জানি না। আর এই টাকাটা আমার বউ আমাকে দিয়েছে। আগে জানলে এই জাল নোট আমি কখনোই নিতাম না। অফিসার বললেন— তার মানে তোরা জামাই বউ দুইজন মিলে এই ব্যাবসা চালাস! ডাক তোর বউ কে এখানে। দেখি তোর কথায় কি সত্যতা আছে।
আমি নাম্বার তুলে ফোন দিতেই তানিয়ার কন্ঠস্বর ভেসে আসলো। বললো— কি হয়েছে? করুন সুরে বললাম— সর্বনাশ হয়েছে বউ। তুমি যেই নোটটা দিয়েছিলে ওটা নাকি জাল নোট। মোড়ের দোকানদার বাবু ভাইকে বিল দিতে গিয়ে জানতে পারলাম। এখন পুলিশ আমাকে ধরে নিয়ে এসেছে। প্লিজ তাড়াতাড়ি ছাড়িয়ে নিয়ে যাও আমাকে। না হলে ছয় মাসের জেল দিয়ে দিবে বলছে। তানিয়া কর্কশ কন্ঠে বললো— ঠিকই আছে। আমাকে গাধা ভেবে ঠকাতে চেয়েছিলি, তাই না? এবার বুঝবি ঠেলা। আর শোন, যেই অাহাম্মক নিজের বউকে ঠিকমতো চিনতে পারে না, তাঁর জন্য ছয় মাস না সারা জীবন জেলে কাটানোই উত্তম। কথাটা শোনার পর আমার আবারও আকাশ থেকে মাটিতে পরে পাতালে চলে যেতে ইচ্ছে করছে। কিন্তু পারলাম না। শরীরটা যেনো মুহূর্তেই অনুভূতিহীন জিন্দা লাশের মতো হয়ে গেলো তাই!
গল্পের বিষয়:
গল্প