এমন অবেলায়

এমন অবেলায়
অহিতকে দেখা মাত্রই আমি তাঁর প্রেমে পড়েগিয়েছিলাম! কোনপ্রকার অনুধাবন-বিভাবন ছাড়াই তৎক্ষণাৎ তাঁর সামনে গিয়ে উচ্ছ্বসিত কন্ঠে বলেছিলাম,
—- আমি আপনাকে ভালোবাসি। আমার বলা সেই কথাটা শুনে অহিত তখন আধো হাসি মাখা মুখে আকাশ বাতাস মুখরিত করে উদ্ভাসিত কন্ঠে বলেছিল,
—- পাগল নাকি? তাঁর উপহাস্য মূলক সেই কথাটা শুনে আমি তখন দৃঢ়তা ভাব পোষণ করে বলেছিলাম,
—- এতে পাগলের কি দেখলেন আপনি? আপনাকে আমার খুব ভালোলেগেছে, আর প্রথম দেখাতেই আমি আপনার প্রেমে পড়ে গেছি। প্রথম দেখার ক্ষণেই আপনি আমার হৃদয় হরণ করেছেন, আমার থেকে আমাকে চুরি করেছেন। তাছাড়া হুট করেই আপনার প্রতি আমার গভীর ভালোবাসা তৈরি হয়ে গেছে। তাই আমার মনে হলো আপনাকে আমার ভালোবাসার কথাটা জানানো উচিত, আর তাইতো মুহূর্তও বিলম্ব না করে ঝনাৎ-খচাৎ আপনাকে জানিয়ে দিলাম আমার ভালোবাসার কথাটা। ব্যাস আর এতেই আমি পাগল হয়ে গেলাম ? অহিত আমার বলা সেই কথাগুলোর কোনপ্রকার সাড়াশব্দ না দিয়ে, অভাবিতরূপে সেখান থেকে বাইক নিয়ে নক্ষত্র বেগে চলে গেল আমার দৃষ্টি সীমানার বহিরাঙ্গে। আর আমি হতাশ নয়নে তাকিয়ে রইলাম তাঁর যাওয়ার পানে, আর নিজেই নিজেকে বললাম,
—- কি ইগো রে বাবা! কোন প্রবলেম নেই ডিয়ার, আমিও সহজে হাল ছেড়ে দেওয়ার পাত্রী নই। আমিও দেখবো কতদিন আপনার এ-ই ইগো থাকে? আপনার মুখ দিয়েই আমি, আমার প্রতি আপনার ভালোবাসার কথাটা বলাবোই। আর আপনি শুধু আমারই হবেন, ইট’স মা’ই চ্যালেন্জ।
দিন যতোই অতিক্রম হয়ে যাচ্ছিলো, ঠিক ততোই আমি তাঁর প্রতি দূর্বল হয়ে যাচ্ছিলাম। তবে সে কিছুতে আমাকে পাত্তায় দিচ্ছিলো না, বরংঞ্চ সে দিনে দিনে আরো বেশি করে এভয়েড করতো আমাকে। ভীষণ অসংযত মনোব্যাথা অনুভূত হতো আমার হৃদয়ে, তাঁর এমন রূঢ়ভাষী ব্যবহারে। কেন সে আমার ভালোবাসাটা উপলব্ধি করছে না? এই যন্ত্রণা যে দিবানিশি দিবাগত ভাবে আমার হৃদয়ে শূলের আঘাত গেঁথে চলছে অবিরত-অন্তবিহীন ভাবে! আমি যে আর সহ্য করতে পারছি না, ভালোবাসাবীহিন এই দহন জ্বালা তাঁর এই অবহেলা।
সে তো প্রতিনিয়তই তাঁর অবহেলায় আমাকে অবহেলিত করে তুলছে মুহূর্তে মুহূর্তে, ক্ষণে ক্ষণে। কিসের এতো প্রতিবন্ধকতা তাঁর? আমাকে একটুখানি ভালোবাসতে? ভালোবেসে সারাটাজীবন তাঁর খুব কাছে রাখতে? তাঁর ভালোবাসার স্পর্শে আমাকে পরিপূর্ণ করে দিতে? তাঁর অবহেলায় অবহেলিত হয়েও আমি প্রত্যাহ ভাবে তাঁকে বোঝানোর আপ্রাণ প্রচেষ্টা করতাম, তাঁকে আমি ঠিক কতটা ভালোবাসি। কিন্তু তারপরেও অহিত যখন বুঝলো না আমাকে, অনুভব করলো না আমার অবারিত ভালোবাসাটাকে। তখন আমি নিজে গিয়েই তাঁর সম্মুখে দাঁড়িয়ে ভীষণ অসংযত ভাবে চিৎকার করে বলেছিলাম,
—- আপনি কেন আমার সাথে এমন করছেন? কেনই বা দিনের পর দিন ইচ্ছাকৃত ভাবে আমাকে এতটা কষ্ট দিচ্ছেন? কেন বোঝেন না, আমি ঠিক কতটা ভালোবাসি আপনাকে? আমার বলা সেই কথাগুলো শুনেও অহিত কেবল আমার দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে ছিলো। দীর্ঘ মুহূর্ত অতিক্রম হওয়ার পরেও অহিত আমার কথার কোনপ্রকার উত্তর-প্রত্যুত্তর দিলো না। তাঁর ওমন অনাবশ্যক নিরবিচ্ছিন্ন নিরবতা দেখে আমি আবারও কাঠিন্য মেশানো কন্ঠে বললাম,
—- কি হলো চুপ করে আছেন কেন? আমার প্রশ্নের উত্তরটা তো দিন? আচম্বিত ভাবে অহিত প্রচন্ড চিৎকার করে বাজখাঁই কন্ঠে বললো,
—- কি শুনতে চাও তুমি? আর কি-ই বা বলার বাকি আছে! কতো বার করে বলেছি, ভালোবাসিনা তোমায়। তারপরেও কেন এভাবে ডিস্টার্ব করছো আমায়? অহিতের বলা সেই কথাটা শুনে আমি তখন অতিশয় অধীর কন্ঠে বলেছিলাম,
—- কিন্তু কেন? অহিত আবারও তীব্র বীতস্পৃহ কন্ঠে বললো,
—- শোন আবৃতি লাস্ট বারের মতো আমি তোমাকে ওয়ার্নিং দিচ্ছি,
আর কখনোই কোনভাবেই তুমি আসবে না আমার সামনে। ডিস্টার্ব করবে না আমাকে। তারপরও যদি তুমি কোনরূপ অবাধ্যকতার সৃষ্টি করো, তাহলে আমি বাধ্য হবো তোমার সাথে মিসবিহ্যাভ করতে। আর আমার খারাপটা কিন্তু ভীষণ তিক্ত, তিক্ততার বিরল-বিষাক্ত দহনে কিন্তু তুমি সর্বশান্ত হয়ে পড়বে। সো মাইন্ড ইট’স ওকে। তাঁর বলা ওমন ধরনের বক্তব্য শুনে আমি তখন অবিচল কন্ঠে বলেছিলাম,
—- কেন আপনি আমাকে ভালোবাসেন না? অহিত তখন আমার দিকে রক্তবর্ণ অক্ষিতে তাকিয়ে বলেছিল,
—- তোমার সব প্রশ্নের উত্তর দিতে আমি বাধ্য নই।
কথাটা বলেই অহিত আমার সামনে থেকে দমকা হাওয়ার মতো চলে গিয়েছিল। আর আমি ঠায় দাঁড়িয়ে ছিলাম আমার আগের স্থিতিতেই। বিষাক্ত আগুনের ধোঁয়ায় আমি যেন ক্রমশই মিলিয়ে যাচ্ছিলাম, অগ্নিকান্ডের গহিন অরন্যে! কি সেই হৃদয় বিদারক দীর্ণ-বিদীর্ণ দাবাগ্নি যন্ত্রণার তীব্র আলোড়ন! কিন্তু অহিত সেটা উপলব্ধিই বা করলো কখন? তাঁর বিচ্ছেদের বিচ্ছিন্ন বিরহে আমার হৃদয়ের রক্তক্ষরণ আরও বেশি অসংযত ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল। বাঁধহীন ভাবে ঝরতো আমার চোখের অশ্রুবারি। নিদারুণ টানাপোড়নে অতিবাহিত হতো আমার প্রতিটা দিবসরজনী।
কতো স্বপ্ন বুনেছিলাম শুধুই তাঁকে নিয়ে, কল্পনা রাজ্যের দীর্ঘ সেই পথে তাঁর পায়ে পা মিলিয়ে চলতাম অন্তবিহীন ভাবে। এরকম আরও কত শত অজস্র অবান্তর ভাবনা ভেবেছিলাম তাঁকে নিয়ে! তাঁর কটায় বা পূর্ণ হলো? আমার এ-ই স্বপ্ন গুলো যে কখনোই সত্যি হবে না। সে তো রবে অচিরে, আমার ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
এভাবেই কেটে গেছিলো কয়েকটা দিন। গোধূলি লগন, নির্জন নিস্তব্ধ চারিপাশ। প্রকৃতিতে তখন হেমন্তের আবির্ভাব। থেকে থেকে চারপাশে তুমুল গতিতে দমকা হাওয়া বইছিল। নীলাকাশের বুক চিরে উড়ে চলছিলো কতো শতো পাখি, মনোমুগ্ধকর সেই দৃশ্য! কি দারুণ মুগ্ধতা ছেঁয়ে আছে পুরোটা প্রকৃতিতে। কিছু কেনাকাটা করে আমি ফিরছিলাম বাড়ির পথে। অকস্মাৎ আমার দৃষ্টি আকর্ষন করলো, বাম সাইডের রাস্তার মোড়ে। সেখানে একটা ছেলে আর মেয়ে বসে আছে বাইকের উপরে। মেয়েটা ছেলেটাকে কখনও চিমটি কাটছে, তো কখনও তাঁর মাথার চুল গুলো এলোমেলো করে দিচ্ছে। আর ছেলেটা তৎক্ষণাৎ মেয়েটার দিকে রাগী দৃষ্টিতে তাকিয়ে নিমিষেই হেসে দিচ্ছে! মেয়েটিও ছেলেটার কাঁধে মাথা রেখে সহাস্যে হেসে উঠলো। কি তাঁদের দুজনার সেই খুনসুটিময় গভীর ভালোবাসা!
না আর না, আমার যে আর সহ্য হচ্ছে না তাঁদের এ-ই প্রেমকাহিনী! ছেলেটার এমন আচরণ আর মেয়েটার পাগলামিময় ভালোবাসা, সেই ছেলেটাকে যে আমার শেষ করে দিতে ইচ্ছে করছে। বড্ড ঘৃণা হচ্ছে আমার সেই ছেলেটার প্রতি। সেই পুরুষটা যে অন্য কেউ নয়, সে তো আমার, আমার ভালোবাসার অহিত! কি ভাবে পারলো অহিত, আমার ভালোবাসাটাকে ভুলে অন্য কারো সাথে গভীর প্রেমের সম্পর্কে জড়াতে? কি দোষ করেছিলাম আমি অহিতকে ভালোবেসে? যে সেই দোষের কারণে আমাকে এতো-বড়ো একটা শাস্তি পেতে হবে? এই ভাবে ভেঙে দিলে আমার সবটুকু আশা-আকাঙ্খা! বেঁচে থাকার নিমেষ মাত্র অভিপ্রায়ও যে হচ্ছে না আমার চিত্তপটে। আমার বেঁচে থাকার সবটুকু অভিলাষ-অভিন্সা তুমি যে মুহূর্তেই বিলীন করে দিলে অহিত। তোমাকে ছেড়ে, তোমাকে ভুলে কিভাবেই বা আমি অন্যকারো সাথে আমার বাকিটা জীবন-যাপন করবো?
দীঘির থৈ থৈ জলের মতো, যখন টলমল করেছিল আমার দুটি আঁখি। কিন্তু আফসোস আমার অঝোরে ঝরা, সেই চোখের পানি তুমি কখনোই দেখতে পারোনি। দেখিতে যদি তুমিহীন আমার সেই উদাসী চোখের চাহনি? তাহলে আমাকেই তোমার বুকপাজরে বন্দী করে রাখতে চিরটাজীবনই। সেদিন তাঁদের চোখের আড়াল থেকেই নিঃশব্দে কাঁদতে কাঁদতে চলে এসেছিলাম সেখান থেকে। নিজমনেই প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, আর কখনও কোনভাবেই এসে হাজির হবো না অহিতের সম্মুখে। সুখে থাকো তুমি তোমার প্রিয়তাকে নিয়ে, আমি না হয় থাকলাম কিছুটা দুঃখ কষ্টে। এরপর কেটে গেছে অনেকটা সময়, অনেকটা দিন অনেকগুলো বছর। অতিবাহিত করেছি নিজের জীবনের দুর্দম অগ্নিশ-ক্ষণ।
অন্তবিহীন ভাবে অতিক্রম করেছি দূরতিক্রম্য সেই কটাক্ষের দীর্ঘ পথ! তবে আমার চলার দীর্ঘ সেই পথে, সাথী হয়ে কেউ ছিলো না আমার পাশে। আমি তো ছিলাম নিঃসঙ্গ বড্ড একাকিনী! সংসার জীবন চিরন্তন ভাবে ত্যাগ করেছিলাম আমি। বাবা-মা অনেকবার বলেছিলো বিয়েটা করে নিতে, তবে আমিই রাজি হয়নি। এই পৃথিবীতে কিছু মানুষ নিঃসঙ্গ ভাবেই আসে, আর সারাজীবন নিঃসঙ্গতায়ই তাঁরা পুরোটা জীবন-যাপন করে। বিয়ে সংসারটা হয়তো তাঁদের ভাগ্যে লেখা থাকে না। আমিও হয়তোবা তেমনই এক রমণী। যদি আমার ভাগ্য সুপ্রসন্নই হতো, তাহলে হয়তো আমি অহিতকে পেতাম আমার জীবনসঙ্গী হিসেবে। কিন্তু ভাগ্য যে আমার সহায়ক ছিলো না, আর তাই হয়তো স্টাডি কমপ্লিট করে, এখন আমি একটা ন্যাশনাল কোম্পানিতে জব করছি। স্যালারি বেশ ভালো, একা মানুষের খরচই বা কত? অফিস থেকে বের হয়ে গাড়িতে উঠতে যাব, ঠিক তখনই কোন একজন পুরুষ কন্ঠস্বর আমাকে উদ্দেশ্য করে বললো,
—- আবৃতি শোন।
তৎক্ষণাৎ পিছনে তাকাতেই দেখলাম চিরচেনা সেই মুখটা, তবে আজ যে তাঁকে বড্ড ক্লান্ত দেখাচ্ছে। ম্লান মুখের ঘোর লাগানো দৃষ্টিতে, তাঁর সৌন্দর্য আরো বেশি বাড়িয়ে দিচ্ছে! আমি তখন গভীর ধ্যানস্থের ন্যায় অস্ফুটস্বরে বললাম,
—- অহিত।সে তখন আমার দিকে একটু একটু করে এগিয়ে এসে শুভ্র-নির্মল সমুজ্জ্বল হাসি মাখা মুখে মৃদুস্বরে বললো,
—- হুম আমি। কেমন আছো আবৃতি? অহিতের এমন একটা অবান্তর কথা শুনে আমি তখন তাচ্ছিল্যময় হাসি হেসে বললাম,
—- এতো দিন পর জানতে এসেছেন, আমি কেমন আছি? লুক আই এ্যাম সো হ্যাপি।
—- মিথ্যে সবটাই মিথ্যে। আমি জানি আবৃতি তুমি একটুও ভালো নেই।
—- আচ্ছা তাই? তো কেন ভালো থাকবো না আমি? সে তখন আমার দিকে অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে অন্যরকম কন্ঠে বললো,
—- যদি বলি শুধু আমারই জন্যে। তাঁর ওমন একটা কথা শুনে আমি আর কিছু বলার নিমেষ মাত্র অভিপ্রায়ও পেলাম না। অহিত তখন নিষ্প্রভ আননে বললো,
—- আবৃতি এখন কি আর কিছুই করা যায় না?
—- মানে! কি করার কথা বলছেন আপনি? অহিত তখন স্মিত হেসে উদ্ভাসিত কন্ঠে বললো,
—- আমরা কি আবারও সবটা নতুন করে শুরু করতে পারি না, পারি না কি দুজনে পুনরায় এক হতে?
—- না পারি না। এক হওয়াটা বোধ হয় আমাদের দুজনার ভাগ্যে নেই।
যখন আমি আপনাকে ভালোবেসেছিলাম, আপনাকে আমার করে পেতে চেয়েছিলাম। কই তখন তো একটি বারের জন্যও আপনি আমাকে টেনে নেননি আপনার কাছে, তবে কেন আজ এমন অসময়ে এসে বলছেন ভালোবাসেন আমাকে? অহিত তখন আদ্র চোখে তাকিয়ে শীতল কন্ঠে বললো,
—- বিশ্বাস করো আবৃতি সেদিন আমি তোমাকে বুঝতে পারিনি। অনুভব করতে পারিনি তোমার ভালোবাসাটাকে, উপলব্ধি করতে পারিনি তোমার আকুলতা অস্থিরতাকে। তবে তোমাকে হারানোর পর বুঝেছি তুমি ঠিক কতটা ভালোবেসেছিলে আমাকে! এতোটা দিন যে ঠিক কতো জায়গায় খুঁজেছি তোমায়, সেই হিসাবটা আমার ঠিক জানা নাই! আমিওতো ধীরে ধীরে তোমাকে ভীষণ ভালোবেসে-ফেলেছি আবৃতি, কথা দিচ্ছি আর কখনও তোমাকে আমি একটুও কষ্ট পেতে দেব না। সারাটা জীবন তোমাকে আগলে রাখবো আমার বুকের মাঝখানে । অহিতের কথা শুনে আবৃতি চাপা এক দীর্ঘশ্বাস লুকায়িত করে দৃঢ়তা ভাব পোষণ করে কাঠিন্য মেশানো কন্ঠে বললো,
—- কিন্তু এখন যে আপনার এতো ভালোবাসা আমার আর প্রয়োজন নেই। আপনার ভালোবাসার নিদাঘ তপ্ত টানাপোড়েনে দগ্ধিত হয়ে যখন আমি কেঁদেছিলাম অবিরাম ধারায় অন্তহীন ভাবে, কই সেদিন তো একটিবারের জন্যও আপনি আসেননি আমার কাছে? ওহ আসবেন কি করে? আপনি তো তখন খুব ব্যস্ত ছিলেন আপনার প্রিয়তমাকে নিয়ে। যখন আমি আপনাকে ভালোবাসতে চেয়েছিলাম, তখন তো আপনি ভালোবাসেননি আমায়! তবে আজ কেন এলেন এমন অবেলায়? অবেলার এই মিলন যে কখনোই হবার নয়, এ যে অসম্ভাব্য-অসম্ভাবনীয়!
কথাটা বলেই আবৃতি ধীর গতিতে সামনের দিকে এগিয়ে গেল, আর অহিত নির্বাক চিত্তপটে নিষ্পলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো আবৃতির যাওয়ার প্রান্তে।
গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত