ভুলে যাওয়া একদিন

ভুলে যাওয়া একদিন
হোসেন নামের যে নতুন রুমমেট এসেছে তাকে খুব একটা সুবিধার মনে হচ্ছেনা। রুমে এসেই আমার পা ধরে সালাম করেছে, দোয়া চেয়েছে।
‘ভাইজান নতুন আসছি আমার জন্য দোয়া করবেন।’
‘আপনি কি রুমমেট নাকি ঘরের বউ? সমান সমান টাকা দিয়ে থাকবেন খাবেন, দোয়ার কি আছে?’
‘ভাইজান এর আগে কোথাও একমাসের বেশী টিকিনি। তাই আরকি’
‘কয় জায়গায় থেকেছেন?’
‘এক জায়গাতেই থাকছি ভাইজান’
‘তো এক জায়গায় থেকে কোথাও টেকেন কি বললেন কেনো?’
‘মন বললো ভাইজান। আমার মন যেইটা বলে আল্লাহর রহমতে সেইটাই হয়!’
রুবেল ভাইয়ের দোকানে চা খাচ্ছি। কয়েকটা বিষয় নিয়ে ঝামেলায় আছি। নতুন করে ঝামেলা মনে হচ্ছে হোসেন। নানা ব্যস্ততায় বাহিরে থাকতে হয় বেশীরভাগ। রুমে যা আছে তা নিয়ে চলে গেলেই মোটামুটি আমি কোমায় চলে যাবো। ‘যে রুমমেট টা দিয়েছেন তাকে চিনেন তো?’ ‘কয়েকবার চা খাইছে দোকানে। ভালো মানুষ। চিন্তার কারন নাই’- চা বানাতে বানাতে উত্তর দিলো রুবেল ভাই। চা শেষ করে দ্রুতির বাসায় গেলাম। দ্রুতির স্বামী আমাকে ডেকেছে। সন্তান সম্ভাবা দ্রুতি আমার প্রিয় বান্ধুবী। অনাগত সন্তান নিয়ে তার স্বামীর কিঞ্চিৎ সন্দেহো। বিয়ের প্রথম মাসেই স্ত্রী সন্তান সম্ভাবা এটা ইমরান সাহেব মেনে নিতে পারছেনা। বিয়ের আগে প্রেম বিরোধী দ্রুতির সম্পর্ক বলতে ছিলো শুধু আমার সাথেই। রাতে দিনে উঠতে বসতে সে আমায় ভরসা করতো।
কড়া লিকারে চিনি ছাড়া চা বানাতে বলে ইমরান সাহেব আমার মুখোমুখি বসেছে। চা দিয়ে দ্রুতি দ্রুত চলে গেলো। জাস্ট ফ্রেন্ড নামে যে সম্পর্ক এখনকার যুগে চলে তাতো কম বেশী জানেন সজিব ভাই নাকি? – প্রশ্ন করে সন্দেহাতীত চোখে আমার দিকে তাকালো সে। আমি প্রশ্ন শুনে কিছুটা গা এলিয়ে সোফায় বসলাম। কাপ হাতে নিয়ে চায়ে চুমুক দিলাম। দ্রুতি বিশ্রী চা বানায়। তেতো মুখে মিষ্টি জবাব আসবেনা। তাই চুপ করে থাকলাম। ‘সমস্যা নাই। আপনাদের সম্পর্কের ব্যাপারে আমি সবকিছু জেনেছি। এমন কিছু হতেই পারে। ওসব ব্যাপার না। তবে একজনের সন্তান অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া ব্যাপারটা অন্যায়।
এটা ক্লোজ করে অন্তত দ্রুতিকে বিয়ের ব্যাপারে রাজি করাতে পারতেন। তাইনা?’ এই মুহূর্তে তাকে একটা কষিয়ে চড় দিতে ইচ্ছে হলেও মুখে হাসি এনে বললাম- ইমরান ভাই, দুনিয়াটা তো টেকনোলোজিতে অনেক এগিয়েছে। আপনি যে প্রশ্ন গুলো আমাকে করছেন এ ব্যাপার গুলোর সুন্দর সমাধান আপনি নিজেই বের করতে পারেন। DNA টেস্ট করান। আশাকরি আপনার সব উত্তর পেয়ে যাবেন। ভাই টেস্ট করাতে দ্রুতিকেও প্রয়োজন। আমি এখানে দ্রুতিকে টানতে চাচ্ছিনা। স্ত্রী হিসেবে তাকে আমি অসম্ভব ভালোবাসি। মানুষের তিক্ত কিছু অতীত থাকবেই সেটা ব্যাপারনা। চাচ্ছি সত্যটা আপনিই বলেন। আমার ইচ্ছা শুধু সত্যটা শুনা।’ অতিরিক্ত চা গুলো আমি টেবিলেই ফেলে দিলাম।
রাগে, ক্রোধে শরীর কাপছে। আর এক মুহূর্ত এখানে থাকলে আমার হাত উঠে যাবে। নিঃশব্দে বের হয়ে আসলাম। পুরো ব্যাপারটা অর্পণাকে জানানো উচিৎ। আমার জীবনে যে দুইটা মানুষ ওতপ্রোত ভাবে জড়িত সেটা হচ্ছে দ্রুতি আর অর্পণা। একজন বন্ধু, অন্যজন প্রেমিকা। প্রেমিকা অর্পণাকে নিয়ে যতো সমস্যার সম্মুখিন হয়েছি সব সময় দ্রুতি বট বৃক্ষের মতো মাথায় উপর ছায়া হয়ে পাশে দাড়াতো। অর্পণাকে বুঝাতো। দ্রুতিকে নিয়ে অর্পণার প্রথম দিকে সমস্যা হলেও পরে তারাও বেস্ট ফ্রেন্ড টাইপ হয়ে গিয়েছে। অপর্ণাকে সব খুলে বলা উচিৎ ভেবে যখন রাস্তায় হেটে বেড়াচ্ছি- তখনি সে মেসেজ দিলো সে আমার বাসার নিচে। জ্বলদি যেন যাই। বাসায় যেতেই হোসেন মিয়া মিষ্টি এগিয়ে দিলো। ‘কিসের মিষ্টি?’ ‘আপনার বিয়ের মিষ্টি ভাই। ভাবী নিয়ে আসলো।’ ‘ভাবী কোথায়?’ আমার প্রশ্ন মুখে থাকতেই অর্পণা বের হয়ে আসলো। হাত ধরে টেনে নিয়ে বের হতে হতে বললো- হাতে সময় কম। জ্বলদি চলো।
‘কিসের সময় কম?’ ‘আরেহ তুমি জানো না? দ্রুতি কনসিভ করেছে। ইমরান ভাই দাওয়াত দিয়েছে। আজকে আমরা দ্রুতিদের বাসায় ডিনার করবো। তারজন্য কেনাকাটা করতে হবে না?’ তরুণী মেয়েরা সৌখিন ধাচের মানুষ। আনন্দের উপলক্ষ পেলে সেটাতে নদীতে ঝাপ দেওয়ার মতো ঝাপিয়ে পড়ে। অর্পণা হেসেহেসে কেনাকাটা করছে। কবে বাচ্চা হবে আল্লাহ জানে, কিন্তু সে এখনি বেবি ড্রেস কিনে নিয়েছে। টিভিতে এড দেখেছে মাদার হরলিক্স নামের একটা বস্তু আছে সেটা খেলে নাকি বেবির গ্রোথ ভালো হয়, মা যথাসম্ভব স্টেমিনা পায়। হাফ ডজন হরলিক্স কিনলো। মা আসলে অর্পণা হচ্ছে নাকি দ্রুতি হচ্ছে বুঝতে পারছিনা। কেনাকাটায় কিঞ্চিৎ ব্যাঘাত ঘটিয়ে বললাম- দেখো তো আমি একটু ফর্সা হয়েছি কিনা? অর্পণা না তাকিয়েই উত্তর দিলো – নাহ হওনি। কালা ছিলা, কালাই আছো।
‘আমি গত দুইমাস ফেইসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ঘুমানোর আগে ফেয়ারএন্ডলাভলী মেখে ঘুমাই। যদি একটুও ফর্সা না হই তাহলে তোমার এই মাদার হরলিক্সও কাজে দিবেনা। টাকা নষ্ট।’ ‘তোমার বকর বকর শোনার টাইম নাই আমার’- ধমকের স্বরে অর্পণা জবাব দিলো। মেয়ে মানুষ বুঝা কঠিন। তাদের মাথায় কখন কি ঘুরে সেটা। খুব কাছের মানুষকেও তারা অনেক কিছু বুঝতে দেয়না। এই কথাটা আমাকে দ্রুতি বলতো। যখনি বলতো তখন জিজ্ঞাসা করতাম তুইও আমার কাছে কিছু লুকাস? বিনিময়ে সে মুচকি হেসে এড়িয়ে যেতো। আমার মন খারাপ হতো। যেমনটা হচ্ছে অর্পণার এমন পাত্ত্বা না দেওয়া আচরনের কারনে। আমি যখন অর্পণার পাগলাটে কেনাকাটা দেখতে ব্যস্ত তখন হোসেন মিয়া ফোন দিলো।
‘কি ব্যাপার?’ ‘কোন ব্যাপার নাই ভাই। বাজারে যাইতেছি। আজকে বাসায় খাবারের আয়োজন হইতেছে আমার উদ্যেগে। আপনার কোন চয়েজ আছে ভাই? কোন স্পেশাল ডিস?’ ‘হ্যা মাসকলাইর ডাল’ হোসেন মিয়া ফোন রেখে দিলো। রিক্সা করে আমি আর অর্পণা দ্বিতীয়বারের মতো দ্রুতিদের বাসায় যাচ্ছি। আমি জানি ইমরান সাহেব কেনো বাসায় দাওয়াত করেছে। বিশেষ করে অর্পণাকেও ডেকেছে। অর্পণার হাসিখুশী মুখ দেখে মায়া হচ্ছে। কারন অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই অসহনীয় বিচ্ছিরী কিছু একটার সম্মুখিন হবে সে। চাইলেই ব্যাপারটাকে এড়িয়ে যাওয়া যেতো। কিন্তু যা হয় তা হতে দেওয়া উচিৎ। তাছাড়া দুপুরে ঘটে যাওয়া অপমানের জবাবটাও আমার দেওয়া বাকি। অলরেডি একজন ডাক্তার বন্ধুকে দ্রুতির বাসার এড্রেস মেসেজ করে দিয়েছি। যেন সঠিক সময়ে উপস্থিত থাকে।
দুপুরে যেমনটা দেখে গিয়েছিলাম বর্তমান বাসার পরিস্থিতি মোটেও ওরকম না। সাজানো গুছানো। বাসার প্রতিটা কর্ণারে ক্যান্ডেল জ্বালানো। ইমরান সাহেব আয়োজন করেই অপমানের বন্দোবস্ত করেছেন। অনেকক্ষণ ড্রয়িংরুমে বসে আছি দুজন। দ্রুতি আর ইমরান সাহেব আসি আসি করছে। হুট করে দুইজন হইহুল্লোর করে ঢুকেই মধুর সুরে গাইতে লাগলো- হ্যাপি বার্থডে টু ইউ, হ্যাপি বার্থডে টু ইউ, হ্যাপি বার্থডে ডিয়ার অর্পণা, হ্যাপি বার্থডে টু ইউ! আমার মাথায় মোটামুটি আকাশ ভেঙে পড়ার মতো অবস্থা। অর্পণার দিকে তাকালাম, তার চেহারায় অভিমান। প্রেমিকের জন্মদিন ভুলে যাওয়ার মতো অপরাধের অভিমান। আমি চোখের ইশারায় তার দিকে তাকিয়ে ডাকার চেষ্টা করছি কিন্তু সে আমার দিকে তাকাচ্ছেই না। ইমরান সাহেব আমার কাছে এসে বললো – সরি সজিব ভাই। আপনাকে একটু কষ্ট দিতে হলো। ১২ টায় দ্রুতি  অর্পণাকে ফোন দেয় উইশ করতে।
ভেবেছিলো ওয়েটিং এ পাবে, আপনি ফোন দিয়ে রাখবেন। কিন্তু আপনি ভুলে গিয়েছেন। রাত পেরিয়ে সকাল, সকাল গড়িয়ে দুপুর। তবুও আপনার স্মরন হয়নি। এজন্য আমরা তিনজন প্ল্যান করে একটা অমানুষিক কষ্ট দিতে চেয়েছি আপনাকে। প্রেমিকার জন্মদিন ভুলে যাওয়ার শাস্তিযোগ্য কষ্ট। তাই ওরকম একটা নোংরা অপবাদের নাটক সাজানো! আমি মোটামুটি কোমায় চলে গিয়েছি। প্রায় ঘন্টা দুইয়েক দ্রুতি আর ইমরান ভাইয়ের র্যাগ খেয়েছি। অর্পণার রাগ ভাঙাতে একপায়ে দাঁড়িয়ে থেকেছি, ব্যাঙ হয়েছি, দ্রুতির বাচ্চা হলে সেই বাচ্চাকে নিয়ে কিভাবে ঘোড়া হবো সেটাও দেখিয়েছি। দুই ঘন্টা অত্যাচারের পর অর্পণার রাগ ভেঙেছে। খেয়ে দেয়ে বাসা থেকে বের হয়েছি। মাথাটা ভোঁ ভোঁ করছে। যখন নামলাম দেখি দ্রুতির বাসার নিচে আমার ডাক্তার বন্ধু মাত্র ল্যান্ড করেছে। ডেকে বললাম বন্ধু আসছিস? দেখতো আমার মাথাটা ভোঁ ভোঁ করছে, কারন কি? বন্ধু অবাক হয়ে বললো এটা দেখানোর জন্য তুই আমারে ডাকছিস?
‘হ্যা এটাই। কেন আমার মাথা ভোঁ ভোঁ করা কি তোর জন্য সিরিয়াস ম্যাটার না?’ ‘ধ্যাত! কতো কাজ রাইখা আসছি জানোছ তুই? এই তোর সিরিয়াস ইস্যু? তুই একটা হারামজাদা ছিলি, এখনো আছস, থাকবি’ বন্ধু রাগ করে চলে যাচ্ছে। ডেকে বললাম যাইছনা বন্ধু। বাসায় হোসেন মিয়া খাবারের বিরাট আয়োজন করতেছে। স্পেশাল ডিস মাসকলাইর ডাল থাকবে। বন্ধু মনে হয় শুনেনি। শুনলে চলে যাওয়ার কথা না। সদ্য রাগ ভাঙা অর্পণাকে বললাম আমার বাসায় মিষ্টি নিয়ে গিয়েছো ভালো কথা, তো বিয়ের কথা বলার কি ছিলো? ‘তো কি বলবো? আমার বাচ্চা হবে, এই যে নেন সবাই মিষ্টি খান। বাচ্চার বাবা আপনাদের সজিব ভাই। এটা বলতাম?’ বুঝলাম তার অভিমান এখনো ভাঙেনি। চলতি রিক্সায় তার মাথাটা কাধে এনে বললাম- সরি অর্পণা। তোমার মতো প্রেমিকা পেয়েছি ঠিকিই। কিন্তু প্রেমিক হতে পারিনি।
অর্পণা গম্ভীর স্বরে উত্তর দিলো, প্রেমিক হওয়ার যথেষ্ট সময় আছে। স্বামী হওয়ার প্রস্তুতি নাও। ওটা এই মুহূর্তে জরুরী! জরুরী এমন অনেক কিছুর হিসেব নিকেষ শেষে ক্লান্ত হয়ে বাসায় ফিরেছি। বাসায় এসে দেখি হুলস্থুল কারবার। বাসার নিয়ে বাবুর্চি এনে রান্নাবান্না হচ্ছে। গ্রামে বিয়ে বাড়িতে রঙিন কাগজ দিয়ে যেমন বাড়ি ঘর সাজানো হয় তেমন সাজানো হইছে। হোসেন মিয়া পান মাখানো মুখে জাবর কাটতে কাটতে কাছে আসলো, কেমন হইলো মিয়া ভাই? সময় অল্প আছিলো। আমার হাত পাকা। দেখলেন কেমন কইরা বিয়া বাড়ির আমেজ নিয়া আসলাম? ‘কার বিয়া হোসেন ভাই?’ ‘কেন আপনার। দুপুরে না ভাবী আসলো?’ বললাম খুব ভালো। মাসকলাইর ডাল রান্না হইতেছে তো? হাসতে হাসতে হোসেন মিয়া উত্তর দিলো তা আর বলতে মিয়া ভাই। আজকে জীবনের সেরা মাসকলাইর ডাল খাইবেন।
‘এতো আয়োজন করলেন নিজের টাকা খরচ করে?’ ‘নিজের টাকা হইবো কেন? টাকা নাই। আয়োজনটাও জরুরী। তারপরে আপনার রুমে একটা কালা বাকসো ছিলো। দোকানে নেওয়ার পর লোকজন বললো এইটা নাকি ল্যাপটপ। ২০ হাজার বেঁইচা দিলাম। ভালো ব্যবসা হইছে।’ ‘আপনি আমার ল্যাপটপ বিক্রি করে দিছেন? তাও ২০ হাজার টাকায়?’ ‘বিয়ে স্বাদীর ব্যাপার। নগদ টাকা ছাড়া কিছু পাওয়া যায় বাজারে বলেন ভাই?’ আমার মাথার ভিতরে কি যেন লাফালাফি করছে। ধড়াম করে পড়ে গেলাম। চোখ খুলে দেখি হোসেন মিয়া মাথায় পানি ঢালছে। আস্তে করে বললাম- কি মনে হয় হোসেন ভাই? আপনি কি আমার বাসায় আর একদিনও টিকতে পারবেন? আপনার মন কি বলতেছে?
‘মন তো বলতেছে যতদিন ইচ্ছা ততোদিন থাকতে পারবো মিয়া ভাই’ ‘আপনার তো দেখি মাথার সাথে সাথে মনও গরম। যতোদিন ইচ্ছা ততোদিন থাকতে পারবেন বলে কেনো মনে হচ্ছে?’ ‘দুপুরে ভাবী বলছে আমাকে উনার পছন্দ হইছে। কোন সমস্যায় পড়লে তাকে জানাতে। এজন্য মনে হচ্ছে’ পানি ঢালার মাঝখানেই আমি বোধহয় আবার অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছি। আসলে ডাক্তার বন্ধুকে সাথে করে নিয়ে না আসাটা আমার বড় ভুল ছিলো। প্রেমিকার জন্মদিন ভুলে যাওয়ার মতো ভুল। বন্ধুকে আবার মেসেজ দিলাম সিরিয়াস ইস্যু লিখে। এবার সে আসলেই হয়। অবশ্য না আসলে আমি মরে গেলেও বা কার কি!
গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত