বাবলু এক শিশি সরিষার তেল শরীরে মেখে এক গেরস্তের বাড়িতে চুরি করতে যাচ্ছে।চুরি বিদ্যা শিখাতে সঙ্গে নিয়েছে তার ১০ বছরের ছেলে হাবলুকে। কিছুক্ষণ পর গেরস্তের বাড়ির পাশে এক বাঁশঝাড়ে হাবলুকে রেখে, বাবলু গেল গেরস্তের বাড়িতে চুরি করতে।যাওয়ার আগে হাবলুকে বলল, “খবরদার হাবলু, এক্কেরে শব্দ করবি না,তাইলে কিন্তু ধরা খামু।” হাবলু ভাবলো “ধরা” এটা নিশ্চয় কোনো এক খাবারের নাম।না হলে খাওয়ার কথা বলল কেন? তখন হাবলু বলল, “বাপজান, ধরা তুমি একলা খাইবা না কইলাম।আমার লাইগাও একটু আনবা।” ছেলের কথা শুনে বাবলু চোর রেগে একটা ঝাড়ি দিয়ে বলল, “চুপ কর হাবলুর বাচ্চা, বইসা থাক,আল্লায় জানে, তোকে কি জন্যে সাথে আনলাম।”
ছেলের সাথে কথা বলার পর গেরস্তের বাড়িতে ঢুকে যেইনা বাবলু চোর আলমারি খুলল,ওমনি হাবলু হারামজাদাটা চিৎকার জুড়ে দিল, “বাপজান, আরে ওবাপজান, কই গেলা? আমারে তো মশা খাইয়া ফেলাইল, অ্যাঁ, অ্যাঁ, অ্যাঁ।এতক্ষণ কি চুরি কর? তাড়াতাড়ি আইস। আমারে ভয় লাগতেছে! ওইদিকে ছেলের এমন ন্যাকাপনা কান্ড শুনে বাবলু চোর খেই হারিয়ে ফেললো।ঘরের লোকজন জেগে উঠলো। হাবলুটা আবার পূর্বের ন্যায় চেচামেচি শুরু করলো।বলতে লাগলো,”ও বাপজান, মনে হইতাছে এই অন্ধকারে আমারে ভুতে ধরতাছে।আমি তো বেহুশ হয়ে যাইতেছি।চক্ষে আন্ধার দেহি,অ্যাঁ, অ্যাঁ, অ্যাঁ।আমার লাইগা ধরা না আনলে কইলাম আম্মারে কমু, তুমি ধরা একলাই খাইছো।”
ছেলের এমন চেঁচামেচিতে ঘরের লোকজন সবাই জেগে উঠলো,আর বাবলু চোরকে ধরে যে যার মতো পেঁদানি দিতে লাগলো।পেঁদানি খেতে খেতে বাবলু চোর বলতে লাগলো, “ও মারে,ও বাবারে আর কোনদিন চুরি করমু না, আমারে ছাইড়া দাও।” অবশেষে বাবলু চোরের নাকে একটা ঘুসি দিয়ে ছারলো। বাবলু চোর খুব কষ্টে গোঙাতে গোঙাতে হাবলুর কাছে আসলো।বাপকে দেখে হাবলু বলতে লাগলো, ” বাপজান ধরা আনছো নি?” বাবলু বলল,”হজম করবার পারবি..? “দিয়াই দেখ না।” হাবলু বলল। তখন বাবলু চোর বাঁশঝাড় থেকে কঞ্চি ভেঙে ব্যাটা হাবলুকে পেঁদানি দিতে লাগলো। ওমনি হাবলুটা চিৎকার জুড়ে দিল,”বাপজান আর ধরা খামু না।খা–মু—-না।
গল্পের বিষয়:
গল্প