হঠাৎ বিয়ে

হঠাৎ বিয়ে
সকাল টু টু মোবাইলে রিং বাজতাছে আমি এখনো মোবাইল ধরতে মন চাইতাছে না। আবার ঘুমাই গেছি কে জানে কে এতো সাত সকাল কল দিতাছে।আবার টু টু কল আসতাছে দেখি নীলা কল করছে। আমার পরিচয়। আমি শাহাদাত বিবিএ 1st year. বাবা মায়ের বড় ছেলে আমরা দুভাই।গল্পের নায়িকা। নীলা বাবা মায়ের একমাত্র বড় মেয়ে বিবিএ 1st year পড়ে। আমরা দুজন সমবয়সী
আমিঃ হ্যালো।
নীলাঃ এই তুমি কল ধরো না কেনো কি হয়েছে।
আমিঃ- আরে আমি ঘুম যাইতাছি বলো কি বলবে।
নীলাঃ-এখন তাড়াতাড়ি কলেজ গেইটে আসো তুমি জরুরি কথা আছে।
আমিঃ-এখন মানে তুমি মোবাইলে বলো আমি আসতে পারবো না আমি এখনো ঘুম থেকে উঠি নাই।
নীলাঃ-তুমি কি আসবে নাকি আমি তোমার বাসায় জরুরি বলছি জরুরি আস।
আমিঃ-ওকে আসতাছি ২০ মিনিট ওয়েট কর।
নীলাঃ-হুম
সাত সকাল ঘর থেকে বের হয়ে রিকশা ও পাইতাছি না।তাও দাড়ায় রইছি দেখি একটা রিকশা আসতাছে রিকশওয়ালা মামা থামো।
রিকশাওয়ালাঃ- হ মামা কই যাবেন।
আমিঃ-কলেজ মোড়ে চলো।রিকশা কলেজ মোড়ে এসে দাড়ালো, দেখি নীলা আমার আগে এসে ব্যাগ ট্যাগ নিয়া মুখ গোমরা করে দাড়ায় আছে কিছু বুঝলাম না।আমি তুমি কই যাবে এত জিনিষ পত্র কেনো।
নীলাঃ- বিয়ে করতে আইছি।
আমিঃ- বাবা কারে বিয়া করবি( আগে বলে রাখি নীলা আর আমি শুধু বন্ধু ভালো বন্ধু)
নীলাঃ-তোরে বিয়া করতে আসছি।বাড়ি থেকে বিয়া দিয়া দিতাছে আমাকে।
আমিঃ- তো এখন আমি কি করমু আমি পারমু এখনো বিয়া করতে আমার চাকরি আমি এখনো স্টুডেন্ট। আর তোরে কা আমি বিয়া করমু
নীলাঃ-কান্দা কাটি শুরু কইরা দিছে। ও আমারে বিয়া করবো না হলে বিষ মইরা যাইবো তাও অন্য কারো রে বিয়া করবো না।
আমিঃ আমি পারমু না আমার ধারা সম্ভব না।
নীলাঃ- তাহলে তুই চাছ অন্য জনের সাথে আমার বিয়া হয়ে যাক।
আমিঃ-চুপ।তার কিছুক্ষণ পর বললাম মানায় নিতে পারবি আমার সাথে আমি কালো.,কোনো চাকরি নাই।তোর বাপের এতো টাকা পয়সা তোর বাপে আমাদের মেনে নিবো।
নীলাঃ – ওইটা আমি দেখমি।
আমিঃ-ওকে চল কাজী অফিসে। রায়হান আদনানেরে কল দি ওরা আসুক সাক্ষী লাগবো।রায়হানেরে কল দিছি।
রায়হানঃ-হ মামু শাহাদাত ক এত সাত সকাল কল
আমিঃ- শালা তাড়াতাড়ি আদনান সহ কলেজ মোড়ে আস।
রায়হানঃ- মামা কেন কি হইছে কোনো ঝামেলা।
আমিঃ- আরে তাড়াতাড়ি আস।তার কিছুক্ষণ পর তারা আসলো এবং তাদের সবু খুলে বললাম। এবং অবশেষে বিয়েটা হয়ে গেলো।
বাড়িতে গেলাম কলিং বেল বাজালাম আম্মু দরজা খুলছে আমাদের দেখে অবাক।আম্মুকে সব খুলে বললাম আম্মু বলছে তোর আব্বু মেনে নিবে। আমি মেনে নিতে হবে বড় ছেলে আর আমি তো শখে পালিয়ে বিয়ে করি নাই বিপদে পড়ছি তাই।করছি তারপর বাবা মেনে নিলো। আমাদের দুজনের সুন্দর ভাবে দিন কাটতে লাগলো আমিও একটা বেসরকারি অফিসে একটা জব পাইছি।একদিন জব থেকে আসি দেখি নীলা কার সাথে কথা বলতাছে।
আমিঃ- তুমি কার সাথে কথা বলতাছো নীলা।
নীলাঃ- কই কারো সাথে কথা বলছি না। আমার বান্ধবী রিয়ার সাথে কথা বলতাছি।
আমিঃও।
নীলাঃ-তুমি কি আমাকে সন্দেহ করো।
আমিঃ- আরে নাহ এমনি জিজ্ঞাসা করছি।
নীলাঃ- ফ্রেশ হয়ে আসো খেতে দিচ্ছি।
আমিঃ- না আজ খাবো না তুমি খেয়ে নাও আজ ভালে লাগছে না। আজ মনটা যেন কেমন করতাছে। ফ্রেশ হয়ে ছাদে গেলাম কেনো জানি ইদানীং মনে হচ্ছে নীলা আমার থেকে দূরে দূরে থাকে কার সাথে প্রতিদিন মোবাইলে কথা বলে।ছাদে বসে বসে একমনে সিগারেট টানতাছি কখন জানি দেখি নীলা কল দিছে ।
নীলাঃ- কই তুমি রুমে আসো।
আমিঃ- আসতাছি। তারপর রুমে গিয়ে নীলার সাথে কোনো কথা না বলে ঘুমিয়ে গেছি।সকালে ঘুম থেকে উঠে নীলাকে না জাগিয়ে ঘুম থেকে উঠে অফিসে চলে গেছি। অফিসে বসা তখন দেখি নীলা কল দিছে।
নীলাঃ- নাস্তা না করে অফিসে চলে গেলে যে।
আমিঃ- এমনি আজ অফিসে করে নিবো।
নীলাঃ-আজ একটু তাড়াতাড়ি বাড়ি এসো।
আমিঃ-ওকে।অফিস শেষ করে বাড়ি গেলাম।
নীলাঃ-তার পেটে আমার হাত নিয়ে আমাদের বেবি হবে।
আমিঃ- আমিতে আমার কানকে বিশ্বাস করতাছি না তুমি আমাকে আগে বলো নাই কেনো।
নীলাঃ-সারপ্রাইজ।আর তোমার মনে নাই আজ কি দিন।
আমিঃ-আজ কি দিন? কোনো স্পের্শালডে।
নীলাঃ- আজ আমাদের বিবাহবার্ষিকী।
আমিঃ-ও সরি আমার মনে নাই।
নীলাঃ- তোমার মনে থাকে কি। আজ তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে আসো।
আমিঃ- তারপর আমি ফ্রেশ হয়ে আসলাম দুজন একসাথে খেলাম এক অপরেক খাইয়ে দিছি ছাদে জোৎস্না দেখলাম আকাশের তারা গুনলাম দুজন। তারপর একদিন আমি অফিসে। তখন আম্মুর কল আসলো তাড়াতাড়ি মেডিনোভা তে যাওয়ার জন্য আমারটা,মনটা ধুক করে উঠলো বুঝলাম নীলা অসুস্থ। গিয়ে দেখি নীলা অপারেশন রুমে তারপর ডাক্তার বের হয়ে আসলো।
ডাক্তারঃ-আলহামদুলিল্লাহ মেয়ে হয়েছে আম্মুর কলে দিলো আমার মেয়েকে।
আম্মুঃ- তারপর এনপ আমার কোলে দিলো আমি কোলে নিয়ে ভেতরে গেলাম নীলার কাছে। আমাদের মেয়ে হয়েছে ঠিক তোমার মতো।
নীলাঃ-কোলে নিয়ে। নাকটা তোমার মতো হয়েছে।
আমিঃ হুম দেখতে হবে না মেয়েটা কার।
তারপর তারা মা মেয়ে সুস্থ হলো তাদের বাড়ি নিয়ে আসলাম।মেয়ের নাম রাখলাম দুজনের পছন্দ করা নাম আনিশা।পুরো বাড়ি ঝুরে শুধু আন্দন এখন কতো আত্নীয়স্বজন। আনিশা কে কেউ কোল থেকে রাখতাছে না।
গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত